পুলিশের
স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার
স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার কথা আদালতে পুরোদস্তুর অস্বীকার করেছেন
তাদের মেয়ে ঐশী রহমান।
মঙ্গলবার মামলাটিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে
লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে বাবা-মাকে খুনের কথা অস্বীকার করেন ঐশী। ঐশীর
আইনজীবী মাহবুবুর রহমান রানা বাংলামেইলকে ওই লিখিত বক্তব্যের বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবীর বক্তব্য অনুয়ায়ী, ঐশী দাবি
করেছে, ঘটনার সময় সে অপ্রাপ্তবয়ষ্ক ছিল। এর সমর্থনে সে আদালতে একটি
সনদপত্রও দাখিল করেন। কিন্তু পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে তাকে অমানবিক নির্যাতন
করে। ফলে পুলিশের কথা অনুযায়ী ঐশী স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তাছাড়া সে তার
বাবা-মাকে খুনের রাতে বাসায়ই ছিল না। বন্ধুর বাসায় হুইস্কি খেয়ে নেশাগ্রস্ত
অবস্থায় ছিল। কারা বাবা-মাকে খুন করেছে সে তাও জানে না।
এরপর, ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার
ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ ঐশীর আত্মপক্ষ সমর্থন শেষে আগামি ২০
অক্টোবর যুক্তিতর্ক উপস্থানের জন্য দিন ধার্য করেন। এ মামলায় মোট ৩৯ জনের
সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর
মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের
(পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের
ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরদিন তাদের মেয়ে ঐশী গৃহকর্মী
সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। ওই বছরের ২৪ আগস্ট আদালতে খুনের
দায় স্বীকার করে ঐশী জবানবন্দি দেন। পরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার কাছ
থেকে স্বীকারোক্তি নেয়া হয়েছিল দাবি করে গত ৫ সেপ্টেম্বর স্বীকারোক্তি
প্রত্যাহারের আবেদন করা হলে আদালত তা নথিভূক্ত রাখার নির্দেশ দেন।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ ডিবির ইন্সপেক্টর আবুল
খায়ের মাতুব্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ঐশীসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুটি
চার্জশিট দাখিল করেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন