সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৫

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের ‘বিশেষ সুযোগ’ দিচ্ছে ইসি

1444032854
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনে ‘বিশেষ সুযোগ’ দিচ্ছে ইসিজাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ভুল সংশোধনে আগ্রহীদের ‘বিশেষ সুযোগ’ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে যারা আবেদন করবেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের সংশোধন সেবা দেয়া হবে। রোববার ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
স্মার্টকার্ডে ভুলের সংখ্যা কমিয়ে আনতে এই সুযোগ দেয়া হচ্ছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, খুব শিগগিরই উন্নতমানের এনআইডি বা স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে। যা প্রস্তুত করতে অনেক খরচ হবে। এছাড়া স্মার্ট কার্ডে ভুল থাকলে তা নাগরিকদেরও অস্বস্তিতে ফেলবে। তাই ভুলের সংখ্যা ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনতে চলতি মাসে নাগরিকদের বিশেষ সুযোগ দেয়া হবে।
সংশোধনের প্রক্রিয়াটি চলমান জানিয়ে তিনি বলেন, সারা বছর ধরেই এটি চলবে। তবে যারা নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে আবেদন করবেন তাদের আবেদন গুরুত্ব সহকারে নিয়ে সমাধান দেয়া হবে। যাদের আবেদন সংশোধনযোগ্য, তা বিচার বিশ্লেষণ করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই করে দেয়া হবে। আর যদি সংশোধন যোগ্য না হয় তাও তাৎক্ষণিক জানিয়ে দেয়া হবে।
ইসি সচিব জানান, এনআইডি সংশোধনের জন্য নাগরিকদের এখন আর ঢাকায় আসারও প্রয়োজন নেই। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যাতে স্থানীয় পর্যায়ে ভুল সংশোধনের আবেদন নেয়া হয়। একই সঙ্গে দ্রুত সেসব আবেদন নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেয়া হয়
Share:

স্যামসাংয়ের ফোনে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড়!

2015_10_05_15_46_03_1qYiIz5r0cbL4HgTNL9jH2212PXAck_original
স্যামসাং মোবাইল বাংলাদেশ গ্যালাক্সি এস৬ এজ এ দিচ্ছে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা মূল্যছাড় । এছাড়াও গ্রাহকরা গ্যালাক্সি জে৫ এর সঙ্গে পাচ্ছেন একটি সেলফি স্টিক ফ্রি। এছাড়া সকল গ্রাহক পাবেন ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ছাড়!
  1. )
ডিভাইসগুলোর অনন্য কর্মদক্ষতা, চমৎকার ক্যামেরা এবং দারুন ডিসপ্লে গ্রাহকের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করবে। এছাড়াও এই অফারগুলো গ্রাহকদের আনন্দে নতুন এক মাত্রা যোগ করবে।
স্যামসাংয়ের ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস গ্যালাক্সি এস৬ এজ ডিজাইন, নৈপুণ্য এবং কর্মক্ষমতার ক্ষেত্রে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই ফোনে আছে প্রিমিয়াম ম্যাটেরিয়ালস এবং স্যামসাং এর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নিখুঁত সংমিশ্রণ যা গ্রাহকদেরকে দেবে মোবাইল ফোন ব্যবহারের অতুলনীয় অভিজ্ঞতা।
ডুয়েল এজ ডিসপ্লে সম্পন্ন এটিই বিশ্বের প্রথম হ্যান্ডসেট। ফোনটির সেলফি ক্যামেরা ৪ মেগাপিক্সেলের। রিয়ারে আছে ১৬ মেগাপিক্সেল। উভয় ক্যামেরাতে এফ১.৯ লেন্স এবং হাই রেজুলেশন সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে যা গ্রাহককে স্বল্প আলোতে উন্নত মানের ছবি তুলতে সাহায্য করবে।
গ্যালাক্সি জে৫ এ আছে চমৎকার ক্যামেরা এবং শক্তিশালী প্রসেসরের নিঁখুত সমন্বয়। এর ১.৫ জিবি র‌্যাম সম্পন্ন ৬৪-বিট কোয়াড-কোর প্রসেসর দ্রুত এবং অনায়সেই কাজ করতে সক্ষম।
ফোনটির ৫.০ ইঞ্চির  সম্পূর্ণ এইচডি সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে,  এফ১.৯ সম্পন্ন অনন্য রিয়ার ক্যামেরা যা যেকেনো  আলোয় চমৎকার ছবি তুলতে সক্ষম। সামনের এবং পিছনের উভয় ক্যামেরাতে আছে এলইডি ফ্ল্যাশ, ম্যানুয়েল অ্যাপারচার সেটিংস এবং অ্যাডভান্সড ফটো সেটিংস যা অনায়াসেই সেরা ছবি তুলতে সাহায্য করবে। সবাইকে একই ফ্রেমে বন্দি করতে স্যামসাং জে৫ এর সাথে দিচ্ছে একটি আকর্ষণীয় একটি সেলফি স্টিক ফি ।
গ্যালাক্সি এস৬ এজ (পূর্বমূল্য ৭৯,৯০০ টাকা) সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা থেকে সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড়ে  বাজারে হোয়াইট পার্ল, ব্ল্যাক সাফায়্যার, গোল্ড প্লাটিনাম এবং গ্রিণ এমারেল্ড রঙে পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়াও ফ্রি সেলফি স্টিক সহ গ্যালাক্সি জে৫ পাওয়া যাচ্ছে ১৮ হাজার ৯৯০ টাকায়, পাওয়া যাচ্ছে কালো, সাদা, গোল্ড এই তিনটি রঙে।
এই অফারটি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে গ্রাহকরা কল করুন ০৯৬১২-৩০০-৩০০ এবং ০৮০০০-৩০০-৩০০ (টোল ফ্রি) নম্বরে অথবা ঘুরে আসুন নিকটস্থ স্যামসাং স্মার্টফোন ক্যাফে থেকে।
Share:

নতুন পে স্কেল: এ মাসের শেষে প্রজ্ঞাপন



1440575039
নতুন পে স্কেল কার্যকর করতে এ মাসের শেষ সপ্তাহে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। ফলে আগামী মাসেই নতুন বেতন কাঠামোতে ‘বর্ধিত বেতন’ পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। বর্ধিত বেতনের সঙ্গে জুলাই থেকে কয়েক মাসের এরিয়ারও পাবেন তারা। সরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাও নতুন স্কেল অনুযায়ী তাদের বেতন তুলবেন। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সমকাল।
তবে আন্দোলনরত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির দেওয়া সুপারিশের আলোকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বর্তমানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দেশের বাইরে রয়েছেন। এ মাসের ১৭ তারিখে তার দেশে ফেরার কথা।
সূত্র জানায়, অর্থমন্ত্রী দেশের ফেরার পর মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যোগাযোগ করা হলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, নতুন পে স্কেলের প্রজ্ঞাপনের খসড়া প্রায় চূড়ান্ত। শিগগিরই তা জারি করা হবে। কবে নাগাদ হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সময় হলেই জানতে পারবেন।’
নতুন পে স্কেল মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সারাদেশের শিক্ষকসহ সরকারি চাকরিজীবীরা অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন কবে বর্ধিত বেতন পাবেন তারা।
এদিকে, সরকারি চাকরিজীবীদের ‘গ্রেড’ অনুযায়ী পরিচিত হওয়ার লক্ষ্যে নতুন করে নীতিমালা তৈরি করা হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হচ্ছে, তাতে কর্মকর্তাদের গ্রেডিংয়ের বিষয়ে কিছু উল্লেখ থাকবে না। তবে কর্মকর্তাদের গ্রেডিং পরিচিতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
জানা গেছে, গ্রেড অনুযায়ী নতুন বেতন স্কেলের যাবতীয় তথ্য চেয়ে ইতিমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠি পাওয়ার পর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন গ্রেড পরিচিতি নিয়ে কাজ করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
গত বছরের ডিসেম্বরে পে কমিশনের মূল প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেওয়ার পর ৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন পে স্কেল অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই দিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ১ জুলাই থেকেই নতুন বেতন কাঠামো কার্যকরের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে তা বাস্তবায়ন করতে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এতে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে। মন্ত্রিসভার সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হচ্ছে।
নতুন বেতন কাঠামোতে মাসিক ‘মূল বেতন’ সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার টাকা এবং সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখন শুধু ‘মূল বেতন’ বাড়বে। ভাতা বাড়বে আগামী বছরের জুলাই থেকে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, প্রজ্ঞাপনের খসড়া তৈরি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রী দেশে ফিরলেই তা অনুমোদন করা হবে। তার পর গেজেট প্রকাশ করা হবে। এতে ভাতার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। যদিও ভাতা দেওয়া হবে আগামী বছরের জুলাইয়ে।
জানা গেছে, সরকারি চাকরিজীবীরা এখন মূল বেতনের সঙ্গে চিকিৎসা ভাতা পান ৭০০ টাকা। এই ভাতা বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা করা হয়েছে। যাতায়াত ভাতা ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে দ্ধিগুণ করা হয়েছে। শিক্ষা ভাতা ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে কোনো সরকারি চাকরিজীবী পিআরএলে (অবসর-পূর্ব ছুটি) গেলে এক সঙ্গে ১২ মাসের সমপরিমাণ মূল বেতন পান। নতুন স্কেলে ১৮ মাসের সমপরিমাণ ‘মূল বেতন’ পাবেন। খসড়া প্রজ্ঞাপনে এসব বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া নববর্ষে বৈশাখী ভাতার কথা উল্লেখ থাকছে প্রজ্ঞাপনে।
Share:

অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল বাংলাদেশে না আসার নেপথ্যে যে ২ তরুণী!

image_140677
জঙ্গি হামলা আশঙ্কা ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট টিমের বাংলাদেশে না আসার নেপথ্যে ‘অনুঘটক’ হিসেবে লন্ডনপ্রবাসী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুই তরুণীকে শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। রুমানা হাশেম ও অজন্তা দেব রায় নামে ওই দুই তরুণী লন্ডনে বসে টুইটারে বাংলাদেশের ২১ জন মুক্তমনা ব্লগার, অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখকের হিটলিস্ট প্রকাশ করেন। এরই সূত্র ধরে বিশ্বের কয়েকটি প্রভাবশালী গণমাধ্যমে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার আশঙ্কার বিষয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করে। ওই সংবাদগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সরকার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশে ক্রিকেট টিম না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। আর এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে দেশটি বন্ধুভাবাপন্ন কয়েকটি প্রভাবশালী রাষ্ট্রের সঙ্গে শলাপরামর্শও করে বলে গোয়েন্দা সূত্র জানায়।
এদিকে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট টিম বাংলাদেশে না আসায় ভাবমূর্তির দিক মাথায় রেখে বাংলাদেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে প্রাথমিকভাবে ওই গোয়েন্দা সংস্থার বদ্ধমূল ধারণা, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুই লন্ডনী তরুণীর একটি টুইট বার্তার কারণেই জঙ্গি হামলার আশঙ্কার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ পায়। এর ফলে অস্ট্রেলিয়া দল নিরাপত্তা ইস্যুতে পিছু হটে। এ সংক্রান্ত একটি গোপন প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও পাঠানো হয়েছে।
গোয়েন্দারা রুমানা হাশেম ও অজন্তা দেব রায়ের গ্রামের বাড়িসহ তাদের খোঁজখবর নিচ্ছে। এ ছাড়া গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকে একটি উচ্চপর্যায়ের দল শিগগির লন্ডনে যাবে। সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় দুই তরুণীর কাছে ২১ জনের হিটলিস্টের সূত্র সম্পর্কে জানতে চাইবেন গোয়েন্দারা। রুমানার টুইট পেজে নিজেকে বর্ণবাদবিরোধী অ্যাক্টিভিস্ট-সমাজবিজ্ঞানী উল্লেখ করেছেন। তবে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ওই দুই তরুণী ব্লগসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তমনের লেখালেখি করেন। কোনো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ৪৭ মিনিটে রুমানা টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ছবি সংবলিত একটি টুইট করেন। টুইটে ছবির ক্যাপশনে বলা হয়, রুমানা হাশেম তার এক বন্ধুর কাছ থেকে একটি হিটলিস্ট পেয়েছেন। আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের হিটলিস্টে নাম ও বর্তমান অবস্থানের ঠিকানায় রয়েছেন- প্রখ্যাত লেখক ও কলামনিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী (লন্ডন), দাউদ হায়দার (জার্মানি), তসলিমা নাসরিন (ভারত), নিহত ব্লগার অভিজিতের স্ত্রী বন্যা আহমেদ (আমেরিকা), আসিফ মহিউদ্দিন (জার্মানি), অনন্য আজাদ (জার্মানি), ওমর ফারুক লুকস (জার্মানি), ফারজানা কবির খান (জার্মানি), ছদ্মনামধারী ‘নাস্তিকের ধর্মকথা’ (জার্মানি), সুব্রত শুভ (জার্মানি), ফড়িং ক্যামেলিয়া (জার্মানি), কামরুল হাসান (লন্ডন), সুশান্ত দাশগুপ্ত (লন্ডন), আরিফুর রহমান (লন্ডন), অজন্তা দেব রায় (লন্ডন), মনির হোসেন (বার্মিংহাম), শান্তনু আদিব (লন্ডন), নিঝুম মজুমদার (লন্ডন), রুমানা হাশেম (লন্ডন), রায়হান আবির (কানাডা) ও নির্ঝর মজুমদার (সুইডেন)।
সূত্র জানায়, রুমানার ওই টুইটের কিছুক্ষণ পর অজন্তা দেব রায় পোস্টের নিচে মন্তব্য করেন। ‘আমি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।’ পুলিশের ধারণা, অজন্তা লন্ডন পুলিশকে এ ধরনের তথ্য জানান। আর রুমানাকে ২১ জনের হিটলিস্টের তালিকাও অজন্তা সরবরাহ করেন। এ জন্য রুমানার পাশাপাশি গোয়েন্দারা অজন্তাকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন।
রুমানার টুইটার পেজে দেখা যায়, ওই বার্তা টুইট করার দুদিন পর, অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর, ‘জাতিসংঘ এনজিও কমিটি অন ফ্রিডম অব রিলিজন অর বিলিফ’-এর প্রেসিডেন্ট মিকায়েল ডি ডোরা (গরপযধবষ উব উড়ৎধ) একই টুইটে মন্তব্য করেন। তবে মিকায়েল তার মন্তব্যে রুমানার কাছে হিটলিস্টের তথ্যসূত্র জানতে চান। জবাবে পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর রুমানা একই পোস্টের নিচে সূত্র হিসেবে বাংলাদেশ সরকার ও পুলিশের কথা উল্লেখ করেন। তবে বাংলাদেশ সরকার ও পুলিশ এ ধরনের কোনো হিটলিস্টের কথা স্বীকার করেনি।
এদিকে রুমানার টুইটে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। টুইট ঝড়ের ২০ দিন পর বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন আনসারউল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) কর্তৃক ব্লগার, অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখকদের হিটলিস্ট প্রকাশ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে লন্ডনের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশি একটি ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন অসাম্প্রদায়িক ব্লগার, লেখক ও সারা বিশ্বে বসবাসকারী অ্যাক্টিভিস্টদের তালিকা তৈরি করেছে, যাদের হত্যা করা হবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘ইসলামী জঙ্গিদের এই তালিকা সহিংসতা আকারে রূপ নিলে তা দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা বাড়ানোসহ আন্তর্জাতিকভাবে বিস্তারলাভ করতে পারে।’ এতে বলা হয়, হিটলিস্টে থাকা লন্ডনভিত্তিক টার্গেটকৃত ব্লগারদের মধ্যে ৭ জন জার্মানি, ২ জন যুক্তরাষ্ট্র, ১ জন কানাডা এবং ১ জন সুইডেন আছেন। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা গত ১৮ মাসে সিরিজ হত্যা করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গার্ডিয়ানের একদিন পর অন্য একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরেক প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিএনএন। সিএনএন টেলিভিশন ও অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এক্সট্রিমিস্ট ইন বাংলাদেশ পাবলিশ গ্লোবাল হিটলিস্ট অব ব্লগারস অ্যান্ড রাইটার্স’। প্রতিবেদনে হিটলিস্টে থাকা ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ না করলেও এতে বলা হয়, যারা হুমকির মধ্যে রয়েছেন তারা যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। এতে হামলা করতে প্রস্তুত জঙ্গি সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশের আনসারউল্লাহ বাংলা টিমকে দায়ী করা হয়।
গার্ডিয়ান ও সিএনএনে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার একদিনের মাথায় রুমানা হাশেমের প্রকাশ করা হিটলিস্টে থাকা ২১ জনের হুবহু নাম ও তাদের অবস্থানের ঠিকানা সংবলিত অন্য একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতের ইন্ডিয়া টিভি। ইন্ডিয়া টিভির অনলাইনে বলা হয়, বাংলাদেশের জিহাদি গ্রুপ আনসারউল্লাহ বাংলা টিম ব্লগারদের গ্লোবাল হিটলিস্ট প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছেন খ্যাতিমান লেখিকা তসলিমা নাসরিনের নামও। যিনি ফতোয়াবিরোধী বক্তব্যর কারণে হত্যার আশঙ্কায় গত ২১ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।ইন্ডিয়া টিভিতে বলা হয়, ইসলামের শত্রু, মাদ্রাসা শিক্ষার বিরোধিতাকারী, নাস্তিক্যবাদ, ইসলাম ধর্মত্যাগী, শাহবাগী ব্লগার, ভারতের পক্ষ নিয়ে অভিনয়সহ নানা কারণে হিটলিস্টে থাকা এই ২১ জনকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম টার্গেট করেছে।
গোয়েন্দা সূত্র আরও জানায়, রুমানা হাশেম, অজন্তা দেব রায় এবং বৈশ্বিক মিডিয়ায় ২১ জনের হিটলিস্ট প্রকাশ করা হলেও আনসারুল্লাহ বাংলা টিম একে মিথ্যা বলে আসছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নিজস্ব ওয়েবপেজের দাবিদার ‘জিহাদোলজি’তে ২১ জনের হিটলিস্টকে মিথ্যা বলে ঘোষণা করে বলা হয়, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নামে প্রকাশিত তথাকথিত ‘বৈশ্বিক হিটলিস্ট’ এর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এসব কারণে গোয়েন্দারা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন, রুমানা ও অজন্তার টুইট এবং লন্ডনী গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে মিথ্যা হিটলিস্ট নিয়ে কথা বলার পর তা বিশ্বমিডিয়ায় চলে আসে। যে কারণে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উৎপাত আছে মনে করে নিজেদের ক্রিকেট টিমকে নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশ সফরে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া।
Share:

ঊরুসন্ধির কালো দাগ দূর করার সবচাইতে সহজ ও সস্তা ৫ টি মাস্ক

ঊরুসন্ধি বা দুই থাইয়ের মধ্যবর্তী এলাকায় কালো দাগের সমস্যা গ্রীষ্মপ্রধান দেশের নারীদের মাঝে খুবই দেখা যায়। গরমে ঘেমে কাপড়ের সাথে থাইয়ের ঘর্ষণ তো আছেই, পাশাপাশি  যাদের ওজন অনেকটা বেশি তাঁরাও কিন্তু এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। সমস্যাটি বেশ বিব্রতকর, তাই এটা দূর করতে স্কিন ট্রিটমেন্ট করাতে চান না অনেকেই। চিন্তা নেই, উরুসন্ধির কালো দাগ দূর করার জন্য আছে দারুণ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি। নিয়ম করে এই মাস্কগুলো ব্যবহার করলে ঊরুসন্ধি সহ শরীরের যে কোন স্পর্শ কাতর অঙ্গের দাগ দূর করতে পারবেন।
তবে হ্যাঁ, মনে রাখতে হবে যে ৫টি মাস্ক থেকে যে কোন একটি বেছে নেবেন এবং সেটা নিয়ম করে প্রতিদিন পালন করবেন। ঘরোয়া পদ্ধতিতে রাতারাতি কোন ফল পাওয়া যায় না। কিন্তু একটু ধৈর্য ধরে অবলম্বন করলে খুব দারুণ ও স্থায়ী ফল লাভ করা যায়। 
চন্দনের মাস্ক
১ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়োকে অর্ধেক লেবু ও প্রয়োজনীয় পরিমাণ শসার রস দিয়ে পাতলা পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্ট থাইয়ের কালো দাগের অঞ্চলে মেখে রাখুন। শুকিয়ে গেলে উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। শরীরের অন্যান্য স্থানের কালো দাগ দূর করতেও এই পদ্ধতি বেশ ভালো কাজ করে।
গুঁড়ো দুধের মাস্ক
গুঁড়ো দুধ, মধু ও লেবুর রস প্রতিটি ১ টেবিল চামচ করে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ঘরে আমন্ড তেল বা ভিটামিন ই যুক্ত যে কোন তেল থাকলে কয়েক ফোঁটা যোগ করুন। এই মিশ্রণ থাইতে লাগিয়ে ১৫/২০ মিনিট রাখুন , তারপর ধুয়ে ফেলুন। শরীরের যে কোন রোদে পোড়া দাগ দূর করতেই এই উপায় খুবই কার্যকর।
ফেলনা কমলার খোসা
কমলা খাওয়ার পর কী করেন? খোসাটি ফেলে দেন নিশ্চয়ই? এই খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। তাপর মধুর সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে থাইয়ে লাগান। ১৫/২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। থাইয়ের কালো দাগ দূর করতে কমলার খোসা খুব ভালো কাজ করে, কারণ এতে আছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট। অল্প কিছুদিন ব্যবহারেই ফল পেটে শুরু করবেন।
নারিকেল তেল
নারিকেল তেল ত্বকের কালো দাগ দূর করতে ও পুনরায় দাগ পড়া দূর করতে খুবই কার্যকর। ৩ টেবিল চামচ নারিকেল তেল ১ টেবিল চামচ লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে নিন। কালো দাগের স্থাকে ১৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর সামান্য উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিন। দিনে দুইবার করতে পারলে খুব ভালো ফল পাবেন।
বেসনের মাস্ক
বেসনের সাথে টক দই ও হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এটা প্রতিদিন ২০ মিনিট থাইয়ে ম্যাসাজ করে লাগান। রোজ ব্যবহারে অল্প কিছুদিনের মাঝেই ফল দেখতে পাবেন।
Share:

জেনে নিন, অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গুরুত্বপূর্ণ ২০টি কোড

cff
অ্যান্ড্রয়েড ফোন এর জন্য রয়েছে অনেক সিক্রেট কোড যা আমরা অনেকেই জানিনা। এই কোড গুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন এর বিভিন্ন সেটিংস্ পরিবর্তন, ফোনে বিভিন্ন টেস্ট পরিচালনা করতে পারবেন। তো চলুন দেখে নিই কিছু সিক্রেট কোড।
1. Reset Phone – *2767*3855#
2. IMEI Code Information – *#06#
3. Lock Status – *#7465625#
4. Battery & Phone Information – *#*#4636#*#*
5. FTA Version – *#*#1111#*#*
6. Touch Screen Code – *#*#2664#*#*
7. Vibrate & Backlight Test – *#*#0842#*#*
8. Hardwar & Software Diteilas – *#12580*369#
9. Diagnostic Configure – *#9090#
10. Dump Sistemo Mode – *#9900#
11. Camera information – *#*#34971539#*#*
12. Factory Hard Reset – *#*#7780#*#*
13. Data Cabol Control – *#872564#
14. GPS Test – *#*#1472365#*#*
15. WiFi MAC Address – *#*#232338#*#*
16. Bluetooth Device Info – *#*#232337#*#*
17. Ram Version – *#*#3264#*#*
18. Touch Screen Version – *#*#2663#*#*
19. Display Taste – *#*#0#*#*
20. Packets lupha Test – *#*#0283#*#*
Share:

2020 সালে ইন্টারনেট হবে সবার জন্য!!

2020 সালে ইন্টারনেট হবে সবার জন্য!!জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন উপলক্ষে মার্ক জাকারবার্গ ও বোনো দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ এই লেখাটি লেখেন। মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বোনো নামে খ্যাত পল ডেভিড হিউসন ‘ইউ ২’ ব্যান্ডের প্রধান গায়ক এবং অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ‘ওয়ান’ ও এর অঙ্গসংগঠন ‘রেড’-এর প্রতিষ্ঠাতা।
‘পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ এখনো ইন্টারনেট সংযোগের আওতার বাইরে। এটা তাদের জন্য যেমন ভালো নয়, তেমনি বাকি অর্ধেকের জন্যও চিন্তার বিষয়।
এই শতাব্দীতে বৈশ্বিক উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক সংযোগ একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। আমরা যদি বিশ্বের মানুষকে ভালোভাবে খেয়েপরে বেঁচে থাকা, শিক্ষা গ্রহণ করা, কর্মসংস্থানের সুযোগ খুঁজে নেওয়ার জন্য সাহায্য করতে চাই তাহলে সবার মধ্যে সংযোগ নিশ্চিত করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। ইন্টারনেট শুধু তিন বিলিয়ন মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। উন্নয়নের এক অপরিহার্য উপকরণ হিসেবে একে বিবেচনা করতে হবে, যা অনেক বড় বড় কাজকে সম্ভব করে তুলতে পারে।
৭০ বছর আগে যখন জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, তখন তার মূল উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধের বদলে শান্তি ও সহযোগিতাপূর্ণ এক পৃথিবী গড়ে তোলা। মানবজাতি দারিদ্র্য, রোগ-শোক ও সংঘর্ষের মতো ব্যাপারগুলোর বিরুদ্ধে এক হয়ে কাজ করবে, সবার মতামত ও অংশগ্রহণের গুরুত্ব থাকবে। এটিই ছিল পরিকল্পনা।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিশ্বনেতারা কিছু নতুন বৈশ্বিক লক্ষ্য প্রস্তাব করেছেন। আমরা যদি সবাইকে নিয়ে এমন একটি পৃথিবী গড়তে চাই যেখানে সবাই উন্নয়নের অংশীদার হয়ে নিরাপদে জীবন যাপন করতে পারবে, তাহলে আমাদের এখনো অনেক দূর যেতে হবে। জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের যে রূপরেখা তৈরি করেছে, তাতে এটিই পরিষ্কার হয়ে ওঠে। এই রূপরেখায় ১৭টি উদ্দেশ্য ও ১৬৯টি লক্ষ্যমাত্রা আছে। এর মধ্যে ৯(গ) লক্ষ্যমাত্রাটি অন্য সব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা হলো ২০২০ সালের মধ্যে সবার জন্য ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করা।
সেখান থেকে আমরা অনেক পথ পাড়ি দিয়েছি। আমরা প্রাণঘাতী অনেক রোগের মহামারি থামাতে সক্ষম হয়েছি। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে, একই সঙ্গে আয়ও বেড়েছে। কিছু বড় ধরনের বৈশ্বিক সংঘর্ষ ও দুর্যোগের কবল থেকে আমরা নিজেদের বাঁচাতে পেরেছি। কিন্তু এত উন্নয়নের সুফল সবার কাছে সমানভাবে পৌঁছাতে পারিনি। মানুষের সাফল্যের গল্প এখনো অনেকটাই উন্নত দেশ ও শহরকেন্দ্রিক। বেশির ভাগ মানুষ এখনো এই উন্নয়নের বাইরে।
যেমন ইথিওপিয়া ও তানজানিয়ায় কৃষকেরা ফসলের ভালো দাম পেতে, মজুতের সর্বশেষ তথ্য জানতে এমনকি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইনস্যুরেন্সের পেমেন্ট করতে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। নাইজেরিয়ার নাগরিকেরা ‘বাজিট’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করছে, যা সে দেশের সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাজেটের অর্থ ব্যয় করছে কি না তা যাচাই করতে সহায়তা করছে। নারীদের জন্য সম্ভাবনাগুলো আরও বেশি।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে নারীদের চেয়ে পুরুষেরা ইন্টারনেটে বেশি সংযুক্ত আছে, তবে নারীরা যখন ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়, তখন তারা এই প্রযুক্তিকে আরও ভালো শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক সুযোগ এবং সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করে। গুয়াতেমালায় নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নারীদের বিভিন্ন তথ্য দেওয়া হচ্ছে। কেনিয়াতেও এম-পেসা ক্ষুদ্রঋণ ব্যবহার করে মোবাইল ফোনে নারীরা বিভিন্ন আর্থিক সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
গত কয়েক সপ্তাহে আমরা দেখেছি শরণার্থীরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। স্মার্টফোন থাকায় তাদের পক্ষে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে থাকা প্রিয় মানুষদের সঙ্গে, আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে। তুরস্কের সমুদ্রসৈকতে এক সিরিয়ান শিশুর মৃতদেহের ছবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে গেছে। লাখ লাখ শরণার্থীর প্রতীক হিসেবে সেই ছবি গোটা বিশ্বের মানুষকে কাঁদিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটানোর পাশাপাশি জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণ ও পরিবর্তনের ব্যাপারেও অবদান রাখে।
সারা পৃথিবীকে এক সুতোয় গাঁথার স্বপ্ন দেখা সহজ, তবে তার বাস্তবায়ন করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। এর কোনো সরল সমাধান নেই। অনেক অঞ্চলে সংযোগের পূর্বশর্ত হিসেবে জ্বালানি ও বিদ্যুতের নিশ্চয়তা প্রয়োজন। আফ্রিকার গ্রামগুলোতে প্রতি দশজন মানুষের মধ্যে নয়জনের ঘরে বিদ্যুৎ নেই। সরকার এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। এ জন্যই আমরা প্রেসিডেন্ট ওবামার ‘পাওয়ার আফ্রিকা’ পরিকল্পনা, কংগ্রেসের ‘ইলেকট্রিফাই আফ্রিকা অ্যাক্ট’ এবং আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগের মতো কাজগুলোকে সমর্থন করি।
সরকারগুলোর প্রতিষ্ঠিত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে বেসরকারি খাত আরও নানা উদ্যোগ নিতে পারে। বিদ্যমান ডিজিটাল বিভাজন ঘুচিয়ে আনার লক্ষ্যে অনেক সম্ভাবনাময় উদ্যোগ এর মধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় ইন্টেল ফাউন্ডেশন কাজ করছে, মাইক্রোসফট প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করেছে, গুগলের প্রজেক্ট লুন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে। এসব কিছুই প্রমাণ করে প্রযুক্তি ক্ষেত্রের নেতারা কতটা গুরুত্বের সঙ্গে ইন্টারনেটে গোটা পৃথিবীকে সংযুক্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ফেসবুকের ইন্টারনেট ডট ওআরজি উদ্যোগও এর অংশ।
প্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও উদ্যোক্তাদের আরও দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে। সিলিকন ভ্যালিকে নিজের ভৌগোলিক সীমানা ছাড়িয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং শরণার্থী সংকটের মতো বিষয়ের সমাধানে অবদান রাখতে হবে। সবচেয়ে দরিদ্র, অবহেলিত জনগোষ্ঠী, যারা নেটওয়ার্কের বাইরে, তাদের হাতের নাগালে প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা প্রযুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রার সবগুলোই অর্জিত হতে হবে, কিন্তু সবখানে সবাইকে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় নিয়ে আসতে পারলে তা অন্য লক্ষ্য সফলভাবে অর্জনের দিকে আমাদের দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবে।
Share:

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

Recent Posts

Unordered List

Definition List