সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সার্টিফিকেট সংশোধন ও হারিয়ে গেলে যা করতে হবে

সার্টিফিকেট সংশোধন করতে হলে ও হারিয়েগেলে শিক্ষার্থীদের বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। অনেক সময় দেখা যায়, নিজের নাম অথবা বাবা-মায়ের নাম ভুল লেখা হয় সনদে। আসুন যেনে নেই সার্টিফিকেটে নাম, জন্ম তারিখ ভুল হলে এবং হারিয়ে গেলে যা করতে হবে। প্রথম ধাপ: নাম বা জন্ম তারিখ ভুল সংশোধনের জন্য প্রথমে যে কোন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর সার্টিফিকেটের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, শাখা, পরীক্ষার সাল, পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম, রোল নম্বর, বোর্ডের নাম এবং জন্মতারিখ উল্লেখ করতে হবে। >দ্বিতীয় ধাপ: পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আপনাকে যেতে হবে যে শিক্ষা বোর্ডের অধীন পরীক্ষা দিয়েছেন সেই বোর্ডে। শিক্ষা বোর্ডের ‘তথ্য সংগ্রহ কেন্দ্র থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। তাছাড়া এ ফরম এখন আনলাইনেও পাওয়া যায়। এবার ফরমটি নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। তৃতীয় ধাপ: এবার প্রার্থীর নাম, বাবার বা মায়ের নাম কিংবা জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য (জরুরি ফিসহ) ৫৩০ টাকা জমা দিতে হয়। এ ফি সোনালী ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে বোর্ডের সচিব বরাবর জমা দিতে হবে। টাকা জমা হওয়ার পর আবেদন কার্যকর হবে। চতুর্থ ধাপ: এ ধাপে আবেদনপত্রের সঙ্গে ব্যাংক ড্রাফটের মূল কপি, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির কাটিং, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকর্তৃক সত্যায়িত এক কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছে নাম বা জন্মতারিখ সংশোধন সম্পর্কে এফিডেভিট করে তার মূল কপি জমা দিতে হবে। প্রার্থীর নিজের নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে তাঁর বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয়, তাহলে তিনি নিজেই এফিডেভিট করতে পারবেন। প্রার্থীর বয়স যদি ১৮ বছর পূর্ণ না হয় বা প্রার্থী যদি তার মা-বাবার নাম সংশোধন করতে চান, তাহলে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রার্থীর বাবা কর্তৃক প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছ থেকে এফিডেভিট করতে হবে এবং মূল কপি জমা দিতে হবে।
পঞ্চম ধাপ:
নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন গ্রহণের এক মাসের মধ্যে বোর্ড আবেদনকারী এবং তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষকসহ একটি মিটিংয়ে বসে। এ মিটিংয়েই প্রার্থীর আবেদন যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়ার মাধ্যমে সংশোধন করা হয়। তবে জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিশেষ বিবেচনায় এক দিনের মধ্যেও নাম ও জন্মতারিখ সংশোধন করতে পারেন।
সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে যা করবেন:-
সার্টিফিকেট, নম্বরপত্র বা প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে প্রথমে আপনার এলাকার নিকটবর্তী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। জিডির একটি কপি অবশ্যই নিজের কাছে রাখতে হবে। এরপর যেকোনো একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে নাম, শাখা, পরীক্ষার কেন্দ্র, রোল নম্বর, পাসের সাল, বোর্ডের নাম এবং কিভাবে আপনি সাটিফিকেট, নম্বরপত্র অথবা প্রবেশপত্র হারিয়েছেন তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে।
থানায় জিডি ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর যে বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছেন সেই শিক্ষা বোর্ডে আপনি চলে যান। শিক্ষাবোর্ডের ‘তথ্যসংগ্রহ কেন্দ্র থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে নির্ভুলভাবে পূরণ করুর। এরপর নির্ধারিত ৫০০ টাকা ফি সোনালী ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে বোর্ডের সচিব বরাবর জমা দেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে মূল ব্যাংক ড্রাফট, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির কাটিং ও থানার জিডির কপি জমা দিতে হবে।মনে রাখবেন টাকা জমা হওয়ার পর আপনার আবেদন কার্যকর হবে।
আবেদনপত্রে যা পূরণ করতে হবে
আবেদনপত্র পূরণের ক্ষেত্রে প্রথমেই উল্লেখ করতে হবে আপনি কোন পরীক্ষার (মাধ্যমিক না উচ্চমাধ্যমিক) কী হারিয়েছেন এবং কী কারণে আবেদন করছেন। আবেদনপত্রের বিভিন্ন অংশে ইংরেজি বড় অক্ষরে এবং বাংলায় স্পষ্ট অক্ষরে পূর্ণ নাম, মাতার নাম, পিতার নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, রোল নম্বর, পাশের বিভাগ/জিপিএ, শাখা, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, শিক্ষাবর্ষ এবং জন্ম তারিখসহ বিভিন্ন তথ্য লিখতে হবে।
পরবর্তী অংশে জাতীয়তা, বিজ্ঞপ্তি যে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে সেটির নাম ও তারিখ এবং সোনালী ব্যাংকের যে শাখায় ব্যাংক ড্রাফট করেছেন সে শাখার নাম, ড্রাফট নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করতে হবে। আবেদনপত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশের প্রয়োজন হবে। এতে তার দস্তখত ও নামসহ সিলমোহর থাকতে হবে। আর প্রাইভেট প্রার্থীদের আবেদনপত্র অবশ্যই গেজেটেড কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও নামসহ সিলমোহর থাকতে হবে।
সার্টিফিকেট নষ্ট হলে কি করবেন?
নষ্ট হয়ে যাওয়া সনদপত্র/নম্বরপত্র/একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের অংশবিশেষ থাকলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে না বা থানায় জিডি করতে হবে না। এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে ওই অংশ বিশেষ জমা দিতে হবে। তবে সনদে ও নম্বরপত্রের অংশ বিশেষে নাম, রোল নম্বর, কেন্দ্র, পাশের বিভাগ ও সন, জন্ম তারিখ ও পরীক্ষার নাম না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না

Share:

স্বামীর কাছে যা শুনতে চান স্ত্রী!

স্বামীর কাছে স্ত্রীই সব, তাকে ঘিরেই স্বামীর স্বপ্ন, তাকে ছাড়া অন্য কারও কথা ভাবতে পারেননা তিনি। এই কথা গুলি মনের মধ্যে ঝড় তুললেও মুখে আনতে পারেন না পুরুষ মানুষ। সব কথা সরাসরি মুখে না বলে অন্য ভাবে বোঝাতে চান অনেকবার। স্ত্রী হয়তো তার কাছ থেকে একটা মিষ্টি আলিঙ্গন বা আবেগঘণ কথা আশা করেন। সেখানে পুরুষরা স্ত্রীর প্রিয় খাবার কিনে আনে, সাজগোজের জিনিস উপহার দেয় বা ঘরের কাজে সাহায্য করে। তখন বুজতে হবে মনের সেই না বলা কথায় জানান দিতে এতো প্রচেষ্টা তার। স্বামী বিরুদ্ধে স্ত্রী অভিযোগের শেষ থাকে না। বিশেষ করে বাপের বাড়ির লোকদের সামনে বা নিজের বান্ধবীদের সামনে স্বামীকে নিয়ে ঠাট্টা পর্যন্ত হয়। সব শুনে মুখে কিছু না বললেও মনে মনে কুঁকড়ে যান পুরুষটি। এভাবে বেশিদিন চলতে থাকলে স্বামীর মনে হতাশার জন্ম দিবে। বিষয়টি এক সময় মারাত্মক আকার ধারণ করবে। উভয়ের কাছে উভয়ের গুরুত্ব কমতে শুরু করবে। তাই স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কোন অভিযোগ থাকলে সেটা সরাসরি বলা উচিৎ। অযথা অন্যের সামনে স্বামীর বদনাম করে তাকে ছোট করা ঠিক নয়। নিজের সন্তানদের প্রতি স্ত্রীর দায়িত্বশীলতা দেখে খুশি হলেও মনে মনে নিজেকে অনেক সময় একা ভাবতে পারেন একজন স্বামী। শিশুদের জীবনে মায়ের ভূমিকা জানা সত্ত্বেও স্ত্রীকে যেন কিছুতেই অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাননা তিনি। তিনি চান হাজার কাজের মাঝেও স্ত্রী তাকে সময় দিক।স্বামীকে প্রতিমুহুর্তের ভালোবাসায় সিক্ত রাখুক।স্বামী হয়তো চান শুধু স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যেতে।তাই স্ত্রীর উচিৎ হাজার কাজের মাঝে সময় বের করে তাকে সময় দেয়া। স্বামীর হঠাৎ করে যদি চাকরি চলে যায় বা কর্মক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে তবে দাম্পত্য জীবনে তার প্রভাব দেখা দেয়। স্বামী চান স্ত্রী তাকে মানসিক ভাবে সাহস জোগাবে। স্ত্রী বেশি চিন্তিত হলে স্বামী আরও বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। তাই একজন সচেতন স্ত্রীর উচিৎ স্বামীকে সাহস জোগানো। তার পাশে থেকে সঙ্গ দেয়া। চিন্তা থেকে বের করে এনে নতুন পরিকল্পনায় সাহায্য করা। সব ভাল কাজের জন্য প্রশংসা পেতে কেনা চায়। ভাল কাজের জন্য একজন স্বামীর সব চেয়ে বড় স্বীকৃতি স্ত্রীর প্রশংসা। এমনকি স্ত্রীর জন্য কিছু করলেও সেই কাজের প্রশংসা পেতে আশা করেন স্বামী। তাই স্বামীকে প্রশংসা করতে কার্পণ্য না করে উদারতা দেখানোই ভাল।এতে দুজনেরই সম্পর্ক ভাল থাকবে। একজন স্ত্রীর উচিৎ তিনি যেমন তাকে সেভাবেই ভালবাসেন সেটা বুঝিয়ে দেয়া। কারণ একটানা যদি স্বামীর ভুল নিয়েই অভিযোগ উঠতে থাকে তবে তিনি বুঝেই উঠতে পারেননা স্ত্রী আদৌ তাকে মূল্য দেন কিনা। তাই গল্পের সময় হালকা কথায় স্বামীকে বুঝিয়ে দেয়া ভাল তার সমস্যার কথা। এতে একদিন প্রায় সব সমস্যারই সমাধান হবে। সংসার হবে সুখের।
Share:

সৎ বাবার কাছে ধর্ষিতা হয়ে মা হল ১২ বছরের কিশোরী

ভারতের চেম্বুরের ১২ বছরের এক কিশোরী জেজে হাসপাতালে একটি পুত্র শিশু প্রসব করে। নিগৃহীতা কিশোরী মায়ের সদ্যজাত পুত্রসন্তানের ওজন ২ কেজি। এই মুহূর্তে শিশুটি জেজে হাসপাতালের নিও ন্যাটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি। মাস খানেক আগে চেম্বুর পুলিস স্টেশনে সৎ বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে এই কিশোরী। ততদিনে সে ৭ মাসের গর্ভবতী। কিশোরী অভিযোগ করে দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করেছে তারই সৎ বাবা। মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। বেশ কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে। কয়েক মাস আগে থেকেই পেটের যন্ত্রণা শুরু হয় ওই কিশোরীর। পরিবারের লোকজন তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে প্রাথমিকভাবে তাকে কিছু ব্যাথা নিরাময়ক ওষুধ দেওয়া হয়। ডাক্তার বুঝতেই পারেননি ১২ বছরের ওই কিশোরী গর্ভবতী। কিন্তু এরপরে মেয়েটির পেট আকারে আয়তনে বাড়তে থাকলে সোনোগ্রাফি করার নির্দেশ দেন ডাক্তার। তারপরেই ধরা পড়ে ওই কিশোরী ইতিমধ্যেই ৭ মাসের গর্ভবতী। এরপরেই নিগৃহীতা কিশোরীর মা তাঁর স্বামীর (মেয়েটির সৎবাবা) চেম্বুরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। সদ্যোজাতের ডিএনএ-এর সঙ্গে নিগৃহীতার সৎবাবার ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে
Share:

আমার ফাঁসি চাই: প্রভাষ আমিন

ফেসবুক স্ট্যাটাসে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের এনজিও কর্মকর্তা মোহন কুমার মন্ডলকে গত শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার বিকেলে তার মুক্তি দাবি করে ফেসবুকে আমি একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। মোহন কুমার মন্ডলের স্ট্যাটাসটি অনেকের অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। তবে স্বীকার করছি, আমার অনুভূতি যথেষ্টই শক্তপোক্ত, সেই অনুভূতিতে এই স্ট্যাটাস কোনো অাঘাত দিতে পারেনি। তবে সবার অনুভূতি আমার মত স্ট্রং নাও হতে পারে, তাদের অনুভূতিতে আঘাত লাগতেই পারে। আমার স্ট্যাটাসটি আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে ঠিক এই আশঙ্কাটাই আমরা করছিলাম। সব লেখাতেই কারো না কারো অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাই চাইলে সকল ফেসবুক ব্যবহারকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারে সরকার। আমি মোহন কুমার মন্ডলের স্ট্যাটাসটি ভালো করে পড়ে দেখেছি, কোনো নিষ্ঠাবান মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত লাগার মত কিছু এখানে নেই। কোনো ঘটনায় ৮শরও বেশি মানুষ মারা গেলে বিশ্বের সকল বিবেকবান মানুষের উচিত তার প্রতিবাদ করা। ভারতের কোনো তীর্থে পদদলিত হয়ে মানুষ মারা গেলে কি আমি তার প্রতিবাদ করবো না? নাম মোহন কুমার মন্ডল বলেই কি তার হজের অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই? মোহন কুমার মন্ডল তো মাত্র ৯ লাইন লিখেছেন। আমি তো ৯শ শব্দ লিখেছি। এবং সেটা মোহন কুমার মন্ডলের চেয়ে কড়া ভাষায়। আমার নামের সাথে আমিন আছে বলেই আমি যে ছাড়টা পাচ্ছি, নামের সাখে মন্ডল আছে বলেই তাকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার লিডার্স নামের এনজিওর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শ্যামনগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর কবিরের দায়ের করা মামলায়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে মোহন মন্ডলের মুক্তি চাই। ৫৭ ধারা বাতিল চাই। তবে একটা কথা ঠিক লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে শয়তানকে পাথর মারতে মিনায় যেতে হবে কেন, এই প্রশ্নটা তোলা তার ঠিক হয়নি। হজ ইসলামের পাঁচ ফরজের একটি। আর মিনায় শয়তানকে পাথর মারা হজের আবশ্যিক অংশ। প্রতীকি শয়তানকে পাথর মারার মাধ্যমে সকল শয়তান, অশুভ, অন্যায়কে ঘৃণা করার কথা বলা হয়েছে। তবে আমি মনে করি না, এইটুকু প্রশ্ন তোলার অপরাধে তাকে কারাগারে থাকতে হবে। এটা হয়তো ইসলাম সম্পর্কে তার জানার ঘাটতির কারণে হয়েছে। পৃথিবীর সকল অপমৃত্যুর দায় কাউকে না কাউকে নিতে হবে। দায়ীদের শাস্তি হতে হবে। অন্যায় পৃথিবীর যে প্রান্তেই হোক, প্রতিবাদ করতে হবে সবাইকে; মন্ডলকে, আমিনকে, গোমেজকে, বড়ুয়াকে, সিংকে। প্রশ্নটা ধর্মের নয়, মানুষের জীবন-মরনের।' মিনায় যা ঘটেছে, মানবাধিকার যেভাবে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে, পিষ্ট হয়েছে; তা বিশ্বের সকল বিবেকবান মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। সেই ক্ষোভ থেকেই হয়তো মন্ডল হজ ব্যাপস্থাপনার বিরুদ্ধে লিখেছেন। ক্ষোভ থেকেই হয়তো তার শব্দচয়ন ঠিকমত হয়নি। বিশেষ করে, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে শয়তানকে পাথর মারতে মিনা যাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা তার একদম ঠিক হয়নি। তার প্রশ্ন ঠিক হলে তো কোনো ধার্মিক মানুষেরই তীর্থে বা উপাসনালয়ে যাওয়ার দরকার নেই। কিন্তু প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানেরর হজে যাওয়া ফরজ। আর মিনায় প্রতীকি শয়তানকে পাথর মারা হজের আনুষ্ঠানিতার অংশ। সামর্থ্য থাকলে আপনাকে হজে যেতে হবে, মিনায়ও যেতে হবে। নইলে হজ পুর্ণাঙ্গ হবে না। আমার মনে হয়েছে, ইসলাম ধর্ম নিয়ে অজ্ঞতার কারণেই তিনি এমনটা বলেছেন। আরেকটা কথা, মিনা দুর্ঘটনার পর অারো অনেকের মত মোহন মন্ডলও বলেছেন, লতিফ সিদ্দিকী ঠিকই বলেছিলেন। এটা একটা সাংঘাতিক ভুল কথা। লতিফ সিদ্দিকী চেতনাগতভাবে হজের বিরোধিতা করেছিলেন, যা কোটি মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। কিন্তু মিনা দুর্ঘটনা হজ ব্যবস্থাপনার সমস্যা, নিরাপত্তা সমস্যা। মোহন কুমার মন্ডলকে আমি চিনি না। খোঁজ নিয়ে দেখলাম, আমার বন্ধু তালিকায়ও তিনি নেই। কিন্তু তারপরও আমি তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছি, করছি। মোহন কুমারের মুক্তি চেয়ে স্ট্যাটাস দেয়ায়, আমিও অনেকের রাগের কারণ হয়েছি। সবচেয়ে সহজ কাজ হলো কাউকে নাস্তিক, মুরতাদ, কাফের ঘোষণা করা। মন্ডলের প্রতি সহানুভুতি দেখাতে গিয়ে আমার কপালেও এই বিশেষণ জুটেছি। অত্যুৎসাহী কেউ কেউ আমারও গ্রেপ্তার চেয়েছেন, ফাঁসি চেয়েছেন, বিচার চেয়েছেন। ছাপার অযোগ্য শব্দে মোহন মন্ডলের সাথে আমার চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করেছেন। সত্যি বলতে কি, প্রতিক্রিয়াগুলো পড়তে পড়তে আমার মন ভালো হয়ে গিয়েছিল। ইসলামের জন্য অসংখ্য মানুষের গভীর ভালোবাসা আর মমতা দেখে আমি সত্যিই অভিভূত। প্রতিক্রিয়াগুলো পড়তে পড়তে আমি এতটাই প্রভাবিত হই, কখনো কখনো তাদের সাথে গলা মিলিয়ে আমারও আমার ফাঁসি চাইতে ইচ্ছা করছিল। আজ যখন সারাবিশ্বে ইসলাম নানা অপপ্রচারের শিকার, পশ্চিমা বিশ্ব যখন ইসলামকে সন্ত্রাসের সমার্থক বানিয়ে ফেলছে, বিশ্বের কোথাও সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটলেই যখন তার সাথে ইসলামের যোগসূত্র খোঁজা হয়, মুসলমান ছাত্র ঘড়ি বানিয়ে স্কুলে নিলে শিক্ষক পুলিশে খবর দেন, মুসলমান হলে তিনি ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি হোন আর জনপ্রিয় অভিনেতা- যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হতে হয়, আইএস আর তালেবানরা যখন ইসলামের নামে নৃশংসতা চালাচ্ছে, সৌদি সরকারের অদক্ষতায় যখন প্রায় প্রতিবছরই হজে দুর্ঘটনা ঘটে, বাংলাদেশে যখন ইসলামকে হেফাজতের নামে গাছপালা কেটে, কোরান পুড়িয়ে তান্ডব চালানো হয়; তখন ইসলামের সত্যিকারের চেতনা তুলে ধরতে সত্যিকারের মুসলমানদের সত্যিকার অর্থে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বলতে হবে, ইসলাম শান্তির ধর্ম। সন্ত্রাসের সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে প্রতিক্রিয়াগুলো পড়তে পড়তে আমার মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমি জানি তারা ইসলামের প্রতি গভীর মমতা থেকেই, আমাকে আর মন্ডলকে গালিগালাজ করেছেন, ফাঁসি চেয়েছেন। কিন্তু যারা ইসলামকে ভালোবাসেন, তারা এত অসহিষ্ণু হবেন কেন, কেন তাদের ভাষা এমন অশালীন হবে? ইসলামের পক্ষে বলার জন্য বিশ্বাসের শক্তিই যথেষ্ট, গালি দিতে হবে কেন। যখন আপনি গালি দেবেন, তখন বুঝতে হবে আপনার ঈমানে জোর কম। এক বুড়ি প্রতিদিন নবীজীর (সঃ) পথে কাটা বিছিয়ে রাখতো। নবীজী (সঃ) প্রতিদিন কাটা সরিয়ে পথ চলতেন। একদিন কাটা না দেখে নবীজী (সঃ) উদ্বিগ্ন হলেন, বুড়ি অসুস্থ কিনা তা খুঁজতে গেলেন বুড়ির বাড়িতে। এই হলো ইসলামের শিক্ষা। ইসলাম মানুষকে ক্ষমাশীল হতে শেখায়; ধৈর্য্যশীল, সহনশীল হতে শেখায়। অন্য ধর্মের, ভিন্নমতের মানুষদের সম্মান করতে শেখায়, ঘৃনা নয়, ভালোবাসতে শেখায়। অন্য ধর্মের একজন মানুষ না জেনে হজ নিয়ে একটা প্রশ্ন তুলেছে বলে তার ফাঁসি চাইতে হবে? এতে ইসলাম সম্পর্কে একটা ভুল বার্তা যাবে মানুষের কাছে। মনে হতে পারে, ইসলাম বুঝি এমন কট্টর, উগ্র ধর্ম। কিন্তু ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম সুফি-সাধকদের ধর্ম। ঘৃনা দিয়ে নয়, মানুষের হৃদয় জয় করতে হবে ভালোবাসা দিয়ে। আর ইসলামের এই সত্যিকারের চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে বিশ্বজুড়ে। ধর্ম মানুষের জীবনে শৃঙ্খলা আনার জন্য, মানুষকে শৃঙ্খলিত করার জন্য নয়।
Share:

কে হচ্ছেন জেমস বন্ড?

হিউ জ্যাকম্যানশেষপর্যন্ত তাহলে কে হচ্ছেন নতুন জেমস বন্ড? ইদানীং এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় জল কম ঘোলা হয়নি! অবশ্য জল ঘোলা হওয়ার পেছনে একটি জোরালো কারণ হচ্ছে খুব শিগগিরই চুক্তি শেষ হতে যাচ্ছে বর্তমান বন্ড ড্যানিয়েল ক্রেইগের।
নতুন বন্ড হিসেবে দিনকয়েক আগে নাম এসেছিল ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহ্যামের। আর আজ পত্রপত্রিকায়, আলোচনায় নাম উঠেছে ‘উলভারিন’ তারকা হিউ জ্যাকম্যানের। ‘এক্স-মেন’ সিরিজের ‘উলভারিন’ তারকা হিউ জ্যাকম্যানকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, পৃথিবীতে এমন কেউ নেই যিনি এ চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী হবেন না!
জ্যাকম্যান জানিয়েছেন, বন্ড হওয়ার প্রস্তাব পেলে তিনি অবশ্যই ভেবে দেখবেন। এর আগে যখন জ্যাকম্যানের কাছে বন্ড হওয়ার প্রস্তাব এসেছিল সে সময় তিনি ‘এক্স-মেন’ ছবির কাজ শুরু করছিলেন। কিন্তু জ্যাকম্যান নতুন করে আর ‘উলভারিন’ হচ্ছেন না বলেই জানিয়েছে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। কাজেই বন্ড হিসেবে অনেকেই এগিয়ে রাখছেন জ্যাকম্যানকেই।
‘এক্স-মেন’ সিরিজের ছবিতে ‘উলভারিন’ চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অস্ট্রেলীয় অভিনেতা হিউ জ্যাকম্যান। বিষয়টি বন্ড ছবির নির্মাতারা নতুন বন্ড নির্বাচনের সময় মাথায় রাখতেই পারেন। এদিকে ডেভিড বেকহ্যামকে নিয়েও তুমুল আলোচনা। বেকহ্যামের নিজেরও খানিক আগ্রহ আছে বলেই জানিয়েছিলেন তিনি।
অনেকেই ভেবেছিলেন, বোধ হয় সামনের কোনো জেমস বন্ড ছবিতে নিশ্চিত অভিনয় করতে যাচ্ছেন বেকহ্যাম। শুধু তাই নয় বিষয়টি নিয়ে বন্ড ছবি ‘স্পেকট্রা’র টাইটেল গানের গীতিকার সংগীতশিল্পী স্যাম স্মিথকে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেমন হবে যদি বেকহ্যাম ‘বন্ড’ হন? উত্তরে সে সময় স্যাম জানিয়েছিলেন, বিষয়টা আকর্ষণীয় হবে বলেই তাঁর মনে হয়!
২০০০ সালে ব্রায়ান সিঙ্গারের ‘এক্স-মেন’ ছবিতে ‘উলভারিন’ চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান হিউ জ্যাকম্যান। তবে সে সময় ‘উলভারিন’ হিসেবে জ্যাকম্যানকে বেছে নেওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ছবির পরিচালককে। কারণ, বইয়ে বর্ণিত উলভারিনের উচ্চতা পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চি অথচ ছয় ফুট দুই ইঞ্চি উচ্চতার হিউ জ্যাকম্যান উ​লভারিন চরিত্রটির চেয়ে প্রায় এক ফুট বেশি লম্বা। অবশ্য ছবি মুক্তির পর এসব সমালোচনা আর ধোপে টেকেনি। পর্দায় জ্যাকম্যানের তুমুল সব অ্যাকশন আর শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য উপভোগের সময় এসব বিষয় দর্শকের মাথাতেই ছিল না।
২০০০ সালে ‘এক্স-মেন’ মুক্তির পর ২০০৩ সালে ‘এক্স-মেন ২’, ২০০৬ সালে ‘এক্স-মেন: দ্য লাস্ট স্ট্যান্ড’ এবং ২০০৯ সালে ‘এক্স-মেন অরিজিন: উলভারিন’ ছবিটির জন্য জ্যাকম্যানকেই বেছে নিয়েছিলেন পরিচালক।
এখন দেখা যাক, বেকহ্যাম না জ্যাকম্যান? নাকি অন্য কেউ! শেষপর্যন্ত পরবর্তী জেমস বন্ড চরিত্রে কে অভিনয় করেন!
ইন্দো-এশিয়ান নিউজ। টাইমস অব ইন্ডিয়া। মিরর।
Share:

সরকারি চাকরির আবেদনে সত্যায়ন থাকছে না

সরকারি চাকরির আবেদনে কোনো সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে না। লাগবে না সত্যায়িত ছবিও। মৌখিক পরীক্ষার সময় মূল সনদ দেখাতে হবে। সচিব কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা জানান, সরকার ধীরে ধীরে ভর্তি, ঋণ গ্রহণ, ব্যাংক হিসাব খোলাসহ বিভিন্ন কাজে সত্যায়নের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে। তবে পাসপোর্টসহ কিছু স্পর্শকাতর বিষয়ের ক্ষেত্রে এটা বহাল থাকবে। পাসপোর্টের আবেদন এখন সপ্তম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তা সত্যায়ন করতে পারেন। এ ছাড়া সাংসদ, মেয়র বা স্থানীয় সরকারের চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান, অধ্যক্ষ, অধ্যাপক বা প্রধান শিক্ষক, সম্পাদকসহ কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিকে পাসপোর্টের আবেদন ও ছবি সত্যায়নের এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।
অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে সরকার ‘শ্রেণি’ তুলে দিয়ে গ্রেডের ভিত্তিতে কর্মীদের মর্যাদা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা বলে কিছু থাকছে না। সে জন্য সত্যায়নের কাজটি কোন গ্রেডের কর্মকর্তা করবেন, তা এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করেনি সরকার।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা প্রথম আলোকে বলেন, সব কাজে সত্যায়নের যে বাধ্যবাধকতা তা তুলে দেওয়া উচিত। সত্যায়িত করার প্রয়োজন হলে তা যেকোনো রেসপেকটেড পারসনও (সম্মানিত ব্যক্তি) করতে পারেন। জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, অনলাইনে শিক্ষা সনদ দেওয়া, পাসপোর্টসহ নাগরিক তথ্য ‘ডিজিটালাইজড’ হয়ে গেলে কয়েক বছর পর এসব সত্যায়নের আর প্রয়োজন হবে না।
দেশে শিশু থেকে বয়স্ক পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় সব নাগরিককে লেখাপড়া, চাকরি বা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা নেওয়ার জন্য ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ বিভিন্ন কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হয়। এ জন্য প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার স্বাক্ষর নেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে অপরিচিত হলে কেউ সত্যায়িত করতে চান না। ফলে বিড়ম্বনা এড়াতে মিথ্যা সত্যায়নের হিড়িক পড়ে যায়।
মূল সনদ যাচাই-বাছাই না করে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেয় না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। তবু ভর্তিসহ সব ক্ষেত্রে আবেদনের সময় মূল সনদের ফটোকপি করে তা সত্যায়িত করার জন্য ঘুরতে হয় প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পেছনে। তাঁদের অনেকেই আবার চেনাশোনা না থাকলে সই দিতে চান না। ফলে অনেক ক্ষেত্রে সত্যায়িত করা হয় ভুয়া সিল ও জাল সই ব্যবহার করে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলেছে, এখন থেকে নির্ধারিত একটি ফরমে আবেদন করতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের। চার কপি রঙিন ছবি ছাড়া আবেদনের সময় আর কোনো কাগজপত্র দিতে হবে না। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার সময় ছবি ও মূল কাগজপত্র দেখা হবে।
আবেদনের সঙ্গে সত্যায়িত কাগজপত্র দিতে হবে না। শুধু অঙ্গীকারনামায় প্রার্থীকে স্বাক্ষর করতে হবে, যেখানে বলা থাকবে, ‘ওপরে বর্ণিত তথ্যাবলি সম্পূর্ণ সত্য। মৌখিক পরীক্ষার সময় উল্লিখিত তথ্যগুলো প্রমাণের জন্য সব মূল সনদ ও রেকর্ডপত্র উপস্থাপন করব। কোনো তথ্য অসত্য প্রমাণিত হলে আইনানুগ শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য থাকব।’
সরকারি চাকরির বাইরে অন্য ক্ষেত্রেও তা অনুসরণ করা হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের সঙ্গে সত্যায়িত কাগজপত্র ও সনদ চাওয়া ইতিমধ্যে বন্ধ করেছে। পিএসসি সূত্র জানায়, ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে অনলাইনে আবেদন নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষায় (প্রিলিমিনারি) টিকলে লিখিত পরীক্ষার আগে কাগজপত্র জমা দিতে হয়। ওই সূত্রের মতে, মোট আবেদনকারীর মধ্যে ১০ জনে গড়ে নয়জন প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়েন। তখন প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীর বিভিন্ন সনদ ও তথ্যপ্রমাণ চাওয়া হয়।
এদিকে শ্রেণি তুলে দিয়ে গ্রেডের ভিত্তিতে সরকারি চাকরিজীবীদের মর্যাদা নিরূপণ করা হলে সত্যায়িত করার কাজ কে করবেন তা পরিষ্কার নয়। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মাঠপর্যায়ে কর্মরত একজন বিসিএস কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাঁর ধারণা বিসিএস পরীক্ষার আবেদনে ৯০ ভাগের বেশি সনদ প্রকৃত কর্মকর্তাকে দিয়ে সত্যায়িত করা হয় না।
বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো সনদ ও নম্বরপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি চাওয়া হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কয়েক বছর আগে প্রথম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মোবাইল ফোনে খুদেবার্তার মাধ্যমে ভর্তি শুরু করে। সেখানে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হওয়া শিক্ষার্থীর মূল সনদ দেখার সিদ্ধান্ত হয়। সম্প্রতি আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ বছর কলেজে ভর্তি হয়েছে অনলাইনে, যেখানে আগেভাগে সনদ দিতে হয়নি।
শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, অনলাইনে কলেজে ভর্তির এই অভিজ্ঞতা শিক্ষার অন্য স্তরে ভর্তির জন্য কাজে লাগানো যেতে পারে। তাঁর মতে, দেশের সর্বস্তরের ভর্তি অনলাইনে করা সম্ভব, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হয়রানি অনেকটাই কমাতে পারে।
Share:

এবার সতর্কতার পরামর্শ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার

 এবার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিলো।
ঢাকায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আজ বন্ধ রাখা হচ্ছে। 
এর আগে অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেন তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছিল। 
বিবিসি জানায়, কানাডা সরকারের ভ্রমণ সতর্কতা বিষয়ক ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদের হুমকি এবং ভঙ্গুর রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে কানাডার নাগরিকদের উচ্চমাত্রায় সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
এর আগে সোমবার ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে এবং এর তিনদিন আগে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া একই ধরণের সতর্কতা জারি করেছিল। অস্ট্রেলিয়ায় সরকারের ভ্রমণ বিষয়ক এক ওয়েবসাইটে আজ মঙ্গলবার সতর্কতার মাত্রা সর্বোচ্চ স্তরে দেখানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জরুরি কাজ না থাকলে বাংলাদেশে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।  
দুই দেশই উল্লেখ করে যে সেপ্টেম্বরের শেষভাগে বাংলাদেশে পশ্চিমা লক্ষ্যবস্তুর ওপর জঙ্গি হামলা হতে পারে।
এদিকে ঢাকায় কূটনৈতিক এলাকায় গুলিতে সোমবার সন্ধ্যায় সিজার তাভেল্লা (৫০) নামে একজন ইতালীয় নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কে গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার পর তাকে রাজধানীর ইউনাইডেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত পৌনে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 
নিহত তাভেল্লা প্রুফস নামে নেদারল্যান্ডভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার ছিলেন।
Share:

"মহিষাসুরমর্দিনী"

১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ শাসিত ভারতে All India Radio Medium Wave প্রচার তরঙ্গে এই অনুষ্ঠানের সূচনা। শুরু হয়েছিল নিছক একটি experiment হিসেবেই, হয়ে গেল কিংবদন্তী। কোন বেতার তরঙ্গে নিয়ম করে এতদিন ধরে বছরের একটি নির্দিষ্ট দিনে একটি নির্দিষ্ট অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হওয়া, সারা বিশ্বে এমন নজির কোথাও নেই। আপামর বাঙ্গালিদের হৃদয়ের মণিকোঠায় চিরকালের জন্য অমর হয়ে রইল বাণীকুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখা, পঙ্কজকুমার মল্লিকের সুরারোপিত এবং বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র দ্বারা উচ্চারিত শ্রীশ্রীচণ্ডীর শ্লোকসমূহ।

প্রকৃতপক্ষে ১৯৩৪ সালে দুর্গাপূজার ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় প্রচারিত হয় দেবী মাহাত্ম্য বিষয়ক এক সঙ্গীত আলেখ্য। এটি প্রচারিত হবার পর অবিভক্ত বাংলায় ব্যাপক সাড়া ফেলে। তারপরই জন্ম নেয় আজকের "মহিষাসুরমর্দিনী।" প্রথমদিকে রেকর্ডিঙের ব্যবস্থা না থাকায় মহালয়ার ভোরে সব শিল্পীদের নিয়ে আকাশবাণীর গারস্টিন প্লেসের পুরাতন স্টুডিও থেকে এটি সরাসরি সম্প্রচারিত হত। রাশভারী বীরেন্দ্রকৃষ্ণকে তখনকার দিনের তাবড় তাবড় শিল্পী ও কলাকুশলীরা সকলেই ভয় ও সমীহ করে চলতেন। তাঁর নির্দেশে দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, নির্মলা মিশ্র, মাধুরী চট্টোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, শিপ্রা বসু, মানবেন্দ্র ইত্যাদি সঙ্গিত মহলের বিশিষ্ট নক্ষত্ররা রাত ৩টের মধ্যেই স্টুডিওতে এসে হাজির হয়ে যেতেন। ঠিক ৪টে থেকে শুরু হত অনুষ্ঠানটি।

সত্তরের দশকে আকাশবাণী কর্তৃপক্ষ বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের এই "মহিষাসুরমর্দিনী" বাতিল করে মহানায়ক উত্তমকুমারকে দিয়ে ভাষ্যপাঠ করিয়ে নবরূপে এই অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান শেষে ভয়ংকর জনরোষ দেখা দেয়। কর্তৃপক্ষের কাছে অজস্র চিঠি আসতে থাকে। খ্যাতির মধ্যগগনে থাকা মহানায়ককেও বিপুল তিরস্কার হজম করতে হয়েছিল এই দুঃসাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। শোনা যায়, উত্তমকুমার নিজে গিয়ে এর জন্য বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কাছে ক্ষমা চেয়ে এসেছিলেন। আকাশবাণী দ্বিতীয়বার আর উত্তমকুমারের সেই অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করার সাহস করেনি। পরের বছর হতে পুনরায় "মহিষাসুরমর্দিনী" ফিরে আসে, আজও যা নতুন, আজও যা হ্রদয়গ্রাহী। পূজা এলেই যেন হৃদয়তন্ত্রীতে আপনেই বেজে ওঠে সেই চিরপরিচিত সুর-

"রূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিশো জহি...........

Share:

পানির অভাবেই বেশি হাজি মারা গেছেন, ফেরৎ হাজিদের বর্ণনা

ঢাকা: মিনায় পদদলিত হয়ে হাজির মৃত্যুর ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন প্রথম ফ্লাইটে ফিরে আসা হাজিরা। তাদের ধারণা বেশিরভাগ মানুষ মারা গেছেন এক ফোঁটা পানির জন্য হাহাকার করে। সেইসেঙ্গে তারা সৌদি নিরাপত্তা কর্মীদেরও কঠোর সমালোচনা করেছেন।
ফেরত আসা হাজিদের মধ্যে এক নারী হাজি জানান, আমাদের একটু পানির জন্য কী যে কষ্ট হয়েছে। আমাদের একটু পানি দেয়া হয়নি। মানুষ যারা মারা গেছেন বেশিরভাগই পানির জন্য।
অন্য আরেক হাজি বলেন, ‘সৌদি নিরাপত্তাকর্মীরা হাজিদের সঙ্গে যে আচরণ করছে তা গ্রহণেযোগ্য নয়। আমাদের সামনেই নিহত হাজিদের পা-দিয়ে দেখছে মরে গেছে নাকি বেঁচে আছে।’
৭ ঘণ্টা ১০ মিনিট বিলম্বে অবতরণ করলো প্রথম ফিরতি হজ ফ্লাইট। জেদ্দায় কিছু জটিলতার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে প্রথম ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করতে পারেনি। বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ছাড়াও সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটও ৪শ হাজি নিয়ে ঢাকায় পৌঁছেছে।
জানা গেছে, ৩ শতাধিক হাজি নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বিকেল সাড়ে ৪টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। সৌদি আরব থেকে হাজিদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইটটি আজ সোমবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে অবতরণ করার কথা ছিল।
 
এদিকে বিলম্বের কারণে আজ সবগুলো ফ্লাইটের শিডিউল পরিবর্তন করতে হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে হাজিদের স্বজনদের। অনেকে সকাল থেকে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছেন স্বজনদের নিয়ে যাওয়ার জন্য। হাজিদের নিয়ে যেতে বিমানবন্দরের বাইরে বেশ কয়েকটি গাড়ি অপেক্ষা করছে সকাল থেকে।
তবে মক্কা ও মিনায় দুর্ঘটনার পর হাজিরা যে জীবন নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছেন তাতেই খুশি তাদের স্বজনেরা। হাজিদের নিয়ে বিমানের ফ্লাইট আগামী ২৮ আক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
১ লাখ ৭ হাজার ২৯০ হজযাত্রীর মধ্যে জাতীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমান ঢাকা- জেদ্দার মধ্যে ১৪০টি ফিরতি ফ্লাইট পরিচালনা করে ৫৪ হাজার ৮৪৫ হজযাত্রী বহন করবে। এরমধ্যে নির্ধারিত ৩১টি ফ্লাইটসহ ১০৯টি বিশেষ ফ্লাইট রয়েছে। বাকি হজযাত্রীরা সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্স ১৬ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা- জেদ্দার মধ্যে সরাসরি ১৫২টি ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে ৫৪ হাজার ৮৪৫ হজযাত্রী বহন করে।
মক্কায় হজ পালন করছেন সারাবিশ্বের ২০ লাখের বেশি মুসলিম। বাংলাদেশসহ ১৫০টির বেশি দেশ থেকে এবার প্রায় ২০ লাখ মানুষ হজ পালন করছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এসেছেন ১ লাখ ৬ হাজারের বেশি। এবার হজ মৌসুমের শুরুর দিকেই মক্কার কাবা শরিফ ঘিরে থামা মসজিদ আল-হারামে একটি ক্রেইন উল্টে পড়ে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি আছেন। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে। মিনায় ‘শয়তানের স্তম্ভে’ পাথর ছুড়তে যাওয়ার পথে পদদলনে মৃত্যু হয় ৭৬৯ জনের। আহত হন আরো  ৯৩৪ জন।
রোববার পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে ৬৫০ জনের ছবি সৌদি সরকার প্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশি ১০ জনের খবর নিশ্চিত বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশি হাজিদের ফিরিয়ে আনতে আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিমান হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
Share:

ত্রিশালের নিখোঁজ হাজি দম্পতির লাশ শনাক্ত

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ): ত্রিশালের নিখোঁজ তিন হাজির মধ্যে এক দম্পতির মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- ত্রিশাল পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের চরপাড়া এলাকার আব্দুল লতিফ (৬০) ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫৫)।
সোমবার নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ত্রিশালের একই এলাকার জহির রায়হানের স্ত্রী সেলিনা বেগম।
এর আগে মিনায় দুর্ঘটনায় তারা নিখোঁজ ছিলেন। কয়েকদিন পরেও বিষয়টি সম্পর্কে কোনো কিছু জানা যায়নি। তাদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।
নিহত লতিফ-জাহানারা দম্পতির মেয়ে লাভলী আক্তার সোমবার রাত ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে বাংলামেইলকে জানান, সৌদী আরব থেকে চাচাতো ভাই শাহজাহান কবীর মরদেহ শনাক্ত করেছেন। মরদেহ শনাক্তের পর মক্কার কবরস্থান জান্নাতুল মাওয়ায় দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে, দম্পতির মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
Share:

সাপের সঙ্গে লড়ে প্রভুকে বাঁচাল কুকুর

নিজের প্রাণ দিয়ে প্রভুকে বাঁচাল কুকুর। প্রভুকে ছোবল মারার আগে বিষধর গোখরোর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল প্রভুভক্ত জ্যাক। সাপে-কুকুরে রুদ্ধশ্বাস লড়াই। মরল সাপ। প্রভুর পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়ল সারমেয়। প্রভুভক্তিতে কুকুরের জুড়ি মেলা ভার। আরও একবার তা প্রমাণ হয়ে গেল। মাল নদীর ধারে বাড়ি বিমল ঘোষের। বাড়িতে রয়েছে বেশ কয়েকটি স্পিত্‍জ। প্রভুর একডাকে ছুটে আসে তারা। কিন্তু প্রভুর জন্য সত্যিই তাঁর প্রিয় পোষ্য জ্যাককে যে প্রাণ দিতে হবে, কল্পনাও করতে পারেননি বিমল। বাড়ির উঠোনে কাজ করছিলেন একমনে। হঠাত্‍ই বিষধর গোখরোর হানা। জানতেই পারেননি বিমল। কিন্তু জ্যাকের কড়া নজর এড়াতে পারেনি বিষধর। প্রভুর দিকে পা বাড়ানোর আগেই গোখরোর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে জ্যাক। সাপে-কুকুরে টানাটানি। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর লুটিয়ে পড়ে বিষধর। বিষধরের মারণ কামড় শরীরে নিয়ে জ্যাকও প্রভুর পায়ে নেতিয়ে পড়ে। নিজের জীবন বেঁচেছে। কিন্তু তবুও মন ভাল নেই বিমলের। জ্যাকের চলে যাওয়াটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
Share:

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

Recent Posts

Unordered List

Definition List