শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫

ছেলেটির কাছে আমি নিজের বিয়ের কথা বলিনি, সে বয়সে ছোট…


আমি একজন বিবাহিতা রমণী । আমার স্বামী বিয়ের পর থেকে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে আসছে, আমার গায়ে অনেক সময় হাত তুলতো, আমাকে বাসা থেকে বের করে দিতে চাইতো, কিন্তু আমি বের হতাম না। সে আমাকে কোন খরচাপাতি দিতো না । আমার সকল কিছু আমার বাবার বাসা থেকে আনতে হতো কিংবা নিজের টাকা দিয়ে কিনে নিতে হতো এবং এখনো নিজেরটা দিয়েই নিজেকে চলতে হয়।
আমার বিয়ের চার বছর পর আমি কনসিভ করি কিন্তু আমার স্বামী বাচ্চা নিতে রাজি ছিলেন না, পরে সে আমাকে গর্ভপাত করানোর জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়, আমার গর্ভপাত করানো হয়। এরপর আমরা বছর দুই একসাথে থাকার পর দীর্ঘ চার বছর যাবত আলাদা থাকি।

বাবার বাসায় থেকে পড়াশোনা করে একটা ভালো চাকরি পাই। আমার চাকরি দেখে স্বামী আমাকে আবার তার বাসায় নেয় এবং এক বছর যাবত মোটামুটি ভাবে তার সাথে সংসার করছি। সে বা তার পরিবার আগের মতো অত্যাচার না করলেও অনেক সময় খারাপ ব্যবহার করে। আমার স্বামী এখনো আমাকে কথায় কথায় বলে চলে যেতে। এমতাবস্থায়, আমার যাতে বাচ্চা হয় সেটা আমার স্বামী ও তার পরিবার চায়।
আমি পূর্বে কনসিভ করি সেই বাচ্চাটার কথা এখনো ভুলতে পারিনি, মনে হলে অনেক কষ্ট লাগে। আর আমার স্বামীও এক মাস পর পর আমার সাথে মিলিত হয় । এমতাবস্থায় আমার বাচ্চা হচ্ছে না।
ইতিপূর্বে আমার সাথে একটি ছেলের পরিচয় হয়। তার কাছে আমার বিয়ের কথা বলিনি। সে বলে সে আমাকে ভালোবাসে। আমিও তাকে ভালোবাসি। সে আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট, মাস্টার্স করছে। তার সাথে আমার তেমন যোগাযোগ হয় না, একদিন দুই দিন দেখা করেছিলাম। ফেসবুকে ও ফোনে মাঝে মাঝে কথা হয়। সে ফেসবুকে জানতে চায় আমি রাতে কি পরে ঘুমাই , সে আরো বলে যে, আমি নাকি সেক্সি গার্ল ।
Share:

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন মাত্র ৩০ দিনে

সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস একটি বড় সমস্যা। ডায়াবেটিস হলে ওষুধের পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ার মাধ্যমে শরীরের শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো শরীরের শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
এই স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো প্রতিদিন খাওয়া প্রাকৃতিকভাবেই ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে। এগুলো ৩০ দিনের মধ্যে ডায়াবেটিস কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে খাবারগুলোর কথা।

কাঠবাদাম –

কাঠবাদাম ডায়াবেটিক রোগীর জন্য পরম বন্ধু। এই খাবারে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ আঁশ এবং প্রোটিন; যা ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে ৩০ দিনে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

গ্রিন টি –

গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে ফিটোনিউট্রিয়েন্টস যেমন : ক্যাটাচিন এবং ট্যানিন্স। এগুলো রক্তের শর্করার ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। তাই দিনে দুই বেলা গ্রিন টি পান করলে ৩০ দিনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

আপেল –

বলা হয়, প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়া রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস কমাতে কাজ করে। এ ছাড়া এটি কোলেস্টেরলও কমায়।

গাজর –

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গাজর অন্যতম একটি খাবার। এর মধ্যে রয়েছে বেটা কেরোটিন। এই কমলা রঙের সবজিটিতে কম পরিমাণ শর্করা রয়েছে, যা শরীরের ইনসুলিনের মাত্রাকে ঠিক রাখতে বেশ কার্যকর।

মাছ –

ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডসমৃদ্ধ মাছ খাওয়া ডায়াবেটিসের জন্য ভালো। এটা ইনসুলিনের মাত্রা কমায়। সপ্তাহে অন্তত দুদিন এই জাতীয় মাছ খেতে হবে।

জলপাইয়ের তেল –

বর্তমানে অনেকেই রান্নায় জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করেন। এর মধ্যে রয়েছে ভালো মানের চর্বি; যেটা ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত জলপাইয়ের তেল খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

সাইট্রাস ফুড –

সাইট্রাস খাবারের মধ্যে কমলা অন্যতম। এর মধ্যে থাকা ফিটোনিউট্রিয়েন্টস ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে। এ ছাড়া কমলার মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাবোনয়েডস, ক্যারোটিনয়েডস, টারপিন, প্যাকটিনস ইত্যাদি। এগুলো শরীরের জন্য বেশ উপকারী।

ওটস –

ওটসের মধ্যে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট; যা রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই নিয়ম করে ৩০ দিন ওটস খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসবে।
Share:

চীনে খাওয়া হচ্ছে মানব ভ্রূণ, তৈরি হচ্ছে মৃত বাচ্চার স্যুপ!

চরম ঘৃণিত এই কাজের খবর ইন্টারনেট ও ইমেইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা পুরো বিশ্বকে হতবিহবল করে দিয়েছে।
২০১৩ সালের ২৫ জুলাই দক্ষিণ কোরিয়ার ‘সিউল টাইমস’ এ একটি ইমেইল আসে যাতে ছিল বেশ কিছু ছবি।
এ ভয়াবহ, বীভৎস ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারী ছবিগুলোতে দেখা যায় মৃত শিশু ও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গর্ভপাত ঘটানো অপূর্ণাঙ্গ ভ্রুন বা ফিটাসের স্যুপ তৈরি করা হচ্ছে মানুষের খাবার জন্য!
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ ক্যানটন বা গুয়াংডন এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
জানা গেল সেখানকার পুরুষরা তাদের শারীরিকস্বাস্থ্য ও যৌন শক্তি বাড়ানোর জন্য ভেষজ শিশু স্যুপ (herbal baby soup) খেয়ে থাকে!
এরকম অবস্থায় জানা গেল আরেক ঘটনা। চীনের এক দম্পতির ইতোমধ্যেই একটি কন্যাসন্তান ছিল। মহিলাটি সন্তান-সম্ভবা ছিলেন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারলেন তার দ্বিতীয় সন্তানটিও মেয়ে হতে যাচ্ছে। ততদিনে তার গর্ভস্থ সন্তানের বয়স ৫ মাস। তিনি ও তার স্বামী গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেন। স্বাভাবিকভাবে কোন শিশু যদি ভূমিষ্ঠ হবার আগেই মারা যায় তবে তাতে ২০০০ ইউয়ান খরচ হয়, সেখানে গর্ভপাত করাতে খরচ হয় মাত্র কয়েকশো ইউয়ান। তবে যারা মৃত শিশু বিক্রি করতে চান না, তারা প্লাসেন্টা বা অমরা বিক্রি করতে পারেন ইচ্ছা করলে।
একজন স্থানীয় সাংবাদিকের মতে, এই সমস্যার উৎপত্তি মূলত হয়েছে চীনাদের মাত্রাতিরিক্ত স্বাস্থ্যসচেতনতার কারণে। এছাড়া অনেকের মতে, চীন সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ‘এক সন্তান নীতি” চালু করেছিল। আর এ হতভাগ্য শিশুগুলো এই নীতিরই নির্মম শিকার।
এছাড়া চীনের অধিকাংশ পরিবার মেয়ে সন্তান নয়, ছেলে সন্তান আশা করে। গরীব পরিবারগুলো তাদের মেয়ে শিশুদের বিক্রি করে দেয় অর্থের আশায়। চরম ঘৃণিত “বেবি স্যুপ” এর উদ্ভব এই মানসিকতা থেকেই।
তাইওয়ানে মৃত শিশুরা ৭০ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয় গ্রিল করা ‘রুচিকর’ (?) খাবার হিসেবে!
হং কং থেকে প্রকাশিত NEXT সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে শিশুদের মৃতদেহ কিংবা ভ্রূণ স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য রক্ষার নতুন উপকরণ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এছাড়া প্লাসেন্টা বা অমরাকে সুস্বাদু খাবার হিসেবে খাওয়া হয়।
এমনকি গুয়াংডনে হাসপাতালগুলোর মাধ্যমেই অনেক সময় এসব অঙ্গ কেনাবেচা হয় ও এগুলোর চাহিদা আকাশচুম্বী।
ম্যাগাজিনের অনুসন্ধানী প্রতিনিধিরা এগিয়ে যেতে থাকেন।
নরমাংস ভক্ষণের নতুন এই রীতি তাদেরকে নিয়ে যায় চীনের আরেক প্রদেশ লিয়াওনিং-এ।
ম্যাগাজিনটির মতে, লিয়াওনিং এর একজন তাইওয়ানীজ ব্যবসায়ী একটি ভোজসভা আয়োজন করেন। তার একজন গৃহপরিচারিকা ছিল যাকে সবাই মিস লিউ নামেই চিনতো। মিস লিউ ছিলেন লিয়াওনিং এর স্থানীয় অধিবাসী। ভোজের দিন অসাবধানতাবশত তার মানব শিশু ভক্ষণের বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যায়। ভোজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাইওয়ানীজ মহিলারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। মিস লিউ পরে এও বলেন, অনেক মানুষই মানবশিশু খেতে আগ্রহী, তবে চাহিদা অনেক বেশি। যাদের ক্ষমতা অনেক বেশি তারাই কেবল সবচেয়ে “ভালো জিনিস” পায়। সাধারণভাবে ছেলে শিশু ভ্রূণকে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বলে ধরা হয়।
প্রতিবেদকের অনুরোধে মিস লিউ কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে প্রতিবেদককে সেই জায়গায় নিয়ে যান যেখানে মানব ভ্রূণ রান্না করা হয়। তিনি দেখলেন, একজন মহিলা একটি ছুরি দিয়ে ছেলে শিশু ভ্রূণ কেটে কুচি কুচি করছেন ও সেটি দিয়ে স্যুপ তৈরি করছেন। আর আশেপাশে মানুষকে এই বলে আশ্বস্ত করছেন যে, ভয় পাবার কিছু নেই, এটি “প্রাণীর মাংস”। অনেক চীনাদের কাছে মানব ভ্রূণ ভক্ষণ করা নাকি এক ধরণের শিল্প!
২২ মার্চ, ২০০৩। গুয়াংজি প্রদেশের বিংইয়ন পুলিশ একটি ট্রাক থেকে ২৮ টি মেয়ে শিশুকে উদ্ধার করে, যাদেরকে পাচার করা হচ্ছিলো আনহুই প্রদেশে।শিশুগুলোর মাঝে সবচেয়ে বড় বাচ্চাটির বয়স ছিল মাত্র তিন মাস। তিন-চারটি শিশুকে একটি একটি করে ব্যাগে ঢোকানো হয়। উদ্ধারের সময় শিশুগুলো
প্রায় মরণাপন্ন অবস্থায় ছিল। ৯ অক্টোবর, ২০০৪ এর সকালবেলা। সুজহৌ এলাকার জিউকুয়ান শহরের একজন ব্যক্তি আবর্জনা পরিষ্কারের সময় বেশ কিছু ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন শিশুদের দেহ আবিষ্কার করেন। দুটি মাথা, ছয়টি পা, চারটি হাত, দুটি ধর পাওয়া গেল।
তদন্তে জানা গেল, শিশুগুলোর মাত্রই ভূমিষ্ঠ হয়েছিল, এদের বয়স হয়েছিল ১ সপ্তাহ ও রান্নার পরে খাওয়ার পর হাত-পা গুলো উচ্ছিষ্ট হিসেবে ফেলে দেয়া হয় ডাস্টবিনে।যদিও মানব ভ্রূণ খাওয়া নিষিদ্ধ করে চীনে কঠোর আইন চালু আছে, কিন্তু একইসাথে চীনের ‘এক সন্তান’ নীতি অনেক দম্পতিকে অকালে গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য করে, যেগুলোর সুযোগ নিচ্ছে একদল জঘন্য মানুষ।
এছাড়া মাও সেতুং এর ‘সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ কিছু ক্ষেত্রে চরমপন্থী রূপ ধারণ করে, যার ফলে চীনের অনেকের মাঝেই নৈতিকতা ও মানুষের জীবনের প্রতি সম্মান দেখানোর প্রবণতা কমে গিয়েছে।
গ্লোবাল রিপোর্টারস ভিয়েনার তাই জরুরী আহবান, “নরমাংস ভক্ষণকে ‘না’ বলুন ও সেইসব শিশুদের জীবন বাঁচাতে
এগিয়ে আসুন।
এটা কোন বিষয় নয় আপনি বিশ্বের কোন প্রান্তে আছেন।কিন্তু এই তথ্যটি প্রকাশ করে হয়তো সেই সব নিষ্পাপ শিশুদের বাঁচাতে পারবেন যারা হয়তো নির্মম ও জঘন্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে যাচ্ছে।“ যদিও অনেকেই এটিকে নিছক ‘গুজব’ বলে মনে করছেন। যাবতীয় তথ্যের লিঙ্ক দিয়ে দেয়া হলো। সত্য-মিথ্যা নির্ণয় পাঠকের বিবেচনা।
Share:

ডিম সেদ্ধ করার বৈজ্ঞানিক উপায়টি জানালেন শেফ


ডিম সেদ্ধ করার বৈজ্ঞানিক উপায়টি জানালেন শেফ
আমেরিকান শেফ এবং খাদ্য বিষয়ক লেখক জে কেনজি লোপেজ বৈজ্ঞানিক উপায়ে ডিম সেদ্ধ করার প্রক্রিয়া তুলে ধরেছেন। খুব সাধারণ মনে হলেও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ডিম সেদ্ধ করার প্রক্রিয়ার সঙ্গে পুষ্টির পুরোটুকু সুষ্ঠু উপায়ে সংগ্রহের বিষয়টি নির্ভর করে।
লোপেজের মতে, ডিমের সাদা অংশ সুষ্ঠুভাবে সেদ্ধ হওয়ার জন্যে ১৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৮২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন। আর কুসুম সুষ্ঠুভাবে সেদ্ধ হওয়ার জন্যে প্রয়োজন ১৭০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৭৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
চুলায় পানি নিয়ে আগে গরম করতে হবে। পানি ফুটতে শুরু করলে তা চুলা থেকে নামিয়ে তাতে ডিম ছাড়তে হবে। এতে সাদা অংশ খোসায় লেগে যাবে না। এ সময় পানির তাপমাত্রা কমাতে কয়েক টুকরা বরফ ছাড়তে হবে। এর পর ওই পানিতেই ডিমটি অনেক সময় ধরে রেখে দিতে হবে। এতে ধীরগতিতে ডিম সেদ্ধ হতে থাকবে। লোপেজ এ কাজের সময় ডিমটিকে প্রতি ৩০ সেকেন্ড অন্তর পানি থেকে তুলে ফেলেছেন এবং আবার রেখেছেন। সম্ভব হলে একই উপায়ে সবারই রান্না করা উচিত।
ধবধবে সাদা অংশ এবং পুরোপুরি সেদ্ধ কুসুম পেতে হলে এভাবেই ডিম সেদ্ধ করা উচিত। ফুটন্ত পানিতে ডিম ছেড়ে ৩০ সেকেন্ড রাখুন। এরপর কয়েক টুকরা বয়ফের টুকরা ছেড়ে দিন। পানি বেশি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে তা আবারো গরম করে তাতে ১১ মিনিট ধরে ডিমটি রেখে দিন। এভাবেই ডিম সেদ্ধ করার আদর্শ নিয়মের কথা জানালেন শেফ।
-
Share:

যোনিস্বাস্থ্য ভালো রাখার ৬ উপায়

অনেক নারীই ভ্যাজাইনা বা যোনিপথের সংক্রমণে ভুগে থাকেন। এই অংশের সংক্রমণ ভীষণ অস্বস্তি তৈরি করে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে যোনিকে ভালো রাখা যায়। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে যোনির স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার কিছু পদ্ধতির কথা।
১. বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান
সাবানের ক্ষার বা পরিষ্কার করার উপাদান কখনো কখনো শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে সংক্রমণ আরো বাড়িয়ে দেয়। তাই ভ্যাজাইনা ভালো রাখতে এ ধরনের সাবান ব্যবহার করবেন না।
২. শুষ্ক রাখুন
যোনি এলাকা কেবল পরিষ্কার রাখলেই চলবে না, একে শুষ্কও রাখতে হবে। স্যাঁতসেঁতে ভাব সংক্রমণ তৈরি করে। তাই পানি দিয়ে পরিষ্কারের পর জায়গাটিকে তোয়ালে বা টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করুন।
৩. সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করুন
যোনিস্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে আঁটসাঁট অন্তর্বাস ব্যবহার করবেন না। এতে বাতাস চলাচল ব্যাহত হয়ে সংক্রমণ হতে পারে। সুতির আন্ডারপ্যান্ট ব্যবহার করুন। এ ছাড়া ঘুমানোর সময় আঁটসাঁট পায়জামা ব্যবহার করবেন না।
৪. স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করুন
মাসিকের সময় অনেকেই হয়তো একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন দীর্ঘক্ষণ ধরে ব্যবহার করেন। এই কাজটি একেবারেই ঠিক নয়। এতে জায়গাটিতে দুর্গন্ধ হয় এবং সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই অন্তত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পরপর স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করুন।
৫. পানি পান
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে এবং যোনির স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
৬. খাদ্যাভ্যাস
সংক্রমণ থেকে ভ্যাজাইনাকে মুক্ত রাখতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি শুধু ভ্যাজাইনাকেই ভালো রাখবে না, দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গকেও ভালো রাখবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যোনির সংক্রমণ প্রতিরোধে নিয়মিত দই খাওয়া বেশ কাজে দেয়। তাই খাদ্যতালিকায় নিয়মিত দই রাখুন।
Share:

২৭০০ জন পুরুষের সঙ্গে যৌনকর্মে স্ত্রীকে বাধ্য করেছেন স্বামী!




--

প্রতিমাসে হাজার হাজার পাউন্ড কামাতে চান এক ফ্রেঞ্চ লোক। কে না চান? কিন্তু ৫৪ বছর বয়সী লোকটি এ কাজে ব্যবহার করলেন তার স্ত্রীকে। জোরপূর্বক অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌনতায় বাধ্য করেন স্ত্রীকে। অভিযোগ উঠেছে ফ্রান্সের আদালতে। সেখানে বলা হয়, লোকটি ২৭০০ পুরুষের সঙ্গে সেক্স করতে তার স্ত্রীকে বাধ্য করেছেন।

কারণবশত অভিযুক্তের নাম প্রকাশ করা হয়নি। ২০১১ সাল থেকে তিনি স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে বিছানায় উঠতে বাধ্য করতেন। এভাবে এ পর্যন্ত তিনি ১ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড কামিয়েছেন। মিয়াক্সের একটি আদালতে গত বৃহস্পতিবার এক শুনানিতে এসব কথা বলা হয়।

লি পারিসিয়ান পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৬ বছর বয়সী স্ত্রীকে একজন পতিতা হিসেবে চারটি ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হয়। টেক্সট মেসেজ এবং ইমেইলের মাধ্যমে যথেষ্ট খদ্দের জোগাড় করা হয়। নিজের বাড়িতেই খদ্দেরদের আসার ব্যবস্থা করেন অভিযুক্ত। খদ্দেররা সারাদিন আসা-যাওয়া করতেন। এরা এলে লোকটি তাদের ৫ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে বাড়ির গ্যারেজে গাড়িতে বসে থাকতেন।

এই মামলার ডেপুটি প্রসিকিউটর এমানুয়েল ডুপিক জানান, লোকটি তার স্ত্রীকে মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে এ কাজে রাজি করাতেন। এমনও খদ্দের আসতে যারা নিষ্ঠুর আচরণ করতেন।

আগামী শুনানির আগ পর্যন্ত স্বামীকে জেলে রাখতে বলা হয়েছে।
-
Share:

৩টি ঘরোয়া উপায়ে দ্রুত লম্বা করে ফেলুন চুল

মানুষের সৌন্দর্যের একটা বড় অংশ হচ্ছে চুল। মানুষ চুলের স্টাইল এর জন্য প্রচুর সময় ও টাকা ব্যয় করেন কারণ চুল এবং চুলের ধরণ ব্যাক্তি স্বাতন্ত্র্য ফুটিয়ে তুলে। খুব বেশি পরিমাণে চুল পড়া একটি যন্ত্রণাদায়ক শারীরিক সমস্যা। তরুণ অথবা বৃদ্ধ উভয় অবস্থাতেই মানুষ এই সমস্যাটিতে ভুগতে পারেন। সব মেয়েই চায় তার চুল যতদূর সম্ভব ঘন, লম্বা, চকচকে, শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান হোক। কিন্তু বেশির ভাগ মেয়েরাই চুল গজানোর চেয়ে চুল পড়ার সমস্যায় ভুগে থাকে বেশি । জিনগত কারণে অনেক পুরুষ মানুষের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মাথার চুল পড়ে যায় এমনকি টাক পড়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য তাঁরা তাদের সাধ্যের মধ্যে যা যা করা সম্ভব সবই করেন। মার্কেট গুলোতে অনেক দামী ক্রীম, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও মাস্ক পাওয়া যায়, কিন্তু এদের বেশিরভাগই অকার্যকর। পুষ্টির অভাব, হরমোনের অসামঞ্জস্য, মানসিক চাপ, জিনগত সমস্যা, চুলের স্টাইল, চুলে তাপ দেয়ার ভুল পদ্ধতি সহ আরো অনেক কারনেই চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে। কিন্তু চিন্তার কোন কারণ নেই। এমন অনেক প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া কিছু উপাদান আছে যা চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে অনেক  বেশি কার্যকরী।

আসুন জেনে নেই সেই উপাদান গুলো ও তাদের ব্যবহার প্রণালীঃ

১। পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজ শুধু আপনার রান্নাকেই সুস্বাদু করেনা আপনার চুল এর বৃদ্ধিতেও কার্যকরী ভুমিকা রাখে। পেঁয়াজের রস এ সালফার থাকে যা কোলাজেন টিস্যু এর উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। মাঝারি আকারের ২ থেকে ৪ টা পেঁয়াজ থেঁতলে রস বের করে নিতে হবে। এবার পেঁয়াজের রসটুকু মাথার তালুতে খুব ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে। এভাবে ১ ঘন্টা রাখতে হবে, যদি সম্ভব না হয় তাহলে ১৫ মিনিট রাখলেও হবে।তারপর শ্যাম্পু ও পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন । পেঁয়াজের রসের ঝাঁঝের জন্য চোখ জলে ও পানি চলে আসে। যারা এটা সহ্য করতে পারবেন না তাদের জন্য বিকল্প আরেকটি পদ্ধতি আছে,তা হল-
৪-৫টি পেঁয়াজ কেটে নিতে হবে। ১ লিটার পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। ফুটন্ত পানির মধ্যে পেঁয়াজের টুকরা গুলো দিয়ে আরও ৫-১০ মিনিট ফুটাতে হবে। তারপর মিশ্রণটি ঠাণ্ডা করতে হবে। চুল শ্যাম্পু করার পর পেঁয়াজের এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। যদি আপনি পেঁয়াজের গন্ধটা সহ্য করতে পারেন তাহলে ওই দিন আরচুল ধোয়ার দরকার নেই। পরদিন শ্যাম্পু করে পরিস্কার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।আর যদি আপনি গন্ধটা সহ্য করতে না পারেন তাহলে অন্তত ১ ঘণ্টা এভাবে রাখুন।তারপর পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পেঁয়াজের রস শুধুমাত্র আপনার চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক না বরং এটা আপনার চুলের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি করবে অবিশ্বাস্য রকম ভাবে।
২।  ডিম
চুল কেরাটিন প্রোটিন দিয়ে তৈরি, আর ডিম হচ্ছে প্রোটিনের চমৎকার উৎস।তাই ডিম চুলের বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা  রাখে। ২টা ডিমের কুসুমের সাথে ২ টেবিল চামচ জলপাই তেল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আপনার মাথার তালুতে ভালো করে ম্যাসাজ করুন এবং এভাবে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল পরিস্কার করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। বিকল্প আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে – ১টি ডিমের সাথে এক কাপের এক চতুর্থাংশ পরিমাণ টক দই ও মেয়নেজ নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।তারপর এই মাস্কটি চুলে লাগান এবং একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। এভাবে আধা ঘন্টা রাখার পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩। ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা এমন বিস্ময়কর একটি উদ্ভিদ যা মানুষের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে চুল ও ত্বকের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। আপনার পছন্দের তেলের সাথে অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে এর সাথে পানি মিশ্রিত করলে একটি ভালো কন্ডিশনার তৈরি হবে। এই কন্ডিশনারটি চুলের জন্য অনেক উপকারী ।
টিপসঃ
উপরের পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করার পাশাপাশি আপনি চুলের বৃদ্ধির জন্য আর একটি জিনিষ সব সময় করবেন, তা হল – প্রতি সপ্তাহে আপনার মাথায় পুষ্টিকর তেল ম্যাসাজ করবেন। এর জন্য নারিকেল তেল বা জলপাই তেল বা আমন্ড তেল একটু গরম করে আপনার মাথার তালুতে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করবেন এবং এভাবে সারারাত রেখে দিতে পারলে ভালো। আর যদি তা করা সম্ভব না হয় তাহলে একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে পানি নিংড়ে নিয়ে আপনার তেলে সিক্ত মাথায় কিছুক্ষণের জন্য জড়িয়ে  রাখুন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন ও কন্ডিশনার দিন।প্রতি সপ্তাহে এই কাজটি করতে পারলে আপনার চুল শক্তিশালি, ঘন ও স্বাস্থ্যবান হবে।
Share:

আজকের আধুনিক নারীর থাকা চাই যে ৯টি গুণ


sister3
আজকের আধুনিক নারীর থাকা চাই যে ৯টি গুণ
কেবল পোশাকে বা চালচলনে আধুনিক হলেই বুঝি আধুনিক হওয়া যায়, আর কিছু প্রয়োজন নেই? অবশ্যই আছে। আধুনিকতার সংজ্ঞা আজকাল পাল্টে গেছে। অনেকেই আধুনিকতা আর উগ্রতার মাঝে পার্থক্য করতে পারেন না। তবে এটা সত্যি যে নারীরা বদলে যাচ্ছেন দ্রুত, পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে নারীদের পরিবর্তন। জেনে নিন আজকালকার আধুনিক নারীর ৯টি বৈশিষ্ট্য।
১) লেখাপড়া অবশ্যই শেষ করতে হবে
একটা সময় ছিল, মেয়েরা লেখাপড়াটা খুব দায়সারা ভাবে করতেন। ভাবতেন যে ভালো একটা বিয়ে হলে লেখাপড়ার কী দরকার? এখনো আমাদের সমাজে আছে এই বিষয়টি। তবে বিবাহিত হোন বা অবিবাহিত, লেখাপড়াটা অবশ্যই মনযোগ দিয়ে শেষ করতে হবে। চাকরি করতে চান বা হবেন গৃহবধূ, শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
২) ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে পারাটা খুব ভালো
হয়তো আপনার চাকরি করার প্রয়োজন নেই, কিন্তু তবুও নিজের একটা ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা অবশ্যই করুন। প্রতিটি ছোট খরচের জন্য স্বামীর সামনে হাত পেতে টাকা নেয়ার চাইতে নিজের খরচ নিজে যোগানোটা কি যথেষ্ট সম্মানের বিষয় নয়?
৩) ঘরে-বাইরে সমানতালে
মেয়েরা যেন আজকাল দশভুজা, একলাই সামাল দিচ্ছে সবদিক। ঘর সামলাচ্ছেন, ক্যারিয়ার সামলাচ্ছেন, সন্তান, পরিবার, সামজিকতা সবকিছুই তারা সামাল দিচ্ছেন একলা। একজন আধুনিক নারীকে অবশ্যই জানতে হবে এই ভারসাম্য রক্ষার কৌশল।
৪) বুঝতে হবে উগ্রতা আর আধুনিকতার মাঝে পার্থক্য
আধুনিকতা মানে রাত বিরাতে পার্টি করা নয়, একাধিক প্রেমিক থাকা নয়, পরিবারের সাথে বেয়াদবি নয় কিংবা আমাদের সমাজের সাথে বেমানান পোশাক পরা নয়। আধুনিকতার অর্থ নিজের চিন্তা ও চেতনায় আধুনিক হওয়া, পরনির্ভরশীলতার শেকল ভেঙে বের হয়ে আসা। সেটাই আধুনিক নারীর পরিচয়।
৫) সবমিলিয়ে স্মার্ট
নিজের সাজ, পোশাক, আচার আচরণ ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে রুচিশীলতার ছাপ রাখতে পারাই আধুনিক নারীর বৈশিষ্ট্য। বাইরে ও ভেতরে সমানভাবে স্মার্ট হওয়া চাই।
৬) প্রেমের জন্য অস্থির নয়
হ্যাঁ, প্রেম জীবনের একটা অংশ বটে। কিন্তু পুরো জীবন নয়। প্রেমের জন্য নিজের জীবন নষ্ট করে ফেলা বা প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বাকি জীবন কাঁদতে কাঁদতে পার করে দেয়ার যুগ শেষ। আজকালকার নারী জানেন প্রেমকে সামলে জীবন চালাতে।
9-characteristics-of-modern-women
৭) বিয়ে করতে হবে বলেই করা নয়
মেয়ে মানুষ, বিয়ে তো করতেই হবে! এইভাবনা আজকালকার নারী মোটেও ভাবেন না। তারা বিয়ে করেন তাকেই, যার সাথে আক্ষরিক অর্থেই জীবন কাটাতে চান। জীবন একটাই, পাশে একজন যোগ্য স্বামীর গুরুত্ব বোঝেন আধুনিক নারী।
৮) তারা জানেন “না” বলতে
নারী মানেই সবকিছু মুখ বুজে সয়ে যাওয়া নয়। আজকালকার নারী শিখে নেন “না” বলতে।
৯) দায়িত্বশীল অবশ্যই
কেবল পুরুষেরই কি সকল দায়িত্ব? নারীর কি কোন দায় নেই? অবশ্যই আছে,। হয়ে উঠুন একজন দায়িত্বশীল কন্যা কিংবা স্ত্রী, পিতা বা স্বামীর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দায়িত্ব ভাগ করে নিন। জীবন হয়ে উঠবে সুন্দর, হয়ে উঠবেন সম্মানের পাত্রী।
Share:

২৪ জন প্রেমিককে একসাথে হাজির করলেন ইডেন কলেজের ছাত্রী!


২৪ জন প্রেমিককে একসাথে হাজির করলেন ইডেন কলেজের ছাত্রী।

২৪ জন প্রেমিককে একসাথে হাজির করলো এক প্রেমিকা!
এখন আমি আপনাদেরকে যে মজার নিউজটি দিবো সেটি শুনে আপনারা অবাক হতে পারেন। ঘটনাস্থল রমনা পার্ক। সময় দুপুর ১২.৪৫ বৃহস্পতিবার। একেক করে রেখার ২৪ জন প্রেমিকা হাজির হলেন। এবার বিস্তারিত কথায় আসা যাক। রেখা ইডেন কলেজের স্নাতক ৩য় বর্ষের ছাত্রী। থাকেন আজিমপুর চায়না বিল্ডিং লেনে। সুত্রমতে জানা যায় যে ক্লাস নাইন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত শতাধিক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। সম্প্রতি রেখার বিয়ে ঠিক হয় ইতালি প্রবাসী এক যুবকের সাথে।
রেখা তার বিয়ের খবর দিতে এখনো পর্যন্ত সম্পর্ক আছে এমন ৩২ জন প্রেমিককে ডাকেন রমনা পার্কে।কিন্তু হাজির হন ২৪ জন। একে একে সব প্রেমিক যখন জড়ো হতে থাকেন তখন রিতিমত লংকা কান্ড বেধে যায়। রেখা বলেন, আমি সবাইকে ভালবেসেছি একথা সত্য, তাই বলে সবাইকে তো সবাইকে একসাথে বিয়ে করা সম্ভব না। আসলে আমাকে কেউ প্রেমের প্রস্তাব দিলে আমি তাকে ফিরিয়ে দিতে পারিনি সে কষ্ট পাবে এই ভেবে। কিন্তু আজ আমি সত্যি লজ্জিত। তোমাদের মত কাউকে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব না। তোমরা সবাই আমার বিয়েতে এসে আমার জন্য দোয়া করো। এই বলে রেখা সবাইকে বিদায় জানান।
কথা হয় রেখার প্রেমিক সাইফুলের সাথে। সাইফুল জানান ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক গড়ে উঠে প্রায় দুই বছর আগে। আমি রাজশাহি থাকার কারনে নিয়মিত ঢাকায় এসে দেখা করতে পারিনি বিধায় তার কার্যকলাপ সম্পর্কে আমার ধারনা ছিলনা। তবে আমি কিছুটা আচ করতে পারি যখন আমার ফেসবুক প্রোফাইল ঘেটে আমার আর এক বন্ধুর সাথে রেখা সম্পর্ক করে।তবে সে বিষয়টি আমার কাছে অস্বিকার করে। এখন আমার ভাবতেই খারাপ লাগছে এমন একটি খারাপ মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল। আর এক প্রেমিক মনির মোল্লা বলেন, এক বছরের সম্পর্কে আমি ৩৭ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছি।কিন্তু পুরোটাই লস।
Share:

বিদ্ধাশ্রম থেকে এক মায়ের করুন চিঠি! দয়া করে পড়ে দেখুন…


বিদ্ধাশ্রম থেকে এক মায়ের করুন চিঠি! দয়া করে পড়ে দেখুন…
আমার আদর ও ভালোবাসা নিও। অনেক দিন তোমাকে দেখি না, আমার খুব কষ্ট হয়। কান্নায় আমার বুক ভেঙে যায়। আমার জন্য তোমার কী অনুভূতি আমি জানি না। তবে ছোটবেলায় তুমি আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝতে না। আমি যদি কখনও তোমার চোখের আড়াল হতাম মা মা বলে চিৎকার করতে। মাকে ছাড়া কারও কোলে তুমি যেতে না।
সাত বছর বয়সে তুমি আমগাছ থেকে পড়ে হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছিলে। তোমার বাবা হালের বলদ বিক্রি করে তোমার চিকিৎসা করিয়েছেন। তখন তিন দিন, তিন রাত তোমার পাশে না ঘুমিয়ে, না খেয়ে, গোসল না করে কাটিয়েছিলাম।
এগুলো তোমার মনে থাকার কথা নয়। তুমি একমুহূর্ত আমাকে না দেখে থাকতে পারতে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমার বিয়ের গয়না বিক্রি করে তোমার পড়ার খরচ জুগিয়েছি। হাঁটুর ব্যথাটা তোমার মাঝে মধ্যেই হতো। বাবা… এখনও কি তোমার সেই ব্যথাটা আছে? রাতের বেলায় তোমার মাথায় হাত না বুলিয়ে দিলে তুমি ঘুমাতে না। এখন তোমার কেমন ঘুম হয়? আমার কথা কি তোমার একবারও মনে হয় না?
তুমি দুধ না খেয়ে ঘুমাতে না। তোমার প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমার কপালে যা লেখা আছে হবে। আমার জন্য তুমি কোনো চিন্তা করো না। আমি খুব ভালো আছি। কেবল তোমার চাঁদ মুখখানি দেখতে আমার খুব মন চায়। তুমি ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করবে। তোমার বোন….তার খবরাখবর নিও। আমার কথা জিজ্ঞেস করলে বলো আমি ভালো আছি।
আমি দোয়া করি, তোমাকে যেন আমার মতো বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে না হয়। কোনো এক জ্যোস্না ভরা রাতে আকাশ পানে তাকিয়ে জীবনের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে একটু ভেবে নিও। বিবেকের কাছে উত্তর পেয়ে যাবে। তোমার কাছে আমার শেষ একটা ইচ্ছা আছে। আমি আশা করি তুমি আমার শেষ ইচ্ছাটা রাখবে। আমি মারা গেলে বৃদ্ধাশ্রম থেকে নিয়ে আমাকে তোমার বাবার কবরের পাশে কবর দিও। এজন্য তোমাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। তোমার বাবা বিয়ের সময় যে নাকফুলটা দিয়েছিল সেটা আমার কাপড়ের আঁচলে বেঁধে রেখেছি। নাকফুলটা বিক্রি করে আমার কাফনের কাপড় কিনে নিও। তোমার ছোটবেলার একটি ছবি আমার কাছে রেখে দিয়েছি। ছবিটা দেখে দেখে মনে মনে ভাবি এটাই কি আমার সেই খোকা!’
এভাবে বেদনা ভরা একটি খোলা চিঠি ছেলের উদ্দেশে লিখেছেন মদিনা খাতুন (ছদ্মনাম), মদিনা খাতুনের বয়স এখন আশি। ছয় বছর আগে তার আশ্রয় জুটেছে বৃদ্ধাশ্রমে।
Share:

কিভাবে ফিরে পাবেন আপনার চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি

কিভাবে ফিরে পাবেন আপনার চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি

আপনি কি আপনার অ্যান্ড্রয়েড চালিত স্মার্টফোনটি হারিয়ে ফেলেছেন? বা ফোনটি চুরি হয়ে গিয়েছে? আর হারিয়ে যাওয়া ফোনটির কথা ভেবে হতাশাগ্রস্থ আপনি? দিনে দিনে স্মার্টফোন হয়ে উঠেছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। আর প্রিয় এই ফোনটি হারিয়ে আপনি হয়তো আরেকটি ফোন কেনার চিন্তা করছেন। কিন্তু আপনার বেহাত হওয়া ফোনটিই আপনার জন্য চিন্তার কারন হয়ে দাড়াতে পারে।
অধিকাংশ মানুষের কাছেই ফোন হারানোটা কেবলই আর্থিক ক্ষতি। কিন্তু এর মাধ্যমে আপনার ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা আর নিরাপত্তাও যে ঝুকির মধ্যে পড়ে তা কি ভেবে দেখেছেন? আপনার ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন বিশেষত স্মার্টফোন আপনার হরেক তথ্য ধারন করে রাখে। আর শুধু আপনার তথ্য কেন, আপনার কাছের অনেকের তথ্যই এতে জমা থাকে। আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনটি যার হাতেই যাক, আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত তথ্যগুলো যেমন আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত কোন ছবি, প্রয়োজনীয় ফোন নাম্বার বা আপনার লেনদেন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য চলে যাবে আরেকজনের হাতে। যা আপনি কখনই চান না। আবার এমন কিছু সৃতিও হারাতে পারেন যা আর কখনই ফিরে পাওয়া যাবেনা।
বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সবাই নিজের ফোনটি ফিরে পেতে চায় অক্ষত ভাবে। অন্ততপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো ফেরত চায়। নাই যদি পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে সবার চাওয়া অন্তত ফোনটি যেন কেউ ব্যবহার না করতে পারে বা সংরক্ষিত তথ্যগুলো যেন মুছে ফেলা যায়। এতে আপনার আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত আর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো বেহাত হওয়া থেকে বাঁচে। তবে আনন্দের ব্যাপার হল, ফোন হারিয়ে দুশ্চিন্তার দিন শেষ। অন্তত নিজেকে নিরুপায় ভেবে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে না।
আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোন খুজতে কিছু ত্বরিত টিপসঃ
এই টিউটোরিয়ালটি আপনাকে ধাপে ধাপে আপনার ফোনটি খুজে পেতে করণীয়গুলো দেখাবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শগুলো হল
আপনার ফোনটি যদি প্রয়োজনীয় অ্যাপসমৃদ্ধ থাকে, অর্থাৎ ফোনটির অবস্থান সনাক্তকরার অ্যাপ ইন্সটল করা থাকে, সেই সাথে দূর থেকে নিয়ন্ত্রন করার মত অ্যাপ থাকে তাহলে আপনি সহজেই এর নিয়ন্ত্রন রাখতে পারবেন। সেই সাথে হারানো ফোনটি ফিরে পেলে সহজেই তথ্য পুনরুদ্ধার সম্ভব। এক্ষেত্রে Android Device Manager বা Lookout নামের অ্যাপ দুটির সাহায্য নিতে পারেন।
Airdroid নামের অ্যাপটি ব্যাবহার করে আপনি সহজেই আপনার হারনো তথ্যগুলো ফিরে পেতে পারেন। আর এর আধুনিক ফিচারগুলো যেমন দূর নিয়ন্ত্রিত ক্যামেরা বা এসএমএস মেসেজিং ব্যাবহার করতে পারেন। স্মার্ট ওয়াচ ব্যাবহার করতে পারেন। এটি আপনার মোবাইল ফোনটির দূরে সরে না যাওয়া নিশ্চিত করবে।
আর হ্যাঁ, আমরা এটাও জানানোর চেষ্টা করব যে আপনার ফোনটি হারালে আপনি কি করতে পারেন যখন আপনি কোনভাবেই প্রস্তুত নন।
উপরের কথাগুলো শুনে কি কিছুটা ভালো লাগছে?? তাহলে দেরি না করে, চলুন শুরু করা যাক আজকের টিউটোরিয়াল।
নিশ্চিত হোন যে আপনি প্রস্তুত

পড়ে যেতে না চাইলে, পা ফেলার আগে দেখে ফেলাটা উত্তম। দাঁতের ক্ষয় না চাইলে নিয়মিত দাঁত মাজা উচিত এগুলো আমাদের প্রতিদিনের জীবনে শোনা কিছু প্রবাদ। এ বাক্যগুলই কিন্তু আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যে যেকোনো বাজে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার চেয়ে এমন কিছু করা ভালো যা আমাদের বাজে পরিস্থিতিরই সম্মুখীন করবেনা। অর্থাৎ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করাটাই শ্রেষ্ঠতর।
আপনার স্মার্ট ফোনটি যেন না হারান, সেজন্যেও একই নীতিবাক্যই প্রযোজ্য।
আসলে আপনার স্মার্টফোনটির হারানো প্রতিরোধ করতে তেমন কিছু করার নেই। তবে আপনার কমনসেন্স ব্যবহার করুন, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার আগে নিশ্চিত হোন যে আপনার ফোনটি আপনার সাথেই আছে। এর বাইরে আপনি যা করতে পারেন টা হল অ্যাপ ব্যাবহার করা, যেটা আপনাকে কিছুটা সাহাজ্য করতে পারে।
স্ক্রিন লক করার প্যাটার্ন চালু করুন
CM-2
স্মার্টফোন ব্যাবহারে আপনার প্রথম কাজটি হবে মোবাইলের স্ক্রিন লক করার জন্য প্যাটার্ন বা পাসওয়ার্ড চালু করা। এটি কোনোভাবেইওয়াপ্নার ফোন হারানো রোধ করতে পারবেনা। কিন্তু হারিয়েই যদি ফেলেন, এই ভেবে অন্তত স্বস্তি পাবেন যে আপনার তথ্য গুলো অন্য কার হাতে পড়ছেনা।
কেউ কেউ হয়তবা প্রতিবার ফোন ব্যাবহারের সময় ফোন আনলক করতে গিয়ে বিরক্ত হতে পারেন। তাদের জন্য কিছু কিছু ডিভাইস এ নির্দিষ্ট সময় পর পর পাসওয়ার্ড স্বয়ংক্রিয় ভাবে চালু করার ব্যাবস্থা আছে। তাও যদি ভালো না লাগে, তাহলে আপনার জানতে হবে কিভাবে দূরবর্তী যেকোনো জায়গা থেকে আপনার মোবাইলে পাসওয়ার্ড চালু করা যায়।
আপনার মোবাইলে লক স্ক্রিন প্যাটার্ন চালু করতে Settings > Security অথবা Settings > Display > Lock Screen এ দুটি পথ অনুসরন করতে পারেন। নাহলে মোবাইলের ইউজার গাইড দেখুন।
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার চালু ও ব্যাবহার করা
আপনার হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সনাক্ত করতে প্রথমেই আপনার যেটা করতে হবে তা হল, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সঠিক ভাবে রেজিস্টার করা। এরপর অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারের মাধ্যমে ফোনটিতে প্রবেশ করতে পারাও নিশ্চিত করতে হবে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ছোট্ট একটি টুল যেটা গুগল ২০১৩ সালে মার্কেটে আনে। আর গুগল প্লে স্টোর ব্যাবহারের মাধ্যমে আধুনিক সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এটির ব্যাবহার নিশ্চিত করে।
Android-Device-Manager-screenshot-640x397 (1)কিছু কিছু ডিভাইসে এটি বিল্ট ইন থাকলেও আপনাকে অবশ্যই নিজে দেখে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার মোবাইলে এটি চালু অবস্থায় আছে। আর অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার চালু করতে বা চালু আছে কিনা যাচাই করতে আপনার ডিভাইসে Settings > Security and Screen Lock > Device Administrators অপশনটিতে যান। তবে ডিভাইসভেদে কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে। এখানে গিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার চালু আছে কিনা নিশ্চিত হোন। একই সাথে আপনার ফোনের লোকেশন সেটিং টি কি অবস্থায় আছে তাও দেখুন। আর অবশ্যই নিশ্চিত হোন যে আপনার ফোনের জিপিএস ব্যাবস্থা সম্পূর্ণ চালু এবং কার্যকর অবস্থায় আছে।
যদিও আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোন সনাক্ত করতে জিপিএস জরুরী নয়, তবে এটি আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনের সঠিক অবস্থান জানাতে আপনাকে সাহায্য করবে। আর হ্যাঁ, জিপিএস চালু করে রাখলে মোটেই আপনার মোবাইলের ব্যাটারির চার্জ নষ্ট হবেনা, কারন কার্যকরী না হয়ে শুধুমাত্র জিপিএস চালু রাখতে অতিরিক্ত চার্জ খরচ হয়না।
এরপর, আপনার অ্যাপের ভিতর “Google Settings” এ যান, এরপর “Android Device Manager” অপশনটি বাছাই করুন। সেখান থেকে “Remotely locate this device” এবং “Allow remote lock and factory reset” অপশন দুটি যাচাই করুন। অপশন দুটিতে গেলেই আপনি বুঝবেন সেখানে কি করতে বলা হয়েছে।
এই লিংকটিতে, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারের ওয়েবসাইটটি পাবেন (লিংকটি কোনভাবেই ভুলবেন না। প্রয়োজনে বুকমার্ক করে রাখুন)। এর ড্যাশবোর্ডটি খুব সহেজই ব্যাবহার করা যায়। এখানে গুগল ম্যাপের মাধ্যমে আপনার ডিভাইসটির সর্বশেষ অবস্থানটি আপনাকে দেখাবে। আপনার ফোনটি চালু এবং ইন্টারনেটের সংযোগ থাকা সাপেক্ষে একদম শেষ মুহূর্তের অবস্থানও এটি আপনাকে দেখাতে সক্ষম।
android-device-manager-app-640x400আর অ্যাপটি দিয়ে আপনি আপনার ফোনে জোরে আওয়াজ করার ব্যাবস্থা করতে পারেন, যদি আপনি ভাবেন যে আপনার ফোনটি কাছাকাছি কোথাও আছে। আর এই অ্যাপটি দিয়ে দূরে বসে আপনার ফোনটি লক করা বা যেকোনো তথ্য মুছে ফেলার কাজও করতে পারবেন। তবে তথ্য মোছার কাজটি করবেন একদম শেষ পর্যায়ে, যখন আপনার ফোনটি ফিরে পাবার আর কোন আশা থাকবেনা। কারন একবার তথ্য মুছে ফেললে আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট এর সাথে ফোনটির আর কোন সংযোগ থাকবেনা।
LOOKOUT ব্যাবহার করা
যেকোনো কারণে আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ব্যাবহারে সক্ষম না হন, তবে lookout অ্যাপটি ব্যাবহার wpid-Lookoutকরতে পারেন। এটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারের খুব চমৎকার বিকল্প। আর এটিতে বেশ সুন্দর কিছু সিকিউরিটি ফিচার আছে। আর এর ফোন লোকেশন টুল টি অন্য যেকোনোটার থেকে কম যায়না। অ্যালার্ম দেয়া বা শব্দ করে জানানর সব সাধারন সব ব্যাবস্থাই এতে আছে। এর আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হল কেউ যদি পরপর ৫ বার আপনার লক খুলতে গিয়ে ভুল করে, এটি তখন স্বয়ংক্রিয় ভাবে ওই স্থানের ছবি তুলে আপনাকে মেইল করবে। এ সুবিধাটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারে নেই।
তবে দুরনিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে আপনার ডিভাইসটি লক করতে বা তথ্য মুছে ফেলতে আপনাকে একজন প্রিমিয়াম সাবসক্রাইবার হতে হবে। আর এই অ্যাপ ব্যাবহারের বাকি সব নিয়ম আগের মতই।
অ্যাপটি এই লিঙ্কে পাওয়া যাবে। আর LOOKOUT এর ওয়েবসাইটেও যান। এটি ব্যাবহার করেই আপনাকে আপনার ফোনটি খুজতে হবে।
AirDroid ব্যাবহার করা:

Airdroid ফোন খুজে পাওয়ার অ্যাপগুলোর মধ্যে আরেকটি ভালো বিকল্প। এখানেও, দূরনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে লক করা, স্থান সনাক্ত করা, তথ্য মোছা, অ্যালার্ম সিস্টেম, ছবি তুলে মেইল করার মত সুবিধাগুলো আছে। তবে এর বাইরেও আরো কিছু সুবিধা যোগ করা আছে এতে।
আপনি যদি আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনের তথ্য গুলো মোছার আগে নিজের কাছে কপি করে রাখতে চান, সে সুবিধা পাবেন এখানে। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি সব তথ্য ট্রান্সফার করতে পারবেন।
airdroidbanner-635x310আপনি আপনার মোবাইলের সাম্নের বা পেছনের যেকোনো ক্যামেরা চালু করে যে এখন মোবাইলটি ব্যাবহার করছে তার ছবি তুলতে পারবেন। ব্যাবহারকারি তা টেরও পাবেনা।
আপনি ফোনের কল লগ গুলো বা মেসেজ গুলো দেখতে পারবেন।
আপনার মোবাইলটি যদি আপনার ল্যাপটপের বা কম্পিউটারের সাথে একই ল্যান সংযোগে থাকে তবে আপনি অ্যাপটি বিনামুল্যে ব্যাবহার করতে পারবেন। এর বাইরে হলে আপনাকে মাসে ১.৯৯ ডলার বা বছরে ২০ ডলার ব্যয় করতে হবে অ্যাপটি ব্যাবহার করতে। তবে বিনামুল্যের অ্যাকাউন্টটি আপনাকে মাসে ১০০ মেগাবাইটের বেশী ডাটা ট্রান্সফার করতে দিবে না। আসলে অ্যাপটি সম্পূর্ণ কার্যকরভাবে ব্যাবহার করতে আপনাকে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবারই হতে হবে।
কোনটি বেছে নিবেন??
এতগুলো অপশন দেখে কি গুলিয়ে ফেলছেন যে কোনটা ব্যাবহার করবেন? পারলে সবগুলোই ব্যাবহার করুন। নাহলে অন্তত দুটি ব্যাবহার করার চেষ্টা করুন। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ব্যাবহার করাটা একটু সহজ কারন এটা আগে থেকেই আপনার ডিভাইসে ইন্সটল করা থাকে। তাই বলে অন্যগুলো ব্যাবহার করা মোটেই কঠিন নয়।
আর LOOKOUT বা AirDroid এর প্রিমিয়াম ভার্সনের অতিরিক্ত ফিচারগুলো অবশ্যই আপনাকে কাছে টানবে যেগুলো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারে পাওয়া যায়না। আপনি কোনটি ব্যাবহার করবেন সেটা একান্তই আপনার ইচ্ছা আর প্রয়োজনের উপর নিরভর করবে। তবে যেকোনো একটি বেছে নিতে হলে আমি AirDroid ই বেছে নিতাম।
তবে হ্যাঁ, আপনার ফোনটি যে হাতিয়ে নিয়েছে সে যদি আপনার ফোনে ফ্যাক্টরি রিসেট করে ফেলে, তখন কিন্তু উপরের কোন পদ্ধতিই আর কাজে আসবেনা।
এতক্ষনতো গেলো আপনার ফোনটি হারিয়ে গেলে আপনি কি করবেন বা আগে থেকে কি করে রাখতে হবে তা জানা। কিন্তু ব্যাপারটি যদি আপনার সাথে না হয়ে অন্য কারও সাথে ঘটে। যার উপরের বিষয়গুলোতে কোন ধারনাই ছিলনা? সেক্ষেত্রে কি করণীয়?? ওই ফোনগুলো ফিরে পেতে বা তথ্য গোপন সর্বশেষ চেষ্টা হিসাবে নিচে উল্লেখ করা পদ্ধতিতে চেষ্টা করে দেখতে পারেন…
Android Lost:
হ্যাঁ নামের সাথে কাজের পুরোপুরিই মিল আছে এই অ্যাপটিতে। এটি আপনাকে আপনার হারানো অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ফিরে পেতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে আপনি হারিয়ে যাওয়া ফোনে অ্যাপ ইন্সটল করে নিতে পারবেন। তবে মোবাইলটি চালু থাকতে হবে। এটি দিয়ে আপনি আপনার ফোন সনাক্তের কাজটি করতে পারবেন। এটি ইন্টারনেট বা এসএমএস এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এটির মাধ্যমে আপনি যা যা করতে পারবেন তা হোলঃ
  • মোবাইলের মেসেজগুলো পড়তে পারবেন।
  • ফোনে থাকা তথ্য মিছে ফেলতে পারবেন
  • ফোনটি লক করতে পারবেন
  • জিপিএস এর মাধ্যমে সনাক্ত করতে পারবেন
  • অ্যালার্ম চালু করতে পারবেন
  • সামনের বা পেছনের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে নিতে পারবেন
  • মাইক্রোফোন থেকে সাউন্ড রেকর্ড করতে পারবেন
Share:

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

Recent Posts

Unordered List

Definition List