পরস্পরের প্রেমে পড়ে সত্ ভাই-বোন। তার
জেরে বাবা-মা’কে হত্যা করে তাঁদের দেহাংশ বাড়ির পোষা কুকুরকে খাওয়াল
প্রণয়ী যুগল। পাশাপাশি সে স্বাদে ভাগ বসাল যুবক নিজেও।
সম্প্রতি আর্জিন্টিনার রাজধানী বুয়েনস
আয়ার্সের কাছে পিলার অঞ্চলে মধ্যবয়সী এক দম্পতির খুন ঘিরে সংবাদমাধ্যমে
চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। জানা গিয়েছে, হত্যার পর তাঁদের দেহ টুকরো করে
বাড়ির পোষা কুকুরকে খাওয়ানো হয়েছে। এর পর শরীরে বাকি অংশ পুড়িয়ে পেলা
হয়েছে। গোটা ঘটনার পিছনে নিহত দম্পতির সত্ ছেলে-মেয়ের হাত রয়েছে বলে
জেরায় জেনেছেন গোয়েন্দারা।
মিরিয়াম কোয়ালচুককে বিয়ে করে একসঙ্গে
বসবাস করতে শুরু করেন আর্জেন্টিনার বাসিন্দা রিকার্ডো ক্লেইন। বাবা-মায়ের
সূত্রেপরিচিত হয় দুই সত্ ভাই-বোন লিয়ান্দ্রো আকোস্তা (২৫) ও ক্যারেন
ক্লেইন (২২)। ক্রমে তাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হলে একসঙ্গে তিন
বছর ধরে বসবাস শুরু করে লিয়ান্দ্রো-ক্যারেন।
আইনজীবী মনিকা চিরিভিন জানিয়েছেন, ছোট দুই যমজ ভাইয়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই সত্ বাবা রিকার্ডোকে খুন করার মতলব এঁটেছিল তাঁর মক্কেল লিয়ান্দ্রো। তার আভিযোগ, ভাইদের উপর অত্যাচার করতেন রিকার্ডো। চিরিভিনের দাবি, সত্ বাবাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে লিয়ান্দ্রো। শুধু তাই নয়, হত্যার পর তাঁর দেহাংশ নিজেও খেয়েছিল বলে জানিয়েছে সে। দীর্ঘ দিন ধরে পেটের অসুখ ও মনোবিকারের রোগী লিয়ান্দ্রোকে এই কাজে সাহায্য করে প্রেমিকা ক্যারেন।
আইনজীবী মনিকা চিরিভিন জানিয়েছেন, ছোট দুই যমজ ভাইয়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই সত্ বাবা রিকার্ডোকে খুন করার মতলব এঁটেছিল তাঁর মক্কেল লিয়ান্দ্রো। তার আভিযোগ, ভাইদের উপর অত্যাচার করতেন রিকার্ডো। চিরিভিনের দাবি, সত্ বাবাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে লিয়ান্দ্রো। শুধু তাই নয়, হত্যার পর তাঁর দেহাংশ নিজেও খেয়েছিল বলে জানিয়েছে সে। দীর্ঘ দিন ধরে পেটের অসুখ ও মনোবিকারের রোগী লিয়ান্দ্রোকে এই কাজে সাহায্য করে প্রেমিকা ক্যারেন।
পুলিশের জেরায় ক্যারেন কবুল করেছে,
ভাইয়েরা স্কুলে যাওয়ার পর পরিকল্পনা মতোই সত্ বাবা ও নিজের মা’কে গুলি
করে খুন করে লিয়ান্দ্রো। এর পর দেহগুলি টুকরো করার সময় প্রেমিকা তথা সত্
বোন ক্যারেনের সাহায্য নেয় সে। ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টায়
এর পর দেহের কিছু অংশ পোষা কুকুরকে খাইয়ে বাকি অংশ পুড়িয়ে ফেলা হয়।
বেশ কয়েক মাস ধরে মিরিয়াম ও রিকার্ডোর
হদিশ না পেয়ে তাঁদের খোঁজ নিতে পিলার-এর বাড়িতে হাজির হন এক আত্মীয়।
কিন্তু তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দিতে অস্বীকার করে লিয়ান্দ্রো। সন্দেহ হওয়ায়
পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন সেই আত্মীয়। তল্লাশিতে বাড়ির ছাদে রাখা
বালতিতে মহিলার শ্রোণী খুঁজে পাওয়া যায়। গোয়েন্দাদের অনুমান, তা
মিরিয়ামের দেহাংশ। এরপর স্থানীয় জঞ্জালের স্তূপ থেকে উদ্ধার হয় নিহত
দম্পতির আধপোড়া দেহাবশেষ।
হত্যা, অপরাধের প্রমাণ লোপের চেষ্টা,
অমানবিক আচরণের মতো বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয় লিয়ান্দ্রো ও
ক্যারেন। আপাতত আদালতে বিচারাধীন রয়েছে এই মামলা।