শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৫

বাসভ্রমণে বমিভাব এড়াতে করণীয় ৯টি কাজ

ভ্রমণে বের হলে বাস, ট্রেন, লঞ্চ, বিমান কোনো না কোনো বাহনের প্রয়োজন পড়ে। আর অনেকেই এই ধরণের বাহনে উঠলে বমিভাব ও সেই সাথে মাথা ঘোরানোর মতো অস্বস্তি অনুভব করে থাকেন। একে বলা হয় মোশন সিকনেস। বাস বা ট্রেনের ঝাঁকুনি, লঞ্চের দুলুনি এবং বিমানের শূন্যতার কারণেই মূলত এই সমস্যায় পড়েন অনেকে। পেটে অসস্তিকর অনুভূতি, মাথা ঘোরানো, কানে ভোঁ ভোঁ করতে থাকা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। আজকে জেনে নিন এই মোশন সিকনেস থেকে বাঁচতে অর্থাৎ বাস বা ট্রেন ধরণের বাহনে উঠলে বমিভাব দূর করার খুবই সাধারণ কিন্তু কার্যকরী উপায়গুলো।
১) বাহনে উঠার আগে কি খাওয়া উচিত এবং উচিত নয় সেদিকে নজর দিন। অতিরিক্ত সফট ড্রিংকস, ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার একেবারেই খাবেন না। যারা এই সমস্যায় ভোগেন তারা প্রয়োজনে কিছু না খেয়েই বাহনে উঠুন। অনেক দূরের পথ হলে হালকা শুকনো কিছু খেয়ে নিন।
২) অতিরিক্ত ঘ্রাণ বা সুগন্ধযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বাহন চলাকালীন সময়ে কিছু খেতে চাইলে শুকনো চিপস ধরণের খাবার অল্প পরিমাণে খাবেন। পানি পান করবেন।
৩) বাহন যেদিক মুখ করে সামনে এগুচ্ছে তার উলটো দিকে কখনোই বসবেন না। এতে উলটো মোশনের কারণে বমিভাব প্রবল হয়। বাহন যেদিকে এগুচ্ছেন সেদিক মুখ করে বসুন।
৪) বাসে বসার ক্ষেত্রে পেছনের দিকের সিটে বসার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। পেছনের দিকে ঝাঁকুনি বেশী লাগে যা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৫) যতোটা সম্ভব চলার পথের সমতলে নজর রাখুন। বাইরের দৃশ্য দেখায় মনোযোগ দিন। নিচের দিকে বা উপরের দিকে তাকিয়ে বসে থাকলেও বমিভাব ও অস্বস্তি হয়।
৬) যাদের মোশন সিকনেস রয়েছে তারা বাহনে উঠে চলার সময় কোনো বই পড়া বা মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে কিছু দেখার চেষ্টা করবেন না। এতে আরও অস্বস্তি হতে থাকবে।
৭) বদ্ধ স্থানে আরও বেশী সমস্যা হয়। তাই বাস বা ট্রেনে উঠলে জানালার পাশে বসে তাজা বাতাস গ্রহন করতে পারলে এই বমিভাব আপনা থেকেই কেটে যায়। বিমানের জন্য বা বড় ফিক্সড জানালার এসি বাসের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়।
৮) ঘুমিয়ে পড়া হচ্ছে সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ। ঘুমিয়ে পড়তে পারেন এই অস্বস্তিকর অনুভূতি থেকে বাঁচতে। ভালো কাজে দেবে।
৯) বমিভাব দূর করার জন্য বাহনে উঠার আগেই এই জাতীয় ঔষধ খেয়ে নিতে পারেন। যদি আপনার খুব অল্প দূরত্বের জন্য এবং ঘন ঘন এই সমস্যা হতে থাকে তাহলে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাবেন।
Share:

ব্রেট লি-র নতুন প্রেমিকা বাঙালি তানিশা চ্যাটার্জি!

ব্রেট লি-র নতুন প্রেমিকা বাঙালি তানিশা চ্যাটার্জি!
ওয়েব ডেস্ক: সিডনি সমুদ্র সৈকত্যে বলিউড অভিনেত্রী তানিশা চ্যাটার্জির সঙ্গে প্রেমে মত্ত  ব্রেট লি। এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে সিডনির এক ওয়েবসাইটে। যদিও শ্যুটিংয়ের কাজে একসঙ্গে ফোটো তুলেছেন লি-তানিশা।  তবে অনেকেই বলছেন, প্রাক্তন এই অসি পেসারের মন এখন তানিশায় মেতেছে। যদিও খবরটা গুজবের স্তরেই রয়েছে।
'আনইন্ডিয়ান' নামের সিনেমায় লি-তানিশা বেশ কয়েকটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করবেন। ঘনিষ্ঠ দৃশ্যগুলোর জন্য ব্রেট লি-তানিশাকে বলা হয়েছে একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাতে।
অসি প্রাক্তন পেসার অভিনয় করবেন 'আন ইন্ডিয়ান' নামের একটি সিনেমায়। সহঅভিনেত্রী হিসেবে ছবিতে আছেন বাঙালি তানিশা মুখার্জি। সিডনিতে শুরু হয়েছে শুটিংয়ের কাজ। এখানে তানিশা অভিনয় করবেন মিরা নামে এক সিঙ্গল মাদারের চরিত্রে। সিনেমার গল্পে তানিশা-ব্রেট লি বেশ কয়েকটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্য আছে। দৃশ্যগুলো ক্যামেরায় নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছেন পরিচালক অনুপম শর্মা।
 লি-এর সঙ্গে সময় কাটানোর বিষয়ে বলতে গিয়ে তানিশা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জানিয়েছেন, 'এটা আমার জন্য সারপ্রাইজ। সিনেমাটা করতে আমি উন্মুখ হয়ে আছি। চিত্রনাট্য আমার দারুণ পছন্দ হয়েছে।'
২০০৬ সালে তানিশাকে টলিউড সিনেমা বিবর-এ একটি সাহসি চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল।
Share:

মুসলিমদের জন্য ‘হালাল পতিতালয়’! (ভিডিও)

মুসলিম খদ্দেরদের জন্য ধর্মীয় অনুশাসনের সীমার মধ্যে থেকে পতিতালয় চালু হয়েছে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে, মালিকপক্ষ যাকে ‘হালাল’ যৌনালয় বলে দাবি করছেন।
দেশটির রেড লাইট এলাকায় ‘হট ক্রিসেন্ট’ নামের বারটি সম্প্রতি চালু হয়েছে। হালালভাবে যৌনবৃত্তি চরিতার্থ করার উপায় খুঁজে বের করতে তিনজন আধুনিক মনস্ক ইমামের (ধর্মীয় নেতা) পরামর্শ নিয়েছেন বারের মালিক জনাথন সুইক।

পরামর্শ অনুযায়ী, সেখানকার পতিতাদেরকে মাদক সেবনে বাধ্য করা হবে না। ইসলামের নিয়মানুযায়ী দিনে পাঁচবার নামাজও পড়বে তারা। আর খদ্দেরদেরকেও তাদের সঙ্গে ইসলামসম্মত ভাবেই যৌনসম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।
কিন্তু বিয়ে ছাড়া নারী-পুরুষের যৌন সংসর্গ ইসলাম সম্মত হবে কিভাবে? ইমামের সঙ্গে পরামর্শ করে এরও একটা সমাধান বের করেছেন হোটেল ব্যবসায়ী জনাথন।
ইসলামের শিয়া সম্প্রদায়ের মাঝে প্রাপ্তবয়স্ক যুগলের প্রণোদনার জন্য ‘মুতা বিয়ে’ নামের একধরনের অস্থায়ী বিয়ে প্রচলিত আছে। শিয়া সমাজে ওই ধরনের চুক্তি ভিত্তিক বিয়ে স্বীকৃত এবং ধর্মীয় আইনসিদ্ধ। হোটেলে যৌনসঙ্গী সরবরাহের ক্ষেত্রে মুতা বিয়ের (বিনোদনের জন্য বিয়ে) ওই নিয়মই অনুসরণ করা হচ্ছে।
‘মুতা বিয়ে’র ক্ষেত্রে যুগলজীবনের সময়সীমা বিয়ের আগেই ঠিক করা হয় এবং সময় পার হওয়ার পর আপনা থেকেই বিয়ের সমাপ্তি ঘটে। তবে ইচ্ছানুযায়ী পুনরায় বিয়ে করা যায় এবং অর্থ প্রদানের বিষয়টিও ঘটতে পারে, যেমনটি একজন স্বামী তার স্ত্রীকে দিয়ে থাকেন।
হট ক্রিসেন্ট বারের হালাল পতিতাদেরকে প্রতি দুই মাস পর পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়, যাতে করে গ্রাহকরা যৌনসংসর্গের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে না এবং কেউ অপরাধবোধেও ভুগবে না বলেই প্রত্যাশা হোটেল মালিকের।
ভিডিও টি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
pros video


Share:

নিয়মিত যৌনমিলন মহিলাদের সন্তানধারণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে -

 নিয়মিত যৌনমিলন সন্তানলাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। তথাকথিত 'নন ফার্টাইল' পিরিয়ডেও যৌন মিলন লাভজনক। যৌনমিলনের ফলে শরীরে বিবিধ পরিবর্তন হয়। নতুন এক গবেষণা বলছে নিয়মিত যৌনমিলন মহিলাদের সন্তানসম্ভাবা হওয়ার পথ মসৃণ করে তোলে। সন্তানপ্রার্থী যুগলদের ডাক্তাররা তাই নিয়মিত যৌনমিলনের পরামর্শ দিচ্ছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজ এমন খবর প্রকাশ করেছে।
''গর্ভবতী হওয়ার জন্য মহিলাদের প্রয়োজন সঙ্গীর সঙ্গে নিয়মিত যৌনমিলন। এমনকি তথাকথিত 'নন ফার্টাইল পিরিয়ড'-য় যৌনমিলন আবশ্যিক। যদিও কীভাবে এটি কাজ করে তা এখনও পরিস্কার নয়।'' জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক টিয়েরনি লরেন্স।
তিনি জানিয়েছেন ''যৌনমিলন গর্ভধারণের জন্য মহিলাদের শরীরের অন্যক্রমতা বৃদ্ধি করে। এই ধরণের গবেষণা এই প্রথম।'' ফার্টাইল পিরিয়ড ছাড়াও অন্য সময়ের যৌন মিলন কীভাবে ফার্টিলিটি বৃদ্ধি করে সেই পুরোনো ধাঁধার নয়া উত্তর এই গবেষণা। মন্তব্য লরেন্সের। মেন্ট্রুয়াল সাইকেল (মাসিক চক্র) চলাকালীন ৩০ জন সুস্থ মহিলার কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন গবেষকরা। এদের মধ্যে অর্ধেক নিয়মিত যৌন মিলন করেন। বাকি অর্ধেকের যৌন জীবন অনিয়মিত।
এই গবেষণার ফলাফল সংক্রান্ত দুটি পত্র ফার্টিলিটি অ্যান্ড স্টেরিলিটি ও ফিজিওলজি অ্যান্ড বিহেভিয়ার নামক দুটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম গবেষণা পত্রটিতে লরেন্স ও তাঁর সংকর্মীরা দেখিয়েছেন যৌনভাবে সক্রিয় মহিলাদের হেল্পার টি সেলস ও সেই সমস্ত প্রোটিন যা টি সেল যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করে তার সংখ্যা বেশি। দ্বিতীয়টিতে তাঁরা এই দুই গ্রুপের মধ্যে অ্যান্টিবডি সংখ্যার পার্থকি চিহ্নিত করেছেন।
হেল্পার টি সেল শরীরের অন্যক্রমতা বাড়িয়ে তোলে। সেই সমস্ত কোষকে সক্রিয় করে তোলে যারা, বাইরে থেকে শরীর প্রবেশ করা অবাঞ্চিত মাইক্রোবসকে ধ্বংস করে।
লরেন্সের দাবি তাঁদের গবেষণা প্রমাণ করেছে নিয়মিত যৌনমিলনের মত সামাজিক ব্যবহার শরীরের ইম্যুনসিস্টেমকে অনেক বেশি কার্যকরী করে তোলে। যে মহিলারা নিয়মিত যৌনমিলনে লিপ্ত থাকেন সন্তান ধারণের জন্য তাঁদের ইম্যুনসিস্টেম অনেক বেশি সক্রিয় ও কার্যকরী হয়।
-
নিয়মিত যৌনমিলন মহিলাদের সন্তানধারণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
নিয়মিত যৌনমিলন সন্তানলাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। তথাকথিত 'নন ফার্টাইল' পিরিয়ডেও যৌন মিলন লাভজনক। যৌনমিলনের ফলে শরীরে বিবিধ পরিবর্তন হয়। নতুন এক গবেষণা বলছে নিয়মিত যৌনমিলন মহিলাদের সন্তানসম্ভাবা হওয়ার পথ মসৃণ করে তোলে। সন্তানপ্রার্থী যুগলদের ডাক্তাররা তাই নিয়মিত যৌনমিলনের পরামর্শ দিচ্ছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজ এমন খবর প্রকাশ করেছে।
''গর্ভবতী হওয়ার জন্য মহিলাদের প্রয়োজন সঙ্গীর সঙ্গে নিয়মিত যৌনমিলন। এমনকি তথাকথিত 'নন ফার্টাইল পিরিয়ড'-য় যৌনমিলন আবশ্যিক। যদিও কীভাবে এটি কাজ করে তা এখনও পরিস্কার নয়।'' জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক টিয়েরনি লরেন্স।
তিনি জানিয়েছেন ''যৌনমিলন গর্ভধারণের জন্য মহিলাদের শরীরের অন্যক্রমতা বৃদ্ধি করে। এই ধরণের গবেষণা এই প্রথম।'' ফার্টাইল পিরিয়ড ছাড়াও অন্য সময়ের যৌন মিলন কীভাবে ফার্টিলিটি বৃদ্ধি করে সেই পুরোনো ধাঁধার নয়া উত্তর এই গবেষণা। মন্তব্য লরেন্সের। মেন্ট্রুয়াল সাইকেল (মাসিক চক্র) চলাকালীন ৩০ জন সুস্থ মহিলার কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন গবেষকরা। এদের মধ্যে অর্ধেক নিয়মিত যৌন মিলন করেন। বাকি অর্ধেকের যৌন জীবন অনিয়মিত।
এই গবেষণার ফলাফল সংক্রান্ত দুটি পত্র ফার্টিলিটি অ্যান্ড স্টেরিলিটি ও ফিজিওলজি অ্যান্ড বিহেভিয়ার নামক দুটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম গবেষণা পত্রটিতে লরেন্স ও তাঁর সংকর্মীরা দেখিয়েছেন যৌনভাবে সক্রিয় মহিলাদের হেল্পার টি সেলস ও সেই সমস্ত প্রোটিন যা টি সেল যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করে তার সংখ্যা বেশি। দ্বিতীয়টিতে তাঁরা এই দুই গ্রুপের মধ্যে অ্যান্টিবডি সংখ্যার পার্থকি চিহ্নিত করেছেন।
হেল্পার টি সেল শরীরের অন্যক্রমতা বাড়িয়ে তোলে। সেই সমস্ত কোষকে সক্রিয় করে তোলে যারা, বাইরে থেকে শরীর প্রবেশ করা অবাঞ্চিত মাইক্রোবসকে ধ্বংস করে।
লরেন্সের দাবি তাঁদের গবেষণা প্রমাণ করেছে নিয়মিত যৌনমিলনের মত সামাজিক ব্যবহার শরীরের ইম্যুনসিস্টেমকে অনেক বেশি কার্যকরী করে তোলে। যে মহিলারা নিয়মিত যৌনমিলনে লিপ্ত থাকেন সন্তান ধারণের জন্য তাঁদের ইম্যুনসিস্টেম অনেক বেশি সক্রিয় ও কার্যকরী হয়।
- See more at: http://www.bd24live.com/bangla/article/63941/index.html#sthash.nYasGblX.dpuf
Share:

কিশোরীর জরায়ুতে যেভাবে ছিলো দুটি সাপের বাচ্চা

download
নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী স্কুলে যাওয়ার পর একটু পরপর উসখুস করছিল। এক সময় সে অজ্ঞান হয়ে গেল। তারপর মারা গেল। পোস্টমর্টেম করার পর কিশোরীর জরায়ুতে দুটি সাপের বাচ্চা পাওয়া যায়।

ঘটনাটি ঘটে ২০০৯ সালে। যশোরের ঝিকরগাছার ওই কিশোরীর মাসিক হয়েছিল। সে মাসিকের পুরোনো কাপড় শুকাতে দিয়েছিল কোনো স্যাঁতসেঁতে জায়গায়। সেখান থেকেই হয়তো সাপের বাচ্চা দুটো কাপড়ে লাগে। কিন্তু স্কুলে গিয়ে অস্বস্তি হলেও কাউকে বলতে পারেনি সে কথা। আজ ‘কিশোরী শক্তি ও সক্ষমতা: রূপকল্প ২০৩০’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে কিশোরীর এ ঘটনাটি বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্কুল হেলথ প্রোগ্রামের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার চিকিৎসক শফিউর রহমান।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি তিন থেকে চার মাস আগে মেহেরপুরের ঘটনা উল্লেখ করে জানালেন, এক মেয়ের মাসিকের কাপড়ের মধ্যে জোঁক পাওয়া যায়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হলেও মেয়েটি বেঁচে যায়।
Share:

মৃত্যুর পর ৭ দিনে মৃতদেহে যা ঘটে...


মৃত্যুর পর ৭ দিনে মৃতদেহে যা ঘটে... যার জন্ম আছে তার মৃত্যুও নিশ্চিত। কিন্তু মৃত্যুর পর মানুষের কী হয়? মানুষ কোথায় যায়? পরকাল কেমন হবে? এমন হাজার প্রশ্ন সবার মনে ঘুরপাক করে। মৃত্যুর পর থেকে মৃতদেহের পচন ধরার পূর্ব পর্যন্ত শারীরিক কী কী পরিবর্তন হয় বা কোন প্রক্রিয়ায় মৃতদেহে পচন শুরু হয়, তা জানার আগ্রহ অনেকেরই থেকে থাকে। সেই জানার আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়েই পাঠকদের জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণালব্ধ কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।
চিকিৎসা বিজ্ঞারীরা বলেন, মৃত ঘোষণার অর্থ এই নয় যে, দেহের প্রতিটি কোষের মৃত্যু হয়েছে। হৃদযন্ত্র শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া বন্ধ করলে, কোষগুলো অক্সিজেন পায় না। অক্সিজেন পাওয়া বন্ধ হলে পেশিগুলো শিথিল হতে শুরু করে। পাশাপাশি অন্ত্র এবং মূত্রথলি খালি হতে শুরু হয়।
দেহের মৃত্যু ঘটলেও, অন্ত্র, ত্বক বা অন্য কোনো অংশে বসবাসকারী ১০০ ট্রিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া তখনও জীবিত থাকে। মৃত্যুর পর দেহের অভ্যন্তরে যা কিছু ঘটে, সে সব কিছুর পেছনে কাজ করে এই ১০০ ট্রিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া।
মৃত্যুর পর সর্বপ্রথম দেহের যে পরিবর্তন আসে হলো, প্রথমে অ্যালগর মরটিস (মৃতদেহের তাপমাত্রা) ঘরের তাপমাত্রায় না-আসা পর্যন্ত দেহের তাপমাত্রা প্রতি ঘণ্টায় ১.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট করে কমতে থাকে। লিভোর মরটিস বা লিভিডিটি- এ ক্ষেত্রে দেহের নিচের দিকে রক্ত এবং তরল পদার্থ জমা হয়।
মৃতদেহের ত্বকের আসল রঙ ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে গাঢ় বেগুনি-নীল রঙ ধারন করে।
রিগর মরটিস- এ ক্ষেত্রে দেহ থেকে অত্যধিক ক্যালসিয়াম ক্ষরণের ফলে পেশিগুলো শক্ত হয়ে যায়। ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত এই অবস্থা থাকে। এই সময় চোখ খোলা থাকতে পারে। বেশ কিছুক্ষণের জন্য মৃতের চোখ খোলাই থাকে।
এর পর দেহে পচন ধরতে শুরু করে। রক্ত চলাচল বন্ধ হলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের গঠন শুরু হয়, অম্লের মাত্রা বাড়তে থাকে। এর ফলে কোষগুলোতে ভাঙন ধরে। ২ থেকে ৩ দিনে দেহ পচতে থাকে।
পরিপাক নালীতে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং আণুবীক্ষণিক প্রাণীরা দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তলপেট সবুজ বর্ণ ধারণ করে এবং তাতে গ্যাস তৈরি হয়। তার চাপে শরীরের মলমূত্র নিষ্কাশিত হয়।
পিউট্রেসিন এবং ক্যাডাভেরিনের মতো জৈবিক যৌগ শিরা-উপশিরায় ছড়িয়ে পড়লে, দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। এই গন্ধই মৃতদেহের অন্যতম বৈশিষ্ট। নেক্রোসিস পদ্ধতিতে এর পর দেহের রঙ সবদিক থেকে কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করে।
মৃতদেহের দুর্গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে ভিড় জমায় উচ্ছিষ্ট-ভোগী পোকা-মাকড়। মৃতদেহকে খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এ তো গেল শুধু প্রথম সাতদিনের বৃত্তান্ত। এর পর ধীরে ধীরে প্রাণহীন মৃতদেহ ক্রমে মাংস-চামড়ার খোলস ত্যাগ করে পরিণত হয় হাড় সর্বস্ব কঙ্কালে।
-
Share:

দলে ধোনির জায়গা নিয়েই উঠল প্রশ্ন

ধোনির পারফরম্যান্স নিয়েও উঠল প্রশ্ন। ছবি: রয়টার্সনেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার প্রশ্ন উঠল দলে মহেন্দ্র সিং ধোনির জায়গা নিয়েই। প্রশ্নটা তুললেন অজিত আগারকার। নির্বাচকদের প্রতি সাবেক এই তারকার পরামর্শ, কেবল ধোনির নেতৃত্বই নয়; ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন।
দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ের কারণে যাঁর গায়ে লেগেছিল ‘ফিনিশার’ তকমা, তিনিই যেন এখন ‘ফিনিশে’র পথে! ধোনি উইকেট আছেন, অথচ দল হারছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও পরাজয়ের স্বাদ। সর্বশেষ কবে প্রতিকূল পরিস্থিতে বুক চিতিয়ে লড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন ধোনি, মনে করা কঠিনই।
ভারতীয় দলের ধোনির অবদান অনেক। খেলোয়াড় হিসেবেও তিনি অনেক বড়। সেটি স্বীকার করেই আগারকার বললেন, ‘ভারতীয় দলে সে অসাধারণ এক খেলোয়াড়। তবে সে দলের বোঝা হয়ে যাক, সেটিও নিশ্চয় চাইবেন না। এ কারণে তাঁকে এখনকার চেয়ে আরও ভালো পারফর্ম করা প্রয়োজন। বছরের পর বছর খেলছে বলে এই নয়, ব্যর্থ হওয়ার পরও তাঁর জন্য সব ঠিক থাকবে।’
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবছেন ধোনিও। ব্যাটিং অর্ডারে সাধারণত ছয়ে নেমে থাকেন ভারত অধিনায়ক। ওই সময় হাতে বল থাকে না পর্যাপ্ত। যেদিন বল থাকে, দেখা যায় দল ঘোরতর বিপর্যয়ে। এ কারণে ওপরে ব্যাটিংয়ের চিন্তা-ভাবনা ধোনির। আগারকার অবশ্য এ বিষয়ে একমত নন। সাবেক এ ভারতীয় পেসার বললেন, ‘তাকে চারে নামতে হবে, এ ব্যাপারে একমত নই। একটা বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে। এখন দলকে পরের বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করতে হবে। চার বছর দীর্ঘ সময়। কিন্তু ধোনির ক্যারিয়ার শেষের দিকে। এ সময়ে কেন সে ওপরে যেতে চায়, নিশ্চিত নই।’
এরই মধ্যে ভারতীয় টেস্ট দলের নেতৃত্বে বদল এসেছে। আগারকার মনে করেন, এবার বিরাট কোহলির হাতে তুলে দেওয়া যেতে পারে সীমিত ওভারের নেতৃত্বও, ‘ভারতীয় দলের নেতা কে হবে, সেদিকে নজর দেওয়ার সময় এসেছে নির্বাচকদের। কারণ, অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে ভালো করছে কোহলি। ফলে এই সিরিজের পর (ওয়ানডে) নির্বাচকদের একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।’
সর্বশেষ ছয় ওয়ানডেতেই অবশ্য তিনটি ফিফটি আছে ধোনির। অবশ্য এ বছর খেলা এর আগের ছয় ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই। সব মিলে ১২ ইনিংসে তিন ফিফটিসহ এ বছর ওয়ানডেতে তাঁর রান ৪২৮।
Share:

ইতালিয়ান নাগরিক হত্যার রহস্য উৎঘাটন

ড
সারাদেশে বিদেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে তোলপাড় শুরু হয়েছে অবশেষে তার অবসান হতে যাচ্ছে।
বিদেশি নাগরিক হত্যার অংশ হিসেবে গুলশানে তাবেলা সিজার হত্যায় অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।হত্যাকাণ্ডের পর ওই এলাকার বেশ কয়েকটি স্থানে সিসি ক্যামেরার ফুটেক বিশ্লেষণ ও খুনিদের ফোনালাপ যাচাই বাছাই করে সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া কয়েক জনকে শনাক্ত করেছেন মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়াদের শনাক্তের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। ওই কর্মকর্তাদের দাবি, যারা ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের শনাক্ত করে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যে কোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা হবে। তবে জঙ্গি সংগঠন ‘আইএস’ হত্যার দায় স্বীকার করলেও তদন্তে নেমে এর কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি ।
অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তাগণমাধ্যমকে বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের পর আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস দায় স্বীকার করলেও তদন্তে এমন কোনো কিছুর প্রমাণ এখনো আমরা পাইনি।
তিনি আরও বলেন,তাবেলা সিজারের কিলিং মিশনে যারা সরাসরি জড়িত ছিলো তাদের বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা পুলিশের নজরদারির মধ্যে রয়েছে।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাহবুবুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, বেশ কিছু বিষয় সামনে রেখে আমরা মামলার তদন্ত শুরু করি। এ হত্যাকাণ্ডের মামলার তদন্তে বেশ অগ্রগতিও হয়েছে। খুব শীগ্রই প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার তামান্না সাগর বলেন,বিদেশি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সরকার বিএনপি জামায়াতের যে সকল নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছেন তা কেবল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি আরও বলেন,ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত না করে আসলে কাউকেওদোষি করা উচিত নয়।আমি বলবো বিদেশি হত্যার ঘটনাকে সুষ্ঠ তদন্ত মাধ্যমে প্রকৃত খুনিকে গ্রেপ্তার করে তার উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে । খুনি যে দলের হোক না কেন তার উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে।
Share:

দাদী না ডাইনি?

2015_10_10_21_09_07_ijVQ6Hqmkyc2m9CuBgcEV01TUvIc4G_originalবাবা আদর করে নাম দিয়েছিলেন ছোঁয়া। দেড় মাসের ছোঁয়াকে রেখে দুমাস আগে তাকে চলে যেতে হয় বিদেশে। পরম মমতায় আর চরম নির্ভরতায় স্ত্রী কন্যাকে রেখে গিয়েছিলেন স্বজনদের কাছে। আদর আর ভালোবাসার ছোঁয়ায় থাকার কথা ছিল ছো্ট্ট শিশু ছোঁয়ার। কিন্তু না, আপনজনের মমতা আর আদরের পরিবর্তে নির্মম পৈশাচিকতার শিকার হয়েছে শিশুটি। এখন শিশুটির ঠিকানা হয়েছে হাসপাতালে।
সাড়ে তিনমাস বয়সী ছোঁয়াকে গরম খুন্তি দিয়ে ছেঁকা দেয়া হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। আর পাশবিক এ ঘটনা ঘটিয়েছেন শিশুটির আপন দাদী।
তিনদিন আগে এ পৈশাচিক এ ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুর সদর উপজেলার ভৈরমপুর গ্রামে। শিশু ছোঁয়ার বাবা শফিক খান পিরোজপুর সদর উপজেলার ভৈরমপুর গ্রামের বাসিন্দা। পাঁচবছর দেশের বাইরে বাহরাইন থাকার পরে তিনি দেড় বছর আগে বাড়ি আসেন বিয়ে করতে।
স্থানীয় সূত্রমতে, বছর দেড়েক আগে বাহরাইন থেকে দেশে ফিরে শফিক খান পাশের পান্তডুবি গ্রামের হাসি আকতারকে বিয়ে করেন। মাস দুয়েক আগে স্ত্রী ও কন্যাকে রেখে ফের বিদেশে চলে যান। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় হাসির ওপর চলতে থাকে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতন।
এক পর্যায়ে গত বুধবার গরম খুন্তি দিয়ে শিশু কন্যা ছোঁয়ার ডান পায়ের ঊরুতে ছ্যাঁকা দেন শিশুর আপন দাদী মুরফিয়া। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধ ও বৃহস্পতিবার চিকিৎসা শেষে ছোঁয়াকে তার নানা বাড়ি নেবা হয়। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার বিকেলে আবারো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিশুর মা হাসি জানান, বিয়ের পর শফিক বাহরাইনের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেছিল। এজন্য তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে দায়ী করে। এ নিয়ে তার সাথে শ্বশুর বাড়ির লোকদের প্রায়ই মনোমালিন্য ও ঝগড়া হতো।
হাসি আরো জানান, বুধবার দুপুরে বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি ফেরার পরে শাশুড়ি তার কোল থেকে ছোঁয়াকে নিয়ে পাশের রান্নাঘরে যায়। একটি গরম খুন্তি দিয়ে ছোঁয়ার ডান পায়ের ঊরুতে ছ্যাঁকা দেন। বাধা দিতে গেলে একটি দা দিয়ে তাকে আঘাত করে।
পিরোজপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. ননী গোপাল জানান, শিশুটির ক্ষতটি অনেক বড় এবং সেরে উঠতে কয়েক দিন সময় লাগবে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এ ঘটনায় এক জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Share:

পরকীয়ায় জড়ান কেন গৃহবধূরা : গবেষণা

lady
অবৈধ প্রেমের বিষয়ে বিবাহিত মহিলারাও পুরুষদের চেয়ে পিছিয়ে নেই। গবেষণায় প্রমাণিত হলো এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্বামীর থেকে পূর্ণ যৌন তৃপ্তি না পেলেও তাঁরা মোটেও বিবাহবিচ্ছেদের পথ মাড়ান না। বরং পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে নিজের শারীরিক চাহিদা মিটিয়ে নিতে চান। বিবাহিত মধ্যবয়স্কা মহিলাদের শারীরিক ও মানসিক চাহিদা একটুই বেশিই হয় সে কথা মানছেন গবেষকরা। জীবনের মধ্যগগনে এসে প্রিয় পুরুষের কাছে ধরে রাখতে চান নিজের পূর্ণ আকর্ষণ। কিন্তু স্বামী যদি তাঁর দিকে মন না দেন, বা শয্যায় চাহিদা না পূরণ করতে পারেন তখনই পরকীয়ায় মজেন মহিলারা।

ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ উইনচেস্টারের পুরুষত্ব ও সেক্স স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক এরিক অ্যান্ডারসন জানাচ্ছেন, ‘বিয়ে করে পরিতৃপ্ত ও শয্যায় পূর্ণ তৃপ্তি পাওয়া দুটো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। তাঁর গবেষণা বলছে, ৩০-৪৫ বছরের মহিলারা আরও রোম্যান্টিক ও উত্তেজনাময় যৌন জীবনের জন্যই পরকীয়ায় জড়ান। অ্যান্ডারসন ৩০-৪৫ বছরের ১০০ জনেরও বেশি বিবাহিত মহিলাদের নিয়ে তাঁর গবেষণা চালিয়েছেন। অ্যাশলে ম্যাডিসন ডট কম নামে একটি পরকীয়া প্রেম-সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এই মহিলাদের কথোপকথন টেপ-বন্দি করা হয়েছিল। তার পরই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন গবেষকরা।
গবেষণায় ৬৫ শতাংশেরও বেশি মহিলা পরপুরুষে মজেছেন যৌন অতৃপ্তির কারণে। তাদের চাহিদা আরও উত্তেজনাময় ও আবেগমথিত সেক্স। পাশাপাশি তাঁরা এও স্বীকার করেছেন, তার জন্য নতুন বিয়ে করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। অ্যান্ডারসন বলছেন, বিয়ের কিছু বছর পর স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে যৌন সম্পর্ক ফিকে হতে শুরু করে। কিন্তু মহিলারা ফের বিয়ে করে এক্সপেরিমেন্ট করতে চান না। তাঁর দাবি, এই গবেষণার মূল নির্যাস কখনই বিবাহিত মহিলাদের অসম্মান করা নয়। বরং কি কারণে সম্পর্ক ভেঙে যায় তার একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়া।
Share:

এক কোটি প্রবাসী পাবে জাতীয় পরিচয়পত্র



বিশ্বের ১৫৭টি দেশে অবস্থানকারী এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার উদ্যোগ হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কমিশন সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে কমিশনের নিয়মিত সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মাহফুজা আক্তার স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালককে বিষয়টি পরবর্তী কমিশন বৈঠকে জরুরী ভিত্তিতে উপস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যপত্র উপস্থাপন ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, ইসি দীর্ঘ দিন ধরে প্রবাসে অবস্থিত বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সংগঠনের দাবির পর প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এছাড়া বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর অনুরোধে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
এদিকে এ সংক্রান্ত ফাইলটিতে ইসির উপ-সচিব মু. আবদুল ওদুদ লিখেছেন, শুধু আইন সংশোধন করেই বিদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের বিষয়টি নিষ্পন্ন করা যাবে না। বিদেশে এনআইডি ইস্যু করতে কী ধরনের সাপোর্ট লাগবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
এছাড়া তিনি এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জানা যায়, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স জাতীয় প্রবৃদ্ধির ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৫৩১ কোটি মার্কিন ডলার। এটি আমাদের জাতীয় বাজেটের প্রায় অর্ধেকের সমান।
নাগরিক হিসেবে প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখলেও জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় তাদের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক অধিকার ‘ভোটাধিকার’ প্রয়োগ করতে পারছেন না। পাশাপাশি দেশের নাগরিক সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন বিডি টুযেন্টিফোর লাইভকে বলেন, এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা আমার কছে এসেছে আমি সবকিছু প্রস্তুত করে আগামী কমিশন বৈঠকে উপস্থাপন করব। তাছাড়া আমি বিদেশে অবস্থান করা বাংলাদেশিদের ভোটার করে তাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার কথা আগেই বলেছিলাম।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে দেশের উচ্চ আদালত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার সংবিধান স্বীকৃত বলে ঘোষণা দিলেও দীর্ঘ ১৭ বছরে তাদের সে অধিকার বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে ‘অ্যাবসেন্টি ব্যালট সিস্টেম’ চালু আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া হংকং, থাইল্যান্ড, কনাডাসহ বিশ্বের প্রায় ৫০ দেশের নাগরিকরা স্ক্যানিং ভোটিং সিস্টেমের মাধ্যেমে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকেই ভোট দিতে পারেন। বাংলাদেশি প্রবাসীরা ভোটার হলে স্ক্যানিং ভোটিং সিস্টেম পদ্ধতি শুরু করা সম্ভব।

Share:

প্রতিরাতে এই ৩ কাজ করে পান নিখুঁত স্নিগ্ধ ত্বক

news_picture_25278_skin-care
নিখুঁত স্নিগ্ধ ত্বক সকলেরই কাম্য। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়া, অযত্ন-অবহেলার কারণে অনেকের কাছে নিখুঁত সুন্দর ত্বক একধরণের স্বপ্নের মতোই মনে হয়। কিন্তু বেশ সহজেই ত্বকের যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জানতে চান রহস্য? তাহলে জেনে নিন স্কিন এক্সপার্ট হুমায়রা আফসারির পরামর্শে।
স্কিন এক্সপার্ট জানান, ‘প্রতিরাতে যদি সামান্য একটু যত্ন নেয়া হয় তাহলে খুব সহজেই ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখা সম্ভব। একটু সচেতনতাই ব্রণ, ত্বকের রুক্ষতা এবং অন্যান্য নানা সমস্যা দূরে রাখতে পারে। আমরা অনেক সময়ই অনেককে ত্বকের সমস্যার কারণে খুব সহজ ৩টি পরামর্শ দিয়ে থাকি এবং তাদের সকলেই এ কাজগুলো করে অনেক উপকৃত হয়েছেন বলেছেন’।
১) ত্বক পরিষ্কার করুন
রাতে বাসায় ফিরে অবশ্যই ত্বক পরিষ্কার করে নেবেন। স্কিন এক্সপার্ট হুমায়রা জানান, ত্বকের নানা সমস্যার মূল কারণ হচ্ছে অপরিষ্কার ত্বক। ত্বক যতো অপরিষ্কার থাকবে ততো সমস্যা বাড়তে থাকবে। তাই প্রতি রাতে বাসায় ফিরে অবশ্যই ভালো করে ত্বক পরিষ্কার করে নেবেন। প্রথমেই ভালো কোনো ফেসওয়াস দিয়ে ত্বক ধুয়ে নিয়ে ত্বক স্ক্রাব করে উপরের ময়লা দূর করে নিন। এরপর একটি সাধারণ বা প্রাকৃতিক কোনো টোনার দিয়ে ত্বক আরও ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। কাঁচা দুধ খুব ভালো টোনার হিসেবে কাজ করে। দুধ লাগিয়ে ৫ মিনিট রেখে ত্বক ধুয়ে ফেললেই চলবে, বলে জানান হুমায়রা।
২) ফেস প্যাক
ফেস প্যাক মানে ভারী কোনো ফেস প্যাক নয়। প্রতিদিন রাতে ব্যবহারের জন্য দুধ মধুর হালকা ফেস প্যাকই যথেষ্ট। এতে ত্বকের কোমলতা ফিরে আসে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতাও বজায় থাকে। যাদের ত্বক রুক্ষ তারা দুধ ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন, যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা লেবুর রস ও মধু ব্যবহার করতে পারেন আর যারা একটু উজ্জ্বলতা চান তারা হলুদ গুঁড়ো ও দুধ ব্যবহার করে প্যাক তৈরি করতে পারেন। মাত্র ২০ মিনিট ব্যবহার করেই ধুয়ে ফেললে ত্বকের যত্ন নেয়া শেষ।
৩) সঠিক খাবার
রাতের খাবারের কারণে অনেক সময় ত্বকের সমস্যা দেখা যায় বলে জানান হুমায়রা। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘রাতের ভারী খাবার হজম না হওয়ার কারণে অনেকেরই ব্রণ সমস্যা দেখা দেয়’। তাই রাতে হালকা খাবার খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। সেই সাথে পান করা উচিত অন্তত ২ গ্লাস পানি।
Share:

আত্মীয়ের অবৈধ সম্পর্কের কথা জানলে কী করা উচিৎ?


দুলাভাই যদি বউ এর আপন ছোট বোনের সাথে প্রেম করে আর বোনকে তালাক দিয়ে সেই প্রেম চালিয়ে যায় এটি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কতটুকু জায়েজ? কোন আত্মীয়ের মাঝে এমন সম্পর্ক চলছে জানার পর কি করা উচিৎ?
প্রশ্নটি আমাদের ফেসবুক পেজে করেছেন : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন তরুণ
চাইলে আপনিও নিজের মনের যে কোন প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের আনসার সাইটে। প্রশ্ন করতে ও উত্তর জানতে ক্লিক করুন- http://answers.priyo.com/aq আর নিজের নাম গোপন রাখতে চাইলে প্রশ্ন পাঠাতে পারেন পেজের ইনবক্সে, সাথে লিখে দেবেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। আমাদের ফেসবুক পেজ লিঙ্ক- https://www.facebook.com/priyo.answers?fref=ts এছাড়াও নিজের ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে সরাসরি লগইন করতে পারেন আমাদের সাইটে।
স্বাস্থ্য হোক বা সৌন্দর্য, খেলা হোক বা সিনেমা, দাম্পত্য হোক বা প্রেম, অফিসের সমস্যা হোক বা আইনি, বিজ্ঞান হোক বা রাজনীতি, স্কুল কলেজ হোক বা সামাজিক/পারিবারিক কোন সমস্যা... যে কোন সমস্যা লিখে জানান আমাদের। আপনার হয়ে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করবো আমরা। সুন্দর প্রশ্ন করে প্রতিদিন জিতে নিতে পারেন ৫০ টাকার মোবাইল ব্যালান্স!
-
Share:

যেভাবে বদলে গেলেন সেই মাহি



1বাণিজ্যিক ছবি দিয়েই পর্দায় আগমন আলোচিত মাহিয়া মাহির। সেসব ছবিতে বেশ খোলামেলাভাবেই তাকে পাওয়া গিয়েছে এতদিন। তবে এবার এ নায়িকাকে দেখা যাবে একেবারেই ভিন্ন ভাবে।
অর্থাৎ সেই আগের মাহিয়া মাহি এখন আর নেই। তিনি বদলে গেছেন একেবারেই। এখন আর তিনি ‘ম্যাজিক মামনি’ গানের তালে তালে স্বল্প বসনার নায়িকা নন। প্রয়াত কথাসাহিত্যক হুমায়ূন আহমেদের ‘অরু’ তিনি।

নন্দিত এ কথাসাহিত্যিকের উপন্যাস নিয়ে নির্মাণ হচ্ছে ‘কৃষ্ণপক্ষ’। আর সেটি নির্মাণ করছেন তারই স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। ছবিটিতে অভিনয় করার কারণেই মাহিকে অনেকটা বদলে যেতে হয়েছে। যাকে পাঁচমাস আগেও দেখা গেছে নাচে গান আর অ্যাকশনে ভরপুর ছবিগুলোতে অভিনয় করতে।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কৃষ্ণপক্ষ’ উপন্যাসের ‘অরু’ চরিত্রটি রূপ দিতে গিয়ে মাহিকে পরতে হয়েছে সুতির শাড়ি ও ঠোঁটে দিতে হয়েছে হালকা লিপস্টিক। কিছুদিন আগেও চলচ্চিত্র অঙ্গনে তার থাকা না থাকা নিয়ে অনেক খবর শোনা গেছে। কেউ কেউ বলেছেন মাহির ক্যারিয়ারের বিদায়ী ঘণ্টা বেজে উঠেছে। বড় পর্দায় তাকে আর দেখা যাবে না।
তবে এসব খবরে মোটেও বিচলিত ছিলেন না মাহি। কাউকে তোয়াক্কা না করে আপন গতিতে চলেছেন। আর সেই ফল পেয়েছেন হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস নিয়ে নির্মাণাধীন ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার মধ্য দিয়ে।
গত ৩রা অক্টোবর থেকে রাজধানীর উত্তরায় শুরু হয়েছে ‘কৃষ্ণপক্ষ’ চলচ্চিত্রের শুটিং কাজ। এর মাধ্যমে দীর্ঘ পাঁচ মাস পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন মাহিয়া মাহি। কিন্তু সচরাচর তাকে যেমন দেখে অভ্যস্ত, ঠিক তেমনটা নয়। নেই কোন মারমুখী আচরণ কিংবা পর্দা কাঁপানো সংলাপ। অবশ্য ছবির চরিত্রের কারণেই মাহিকে এমন উচ্ছ্বাসহীন হতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাহি অভিনীত সর্বশেষ ছবি ছিল জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ‘অগ্নি-২’। বাংলাদেশ ও কলকাতার যৌথ প্রযোজনার এ ছবিতে তার বিপরীতে কলকাতার নায়ক ওম অভিনয় করেছেন। জাজের সঙ্গে এটাই ছিল মাহির শেষ ছবি।
Share:

সিরিয়ায় রুশ মিগ-২৯ ভূপাতিত!



MiG_29K_at_bg_616839613
তুরস্কের বিমান বাহিনী রুশ যুদ্ধবিমান মিগ-২৯ ভূপাতিত করেছে বলে খবর ছড়িয়েছে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের হুরিয়াতান এলাকার আকাশে বিস্ফোরণ ও তিনটি তুর্কি যুদ্ধবিমানের চক্কর দেওয়ার ঘটনার পর টুইটারসহ বিকল্প মাধ্যমগুলোতে এ খবর ছড়ায়।

এ বিষয়ে শনিবার (১০ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার রাতে সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের কাছে হুরিয়াতান এলাকায় একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের পর আকাশে তুরস্কের তিনটি যুদ্ধবিমানকে চক্কর দিতে দেখা যায়।
স্থানীয় এক সাংবাদিক এ বিষয়ে টুইট করেন, রাতে হুরিয়াতানে রাশিয়ার মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান তুরস্কের সেখানকার সামরিক কার্যকারিতা ‘রহস্যজনকভাবে’ লক অন (এমন প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে প্রতিপক্ষের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ সামরিক সরঞ্জাম তাৎক্ষণিকভাবে অকার্যকর হয়ে যায়) করে দিলে তার জবাব দিতে থাকে দেশটির যুদ্ধবিমান। তারপরই এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এদিকে, ‘ওয়ার মনিটর’ নিউজ পোর্টালের খবরে বলা হয়, তুরস্ক সীমান্তের ৩০ কিলোমিটার দূরে আলেপ্পোর আকাশে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর ছড়িয়েছে। তবে, এটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা কিনা সে বিষয়ে কিছু নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ওয়ার মনিটর জানায়, আঙ্কারা বা মস্কো কোনো পক্ষই এ বিষয়ে কিছু না বললেও এতে সংঘাত আরও উস্কে যেতে পারে। যদি ঘটনা সত্য হয়, তবে রাশিয়া ন্যাটো জোটের সদস্য তুরস্কের ওপর প্রতিশোধমূলক কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে। এতে ন্যাটোও রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হতে পারে।
গত সপ্তাহে রুশ যুদ্ধবিমান দু’দফায় তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘন করলে ‍আঙ্কারায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়াভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেই রুশ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার খবর ছড়ালো।
Share:

তাসকিনের ‘ডিসকো ড্যান্স’-এর মুগ্ধ দর্শক বিজয়-সৌম্য!


ছবি: ওয়েডিং ডায়রি বাংলাদেশ
গত, ২৫ সেপ্টেম্বর নিজেদের বিবাহীত জীবনের দ্বিতীয় বর্ষে পা রেখেছেন মুশফিকুর রহিম। এর ঠিক এক সপ্তাহ বাদে টেস্ট দলের অধিনায়ক ও তার স্ত্রী জান্নাতুল কেফায়াত মণ্ডির নিমন্ত্রনে হাজির হয়েছিলেন এক ঝাঁক ক্রিকেটার।
তাসকিন-১
আর সেখানেই ভিন্নরূপে দেখা গেল তিন ক্রিকেটারকে। তারা হলেন পেসার তাসকিন আহমেদ, ও দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও এনামুল হক বিজয়কে। মঞ্চে উঠে রীতিমত ‘ডিসকো ড্যান্স’ করে দেখালেন তাসকিন।
তাসকিন-২
প্রথমে, সেই নাচ মুগ্ধ দর্শকের মত দেখছিলেন সৌম্য ও বিজয়। পরে তারাও সামিল হন তাসকিনের নাচে।
তাসকিন-৩
জানিয়ে রাখা ভাল, মুশফিকের সঙ্গে মণ্ডির পরিচয় গত ২০১৩ সালের শুরুতে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে। পরিচয় থেকে টুকটাক কথা, এরপর হৃদয়ের আদান-প্রদান; অত:পর সম্পর্কের শুভ পরিণতি। 
তাসকিন-৫

-
Share:

এক যুবকের বাসর ঘরে দুই স্ত্রী!

এক যুবকের বাসর ঘরে দুই স্ত্রী!
তারিকুল ইসলাম,
সাভার প্রতিনিধি:
দ্বিতীয় বউ নিয়ে বাড়িতে এসে দেখেন বাসর ঘরে বসে আছে প্রথম স্ত্রী। অবস্থা বেগতিক দেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে স্বামী। তারপর দুই স্ত্রীই স্বামীর অধিকার দাবিতে অবস্থান নেয় বরের বাড়িতে। এভাবে গেল ছয়দিন। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ইনাম সাফুলি¬ গ্রামে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, শাহিনুর মিয়া নামে এক যুবকের সাথে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার দাতপাড়া গ্রামের মৃত: আব্দুল ছালামের কন্যা ছালমার (২৬) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের সম্পর্ক শাহিনের পরিবার মেনে না নিয়ে তার বিয়ে ঠিক করে ৩ অক্টোবর। অন্যদিকে শাহীন তার প্রেমিকা ছালমাকে গত ২ অক্টোবর কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ে করে।
কিন্তু বিষয়টি তার পরিবার মেনে না নেয়ায় নির্ধারিত তারিখ ৩ অক্টোবর শনিবার শাহিন তার পরিবার ও পাড়া-প্রতিবেশীকে সাথে নিয়ে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুরের রাথুরা গ্রামের আব্দুল আলীমের কন্যা রোনা আক্তারকে (১৮) বিয়ে করে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে পাকুটিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজী আবু বক্করের অফিসে ৪ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয় এ বিয়েতে।
ইতোমধ্যে শাহিনুর বিয়ে করছে এমন খবর জানতে পেরে মাত্র একদিন আগে বিয়ে করা স্ত্রী মির্জাপুরের আব্দুল ছালামের কন্যা ছালমা স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে শাহীনের বাড়িতে ওঠে। আর শাহিন নতুন স্ত্রীকে নিয়ে এসে দেখে বাসরঘরে বসে আছে তার প্রথম স্ত্রী ছালমা। ঘটনা জানাজানি হলে মুহূর্তেই গ্রামের মানুষ জড়ো হয় বিয়ে বাড়িতে।আনন্দ রূপ নেই বিষাদে। অবস্থা বেগতিক দেখে স্বামী শাহীনুর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুরো সাটুরিয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ দিকে শাহীনুর তার প্রেমিকা ছালমাকেই স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অনড় থাকায়, তার পরিবার প্রথম স্ত্রীকেই মেনে নেয়। তাই দ্বিতীয় স্ত্রী রোনা আক্তারকে দেন-মোহরের চার লাখ টাকা দিয়ে তালাক দিতে বুধবার সন্ধ্যায় গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশে পাকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, সাফুলি¬র স্থানীয় ইউপি সদস্য আমীর আলী, সাবেক ইউপি সদস্য পাত্তা মেম্বার, আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান দ্বিতীয় স্ত্রীর দেন মোহরের চার লাখ টাকা ফেরত দিয়ে তাকে তালাক দেয়ার রায় দেন।
দ্বিতীয় স্ত্রী রোনার ভগ্নিপতি উজ্জল হোসেন জানান, শাহীন ২ অক্টোবর ছালমাকে বিয়ের কথা গোপন রেখে পরদিন ৩ অক্টোবর আমার শালিকা রোনাকে বিয়ে করে তার নিজ বাড়িতে নেয়। এরপর আমরা জানতে পারি কার আরেক স্ত্রী বাসর ঘরে বসে আছে। পরে বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে রোনাকে ৪ লাখ টাকা দিয়ে তালাক করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে বৃহস্পতিবার সকালে তিন লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। বাকি এক লাখ টাকা স্থানীয় মাতবর ও আওয়ামী লীগ নেতারা ভাগবাটোয়ারা করেছে। ইনাম সাফুলি¬ গ্রামের পাত্তা মেম্বার ও ইউপি সদস্য আমীর আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রীর ৪ লাখ টাকা বৃহস্পতিবার সকালে রোনার পরিবারকে দিয়ে দিয়েছে। তবে ১ লাখ টাকা ভাগবাটোয়ারার কথা অস্বীকার করেন তারা।

এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল¬াহ সরকার জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে

Share:

বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে পুরুষকে ধর্ষণ?

1ইদানিং একটা কথা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে তা হল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ।সমাজের সব শ্রেণির মানুষ জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও উঠতি নায়িকা হতে শুরু করে গ্রামগঞ্জের স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের এমনকি সর্বস্তরে এর চল আছে…মিডিয়াও চালাচ্ছে কথাটা আর প্রশাসন পর্যন্ত মামলার এজাহারে লিখছে- বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের কথা!
বাস্তবতা হলো কোনো পুরুষ আজ পর্যন্ত তার প্রণয়িনীর বিরুদ্ধে এ মামলা ঠুকতে পারেনি বরং হয় নেশাখোর হয়েছে নয় আত্মহত্যা করেছে তাই বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে পুরুষকে ধর্ষণের ঘটনা চাপাই পরে থাকছে?
ভালোই চলছে নীতি নৈতিকতা কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে হলিউডি প্রেম চলছে পথে ঘাটে যা দেখা যায়- আর কিছু হলেই বেচারি অবলা মামলা ঠুকে দেয় ফাঁসে শালা কুলাঙ্গার পুরুষ বলি ফজা মিয়ার সঙ্গে তুমিও যে মজা মেরেছো একথা বেমালুম ভুলে গেলে?
আর যদি তা না হয় তাহলে একটা অবৈধ কাজ করলে কোন কারণে? অপরাধ দু’জনেরই সমান তাই এ জাতীয় মামলা হলে সংশ্লিষ্ট সবারই বিচার হওয়া দরকার বিচারটা একপাক্ষিক হয়ে যাচ্ছে এটার বিরুদ্ধে আর কেউ না বলুক আমি বলবো।
ভালো কথা যদি ধর্ম, নীতি, নৈতিকতার তোয়াক্কা না করো তাহলে দু’জনে মিলে যা খুশি করো অন্তত মজার সময় দু’জনে আর সাজার সময় একজন দোষী হবে একজন ভিকটিম অপরজন দোষী এটা আবার কেমন কথা?
কেউ যদি জোরপূর্বক কোনো নারীর সম্ভ্রমহানি ঘটায় তার উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিতমকিন্তু বন্ধুর বাসায় বা মেসে গিয়ে ধর্ষণ, বন্ধুর সঙ্গে পার্কে গিয়ে ধর্ষণ, হোটেলে গিয়ে ধর্ষণ এসব ফালতু ধর্ষণ কাহিনি নিয়ে যেন কেউ আইনের আশ্রয় না নিতে পারে।
আমরা সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবো; হোক সে পুরুষের দ্বারা বা নারীর দ্বারা কিংবা উভয়ের সম্মিলিত?একটা মেয়ের আত্মহত্যা বা বিপথে যাওয়ার কারণ যতটা জানা যায়, একটা ছেলের ক্ষেত্রে তা হয় না; ছেলে আত্মহত্যা বা নেশা করার পেছনে যদি কারো প্রতারণা থাকে সেই প্রতারকের কি বিচার আধুনিক সমাজে হবে না?
Share:

খুলল বিশ্বের প্রথম পর্ন বিশ্ববিদ্যালয়



43573-dekhi
বিশ্বের প্রথম পর্নগ্রাফিক বিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় খুলল ইটালিতে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘Italian Stallion’। বিশ্ববিদ্যালয়টি খুললেন ইটালির পোড়খাওয়া পর্ন অভিনেতা রোকো সিফরেডি। তিনিই জানালেন, মানুষকে পর্ন বিষয়ে শিক্ষিত করার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হল।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন বিশঅবের তাবড় তাবড় সব পর্নস্টাররা। মোট ২ সপ্তাহের কোর্স পড়ানো হবে। এই কোর্সে ভাল ফল করলে মিলবে পর্ন সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ। অন্তত হাজার জন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু পড়ার সুযোগ পেলেন মাত্র ২১ জন। তার মধ্যে ১৪ জন মহিলা। কোর্সে শেখানো হবে পর্ন সিনেমায় অভিনয়ের নানা খুঁটিনাটি বিষয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান বলছেন, এখানে শৃঙ্খলাকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হবে। আর প্রতিষ্ঠাতা বলছেন, ‘পর্ন হল দুনিয়ার সবচেয়ে আগ্রহের শব্দ। আমাদের লক্ষ্য সেই পর্ন বিষয়ে সবাইকে শিক্ষিত করে তোলা।’
Share:

স্বামীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিলেন স্ত্রী!(ভিডিও)

image_141288_0
বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামীকে সন্দেহ করতেন ওই সৌদি মহিলা। তাঁর অনুপস্থিতিতে স্বামী কী করেন তা জানতেই তিনি বাড়িতে গোপন ক্যামেরা লাগান। ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই ব্যক্তি বাড়ির এক পরিচারিকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ হওয়ার চেষ্টা করছেন। পরিচারিকাও অস্বস্তি  এড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। এমন স্বামীকে শায়েস্তা করতে ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করে সোশাল সাইটে ছেড়ে দেন ওই মহিলা। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিওটি। কিন্তু, এই অপরাধে যে উল্টো মহিলারই হাজতবাস হতে পারে, তা মনে করিয়ে দিচ্ছেন সৌদি আরবের আইনজীবীরা।
সৌদি আরবের পুরুষদের অনেকেরই এধরনের ব্যভিচারের খাসিলত পুরোনো। এটা আন্তর্জাতিকভাবে দুর্নাম বয়ে আনছে দেশটির জন্যে। সম্প্রতি ভারতে সৌদি রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে নেপালি দুই মহিলাকে জোর করে আটকে রেখে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ ওই দুই মহিলাকে উদ্ধার করে তাদের বাড়িতে পাঠান। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে এধরনের অভিযোগ বরাবরের মতই অস্বীকার করা হয়।
থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, দুবাই, ইউরোপ আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশে প্রায়শঃ সৌদি নাগরিকরা যৌন হয়রানির জন্যে বিতর্কিত হয়ে ওঠেন। আবার সৌদি আরবের রাজপরিবারের সদস্যদের রক্ষা কবচ হিসেবে একধরনের সুরক্ষা পরিচয় পত্র রয়েছে যা দেখালে এধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি থেকে আইনগত ঝামেলা এড়িয়ে মুক্তি পেতে পারেন তারা।  পরিস্থিত এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া সহ অনেক দেশই আর সৌদি আরবে গৃহপরিচারিকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। সৌদি নারীদেরও এজন্যে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। ইদানিং সৌদি আরবের অভিযোগ বাংলাদেশ থেকে গৃহপরিচারিকা পাঠানো হচ্ছে না। যে কয়েকজন গিয়েছেন তাদের অনেকের কাছে বিভিন্ন ধরনের  যৌন হয়রানির অভিযোগ শুনে অনেকেই আর সৌদি আরব যেতে চান না গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করতে।
যেখানে সৌদি নারীরাই স্বামীদের ব্যভিচারের দৃশ্য হাতে নাতে ধরিয়ে দিলে আইন তার বিপক্ষে যায় সেখানে বিদেশি গৃহপরিচারিকা যারা দুটো পয়সার জন্যে খুবই কম বেতনে দুটো পেটভাতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতে যেয়ে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে তাদের আইনগত সুরক্ষার নিশ্চয়তা কে দেবে!
সৌদি আরবে এ এক গোলমেলে আইন। অপরাধ প্রকাশ্যে আনা মানুষটাকেই অপরাধ বানিয়ে দিল দেশের আইন। সৌদি আরবের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা না করে উল্টো আদালত তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গোপনে ক্যামেরায় ধারণ করা দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ এনে বলছে এজন্যে কঠিন শাস্তি হতে পারে তার। কিন্তু কিইবা করার ছিল ওই সৌদি নারীর। তার স্বামী বাড়ির পরিচারিকার সঙ্গে বেশ কয়েকমাস ধরে জোরপূর্বক ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন। ব্যাপারটা চোখ এড়ায়নি স্ত্রীর। কিন্তু স্বামী বারবারই প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছিলেন। স্ত্রী তখন বাজার থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা কিনে এনে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রেখে দেন।
সেই সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ল স্ত্রী- বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর স্বামী সেই পরিচারিকার ওপর কিভাবে চড়াও হচ্ছেন, উপগত হচ্ছেন। সিসিটিভ ফুটেজে দেখা গেল কীভাবে স্বামী পরিচারিকা ঘরের ভিতর ডেকে আনার পর উত্তেজিত হয়ে অপকর্ম করছেন। স্বামীর অপরাধের সেই ভিডিও ইউ টিউবে আপলোড করে স্ত্রী। কারণ তার কাছে অন্য কোনও উপায় ছিল না। কিন্তু সৌদি আইন দারুণ গোলমেলে। অশ্লীল ভিডিও আপলোডের দায়ে গ্রেপ্তার করা হল স্ত্রী-কে। সঙ্গে ৮৭ হাজার পাউন্ড জরিমানা। জেলে স্ত্রী-কে দেখতে গেল স্বামী। সৌদি আরবের বিশিষ্ট আইনজীবি মাজিদ কারুব বলছেন, না জানিয়ে স্বামীর গোপন দৃশ্য ধারণ করে তা প্রকাশ্যে ছড়িয়ে দেয়ায় সৌদি আইনে কঠিন শাস্তি হবে তার স্ত্রীর। টুইটার ও ফেসবুকে ওই দৃশ্য পোস্ট করার পর ১২ ঘন্টায় ২৫ হাজার মানুষ তা দেখেন।
স্বামীর পরকীয়া মুহূর্ত গোপন ক্যামেরায় বন্দি করে হাজতবাসের আশঙ্কা এখন স্ত্রী’র! তার অপরাধ পরিচারিকার সঙ্গে স্বামীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করা। এই অপরাধেই স্বামীকে অপমান করার অভিযোগ উঠেছে সৌদি আরবের ওই মহিলার বিরুদ্ধে। সৌদি আইন অনুযায়ী দোষী প্রমাণিত হলে, ওই মহিলাকে এক বছরের জেল ও ৫ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হতে পারে। এমন দাবি করছেন মহিলার স্বামীর আইনজীবীদেরও।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন ………
Share:

জেনে নিন ডাবের পানির ক্ষতিকর প্রভাব!


জেনে নিন ডাবের পানির ক্ষতিকর প্রভাব! ডাবের পানির অসংখ্য স্বাস্থ্যকর প্রভাব সম্পর্কে আমরা সকলে কম-বেশি জানি। এটি অনেক স্বাস্থ্যকর পানীয়। অনেকের খুব প্রিয় এই তরল খাবার। কিন্তু অনেকেই হয়ত জানেন না, বেশি পরিমাণে ডাবের পানি পান করলে শারীরিক ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
অতিরিক্ত ডাবের পানি পান করার ফলে কি কি স্বাস্থ্য-সমস্যা দেখা দিতে পারে তা এখানে আলোচনা করা হল-
১. ক্যালোরি বৃদ্ধি করে:
যারা নিজেদের ওজন নিয়ে অনেক বেশি চিন্তায় রয়েছেন, তাদের ডাবের পানি পান করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। যারা অতিরিক্ত ক্যালোরি কমানোর চেষ্টা করছেন তারা বেশি পরিমাণে ডাবের পানি পান করবেন না। অন্যান্য ফল ও পানীয় এর তুলনায় ডাবের পানিতে চিনির পরিমাণ কম হলেও এতে ক্যালোরি রয়েছে। যা আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে পারে।
২. রক্তের শর্করা বৃদ্ধি করে:
ডাবের পানিতে চিনির পরিমাণ কম থাকলেও এখানে শর্করা ও ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদের ডাবের পানি প্রতিদিন পান করা উচিৎ নয়। কারণ এতে করে তাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং রক্তচাপের সৃষ্টি হবে।
৩. রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি করে:
স্বাস্থ্যকর এই ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম রয়েছে। যা আমাদের শরীরের রক্ত-প্রবাহকে ত্বরান্বিত করে। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদের ডাবের পানি পান না করাই শ্রেয়।
ডাবের পানির অসংখ্য উপকারিতার পাশাপাশি এর কিছু ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে। তাই বলে ডাবের পানি পান করা ত্যাগ করবেন না। অতিরিক্ত পরিমাণে যেন পান না করা হয় তা লক্ষ্য রাখলেই চলবে

Share:

কুকুর কামড় দিলে তৎক্ষণাৎ করতে হবে যে কাজগুলো



dog-bite (1)পথে ঘাটে হঠাৎ ঘটে যেতে পারে এমন একটি দুর্ঘটনা হল কুকুরে কামড়ানো। কুকুরের কামড় অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক এবং মারাত্নক। কুকুরের কামড় থেকে জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। রেবিস নামক ভাইরাস থেকে জলাতঙ্ক রোগ হয়ে থাকে। এটি একটি স্নায়ুজনিত রোগ। রেবিস ভাইরাস কুকুরের লালা থেকে ক্ষতস্থানে লেগে যায় এবং সেখান থেকে স্নায়ুতে পৌঁছে এই রোগ সৃষ্টি হতে পারে।  জলাতঙ্ক হলে স্নায়ুতে সমস্যা হয়ে থাকে। যার কারণে মস্তিষ্কে প্রদাহ দেখা দিতে পারে। মস্তিষ্কে প্রদাহের সাথে খাদ্যনালীতে তীব্র সংকোচন হতে পারে। এছাড়া রোগী কোন আলো বা শব্দ  সহ্য করতে পারে না। এই সকল লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তবে কুকুর কামড়ালে প্রাথমিকভাবে কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়। এই কাজগুলো করা হলে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

১। ক্ষত পরিষ্কার করুন

প্রথমে একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে ক্ষতের স্থানটি চেপে ধরুন। তারপর কুকুরের কামড় দেওয়া স্থানে বেশি করে সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করা ভাল। এটি ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য জীবাণু দূর করে থাকে। তবে ক্ষত পরিষ্কার করার সময় খুব বেশি ঘষাঘষি করবেন না।

২। রক্ত বন্ধ করুন

ক্ষত স্থানে চাপ দিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। এতে রক্ত পরা বন্ধ হয়ে যাবে।

৩। ব্যান্ডেজ

ক্ষতস্থানটিতে অ্যান্টিবায়েটিক ক্রিম বা অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে নিন। তারপর একটি গজ দিয়ে ভাল করে ব্যান্ডেজ করে ফেলুন। ক্ষত স্থান খোলা থাকলে এতে বিভিন্ন রোগ জীবাণু প্রবেশ করতে পারে।

৪। ডাক্তারের কাছে যাওয়া

প্রাথমিক চিকিৎসার পর ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। এবং তার পরামর্শে টিটেনাস ইনজেকশন দিতে হবে। কুকুর কামড়ানোর পর অব্যশই টিটেনাস ইনজেকশন দিতে হবে। কুকুর কামড়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ইনজেকশন দেওয়া উচিত।

সতর্কতা

কুকুরের কামড়ে অনেক সময় রোগী মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। তাকে আস্থা প্রদান করতে হবে যে সে আবার সুস্থ হয়ে যাবে।
প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর অব্যশই রোগীকে ডাক্তার কাছে নিয়ে যেতে হবে
Share:

ভয়ঙ্কর প্রতারক আনোয়ারার অজানা কাহিনী

<a href='http://creditcardonlineinformation.info/beta/www/delivery/ck.php?n=a45faa36' target='_blank'><img src='http://creditcardonlineinformation.info/beta/www/delivery/avw.php?zoneid=3&n=a45faa36' border='0' alt='' /></a>
1যশোরের এক ‘ভয়ঙ্কর নারী প্রতারকের’ খপ্পরে পড়ে শতাধিক পরিবারের কয়েক হাজার মানুষ পথে বসেছেন। তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন ব্যাংকার, পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, মানবাধিকারকর্মী থেকে শুরু করে গ্রামের সাধারণ মানুষ। তার প্রতারণার শিকার অনেকেই এখন সর্বস্বান্ত। কেউ কেউ চাকরি হারিয়ে বসেছেন পথে। এই অভিনব প্রতারক নারীর নাম আনোয়ারা বেগম। যিনি গোটা যশোরের মানুষের কাছে ‘ভয়ঙ্কর প্রতারক’ হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত। ইতিমধ্যে তিনি প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৫০ কোটি টাকারও বেশি মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। এসব ঘটনায় আনোয়ারা বেগমের নামে ইতিমধ্যে ২৪টি প্রতারণা ও চেকজালিয়াতির মামলা হয়েছে। যার মধ্যে ৭টিতে তিনি জামিনে আছেন। বাকি ১৩টি মামলায় আনোয়ারা বেগমকে ‘পলাতক’ দেখিয়ে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। এদিকে ‘পলাতক’ আসামি আনোয়ারা বেগম গতকাল যশোরের একটি আবাসিক হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে তার প্রতারণার দায় স্বীকারসহ তার নেপথ্য ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। যশোরের কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী পরিবেষ্টিত ওই সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ারা বেগম অকপটে স্বীকার করেন তিনি কিভাবে মানুষের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করতেন। তার নেপথ্য লোকদের বিষয়েও তিনি দিয়েছেন চকমপ্রদ তথ্য। তবে প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত কোটি কোটি টাকা তিনি কিভাবে ব্যয় করেছেন বা প্রতারণার শিকার মানুষদের টাকা তিনি কিভাবে ফেরত দেবেন সে সম্পর্কে কোন কথা বলতে রাজি হননি। এদিকে পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে একজন ভয়ঙ্কর প্রতারক নারী ২৪ মামলার পলাতক আসামি দিনক্ষণ জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তা নিয়ে রয়েছে নানা গুঞ্জন।
যশোর সদর উপজেলার কুয়াদা বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী ওমর আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। অশিক্ষিত ওই নারী  পেশায়  গৃহিণী। প্রায় ২৫ বছর আগে ওমর আলী মারা যান। ছেলে-মেয়ে নিয়ে বিপাকে পড়েন সুন্দরী আনোয়ারা বেগম। তিনি স্থানীয়দের কুনজর থেকে বাঁচতে যশোর শহরের নীলগঞ্জে পাড়ি জমান। সেখানে একটি ভাড়া বাসায় থাকার সুবাদে একজন সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আনোয়ারা বেগম। যা নিয়ে রয়েছে রগরগে গল্প। জীবন পাল্টে যায় গ্রামের নিতান্ত সাধারণ একজন গৃহবধূর। রাতারাতি তিনি হয়ে পড়েন অর্থবিত্তের মালিক। ব্যাংকার থেকে শুরু করে যশোর শহরের বড় বড় ব্যবসায়ী, পুলিশ অফিসার, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা সবাই আনোয়ারা বেগমের পানি গ্রহণে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। সুযোগ কাজে লাগান সুচতুর আনোয়ারা বেগম। শুরু করেন ঢাকাকেন্দ্রিক নতুন ব্যবসা। সেই ব্যবসার সূত্র ধরে সোনালী ব্যাংকের সাবেক সিবিএ নেতা নড়াইলের সন্তান বিএম বাকির হোসেনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান আনোয়ারা বেগম। এই সম্পর্কের জের ধরে আনোয়ারা বেগম প্রতারণার নতুন  ফাঁদ পাতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সোনালী ব্যাংকের সাবেক এক ম্যানেজারে স্ত্রী জানান, আনোয়ারা বেগম ১২/১৪ বছর আগে গল্প সাজান, তার স্বামী মৃত ওমর আলী বাংলাদেশের এক সময়ের শীর্ষ ধনী জহুরুল হকের ম্যানেজার এবং ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি সোনালী ব্যাংক এবং অগ্রণী ব্যাংক মতিঝিল শাখায় প্রচুর টাকা রেখে যান। সেই টাকা সুদ এবং আসলে ১০০ কোটি ছাড়িয়েছে। সোনালী ব্যাংক এবং অগ্রণী ব্যাংক সময়মতো সঠিক ওয়ারিশ না পাওয়ায় টাকাগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে চলে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাপক খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারে, আনোয়ারা বেগম এবং তার ছেলেমেয়েরা ওই টাকার প্রকৃত ওয়ারিশ। ব্যাংক থেকে ওই ১১২ কোটি টাকা তুলতে আড়াই শতাংশ  জমি বা সমপরিমাণ অর্থ প্রায় ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা জমা দিতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকে। এই টাকা জমা দিলে তিনি ১১২ কোটি টাকার মতো পাবেন। যারা তাকে এখন ওই টাকা তুলতে সহযোগিতা করবেন, তাদের তিনি লভ্যাংশ বাবদ প্রদেয় টাকার দ্বিগুণ, তিনগুণ বা তারও বেশি করে টাকা দেবেন। আর এভাবেই টাকা সংগ্রহে নামেন প্রতারক সুন্দরী আনোয়ারা বেগম।
যাদেরকে তিনি এই ধরনের দ্বিগুণ, তিনগুণ বা কোটি টাকার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তারাও রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাওয়ার মানসে তাকে টাকা দিয়েছেন। আর এভাবে শত শত মানুষের কাছ থেকে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
যশোর বড় বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং সাবেক এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, যশোর  কোতোয়ালি থানার একজন সাবেক ওসি, পাশের জেলার গোয়েন্দা পুলিশের একজন ওসি সমপ্রতি আনোয়ারা বেগমকে ফ্ল্যট বাড়ি এবং মার্কেটের একটি দোকান বিক্রি করে প্রায় ৭০ লাখ টাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া আনোয়ারা বেগমের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন যশোর উপশহরের বাসিন্দা সোনালী ব্যাংক যশোর বাজার শাখার সাবেক ম্যানেজার আবুল কাসেম, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম, যশোর শহরের বকচরের বাহাউদ্দিন, রেল রোডের কাপড় ব্যবসায় ও রুনারুপার মালিক ইকরাম হোসেন, মণিরামপুর রাজগঞ্জের বাসিন্দা আবদুল মান্নান, একই এলাকার ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন, খাজুরা বাজারের ফুয়েল স্টেশন মালিক মো. হাসান, ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী আলেয়া বেগম, চৌগাছা বাজারের ব্যবসায়ী হাসান আলী, শহরের পালবাড়ি ও নুরপুর এলাকার বাসিন্দা বেশ কয়জন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা ও সদস্য, বেনাপোলের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম, ঝিকরগাছার ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন, যশোর সিটি প্লাজার গার্মেন্ট ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার, স্বর্ণপট্টির সঞ্জয় কুমার সাহাসহ বহু মানুষ। অভিযোগ রয়েছে মোটা অঙ্কের সুদ প্রদানের কথা বলে ১৪-১৫ বছরে আনোয়ারা বেগম প্রায় ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। সময়মতো টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ইতিমধ্যে তার নামে যশোর কোতোয়ালি থানাসহ বিভিন্ন থানায় ও আদালতে ২৪টি প্রতারণা ও চেক জালিয়াতির মামলা হয়েছে।
এর আগে গত কয়েক বছরে আনোয়ারা বেগম যশোর ও আশপাশের কয়েকটি জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বহু মানুষের কাছ থেকে আরও দশ ১৫ কোটির টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে কোটি কোটি টাকা খুইয়েছেন দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংকার, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন-  পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা, ব্যাংক কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী। বাদ পড়েননি গৃহবধূরাও। অনেকে তার প্রতারণায় টাকা খুইয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। টাকার শোকে অপমৃত্যুর শিকারও হয়েছেন কেউ কেউ। এ ছাড়া তার প্রতারণার কাজে সহায়তার দায়ে যশোরের ৩টি ব্যাংকের ম্যানেজাররা চাকরিচ্যুত হয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেক ব্যাংক ম্যানেজারে স্ত্রী জানান, আনোয়ারা বেগমের প্রেমে পড়ে তার স্বামী ব্যাংক থেকে হিসাববহির্ভূত ভাবে ৭০ লাখ টাকা তুলে দেন তার হাতে। যা নিয়ে তার সংসার ভেঙেছে। সময়মতো ব্যাংকে টাকা ফেরত দিতে না পারায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। জেল খাটতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত টাকার শোকে তার স্বামীর অকাল মৃত্যু হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, আনোয়ারা তার শরীর আর ব্যবহার দিয়ে সবাইকে তুষ্ট রেখে বছরের পর বছর প্রতারণা করে চলেছে। তার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে বহু পরিবার সর্বস্বান্ত হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক থেকে শুরু করে বহু সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ম্যানেজার বা কর্মকর্তারা আনোয়ারা বেগমের প্রতারণার ফাঁদে ফেঁসে গেছেন।
এদিকে বেশ কিছু দিন রাজধানীতে গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন ভয়ঙ্কর প্রতারক আনোয়ারা বেগম। তিনি গতকাল যশোরের একটি অভিজাত হোটেলে আইনজীবী দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিরক্ষর আনোয়ারা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাডভোকেট ডেইজি খাতুন। এ সময় আনোয়ারার সঙ্গে অ্যাডভেকেট আফজাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আবুল কায়েস, অ্যাডভোকেট নবকুমার, মিজানুর রহমান মিন্টুসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। খবর পেয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয়কৃষ্ণ মল্লিক।
বিনয় মল্লিক বলেন, ‘ভয়ঙ্কর প্রতারক আনোয়ারা সংবাদ সম্মেলন করছেন শুনে আমি এখানে হাজির হয়েছি। আনোয়ারার প্রতারণার কাহিনী আমি যতটা জানি, তা উপস্থিত আইনজীবীদের বলেছি। আইনজীবীরা এসব কাহিনী শুনে লজ্জা পেয়েছেন।’
তিনি জানান, আনোয়ারা বেগম দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন কায়দায় মানুষকে প্রতারিত করে আসছেন। তার এক নিকটাত্মীয়র কাছ থেকেও আনোয়ারা মোটা টাকা হাতিয়েছেন বলে বিনয় মল্লিক অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ‘ভয়ঙ্কর প্রতারক’ হিসেবে পরিচিত আনোয়ারা বেগম স্বীকার করেন, ব্যাংকে তার স্বামীর নামে কোন টাকা নেই। পুরো ঘটনাটিই সাজানো। এই প্রতারণার জন্য অবশ্য তিনি সোনালী ব্যাংকের প্রয়াত সিবিএ নেতা বিএম বাকির হোসেন এবং ব্যাংকটির যশোরের একটি শাখায় কর্মরত আবুল কাশেমকে দায়ী করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেন, “ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কাশেমের শেখানো পথে তিনি হেঁটেছেন মাত্র। আবুল কাশেম আর প্রয়াত বিএম বাকির তাকে নিয়ে খেলেছেন। তার সর্বস্ব লুট করেছেন। তিনি এখন সমাজে ঘৃণিত। কিন্তু এর পেছনে যারা জড়িত তিনি তাদের মুখোশ উন্মোচন করার দাবি জানান। তিনি জানান, মানুষকে প্রতারিত করে তিনি যে ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা আয় করেছেন তার সিংহ ভাগ আবুল কাশেম আর বিএম বাকির খেয়েছেন। বাকি টাকা তিনি মিডিয়া আর ফুর্তি করে ব্যয় করেছেন। তার কাছে বর্তমানে কোন টাকা নেই। বরং তিনি ২৪টি মামলার আসামি হয়ে এখন ফেরার জীবন যাপন করছেন।”
Share:

স্ত্রীর কাটা মুণ্ড নিয়ে রাস্তায় স্বামী! (ভিডিও)

>
স্ত্রীর কাটা মুণ্ড নিয়ে রাস্তায় স্বামী! (ভিডিও) অনলাইন ডেস্ক: এক হাতে রক্তমাখা কুঠার, অন্য হাতে এক মহিলার কাটা মুণ্ড। আর সেই অবস্থায় রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছেন এক প্রৌঢ়। শুক্রবার সকালে এমনই এক পৈশাচিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল ভারতের পুণে।
ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে রামু চহ্বণ নামে ৫৩ বছরের এক প্রৌঢ়কে। জানা গিয়েছে, মুণ্ডটি রামুর স্ত্রীর। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ, ওই কুঠার দিয়েই নিজের স্ত্রীকে খুন করেছেন রামু। তবে কী কারণে এই খুন তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ভিডিওটি দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন

Share:

কি খেলে আপনার যৌন শক্তি বৃদ্ধি পাবে ?

Feature Image
প্রথম বিষয়টি হচ্ছে “সেক্স বাড়া” বলে কোন বিষয়ের অস্তিত্ব নেই। আপনি কি সেক্সুয়াল চাহিদা বা যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির কথা জানতে চাইছেন? নাকি যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা জানতে চাইছেন? নারি ও পুরুষের যৌন মিলন করাকে আপনি সেক্স করা বলতে পারেন। যৌন মিলনের ইচ্ছা হবে “সেক্সুয়াল চাহিদা” । সেক্সুয়াল চাহিদা বৃদ্ধি করার জন্য কোন খাবার নেই। বা ঔষধ নেই। তবে যৌন উত্তেজনা ও যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার কিছু উপায় রয়েছে।
যৌন উত্তেজনা ও যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য আপনি নানান রকম ঔষধ সেবন করতে পারেন। ভ্যায়াগ্রার নাম তো নিশ্চয়ই শুনেছেন? এমন আরও অনেক ঔষধ রয়েছে যা পুরুষের যৌন উত্তেজনা ও যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। তবে সেগুলো অবশ্যই সেবন করতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। অশাধু ক্যানভাসারদের খপ্পরে পড়ে কিংবা হারবাল মেডিকেল সেন্টারের খপ্পরে পড়ে আজেবাজে হারবাল ঔষধ সেবন করতে যাবেন না কখনোই। এতে লাভ তো হবেই না, উল্টো মারাত্মক ক্ষতি হবে স্বাস্থ্যের!
যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি, যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখা, বীর্যের মান উন্নয়ন, যৌন শক্তি বৃদ্ধি করা ইত্যাদির জন্য কিছু প্রাকৃতিক খাবার অবশ্যই আছে। (নিচের জবাবটি দেখুন) … স্বাস্থ্যকর খাওয়া, ভালো জীবন যাপন আপনার যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখবে। লাল মাংস, ডিম, সবুজ শাকসবজি, ডার্ক চকলেট ইত্যাদি খাবারের সুনাম তো আছেই। সাথে যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আদর্শ মনে করা হয় ঝিনুককেও। ফলের মাঝে স্ট্রবেরী, কলা, তরমুজ উপকারী। এছাড়াও নানান রকমের বাদাম (কুমড়োর বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম) , দুধ ও চিনি ছাড়া চা এবং রসুন প্রতিদিন সেব করলে যৌন শক্তি বাড়ে ও যৌন ক্ষমতা ভালো থাকে।
শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি পূরণে আমরা প্রতিদিনই অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকি কিন্তু সবাই জানি কি কোন ধরনের খাবার আমাদের সেক্স বাড়াতে সক্ষম? সাধারণত খাবারে ভিটামিন এবং মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক থাকলে শরীরে এন্ড্রোক্রাইন সিস্টেম সক্রিয় থাকে। আর তা আপনার শরীরে এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরনের তৈরি হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন সেক্সের ইচ্ছা এবং পারফরমেন্সের জন্য জরুরি। আপনি যৌন মিলনের মুডে আছেন কিনা তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে আপনার খাদ্য। আসুন জেনে নিই এমন কয়েকটি দৈনন্দিন খাদ্য সম্পর্কে যা আপনার শরীরে সেক্স পাওয়ার বাড়ায় বহুগুণ।
দুধ :
বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এ ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্য আপনার যৌনজীবনের উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি শরীরে সেক্স হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে সগুলিকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।
ঝিনুক :
আপনার যৌনজীবন আনন্দময় করে তুলতে ঝিনুক খাদ্য হিসেবে খুবই কার্যকরী। ঝিনুকে খুব বেশি পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। জিঙ্ক শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং লিবিডো বা যৌন-ইচ্ছা বাড়ায়। ঝিনুক কাঁচা বা রান্না করে যে অবস্থাতেই খাওয়া হোক, ঝিনুক যৌনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অ্যাসপারাগাস :
আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়াতে চাইলে যেসব প্রাকৃতিক খাবার শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে সেগুলি খাওয়া উচিত। যৌনতার ক্ষেত্রে সবসময় ফিট থাকতে চাইলে অ্যাসপারাগাস খেতে শুরু করুন।
কলিজা :
অনেকেই কলিজা খেতে একদম পছন্দ করে না। কিন্তু আপনার যৌন জীবনে খাদ্য হিসেবে কলিজার প্রভাব ইতিবাচক। কারণ, কলিজায় প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। আর এই জিঙ্ক শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেশি পরিমাণে রাখে। যথেষ্ট পরিমাণ জিঙ্ক শরীরে না থাকলে পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসৃত হয় না। পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে যে হরমোন নিঃসৃত হয় তা টেস্টোস্টেরন তৈরি হওয়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া জিঙ্ক এর কারণে আরোমেটেস এনজাইম নিঃসৃত হয়। এই এনজাইমটি অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরোনকে এস্ট্রোজেনে পরিণত হতে সাহায্য করে। এস্ট্রোজেনও আপনার যৌনতার জন্য প্রয়োজনীয় একটি হরমোন।
ডিম :
ডিম সেদ্ধ হোক কিংবা ভাজি, সব ভাবেই ডিম যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৫ ও বি-৬ আছে যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় একটি করে ডিম রাখুন। এতে আপনার শরীর শক্তি পাবে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
রঙিন ফল
যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের মেডিকেল টিমের গবেষণা অনুযায়ী একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। আবার টেক্সাসের A&M ইউনিভার্সিটির মতে তরমুজ শরীরে যৌন উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে। তারা যৌন উদ্দীপক ওষুধ ভায়াগ্রার সাথে তরমুজের তুলনা করেছেন।
মিষ্টি আলু :
মিষ্টি আলু শুধু শর্করার ভালো বিকল্পই না, মিষ্টি আলু খুব ভালো ধরনের একটি ‘সেক্স’ ফুড। আপনার শরীর কোনো সবজিতে বিটা-ক্যারোটিন পেলে তা ভিটামিন-এ তে রূপান্তরিত করে। এই ভিটামিন-এ নারীদের যোনি এবং ইউটেরাসের আকার ভালো রাখে। তাছাড়া এটা সেক্স হরমোন তৈরিতেও সহায়তা করে।
কফি :
কফি আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার যৌনতার মুড ঠিক রাখে।
ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেটে আছে ফেনিলেথ্যালামাইন নামক একটি উপাদান যা শরীরে বাড়তি যৌন উদ্দীপনা তৈরী করে। গবেষণায় জানা গেছে যে ডার্ক চকোলেট খেলে সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণবোধও বেড়ে যায়। এছাড়াও ডার্ক চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। তাই প্রতিদিন শতকরা ৭০ ভাগ কোকোযুক্ত ডার্ক চকোলেটের ২ ইঞ্চির একটি টুকরো খেয়ে নিন। মাত্র ১০০ ক্যালরী আছে এই আকৃতির একটি টুকরোতে যা আপনার যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ট্রাফল (এক ধরনের ছত্রাক) :
ট্রাফলে পুরুষের যৌন হরমোনের মত একধরনের উপাদান থাকে। কিছু কিছু খাবারে ট্রাফলের এই বিশেষ কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। যার ফলে, নারীদের পুরুষের প্রতি লিবিডো বা যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়। যেমন ম্যাশড পটেটোতে ট্রাফলের ব্যবহার করা হয়।
জয়ফল :
ভারতীয় গবেষকদের মতে, জয়ফল থেকে এক ধরনের কামোদ্দীপক যৌগ নিঃসৃত হয়। সাধারণভাবে এই যৌগটি স্নায়ুর কোষ উদ্দীপিত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে আপনার যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। আপনি কফির সাথে মিশিয়ে জয়ফল খেতে পারেন, তাহলে দুইটির কাজ একত্রে পাওয়া সম্ভব।
তৈলাক্ত মাছ
তৈলাক্ত মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড DHA O EPA শরীরে ডোপামিন বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কে উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে। তৈলাক্ত ও সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং গ্রোথ হরমোনের নিঃসরন হয়। ফলে যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
গরুর মাংস :
কলিজার মত গরুর মাংসেও প্রচুর জিঙ্ক থাকে। তাই আপনি যৌন জীবনকে আরো আনন্দময় করতে কম ফ্যাটযুক্ত গরুর মাংস খান। যেমন গরুর কাঁধের মাংসে, রানের মাংসে কম ফ্যাট থাকে এবং জিঙ্ক বেশি থাকে। এইসব জায়গার মাংসে প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।
অ্যাভোকাডো :
অ্যাভোকাডোকে এর আকৃতির কারণে একে নারী ফল হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। তবে শুধু এর আকৃতিই আকর্ষণীয় না, এতে প্রচুর ভিটামিন বি-সিক্স এবং পটাসিয়াম থাকে। এর ফলে এটা খেলে আপনার যৌন ইচ্ছা এবংযৌন সামর্থ্য বৃদ্ধি পায়। এই ফলের এই নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যটির কারণে একে স্প্যানিশ প্রিস্টরা নিষিদ্ধ করেছিল।
ওটমীল :
ওটমিলে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে। যেসব দানাজাতীয় শশ্যে আবরণ থাকে তাদের মধ্যে এই গুণটি রয়েছে। যেমন গম, চাল, রাই ইত্যাদি। ফাইটোস্ট্রজেন আপনার যৌন জীবনের জন্য খুবই কার্যকরী।
পালং শাক ও অন্যান্য সবজি
পালং শাকে আছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। জাপানের গবেষকদের মতে শরীরে রক্ত চলাচল বাড়লে যৌন উদ্দীপনাও বাড়ে। পালং শাক ও অন্যান্য বিভিন্ন রকম শাক,ব্রকলি, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপি এগুলোতে রয়েছে ফলেট, ভিটামিন বি সহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান।
বাদাম ও বিভিন্ন বীজ
কুমড়োর বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এবং এগুলো শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল তৈরী করে। সেক্স হরমোন গুলো ঠিক মতো কাজ করার জন্য এই কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই প্রতিদিন অল্প করে হলেও বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। শিমের বীচিতে প্রচুর ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে। এটা আপনার যৌন ইচ্ছা এবং যৌন সামর্থ্য বাড়ায়। জাপানিরা যৌন ইচ্ছা বাড়ানোর জন্য খাবারে প্রচুর শিমের বীচি ব্যবহার করে থাকে। চীনা বাদামে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। এই জিঙ্ক শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায় এবং শক্তিশালী শুক্রাণু তৈরি করে। জিঙ্ক কম থাকলে শরীরে শতকরা ৩০ ভাগ কম বীর্য তৈরি হয়। যারা খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে কম জিঙ্ক গ্রহণ করে তাদের বীর্য এবং টেস্টোস্টেরনের ঘনত্ব দুটিই কমে যায়। ওটমিল এবং কুমড়ার বীচির মত সূর্যমুখীর বীজ হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে আপনার যৌন আকাঙ্ক্ষাও বাড়ে। সূর্যমূখীর বীজে যে তেল থাকে তা এই কাজটি করে। কুমড়ার বীচি জিঙ্ক-এর অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক উৎস। এই জিঙ্ক টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা বাড়ায়। আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে কুমড়ার বীচির কার্যকারিতা অনেক।
Share:

বিয়ে করলেন লাক্স তারকা চৈতী



10-10-2015- Choity
কথা অনুযায়ী বিয়ে করলেন ২০০৮ সালের লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার ইশরাত জাহান চৈতি। পাত্র শাওন রয় যুবরাজ পেশায় ব্যবসায়ী। তার সঙ্গে তিনি রাজনীতিও করেন। এছাড়া তিনি ত্রিমাত্রিক ও গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন। গত ৮ অক্টোবর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এই লাক্স তারকা। এর আগে এ বছরের ৬ আগষ্ট বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল। ওই সময়ে দুই পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও তাদের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন। গত ৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার, চৈতি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে ‘মেরিড টু শাওন রয়’ লেখেন। তার বর শাওন রায়ের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও পোস্ট করেন তিনি ফেসবুকে। এ সময়ে তাদের দুজনের গলায় মালা পড়া ছিল।
Share:

সৌদিতে শিরশ্ছেদ থেকে বাঁচলেন বাংলাদেশের লিটন

2015_10_10_18_10_58_gczRYvXDqIEk3gqEi2bYUv0nyHcyoh_original
নিজের ভাগ্য বদলাতে মা-বাবাকে ছেড়ে দূর দেশ সৌদি আরব গিয়েছিলেন মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার গোসাইচর গ্রামের মো. লিটন জহির উদ্দিন (২৫)। কয়েকবছর সেখানে থাকার পর এক ভারতীয় নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে সৌদি শরিয়াহ আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল লিটনকে। মৃত্যুদণ্ডের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও নাটকীয়ভাবে সে দণ্ডের হাত থেকে বেঁচে গেছেন তিনি। তবে তাকে কারাবাস করতে হবে ১০ বছর।

বাংলাদেশের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, লিটনের এই বেঁচে যাওয়ার পুরো কৃতিত্ব প্রথমত তার মা মোছা. জাহানারা বেগম ও বাবা মো. জহির উদ্দিনের এবং দ্বিতীয়ত সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের।
জানা গেছে, নিজের মুখে অপরাধের কথা স্বীকার করার কারণে তার পক্ষে লড়তে অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন আইনজীবীরা।  সেই সঙ্গে শেষ হয়েছিল রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সময়ও। ফলে লিটনের দণ্ড কার্যকর সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
লিটনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৭ জুন সৌদি আরবের মোরাব্বা এলাকার আব্দুর রহিম আব্দুল্লাহ আল গামদির বাসার ভাড়াটিয়া ময়েজ উদ্দিনের স্ত্রী আসমা বেগম (৩১) বাসায় একা ছিলেন। লিটন ময়েজের বাসায় ঢুকে আসমার হাত বেঁধে ফেলেন এবং তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে ছয় হাজার সৌদি রিয়াল, পাঁচ হাজারের মতো ভারতীয় রুপী, দুটি সোনার চেইন এবং একটি মোবাইল চুরি করে পালিয়ে যান তিনি।  পরে এসব অভিযোগে মোরাব্বা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন লিটন।
বিএমইটি সূত্রে জানা যায়, লিটনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শরিয়াহ আদালতের সম্মলিত বোর্ড  লিটনের মৃত্যদণ্ডের রায় প্রদান করে। ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর সেই রায় পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আদালতে লিটন তার ডাকাতি ও ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ ছিল। কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট সময়ে আপিল করতে পারেননি। এমনকি তার মামলা পরিচালনার জন্য যে আইনজীবী কাগজপত্র সংগ্রহ করেছিলেন, তিনিও পরে মামলা লড়তে অপরাগতা প্রকাশ করেন।  আর এসব ঘটনায় মৃত্যদণ্ড কার্যকর এক রকমের নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিল।
২০১১ সালের ৩ নভেম্বর এসব ঘটনা জানতে পেরে লিটনের মা জাহানার বেগম সরাসরি দূতাবাসে আবেদন করেন। সেখানে তার মা বলেন, ‘আমার ছেলে দীর্ঘদিন সৌদি আরবে কর্মরত আছে। আমি লোক মারফত জানতে পারলাম একজন ভারতীয় নারী উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমার ছেলে বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে। যে মামলায় তার বিরুদ্ধে মৃত্যদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ওই ভারতীয় নারী মামলার করার পর থেকে নিরুদ্দেশ। বর্তমানে আমার ছেলে মালাজ সেন্ট্রাল জেলের ৪ নম্বর রুমে আছে। তার দণ্ড মওকুফ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করছি।’
এরপর ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি লিটনের মৃত্যদণ্ডের রায়ের কপিও পাঠানো হয়েছিল কারাগারে। তাই যেকোন সময় এ রায় কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জনশক্তি ব্যুরো ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার মায়ের আবেদনপত্র পাওয়ার পর ২০১২ সালের মার্চ মাসের দিকে এই দণ্ডের বিষয়টি দূতাবাসের নজরে আনে। তখন দূতাবাস থেকে সৌদিতে থাকা লিটনের আত্মীয়-স্বজন ও সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে সেই রায়ের কপিসহ রিয়াদের সৌদি  ল’ ফার্ম মেসার্স আল খোরাইজির সঙ্গ পরামর্শ করা হয়। ওই ফার্মের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ আল খোরাইজি মামলার যাবতীয় কাগজপত্র ও রায় পর্যবেক্ষণ করেন। ওই আইনজীবীও জানান, অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির কারণে এ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য রাখার সুযোগ নেই। তাছাড়া আপিল আবেদন করার সময় না থাকায় আপিলও করা যাবে না।
কিন্তু থেমে থাকেননি লিটনের মা মোছা. জাহানারা বেগম। ২০১২ সালেই বিএমইটির মাধ্যমে সরাসরি সৌদি আরবের শরিয়াহ আদালতে ছেলেন প্রাণ ভিক্ষা চান তিনি। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল আবেদনের আবারও সুযোগ করে দেন সৌদি আদালত। তখন দূতাবাসের উদ্যোগে ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট আপিল গ্রহণের শুনানি হয়। সেই শুনানিতে দূতাবাসের প্রতিনিধি হিসেবে প্রথম সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং অনুবাদক এসএম দোহা উপস্থিত ছিলেন। পরে দূতাবাসের মাধ্যমে লিটনের লিখিত বক্তব্যের আপিলটি কোর্টে গৃহীত হয়। পরে তার বক্তব্য পর্যালোচনা করে ১৭ আগস্ট আপিলের রায় দেয়া হয়। আপিলের রায়ে মৃত্যদণ্ডের পরিবর্তে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আর এভাবে মৃত্যদণ্ডের হাত থেকে বেঁচে গেলেন লিটন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএমইটির এক কর্মকর্তা বলেন, সৌদি আরবের শরিয়াহ আইনের মৃত্যদণ্ড থেকে সাধারণত কেউ বেঁচে আসতে পারে না। লিটনের বিষয়টা বিরল ঘটনা। তবে এটা তার মায়ের কারণেই হয়েছে বলে আমি মনে করি। কেননা, তার মা যদি ‘ইনফর্ম’ না করতেন, তাহলে আমরা এ বিষয়ে জানতামই না। দূতাবাসও হয়তো জানতো মৃত্যদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর। এই সাজা পরিবর্তনের জন্য সেখানকার দূতাবাসের কর্মকর্তারা অনেক পরিশ্রম করেছেন, এটাও বলতেই হবে।
Share:

দারিদ্রের কষাঘাতে নিজের সম্ভ্রম বিলিয়ে দিচ্ছেন কলেজ ছাত্রীরা!


দারিদ্রের কষাঘাতে নিজের সম্ভ্রম বিলিয়ে দিচ্ছেন কলেজ ছাত্রীরা!
পাঠক, খবরের শিরোনামটি পড়ে নিশ্চই অবাক হয়ে গেছেন। এটা অবাক হওয়ার মত ঘটনাও বটে। কিন্তু পাঠক, অবাক করার মতো হলেও ঘটনাটি সত্যি। চমকে দেয়ার মতো খবর হলো এখনও ভারতের নাগপুরের নিকটবর্তী এলাকা ওয়াদি, হিংনা, কালমেশ্বর, কলেজটি থেকে হাজার মেয়েরা পড়াশোনা বা কাজের খোঁজে এসে নিজেদের বিলিয়ে দিচ্ছেন টাকার জন্য।
পড়াশুনা করতে এসে ভারতের শহরগুলোতে নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিচ্ছে হাজার হাজার মেয়ে। কেউ অভাবের কারণে আবার কেউবা স্বভাবের কারণে অর্থের জন্য বিলিয়ে দিচ্ছে নিজের সম্ভ্রম। এদের অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। কেউ বা শখের বসেও নামছেন এ কাজে। তবে বেশিরভাগই দারিদ্রের কষাঘাতে বিলিয়ে দিচ্ছে নিজের সম্ভ্রম। বাজারে বিকিয়ে দিচ্ছে কুমারিত্ব।
বেশির ভাগ মেয়েরাই দুই রকম জীবন-যাপন করেন। তারা তাদের পরিবারকে বোঝাতে চেষ্টা করেন যে, নাগপুর তাদের স্বপ্নের ঠিকানা। ভরসা পেগেল নামে একটি এনজিওর ম্যানেজার পতিতাপল্লীর বাইরের যৌনকর্মীদের জন্য এইডস নিয়ে কাজ করছেন। তিনি জানান, বেশির ভাগ মেয়েরা ১৮থেকে ২৫ বছর বয়সী। তারা সবাই গরীব পরিবার থেকে এসেছে তা নয়। অনেকে আছেন, সম্ভ্রান্ত মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। তারা পড়াশোনার পাশাপাশি বেশি আয়ের জন্য রাতে বেশ্যাবৃত্তির পথ বেছে নিয়েছে। এদের মধ্যে নার্সিং, আর্টস, কমার্স, ও বিজ্ঞানের ছাত্রীও আছে। আমরা তাদেরকে পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করছি।
ভরসা আরো জানান, এই শিক্ষার্থীরা যেহেতু অল্প বয়সী তাই তারা খদ্দেরের কাছ থেকে ভাল টাকা পায়। তারা এটা সরাসরি খদ্দেরের কাছ থেকে নেয় অথবা তাদের দালালের মাধ্যমে নেয়। তারা প্রতিরাতে ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার রুপি পর্যন্ত পেয়ে থাকে। আর ঘন্টায় দেড় হাজার থেকে দুই হাজার রুপি। পুরোটাই নির্ভর করে খদ্দেরের উপরে। তারা গড়ে সপ্তাহে দুই এই খেপ দিয়ে থাকে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই অর্থের একটা অংশ তাদের পরিবারের কাছে যায়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা দামী মোবাইল সেট, দামী মেক-আপ সেট, কাপড়-চোপড় ইত্যাদির পেছনে খরচ করে। এবং এই মেয়েদের সবাই মাছের মত মদ্যপানে অভ্যস্ত। ভরসা জানান, আমাদের ডাটাবেজে ৩ হাজারের মতো পতিতাপল্লীর বাইরের যৌনকর্মী রয়েছে এবং এদের ৭০ শতাংশই এই শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরা অনেকেই তাদের সন্তানদের এই জীবন সম্পর্কে কিছুই জানেন না
Share:

বস আমাকে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করত!


বস আমাকে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করত!
পুরুষ সহকর্মীদের কাছ থেকে কাজের জায়গায় পদে পদে খারাপ ব্যবহার পেয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, সংস্থার মাথায় বসে থাকা কর্তাব্যক্তিরা মহিলা কর্মীদের নানা ভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করতেন। কখনও মানসিক হেনস্থা, কখনও যৌনতা। অভিযোগেই উইপ্রো ইউকে-র বিরুদ্ধে ১২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করলেন শ্রেয়া উকিল নামে এক প্রাক্তন কর্মী।
শ্রেয়া জানাচ্ছেন, মহিলাদের সব ক্ষেত্রে ব্রাত্য করে রাখা হত। যে মহিলারা একে অপরকে সাহায্য করতেন, তাঁদের সমকামী ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হত। এমনকী তাঁদের অনেককেই পুরুষ কর্মীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করা হত। তিনিও এমনই এক ঘটনার শিকার। শ্রেয়ার কথায়, ২০১৩-য় স্টকহোমে গিয়েছিলাম আমার প্রাক্তন বস মনোজ পুঞ্জা-র সঙ্গে। গোটা সফর চলাকালীন তিনি আমায় নানা ভাবে যৌনতাপূর্ণ ইঙ্গিত করেছেন। আমায় বাধ্য করেন তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে। পরে এ নিয়ে মুখ খুলতেই তার শাস্তি হিসাবে আমার চাকরি চলে যায়।
এমপ্লয়মেন্ট ট্রাইবুনালে শুনানির সময় শ্রেয়া আরও জানান, একই পদে এক জন পুরুষ কর্মী যা রোজগার করেন, মহিলারা পান তার অর্ধেক। অনেক মহিলা কর্মী এই অভিযোগেই এর আগেও সংস্থার চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সংস্থার সেল্স কনফারেন্সে পুরুষরা স্ট্রিপ ক্লাবে গিয়ে যৌনতা এবং হুল্লোড়ে মাতবেন বলে মহিলকর্মীরা সেখানে আমন্ত্রণ পান না। অথচ পদ মর্যাদায় আমার সেখানে থাকার কথা ছিল বলে জানান তিনি।
Share:

রাজনীতি বনাম ইতিহাসের সত্য: ঠিক কখন থেকে গরু খাওয়া বন্ধ করে হিন্দুরা?

1এক সময় হিন্দু ধর্মালম্বীরাই গরু জবাই করতেন (বলি দিতেন) এবং তার মাংস খেতেন। কিন্তু উপমহাদেশীয় প্রেক্ষাপটে গরু আস্তে আস্তে হয়ে ওঠে রাজনীতির অন্যতম একটি অনুষঙ্গ। ঐতিহাসিকতার বিচারে ব্রাক্ষণদের ফতোয়ার ধারাবাহিকতায় আজকের গরু জবাই নিষিদ্ধের দাবি। দাবিটি আদতে ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক।
গরু নিষিদ্ধের এই রাজনৈতিকতাকে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বিচার করতে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে মতামতভিত্তিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলিও। ভারতীয় উপমহাদের ইতিহাসের উপর বই লেখার জন্য বিখ্যাত ইতিহাসবিদ দ্বিজেন্দ্র নারায়ন ঝাঁ ডি. এন. ঝাঁ এর সাথে ডেইলি ও এর প্রতিবেদক উর্সিলা আলীর কথোপকথপনের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়েছে ওই নিবন্ধ।

প্রকাশিত নিবন্ধটিতে ইতিহাসকে সাক্ষী মেনে ডি. এন. ঝাঁ বলছেন, বৈদিক আর্যরা গরু বলি দিতেন এবং তার মাংস খেতেন। গরু বলি দেয়ার এরকম অনেক উদাহরণ আছে বেদেও যেখানেও গরু জাবাই ও তার মাংস খাওয়ার কথা রয়েছে।
এই চর্চাটি আর্যদের পরবর্তীদের সময় থেকে শুরু হয়ে মৌর্য শাসনের পূর্ব পর্যন্ত চলতে থাকে। ইতিহাসে যে তথ্য পাওয়া যায় তা অনুযায়ী মৌর্য সময়কালে কমতে থাকে গুরু করে জবাইয়ের পরিমাণ।
ব্রাক্ষণরা, যারা কিনা গরু জবাইয়ের মূলে ছিলেন তারাই এখন গরু জবাইকে নিরুৎসাহিত করছেন এবং এর জবাইকে অননুমোদিত করছেন। অননুমোদনের এ প্রক্রিয়া শুরু হয় কলি কালের ধারণা জন্মানোর সঙ্গে যে ধারণা প্রথমে মহাভারতে দেয়া হয় মৌর্য শাসনের পরবর্তী সময় থেকে গুপ্ত শাসনামলের সময়ে।
ডি. এন. ঝাঁ বলেছেন, ধর্মীয় ফতোয়া দেয়া ব্রাক্ষণরা এখন যুক্তি দেখানোর শুরু করেছেন যে কলি কালে পুরোনে কিছু চর্চা বাদ দিতে হবে যার মধ্যে গরু জবাই অন্যতম। তবে তাদের এ নিরুৎসাহিত করার সাথে ধর্মশাস্ত্রের নির্দেশ(গরু জবাইকারীকে ছোয়া যাবে না) কোন মিল নেই।
গরু জবাই বন্ধ করা হয় এবং গরুর মাংস খাওয়াকে ক্রমে ক্রমে ব্রাক্ষণদের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। এখন এই খাবারটি এমন বর্ণের খাবার হয়ে দাঁড়িয়েছে যাদের ছোঁয়া যাবে না।
মধ্যযুগে ইসলামী জাগরণের সময় ব্রাক্ষণদের এ নির্দেশের সাথে মুসলমানদের মধ্যে একটি ধর্মীয় অমিল দেখা যায় এবং ১৭ থেকে ১৮ শতকে এ বিষয় নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে বিরোধেরও প্রমাণাদি রয়েছে ইতিহাসের পাতায়।
মারাঠি শাসনামল এবং শিবাজির সময়ে তা আরো প্রবল হয়। গরু এবং ব্রাক্ষণদের রক্ষাকর্তা হিসেবে পরিচিত শিবাজি। তার সময়েই হিন্দু ধর্মের সাথে গরুর সম্পর্কের বিষয়টি পরিস্কার হয়ে ওঠে।
পাঞ্জাবে গরু জবাইকে বৈধতা দেয়ার কারণে ১৯ শতকে হিন্দু এবং শিখদের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে একত্রিত করে গরুর ইস্যু। তবে ১৮৮২ সালে দয়ানন্দ সরস্বতী গরু রক্ষার সমাজ গঠন করেন এবং এর সাথে বহু মানুষকে একত্রিত করতে সক্ষম হন যা সরসরি মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হতো। এরপর থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতিতে গরু হয়ে ওঠে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
ঝাঁ বলেছেন, আর্যদের গরু জবাইয়ের অনেক তথ্য থাকলেও এটি সময়ের সাথে তার আকর্ষণ হারিয়েছে। মৌর্য এবং গুপ্ত শাসনামলের পরবর্তী সময়ে ব্রাক্ষণরা সরাসরি গরু জবাইকে নিরুৎসাহিত এবং অননুমোদিত করেন। মধ্যযুগের পরবর্তী সময়ে এটা ধর্মীয় প্রতিকৃতি ধারণ করে এবং ১৯ শতকে হিন্দু ধর্মের পরিচায়ক হয়ে দাঁড়ায়।
Share:

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

Recent Posts

Unordered List

Definition List