পণ্যের
পাশাপাশি পর্নও হাত ধরেছে হোম ডেলিভারির। হাজারো ওয়েবসাইট প্রতিদিন
হাজারো খদ্দেরের কাছে সাপ্লাই দিচ্ছে এধরনের হোম ডেলিভারি। ইন্টারনেটের
ব্রাউজারের অ্যাড্রেসবারে ট্রিপল ডবলু লিখেই হোম ডেলিভারি পাওয়া যাচ্ছে
রাত রঙিন করার সমস্ত রসদ! এখন হাড়কাটা গলি কিংবা সোনাগাছির দালালদের নামও
বদলে হয়েছে ‘এসকর্ট সার্ভিস’৷ এক্কেবারে প্রকাশ্যে এবং সব্বাইকে জানিয়েই
এই সার্ভিস প্রতিদিন হাজারো হোটেল এবং ফ্ল্যাটে পৌঁছে দিচ্ছে হোম ডেলিভারি।
টিং টং…………
অভিজাত হোটেলের আধো আলোছায়া রুমে বেজে উঠল কলিং বেল! ব্যবসার কাজে আসা নামী কোম্পানির পদস্থ কর্তা দরজাটা খুলতেই, দেখতে পেলেন এক সুন্দরী মহিলা। মহিলা বলাটা হয়তো ভুলই হবে, ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক মাখা, শরীর থেকে নেশা মাখা দামি পারফিউমের গন্ধ। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সুন্দরী চোখে চোখ রেখে মুচকি হেসে শুধু বললেন, ‘আপনার জন্য হোম ডেলিভারি হাজির।’
এতদিন হোম ডেলিভারি বলতে আমরা দুপুর-রাতের খাবারকেই বুঝতাম। দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে হোম ডেলিভারির সংজ্ঞাটাও বদলে গিয়েছে। সস্তা ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন আলু-মুড়ি থেকে পাজামা-কুর্তা, সবই হোমে ডেলিভারি হচ্ছে। আর মুদিখানার দোকানে গিয়ে ফর্দ দিয়ে মাসকাবারি কিনতে হয় না। ডেক্সটপ, ল্যাপটপে হাজারো অনলাইন শপিংয়ের সাইটে গিয়ে কেনাকাটা করা যাচ্ছে। হোমে ডেলিভারি নিয়ে দাম মেটানোর মার্কেটিং করার সংজ্ঞাটাও এখন হাইটেক হয়েছে। ছবি দেখে পণ্য পছন্দ করে হোম ডেলিভারির কল্যাণে ক্যুরিয়র সার্ভিস কোম্পানিগুলির কদর বেড়েছে।
তবে, ডাব্বায় খাবার কিংবা অনলাইন শপিংয়ের পাশাপাশি এখন সব কিছুই হোমে ডেলিভারি পাওয়া যাচ্ছে। চিরচরিত হোম ডেলিভারি শুধু পেটের খিদেই মেটাচ্ছে তা কিন্তু নয়। মনে ও যৌনক্ষুধা মেটাতেও এবারে আসরে নেমেছে হোম ডেলিভারি। ফেল কড়ি মাখো তেল, এই দাওয়াইয়ে এবার কড়ি ফেললেই ঘরের দোরে হাজির হবে হোম ডেলিভারি ষোড়শী কন্যা!
সোস্যাল নেটওয়ার্ক সাইট এবং ইন্টারনেটের দৌলতে জেন-যুগে পণ্যের পাশাপাশি পর্ণও হাত ধরেছে হোম ডেলিভারির। লাজ-লজ্জার মাথা খেয়ে এই হোম ডেলিভারিতে নাম লেখাচ্ছেন অনেক স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী থেকে গৃহবধূ, আপকামিং মডেল, অভিনেত্রী৷ এমনকি, এয়ার হোস্টেসদেরও ডিমান্ড প্রচুর।
কীভাবে চলছে এই জাতীয় হোম ডেলিভারি? ইন্টারনেট ঘাঁটলেই খোঁজ মিলবে হাজারো এসকর্ট সার্ভিস প্রোভাইডারের ঠিকানা। যারা আপনার ফ্ল্যাট কিংবা হোটেল রুমে পৌঁছে দেবে হোম ডেলিভারি কন্যা। কোনও ক্যাটাগরির সুন্দরী চাই, তা স্থির করে করা যেতে পারে ফোন কিংবা ইমেল। হাতে গরম রেসপন্স মিলবে। এসকর্ট সার্ভিস পছন্দের সুন্দরীদের ছবিও পাঠিয়ে দেবে। সব দিক বিচার করলে অর্ডার দিলেই ফ্ল্যাট-হোটেল রুমে হাজির আপনার হোম ডেলিভারি। যত কড়ি ততটাই ফান হাইটেক এই হোম ডেলিভারি সার্ভিসের।
এছাড়া সোস্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এই হোম ডেলিভারি সার্ভিসে অন্য একটি উপায় আছে। অনেক ক্ষেত্রেই স্বাধীনভাবে অনেক মেয়ে সরাসরি ফেসবুকে পেজ এবং প্রোফাইল করে হাইটেক হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালাচ্ছেন। ওয়াল এবং অ্যাবাউট ভালো করে ঘাঁটলেই ফেসবুকেই প্রচুর কলগার্লের সন্ধান লক্ষ করা যায়। ইনবক্সে মেসেজের মাধ্যমেই ঠিক হয় দরদাম। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেই নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যাবে হোম ডেলিভারি। অনেক এসকর্ট সার্ভিসও চলছে এই ফেসবুকের ওয়ালেই।
এই হোম ডেলিভারি সার্ভিসকে বেশ কয়েকটি ক্যাটাগিতে ভাগ করা হয়েছে। একদম সস্তার ডেলিভারির জন্য কমপক্ষে আট থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে প্রতি দেড় থেকে দু’ঘণ্টার জন্য। একরাতের জন্য খরচ পড়বে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ৩ নম্বর ক্যাটারিতে দেড় থেকে দু’ঘণ্টার জন্য কড়ি গুনতে হবে ১৬ থেকে ২৫ হাজার টাকা। হাইফাই এই ক্যাটাগরিতে সারারাতের জন্য পকেট খসাতে হবে ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এর বাইরেও রয়েছে লাক্সারি, সেলিব্রিটি-ভিআইপি ক্যাটাগরি। এর জন্য কোনও নির্দিষ্ট রেট চার্ট নেই। গোটাটাই স্থির হয় এসকর্ট সার্ভিস এবং ক্রেতার আলোচনা এবং ডিমান্ডের উপর। তবে প্রতিটি ক্যাটাগরিতেই কিন্তু, কমপক্ষে চার থেকে পাঁচতারা হোটেল হতে হবে। তার খরচ আপনাকেই গুনতে হবে। সার্ভিস প্রোভাইডারকে রুম নম্বর জানিয়ে দিলেই হোম ডেলিভারি হয়ে যাবে সঠিক স্থানে। অনেক সময় বিজনেস ক্লায়েন্ট সন্তুষ্ট করতেও হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা থাকে। প্রতিদিন রাতে এমনভাবেই রমরমিয়ে চলছে হোম ডেলিভারি।
টিং টং…………
অভিজাত হোটেলের আধো আলোছায়া রুমে বেজে উঠল কলিং বেল! ব্যবসার কাজে আসা নামী কোম্পানির পদস্থ কর্তা দরজাটা খুলতেই, দেখতে পেলেন এক সুন্দরী মহিলা। মহিলা বলাটা হয়তো ভুলই হবে, ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক মাখা, শরীর থেকে নেশা মাখা দামি পারফিউমের গন্ধ। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সুন্দরী চোখে চোখ রেখে মুচকি হেসে শুধু বললেন, ‘আপনার জন্য হোম ডেলিভারি হাজির।’
এতদিন হোম ডেলিভারি বলতে আমরা দুপুর-রাতের খাবারকেই বুঝতাম। দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে হোম ডেলিভারির সংজ্ঞাটাও বদলে গিয়েছে। সস্তা ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন আলু-মুড়ি থেকে পাজামা-কুর্তা, সবই হোমে ডেলিভারি হচ্ছে। আর মুদিখানার দোকানে গিয়ে ফর্দ দিয়ে মাসকাবারি কিনতে হয় না। ডেক্সটপ, ল্যাপটপে হাজারো অনলাইন শপিংয়ের সাইটে গিয়ে কেনাকাটা করা যাচ্ছে। হোমে ডেলিভারি নিয়ে দাম মেটানোর মার্কেটিং করার সংজ্ঞাটাও এখন হাইটেক হয়েছে। ছবি দেখে পণ্য পছন্দ করে হোম ডেলিভারির কল্যাণে ক্যুরিয়র সার্ভিস কোম্পানিগুলির কদর বেড়েছে।
তবে, ডাব্বায় খাবার কিংবা অনলাইন শপিংয়ের পাশাপাশি এখন সব কিছুই হোমে ডেলিভারি পাওয়া যাচ্ছে। চিরচরিত হোম ডেলিভারি শুধু পেটের খিদেই মেটাচ্ছে তা কিন্তু নয়। মনে ও যৌনক্ষুধা মেটাতেও এবারে আসরে নেমেছে হোম ডেলিভারি। ফেল কড়ি মাখো তেল, এই দাওয়াইয়ে এবার কড়ি ফেললেই ঘরের দোরে হাজির হবে হোম ডেলিভারি ষোড়শী কন্যা!
সোস্যাল নেটওয়ার্ক সাইট এবং ইন্টারনেটের দৌলতে জেন-যুগে পণ্যের পাশাপাশি পর্ণও হাত ধরেছে হোম ডেলিভারির। লাজ-লজ্জার মাথা খেয়ে এই হোম ডেলিভারিতে নাম লেখাচ্ছেন অনেক স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী থেকে গৃহবধূ, আপকামিং মডেল, অভিনেত্রী৷ এমনকি, এয়ার হোস্টেসদেরও ডিমান্ড প্রচুর।
কীভাবে চলছে এই জাতীয় হোম ডেলিভারি? ইন্টারনেট ঘাঁটলেই খোঁজ মিলবে হাজারো এসকর্ট সার্ভিস প্রোভাইডারের ঠিকানা। যারা আপনার ফ্ল্যাট কিংবা হোটেল রুমে পৌঁছে দেবে হোম ডেলিভারি কন্যা। কোনও ক্যাটাগরির সুন্দরী চাই, তা স্থির করে করা যেতে পারে ফোন কিংবা ইমেল। হাতে গরম রেসপন্স মিলবে। এসকর্ট সার্ভিস পছন্দের সুন্দরীদের ছবিও পাঠিয়ে দেবে। সব দিক বিচার করলে অর্ডার দিলেই ফ্ল্যাট-হোটেল রুমে হাজির আপনার হোম ডেলিভারি। যত কড়ি ততটাই ফান হাইটেক এই হোম ডেলিভারি সার্ভিসের।
এছাড়া সোস্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এই হোম ডেলিভারি সার্ভিসে অন্য একটি উপায় আছে। অনেক ক্ষেত্রেই স্বাধীনভাবে অনেক মেয়ে সরাসরি ফেসবুকে পেজ এবং প্রোফাইল করে হাইটেক হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালাচ্ছেন। ওয়াল এবং অ্যাবাউট ভালো করে ঘাঁটলেই ফেসবুকেই প্রচুর কলগার্লের সন্ধান লক্ষ করা যায়। ইনবক্সে মেসেজের মাধ্যমেই ঠিক হয় দরদাম। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেই নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যাবে হোম ডেলিভারি। অনেক এসকর্ট সার্ভিসও চলছে এই ফেসবুকের ওয়ালেই।
এই হোম ডেলিভারি সার্ভিসকে বেশ কয়েকটি ক্যাটাগিতে ভাগ করা হয়েছে। একদম সস্তার ডেলিভারির জন্য কমপক্ষে আট থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে প্রতি দেড় থেকে দু’ঘণ্টার জন্য। একরাতের জন্য খরচ পড়বে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ৩ নম্বর ক্যাটারিতে দেড় থেকে দু’ঘণ্টার জন্য কড়ি গুনতে হবে ১৬ থেকে ২৫ হাজার টাকা। হাইফাই এই ক্যাটাগরিতে সারারাতের জন্য পকেট খসাতে হবে ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এর বাইরেও রয়েছে লাক্সারি, সেলিব্রিটি-ভিআইপি ক্যাটাগরি। এর জন্য কোনও নির্দিষ্ট রেট চার্ট নেই। গোটাটাই স্থির হয় এসকর্ট সার্ভিস এবং ক্রেতার আলোচনা এবং ডিমান্ডের উপর। তবে প্রতিটি ক্যাটাগরিতেই কিন্তু, কমপক্ষে চার থেকে পাঁচতারা হোটেল হতে হবে। তার খরচ আপনাকেই গুনতে হবে। সার্ভিস প্রোভাইডারকে রুম নম্বর জানিয়ে দিলেই হোম ডেলিভারি হয়ে যাবে সঠিক স্থানে। অনেক সময় বিজনেস ক্লায়েন্ট সন্তুষ্ট করতেও হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা থাকে। প্রতিদিন রাতে এমনভাবেই রমরমিয়ে চলছে হোম ডেলিভারি।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন