মানুষের সৌন্দর্যের একটা বড় অংশ হচ্ছে চুল। মানুষ চুলের স্টাইল এর জন্য
প্রচুর সময় ও টাকা ব্যয় করেন কারণ চুল এবং চুলের ধরণ ব্যাক্তি স্বাতন্ত্র্য
ফুটিয়ে তুলে। খুব বেশি পরিমাণে চুল পড়া একটি যন্ত্রণাদায়ক শারীরিক সমস্যা।
তরুণ অথবা বৃদ্ধ উভয় অবস্থাতেই মানুষ এই সমস্যাটিতে ভুগতে পারেন। সব মেয়েই
চায় তার চুল যতদূর সম্ভব ঘন, লম্বা, চকচকে, শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান হোক।
কিন্তু বেশির ভাগ মেয়েরাই চুল গজানোর চেয়ে চুল পড়ার সমস্যায় ভুগে থাকে
বেশি । জিনগত কারণে অনেক পুরুষ মানুষের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মাথার চুল
পড়ে যায় এমনকি টাক পড়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য তাঁরা তাদের
সাধ্যের মধ্যে যা যা করা সম্ভব সবই করেন। মার্কেট গুলোতে অনেক দামী ক্রীম,
শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও মাস্ক পাওয়া যায়, কিন্তু এদের বেশিরভাগই অকার্যকর।
পুষ্টির অভাব, হরমোনের অসামঞ্জস্য, মানসিক চাপ, জিনগত সমস্যা, চুলের
স্টাইল, চুলে তাপ দেয়ার ভুল পদ্ধতি সহ আরো অনেক কারনেই চুল পড়ার সমস্যা হতে
পারে। কিন্তু চিন্তার কোন কারণ নেই। এমন অনেক প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া কিছু
উপাদান আছে যা চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত
করতে অনেক বেশি কার্যকরী।
পেঁয়াজ শুধু আপনার রান্নাকেই সুস্বাদু করেনা আপনার চুল এর বৃদ্ধিতেও কার্যকরী ভুমিকা রাখে। পেঁয়াজের রস এ সালফার থাকে যা কোলাজেন টিস্যু এর উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। মাঝারি আকারের ২ থেকে ৪ টা পেঁয়াজ থেঁতলে রস বের করে নিতে হবে। এবার পেঁয়াজের রসটুকু মাথার তালুতে খুব ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে। এভাবে ১ ঘন্টা রাখতে হবে, যদি সম্ভব না হয় তাহলে ১৫ মিনিট রাখলেও হবে।তারপর শ্যাম্পু ও পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন । পেঁয়াজের রসের ঝাঁঝের জন্য চোখ জলে ও পানি চলে আসে। যারা এটা সহ্য করতে পারবেন না তাদের জন্য বিকল্প আরেকটি পদ্ধতি আছে,তা হল-
৪-৫টি
পেঁয়াজ কেটে নিতে হবে। ১ লিটার পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। ফুটন্ত পানির মধ্যে
পেঁয়াজের টুকরা গুলো দিয়ে আরও ৫-১০ মিনিট ফুটাতে হবে। তারপর মিশ্রণটি
ঠাণ্ডা করতে হবে। চুল শ্যাম্পু করার পর পেঁয়াজের এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে
ফেলুন। যদি আপনি পেঁয়াজের গন্ধটা সহ্য করতে পারেন তাহলে ওই দিন আরচুল ধোয়ার
দরকার নেই। পরদিন শ্যাম্পু করে পরিস্কার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।আর যদি
আপনি গন্ধটা সহ্য করতে না পারেন তাহলে অন্তত ১ ঘণ্টা এভাবে রাখুন।তারপর
পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পেঁয়াজের রস শুধুমাত্র আপনার চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক না বরং এটা আপনার চুলের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি করবে অবিশ্বাস্য রকম ভাবে।
২। ডিম
চুল কেরাটিন প্রোটিন দিয়ে তৈরি, আর ডিম হচ্ছে প্রোটিনের চমৎকার উৎস।তাই ডিম চুলের বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ২টা ডিমের কুসুমের সাথে ২ টেবিল চামচ জলপাই তেল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আপনার মাথার তালুতে ভালো করে ম্যাসাজ করুন এবং এভাবে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল পরিস্কার করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। বিকল্প আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে – ১টি ডিমের সাথে এক কাপের এক চতুর্থাংশ পরিমাণ টক দই ও মেয়নেজ নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।তারপর এই মাস্কটি চুলে লাগান এবং একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। এভাবে আধা ঘন্টা রাখার পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩। ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা এমন বিস্ময়কর একটি উদ্ভিদ যা মানুষের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে চুল ও ত্বকের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। আপনার পছন্দের তেলের সাথে অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে এর সাথে পানি মিশ্রিত করলে একটি ভালো কন্ডিশনার তৈরি হবে। এই কন্ডিশনারটি চুলের জন্য অনেক উপকারী ।
টিপসঃ
উপরের পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করার পাশাপাশি আপনি চুলের বৃদ্ধির জন্য আর একটি জিনিষ সব সময় করবেন, তা হল – প্রতি সপ্তাহে আপনার মাথায় পুষ্টিকর তেল ম্যাসাজ করবেন। এর জন্য নারিকেল তেল বা জলপাই তেল বা আমন্ড তেল একটু গরম করে আপনার মাথার তালুতে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করবেন এবং এভাবে সারারাত রেখে দিতে পারলে ভালো। আর যদি তা করা সম্ভব না হয় তাহলে একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে পানি নিংড়ে নিয়ে আপনার তেলে সিক্ত মাথায় কিছুক্ষণের জন্য জড়িয়ে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন ও কন্ডিশনার দিন।প্রতি সপ্তাহে এই কাজটি করতে পারলে আপনার চুল শক্তিশালি, ঘন ও স্বাস্থ্যবান হবে।
আসুন জেনে নেই সেই উপাদান গুলো ও তাদের ব্যবহার প্রণালীঃ
১। পেঁয়াজের রসপেঁয়াজ শুধু আপনার রান্নাকেই সুস্বাদু করেনা আপনার চুল এর বৃদ্ধিতেও কার্যকরী ভুমিকা রাখে। পেঁয়াজের রস এ সালফার থাকে যা কোলাজেন টিস্যু এর উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। মাঝারি আকারের ২ থেকে ৪ টা পেঁয়াজ থেঁতলে রস বের করে নিতে হবে। এবার পেঁয়াজের রসটুকু মাথার তালুতে খুব ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে। এভাবে ১ ঘন্টা রাখতে হবে, যদি সম্ভব না হয় তাহলে ১৫ মিনিট রাখলেও হবে।তারপর শ্যাম্পু ও পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন । পেঁয়াজের রসের ঝাঁঝের জন্য চোখ জলে ও পানি চলে আসে। যারা এটা সহ্য করতে পারবেন না তাদের জন্য বিকল্প আরেকটি পদ্ধতি আছে,তা হল-
পেঁয়াজের রস শুধুমাত্র আপনার চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক না বরং এটা আপনার চুলের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি করবে অবিশ্বাস্য রকম ভাবে।
২। ডিম
চুল কেরাটিন প্রোটিন দিয়ে তৈরি, আর ডিম হচ্ছে প্রোটিনের চমৎকার উৎস।তাই ডিম চুলের বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ২টা ডিমের কুসুমের সাথে ২ টেবিল চামচ জলপাই তেল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আপনার মাথার তালুতে ভালো করে ম্যাসাজ করুন এবং এভাবে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল পরিস্কার করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। বিকল্প আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে – ১টি ডিমের সাথে এক কাপের এক চতুর্থাংশ পরিমাণ টক দই ও মেয়নেজ নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।তারপর এই মাস্কটি চুলে লাগান এবং একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। এভাবে আধা ঘন্টা রাখার পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩। ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা এমন বিস্ময়কর একটি উদ্ভিদ যা মানুষের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে চুল ও ত্বকের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। আপনার পছন্দের তেলের সাথে অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে এর সাথে পানি মিশ্রিত করলে একটি ভালো কন্ডিশনার তৈরি হবে। এই কন্ডিশনারটি চুলের জন্য অনেক উপকারী ।
টিপসঃ
উপরের পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করার পাশাপাশি আপনি চুলের বৃদ্ধির জন্য আর একটি জিনিষ সব সময় করবেন, তা হল – প্রতি সপ্তাহে আপনার মাথায় পুষ্টিকর তেল ম্যাসাজ করবেন। এর জন্য নারিকেল তেল বা জলপাই তেল বা আমন্ড তেল একটু গরম করে আপনার মাথার তালুতে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করবেন এবং এভাবে সারারাত রেখে দিতে পারলে ভালো। আর যদি তা করা সম্ভব না হয় তাহলে একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে পানি নিংড়ে নিয়ে আপনার তেলে সিক্ত মাথায় কিছুক্ষণের জন্য জড়িয়ে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন ও কন্ডিশনার দিন।প্রতি সপ্তাহে এই কাজটি করতে পারলে আপনার চুল শক্তিশালি, ঘন ও স্বাস্থ্যবান হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন