রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৫

বিয়ের পর ‘হ্যাপি’ মুডে দেব ও শুভশ্রী!

বিয়ের পর ‘হ্যাপি’ মুডে দেব ও শুভশ্রী!
বিনোদন ডেস্ক : কদিন আগেই তো দেখা গিয়েছিল দেব ও শুভশ্রীর ‘বিয়ের ছবি’৷ সকলে একযোগে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাহলে কি তারা বিয়েটা সেরে ফেললেন! বরবেশী দেব ও কনের সাজে শুভশ্রীর ছবি প্রমাণ দিচ্ছিল বিয়ে তো হয়েইছে। আসলে যদি হয়ও তবে তা সিনেমার খাতিরে। আর সে ছবি প্রকাশে সাড়া পড়ে যাওয়ার পর নায়িকা দেখালেন এ ছবি। এবার একসঙ্গে কোথায় চললেন দেব-শুভশ্রী, একেবারে ‘হ্যাপি’ মুডে? আসলে তারা এখন নৈনিতালে। চলছে তাদের নতুন ছবি ‘ধূমকেতু’র শুটিং। বেশ কয়েক বছর পর টলিপাড়ায় ফিরেছে এ জুটি? সম্পর্কের চোরাটান ছাপিয়ে পেশাদারিত্বের আলোতে ফিরেছিলেন দু’জনে। সৌজন্যে অবশ্যই কৌসিক গঙ্গোপাধ্যায়। পরিচালক হিসেবে তিনি অন্য ঘরানার হলেও, এবার দেব ও শুভশ্রীর মতো নায়ক-নায়িকাকেও শামিল করেছেন তার ঘরানায়। বাংলার এই ‘প্রফেসর’ পরিচালক যে আবার নতুন করে চমকে দেবেন এমনটাই প্রত্যাশিত। তবে সব থেকে বেশী চমকে দিয়েছিলেন তার ছবির নায়ক-নায়িকা। প্রথম লুকে বিয়ের বেশে ধরা দিয়েই ফ্যানদের মন জয় করেছিলেন। সকলে একবাক্যে প্রায় স্বীকার করেছিলেন, এ জুটির সারল্যই এদের ইউএসপি। বিয়ের সাজে তাদের ছবির সেই সারল্যই যেন বোল্ড করেছিল ফ্যানদের। ক’দিন কাটতে না কাটতেই নায়িকার প্রোফাইলে আবার হ্যাপি মুডের ছবি। আসলে নৈনিতালে জমিয়ে চলছে ছবির শুটিং। আর তাই বিন্দাস মেজাজে নায়ক-নায়িকা। এ ছবিতেই প্রযোজক দেবের যাত্রা শুরু। শুভশ্রীকে সঙ্গে নিয়েই সে যাত্রা শুরু করেছেন। বেশ কয়েক বছর অন্তরালে থাকলেও ধূমকেতুর মতোই যেন ফিরে এসেছে এ জুটি। আর ইতিমধ্যেই দর্শকের যে পরিমাণ ভালবাসা পেয়েছেন, তাতে ‘ধূমকেতু’র সাফল্য অনেকটাই যেন নিশ্চিত।
Share:

মৌলিক সংখ্যা (Prime Number) বের করার ইজি টেকনিক


মৌলিক সংখ্যাঃ যে সংখ্যাকে ১ এবং সে সংখ্যা ছাড়া অন্য কোন সংখ্যা দ্বারা ভাগ যায় না, তাকে মৌলিক সংখ্যা বলে। অর্থাৎ ১ থেকে বড় যেসবসংখ্যার ১ ও ঐ সংখ্যা ছাড়া অপর কোন গুণনীয়ক থাকে না, তাই হল মৌলিক সংখ্যা। যেমন ২, ৫, ৭, ১১ ইত্যাদি।
১-১০০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা ২৫ টিঃ
২,৩,৫,৭,১১,১৩,১৭,১৯,২৩,২৯,৩১,৩৭,৪১,৪৩,৪৭,৫৩,৫৯,৬১,৬৭,৭১,৭৩,৭৯,৮৩,৮৯, এবং ৯৭।
 ১-১০০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যার যোগফল ১০৬০
১-১০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা ৪ টি।
এভাবে ১-১০,১১-২০…… ১০০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা হল ৪,৪,২,২,৩,২,২,৩,২,১
Simple টেকনিকঃ
শুধু মাত্র ২ ব্যতিত অন্য কোন জোড় সংখ্যা মৌলিক সংখ্যা হবে না। যেমনঃ ১২,২৮,৪৫৬
দুই বা ততোধিক সংখ্যার শেষে ৫ থাকলে সেটি মৌলিক সংখ্যা হবে না। যেমনঃ ৫৫, ২৫,৬২৪৫ এগুলো ৫ দ্বারা বিভাজ্য।
তাহলে প্রতি  ১-১০/১০-২০/২০-৩০ ……ক্রমে ৭টি সংখ্যা থাকে যেগুলো জোড় অথবা শেষে ৫ থাকে এবং সেই সংখ্যা গুলো অমৌলিক বা মৌলিক সংখ্যা হয় নয়। যেমনঃ ২০-৩০ এর মধ্যে ২০,২২,২৪,২৫,২৬,২৮ এবং ৩০। তাহলে  আর বাকি থাকল ২১,২৩,২৭ এবং ২৯ ।এগুলো মৌলিক কিনা তা জানার জন্য নিচের পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
মৌলিক সংখ্যা বের করার পদ্ধতিঃ
১ম পদ্ধতিঃ ১-১০ এর মধ্যে যে ৪ টা মৌলিক সংখ্যা আছে, (২,৩,৫,৭) এবং ২,৩,৫,৭ এর যোগফল ১৭ দিয়ে ভাগ না গেলে ঐ সংখ্যাটি মৌলিক সংখ্যা। যেমনঃ ৯৭ কে (২,৩,৫,৭,১৭) দিয়ে ভাগ যায় না, তাই এটি মৌলিক সংখ্যা। কিন্তু ১৬১ কে (২,৩,৫,৭,১৭) এর মধ্যে ৭ দিয়ে ভাগ যায়। তাই ১৬১ মৌলিক সংখ্যা না।
২য় পদ্ধতিঃ যে সংখ্যাটি মৌলিক সংখ্যা কিনা জানতে চাওয়া হবে সেটির() বের করুন। রুট সংখ্যাটির সামনে ও পিছনের মৌলিক সংখ্যাটি দিয়ে ঐ সংখাকে ভাগ যায় কিনা দেখুন। যদি ভাগ যায় তবে মৌলিক সংখ্যা না। যেমন ১৪৩ এর রুট করলে পাওয়া যায় ১১.৯৬। এখানে ১১ নিজে মৌলিক সংখ্যা এবং এর পরের মৌলিক সংখ্যা হল ১৩। এই দুইটি সংখ্যা দিয়ে ১৪৩ কে ভাগ যায়। তাই এটি মৌলিক সংখ্যা নয়।
অর্থাৎ ২,৩,৫,৭,১১,১৩,১৭ দিয়ে ভাগ না গেলে বুঝতে হবে সংখ্যাটি মৌলিক সংখ্যা।
Share:

শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৫

ওর জন্য ধর্ম ত্যাগ করেছি আর ওর বন্ধুরা মিলে আমাকে…

<a href='http://thenationbd.com/beta/www/delivery/ck.php?n=a1bc209d' target='_blank'><img src='http://thenationbd.com/beta/www/delivery/avw.php?zoneid=2&n=a1bc209d' border='0' alt='' /></a>
wefef
বিচিত্র মানুষের জীবন আর এই বিচিত্র জীবনের বহু বাক, জীবন আছে বলেই সমস্যা আছে। এই সব সমস্যার সমাধান ও আছে। কিছু কিছু সময় এই সব সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে, মানুষের দ্বারা কিছু সমস্যা মাঝে মাঝে জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। এই সব ঝামেলা মোকাবেলা করে জীবনকে এগিয়ে নিতে হবে। আমি সোমা কামাল সবাইকে সবসময় এটাই বলে থাকি, জীবন আপনার এটাকে গুছিয়ে নেবার দ্বায়িত্ব আপনারই।  দীর্ঘ সময় থেকে আপনাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে আমরা পরামর্শ দেবার চেস্টা করছি, আশা করছি এই ধারা অব্যাহত থাকবে, আপনিও চাইলে আপনার যেকোন সমস্যার কথা আমাদেরকে মেইল করতে পারেন কিংবা ফেসবুক পেজের মাধ্যমে জানাতে পারেন,  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণী জানিয়েছেন তার জীবনের করুন কথা, আমরা সংক্ষেপে সেটা প্রকাশ করলাম।


লীরা (ছদ্মনাম): আপু আমার আর বাচার কোন ইচ্ছে নেই, আমার জীবনের সবই তো শেষ। আমি হিন্দু মেয়ে বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ। আমার ফ্যামিলি মোটামুটি সচ্ছল, আমি ক্লাস টেনে থাকাকালীন এক মুসলমান ছেলের সাথে রং নাম্বারের সুত্র ধরে পরিচয় তারপর প্রেম হয়।  ছেলেটির নাম শাওন ঢাকায় থাকে। আমাদের সম্পর্ক খুব ভালই চলছিল। দিনের বেশিরভাগ সময়ই আমরা ফোনে কথা বলতাম। অনার্সে ভর্তি হবার পরপরই আমার বিয়ে ঠিক হয়। আমি শাওনের সাথে কথা বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসি। ইসলাম ধর্ম গ্রহন করি। তারপর আমাদের বিয়ে হয়। ও আমাকে যাত্রাবাড়ী এক বাসায় রাখে। বলেছিল কিছুদিন পর আমাকে বাড়িতে নিবে। সেভাবেই চলছিলো। হঠাৎ জানতে পারলাম সে বিবাহিত। তবুও আমি মেনে নিয়েছিলাম। কারন আমার পিছু ফেরার কোন উপায় নাই।
মাসখানেক পর একটা বাচ্চা সহ ওর বউ এসে হাজির হয় আমার বাসায়। আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। শাসিয়ে যায় শাওন কে তালাক দেবার জন্য। এই নিয়ে শাওনের সাথে আমার অনেক ঝগড়া হয়। শাওনকে বলতেই সে আমাকে মারধোর করে। শাওনের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর বড় ভাই পুলিশ অফিসার। সে ও আমায় ফোনে হুমকি দিতে থাকে। একদিন ওই মহিলা তার বন্ধুদের নিয়ে আবার আমার বাসায় এসে আমাকে মারধর করে। অবশেষে শাওন আমাকে এক লাখ টাকা দিয়ে তালাক দিয়ে দেয়।  আপু, যাকে আমি জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসলাম, যার জন্য ধর্ম ত্যাগ করলাম সেই আমার সাথে এমন করলো। এই শহরে আমি নতুন। আমি এখন কোথায় যাব। আমার কি এখন আত্মহত্যা ছাড়া কোন পথ নেই। আপু আমার কি ভুল ছিল আপনি বলতে পারেন?
*পরামর্শ*
তোমার সাথে যা ঘটেছে সেটা নিতান্তই অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত, যেহেতু তুমি ধর্ম ত্যাগ করেছো সেহেতু তোমার বাড়িতে তোমাকে ফিরিয়ে নিতে চাইবেনা। এই মুহুর্তে আমি তোমাকে কি বলে সান্তনা দিব বুঝতে পারছিনা। আমি পাঠকদের কাছে তোমার প্রশ্নটি ছুড়ে দিলাম। দেখি তারা কি উপদেশ দেয়
Share:

সাকিবকে মহাতারকাদের সমপর্যায়ের আখ্যা দিলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচিন !

:বন্ধু শেন ওয়ার্নকে সাথে নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরপ্রাপ্ত তারকাদের নিয়ে ‘ক্রিকেট অল স্টার্স’ নামের একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছেন কিংবদন্তি ভারতীয় ক্রিকেটার শচিন টেন্ডুলকার। শনিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের পূর্বে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন শচিন।
সেখানেই শচিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ৮টি দেশের কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা থাকলেও, অন্য দেশগুলো থেকে কোন ক্রিকেটার এখানে নেই কেন? বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে দারূণ ক্রিকেট খেলতে থাকা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয় তার কাছে।
জবাবে শচিন বলেন, ‘আপনি যদি এই ক্রিকেটারদের অসাধারণ রেকর্ডের দিকে নজর দেন, তবে আমার মনে হয় বাংলাদেশে একজন ক্রিকেটার আছেন, যিনি এই মহাতারকাদের সমপর্যায়ের। সাকিব আল হাসানই বাংলাদেশের সেই ক্রিকেটার, যিনি আমাদের সাথে যোগ দিতে পারেন। তবে আমি বলছি না তার এখনই অবসর নিয়ে আমাদের এখানে চলে আসা উচিত! আপাতত তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই চালিয়ে যাবেন। যখন সঠিক সময় আসবে, তিনি অবশ্যই আমাদের দলে চলে আসবেন।’
শেখ মিনহাজ হোসেইন নামে একজন ফেসবুক ব্যাবহারকারী লিখেছেন,
বাংলা অনলাইন পত্রিকাগুলো কেউই এখনো এমন একটা রিপোর্ট করলো না দেখে অবাক হলাম! কেউই খেয়াল করেনি বোধহয়। আজ Cricket All Stars এর সংবাদ সম্মেলন দেখছিলাম। সবাই জানি সেখানে সব রিটায়ার্ড লিজেন্ডরা খেলছে। একজন সাংবাদিক সাচিন এবং ওয়ার্নকে জিজ্ঞেস করে এখানে বাংলাদেশি কেউ নেই কেন? তার জবাবে সাচিন টেন্ডুলকার বলেন, বাংলাদেশের Shakib Al Hasan এই লিজেন্ডদের সমকক্ষ!! (What a true compliment! kiki emoticon ) কিন্তু সাকিব রিটায়ার করুক তারপর এই দলে যোগ দিবে! সাংবাদিক সম্ভবত বাংলাদেশি ছিলেন। এক্সাক্ট কনভার্সেশনটা ছিলঃ
সাংবাদিকঃ আমাদের এখানে আট দেশের সব লিজেন্ডারি খেলোয়ারেরা আছে। কিন্তু অন্য কিছু দেশের কোন খেলোয়ার এখানে নেই। যেমন, বাংলাদেশ ইদানিং খুবই ভালো করছে! এই লিস্টে বাংলাদেশের কোন খেলোয়ার নেই কেন?
সাচিন টেন্ডুলকারঃ দেখেন, এখানে সবাই সুপারস্টার। তাদের সবার রেকর্ড আর খেলা যদি দেখেন তাহলে সবাই incredible ছিল। এবং সবাই অবসর নেয়া খেলোয়ার। এখন আমি মনে করি বাংলাদেশের মাত্র একজন খেলোয়ারই আছেন যে এই লিস্টে জায়গা নিতে পারে, সে হচ্ছে সাকিব আল হাসান! কিন্তু সে এখনো অবসর নেয়নি, আমি চাইও না যে সে এখনই অবসর নিক। তাকে এখন আন্তর্জাতিক খেলা খেলতে দিন। যখন সময় হবে তখন সে আমাদের সাথেই খেলবে!
-
Share:

লিঙ্গ পরিবর্তনের আগে ও পরে,



se changeনারী থেকে পুরুষে রূপান্তর, কিংবা পুরুষ থেকে নারীতে। আধুনিক যুগে এই বিষয়টা খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং অহরহ শুনতে পাওয়া যাচ্ছে এমন ঘটনার কথা। লিঙ্গ বদলে ফেলা এমন মানুষদের পোশাকি নাম “ট্রান্স জেন্ডার”। তবে বলাই বাহুল্য যে পশ্চিমা দেশগুলোতেও লিঙ্গ বদলে ফেলা মানুষদের নিয়ে কাজ করে বিচিত্র ও মিশ্র অনুভূতি। কেউ কেউ তাঁদের সহজ ভাবে মেনে নিতে চেষ্টা করলেও সমাজের বেশিরভাগ মানুষ দেখেন ঘৃণা কিংবা ভয়ের চোখে। এখন ট্রান্স জেন্ডারের প্রেম, বিয়ে কিংবা অন্য কোন সামাজিক ও ব্যক্তিগত অধিকারের বিষয়টি নিয়েও অনেকের আপত্তি প্রবল।
কিন্তু আসলেই কি একজন লিঙ্গ বদলে ফেলা মানুষ অচ্ছুৎ? লিঙ্গ বদলে ফেললে ঠিক কতটা বদলে যান তিনি? শরীর না হয় বদলে যায়, মনটাও কি বদলে যায়? নাকি দিন শেষে পরিচয় সেই একটাই দাঁড়ায়… আমরা সকলে মানুষ! পৃথিবীতে অনেকেই তাঁদেরকে স্বাভাবিক মানুষ হিসাবে মেনে নিতে নারাজ, আর এটা যার যার অভিরুচি। দেখুন ১০ জন মানুষের লিঙ্গ বদলে ফেলার আগে ও পরের ছবি, দেখুন পার্থক্য। এই ছবিগুলো আপনাকে জীবন সম্পর্কে একটাবার ভাবতে অবশ্যই বাধ্য করবে।

প্রচ্ছদে যাকে দেখতে পাচ্ছেন, তার নাম অ্যাশনেল। বামদিকের ছবিগুলো লিঙ্গ পরিবর্তনের আগে ও ডান পাশের ছবিগুলো লিঙ্গ পরিবর্তনের পরে।
২) Cythia
৩) La Patrona
৪) Lady Ross
৫) Lina
৬)Natali
৭)Sahira
৮) Denny
৯) Danay
১০) Vanesa
Share:

১২ টাকার ওষুধে ডায়াবেটিস নির্মূল

diabetes02
মাত্র ১২ টাকার ওষুদের ডায়াবেটিস নির্মূল সম্ভব। এ ওষুধ সেবনে একজন রোগী খুব দ্রুত সুস্থতায় ফিরতে পারবেন।

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে এমন ওষুধ তৈরি করছে ডেনমার্কের কোম্পানি নভো নরডিস্ক। তবে রোগের ধরনের ওপর ভিত্তি করে ভিন্ন ধরনের ওষুধও তৈরি করছে কোম্পানিটি।
বুধবার ডেইলি স্টার ভবনে নভো নরডিস্ক আয়োজিত ‘করপোরেট সাসটেইনেবিলিটি থ্রো ট্রিপল বোটম লাইন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে নভো নরডিস্ক কোম্পানির ভাইস পেসিডেন্ট শুসানি স্টোরমার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘রোগের ওপর নির্ভর করে আমরা ১২ টাকা থেকে ২ হাজার ৪৯০ টাকা পর্রন্ত মূল্যের ডায়াবেটিস ওষুধ বাংলাদেশে বাজারজাত করছি। আমরা শুধু ব্যবসা করছি না, মানবসেবাও করছি। ব্যবসায় ক্ষেত্রে আমরা অর্থনৈতিক ,সামাজিক ও পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেই। ফলে আমাদের কোম্পানিটি ব্যবসায় দীর্ঘ মেয়াদি সফলতা পাচ্ছে। ব্যবসার জন্য এ তিনটি জিনিস খুবই জরুরি। আমরা বিশ্বাস করি ব্যবসার ক্ষেত্রে এই তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিলে দীর্ঘ মেয়াদে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। আর এ কারনে একাধিক টেকসই কোম্পানিগুলোর মধ্যে আমাদের কোম্পানিটি অন্যতম। আমরা সব ধরনের ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য ওষুধ তৈরি করি।’
তিনি জানান, আগামী এপ্রিলে রাইজুডেগ নামে আধুনিক ইনসুলিন বাংলাদেশে বাজারজাত শুরু করবে নভো নরডিস্ক। এটি মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রাখা হবে।
উল্লেখ্য, প্রতি ৭ সেকেন্ডে বিশ্বে এক জন ডায়াবেটিস রোগী মারা যায়। বাংলাদেশে ২০১৪ সালে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৯ লাখ। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের তথ্যমতে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এমন রোগীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হবে। বিশ্বে বর্তমানে ৩৮৭ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এই সংখ্যা বেড়ে ২০৩৫ সালের ৫৯২ মিলিয়নে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন।
অলস জীবনযাত্রা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে শহরে বসবাসকারী মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এ জন্য গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষের ডায়াবেটিস বেশি হয়।
প্রসঙ্গত, নভো নরডিস্ক ৯০ বছর ধরে ডায়াবেটিস রোগীদের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ছাড়াও কোম্পানিটিতে বিশ্বের ৭৫টি দেশে ৪১ হাজার ৪৫০ জন ‍লোক কাজ করছে। এছাড়া ১৮০টি দেশে কোম্পানির উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত হচ্ছে।
Share:

হস্তমৈথুনের ভয়ংকর ক্ষতি ও ছাড়ার উপায়…

হস্তমৈথুন এমন একটি অভ্যাস যা একবার কাউকে পেয়ে বসলে ত্যাগ করা খুবই কষ্টকর হয়ে দাড়ায়। শুধু তাই নয়, অভ্যাসটি এক সময় অনেকের যৌন জীবন বিপর্যস্ত করে তুলে। হস্তমৈথুনের কারণে দুই ধরনের সমস্যা হয়- মানসিক সমস্যা ও শারীরিক সমস্যা।
অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যে ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে:

অকাল বীর্যপাত(Premature Ejaculation)। অর্থাৎ খুব অল্প সময়ে বীর্যপাত ঘটে। ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয়। বৈবাহিক সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না।।
বীর্য পাতলা হয়ে যায় (Temporary Oligospermia)- Oligospermia হলে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়। তখন বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ২০ মিলিয়নের কম। যার ফলে গধষব Male infertility দেখা দেয়। অর্থাৎ সন্তান জন্মদানে ব্যর্থতা দেখা দিতে পারে। একজন পুরুষ যখন স্ত্রীকে রমন করেন তখন তার পুরুষাঙ্গ থেকে যে বীর্য বের হয় সেই বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ৪২ কোটির মত।
বিজ্ঞান বলে, কোনও পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির কম শুক্রাণু বের হয় তাহলে সে পুরুষ কোনও সন্তানের জন্ম দিতে পারেন না। অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়।
Nervous system, heart, digestive system, urinary system এবং আরও অন্যান্য system ক্ষতিগ্রস্ত হয় । পুরো শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীর রোগ-বালাইয়ের যাদুঘর হয়ে যায়।
চোখের ক্ষতি হয়।
স্মরণ শক্তি কমে যায়।
মাথা ব্যথা হয় ইত্যাদি আরও অনেক সমস্যা হয় হস্তমৈথুনের কারণে।
আরেকটি সমস্যা হল Leakage of semen। অর্থাৎ সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হওয়া।
শারীরিক ব্যথা এবং মাথা ঘোরা।
যৌন ক্রিয়ার সাথে জড়িত স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হওয়া অথবা ঠিক মত কাজ না করার পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া।
শরীরের অন্যান্য অঙ্গ যেমন: হজম প্রক্রিয়া এবং প্রসাব প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করে। দ্রুত বীর্যস্থলনের প্রধান কারণ অতিরিক্ত হস্তমৈথুন।
হস্তমৈথুনের ফলে অনেকেই কানে কম শুনতে পারেন
হস্তমৈথুন ছাড়ার টিপস :
কোন কোন সময় হস্তমৈথুন বেশি করেন, সেই সময়গুলো চিহ্নিত করুন। বাথরুম বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন, বা হঠাৎ কোনও সময়ে যদি এমন ইচ্ছে হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে কোনও শারীরিক পরিশ্রমের কাজে লাগে যান। যেমন ডন বৈঠক বা অন্য কোনও ব্যায়াম করতে পারেন। যতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়,
অর্থাৎ হস্তমৈথুন করার মত আর শক্তি না থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই কাজ বা ব্যায়াম করুন। স্নান করার সময় এমন ইচ্ছে জাগলে শুধু ঠাণ্ডা জল ব্যবহার করুন এবং দ্রুত বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসুন।
যতটা সম্ভব নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখুন।
ধৈর্য ধরতে হবে। একদিনেই নেশা থেকে মুক্তি পাবেন, এমন হবে না। একাগ্রতা থাকলে ধীরে ধীরে যে কোন নেশা থেকেই বের হয়ে আসা যায়। মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যাবে। তখন হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দেবেন না। চেষ্টা করে যান।
হস্তমৈথুনে চরমভাবে এডিক্টেড হলে কখনোই একা থাকবেন না, ঘরে সময় কম কাটাবেন, বাইরে বেশি সময় কাটাবেন। জগিং করতে পারেন, সাইকেল নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। ছাত্র হলে ক্লাসমেটদের সাথে একসাথে পড়াশুনা করতে পারেন। লাইব্রেরি বা কফি শপে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন।
সন্ধ্যার সময়ই ঘুমিয়ে পড়বেন না। কিছু করার না থাকলে মুভি দেখুন বা বই পড়ুন।
ভিডিও গেম খেলতে পারেন। এটাও হস্তমৈথুনের কথা ভুলিয়ে দেবে।
সেক্সুয়াল ব্যাপারগুলো একেবারেই এড়িয়ে চলবেন। এধরনের কোনও শব্দ বা মন্তব্য শুনবেন না।
ছোট ছোট টার্গেট সেট করুন। ধরুন প্রথম টার্গেট টানা দুইদিন হস্তমৈথুন করবেন না। দুইদিন না করে পারলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন।
যখন তখন বিছানায় যাবেন না। কোথাও বসলে অন্যদের সঙ্গ নিয়ে বসুন।
বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সবার সাথে বেশি সময় কাটান।
ধ্যান বা মেডিটেশন করতে পারেন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।
ফোনসেক্স এড়িয়ে চলুন।
বিকেলের পরে উত্তেজক ও গুরুপাক খাবার খাবেন না।
Share:

আংকেল আমাকে স্ত্রীর মতো ব্যবহার করে...এখন!

আংকেল আমাকে স্ত্রীর মতো ব্যবহার করে...এখন!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানিয়েছেন নিজের সমস্যার কথা। আমার প্রেমিক ছিলো, ৫ বছরের সম্পর্ক। এরপর সে ইউ এস এ চলে গিয়ে আর যোগাযোগ রাখেনি। তখন আমি প্রচণ্ড কষ্টে থাকি। সেই সময়ে আমার পাশে আমার চাকুরীক্ষেত্রে পরিচিত আংকেল আমাকে সান্ত্বনা দেয় এবং বাস্তবতা কী তা বুঝায়। এখন আমি সেই সমস্যা অনেকটা কাটিয়ে উঠেছি। এরপর চাকুরী ক্ষেত্রে পরিচিত আরেকজন ৬০ বছরের মানুষের সাথেও ২০১২ থেকে এই পর্যন্ত একটা সাধারণ কথা বলা ভালো সম্পর্ক হয়। বর্তমানে আমি উনারই দেয়া একটা সরকারী চাকুরী করি। উনি অনেক বড় একটা পোষ্টে আছেন।

সমস্যা হল একই জায়গায় জব করতে গিয়ে উনি আমাকে স্ত্রীর মতো সম্পর্ক করে এবং অনেক দূর চলে গেছে। উনিও নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েও আমার সাথে যোগাযোগ রেখেছে। উনার স্ত্রী আমার কথা জানে এবং মেয়েরাও। কিন্তু উনি এসব এড়িয়ে আমার সাথে লুকিয়ে দেখা করে, কথা বলে। একই অফিসে হওয়াতে জব ক্ষেত্রেও উনার সম্মান নষ্ট হচ্ছে। তারপরও উনি এগুলো মানিয়ে চলছেন।
উনি চাচ্ছেন উনার অবসর গ্রহনের পর আমাকে বিয়ে করবে। কিন্তু আমার বাসায় এখন আমার বিয়ের প্রস্তাব আসছে। আমি একবার ভাবছি অপরিচিত কাউকে বিয়ে করার থেকে উনাকে বিয়ে করলে বাসায় ভালো থাকবো। যেহেতু উনি উনার পরিবার ত্যাগ করে আমাকে বিয়ে করবে। আর উনি ধনীও আছেন, তাই আমরা ভালোই থাকবো। ইয়াং ছেলেরা বউকে ব্যবহার করে, তারা ভালোবাসার মুল্য দেয় না। যেটা বয়স্ক লোক দিবে।

এখন আপু আপনি বলুন আমার কী করা উচিত? প্রস্তাবে রাজী হয়ে বিয়ে করা নাকি উনার জন্য দুই বছর অপেক্ষা করে উনাকেই বিয়ে করা?

প্রশ্নটি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণী

পরামর্শ:
খুব স্পষ্টভাবে বলি আপু- আপনি যদি এই বিয়েটা করেন, সেটা হবে আপনার জীবনের সবচাইতে বড় ভুল। সবচাইতে বড়। এমন এক ভুল যেটার মাসুল আপনাকে সারা জীবন দিতে হবে। নিজের জীবনে তো কষ্ট পাবেনই, নিজের বিবেকের সামনেও কখনো মুখ দেখাতে পারবেন না।

আপনাকে কে এই ভুল ধারণা দিয়েছে যে তরুণ ছেলেরা স্ত্রীকে ব্যবহার করে? হাতের ৫ আঙ্গুল কি সমান? আপনি ২/১ জনকে দেখেই সব পুরুষ সম্পর্কে ধারণা বানিয়ে ফেললেন? আর আপনাকে কী বলেছে যে এই ভদ্রলোক আপনাকে দাম দেবে? আপু, কেবল আমাদের দেশেই যে, পৃথিবীর সমস্ত দেশেই দেখা যায় যে প্রায় বৃদ্ধ বয়সের পুরুষেরা একটা সময়ে গিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে যান। এবং বিয়েটি করেন কম বয়স্ক কোন মেয়েকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই বিয়ের উদ্দেশ্য থাকে যৌন আগ্রহ। আরও বড় কথা, বিনে পয়সায় একজন নার্স পাওয়া যায়। যে বিচানায় পড়ে গেলে তাঁর সেবাযত্ন করবে। স্ত্রী বলে চলেও যেতে পারবে না।

আপনার কেন বিয়েটা কথা উচিত হবে না, আমি সেই কারণগুলো উল্লেখ করে দিচ্ছি। সিদ্ধান্ত আপনার।

প্রথমত, আপনি কি এই ভদ্রলোককে ভালোবাসেন? চিঠির কোথাও আপনি ভালোবাসেন এমন কোন কথা লেখেন নি। তাহলে যাকে ভালোবাসেন না, তাঁকে কেন বিয়ে করবেন? কেবলই টাকার জন্য?

দ্বিতীয়ত, ধরে নিলাম যে আপনি তাঁকে ভালোবাসেন ও বিয়ে করতে চান। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন যে সেটার জন্য আরেকজন মহিলার সংসার ভাঙতে হবে আপনাকে? আপনি তরুণী, চাইলেই অন্য পুরুষ পাবেন। কিন্তু জীবনের এই পড়ন্ত বেলায় এই ভদ্রমহিলার জীবন নষ্ট করবেন নিজের সংসার সাজানোর জন্য। এটা কি কোন মানুষের কাজ হতে পারে? আপনার বিবেক কী বলে? ধরে নিলাম ভদ্রলোকের স্ত্রী খুবই খারাপ। কিন্তু কন্যারা? কন্যারা যদি অবিবাহিত হয়ে থাকে, সেই মেয়েগুলোর আর কোথাও ভালো বিয়ে হবে না। আর যদি বিবাহিতা হয়ে থাকেন, তাওলে আরও বিপদ। দিনরাত শ্বশুর বাড়ির কাছ থেকে কথা শুনবেন, অপমানে ছোট হয়ে থাকবেন। নিজের সুখের জন্য এতগুলো মানুষের জীবন নষ্ট করবেন আপনি? বিবেকে একটুও বাঁধবে না আপু?

তৃতীয়ত, পরিবার কি কখনো রাজি হবে একজন বয়স্ক লোকের সাথে আপনাকে বিয়ে দিতে? সত্যি বলতে কি, লোকটা আমার বাবার বয়সী। এই বয়সী একজন মানুষকে বিয়ে করবেন, সমাজ কী বলবে? আপনার পরিবার কি সমাজে খাটো হয়ে যাবে না? এটাই চান আপনি?

চতুর্থত, এই ভদ্রলোকের কাছ থেকে কেবল অর্থ পেলেই হবে আপনার, আজ কিছু লাগবে না? তিনি কখনো আপনার মনের রোমান্সের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন না, কারণ সেই বয়সটাই তাঁর নেই। এমনও হতে পারে যে শারীরিক ভাবেও আপনাকে সুখী করতে পারবেন না তিনি। কিংবা আপাতত পারলেও সেটা কিছু বছরের জন্য। তারপর আপনার যৌবন কীভাবে পার হবে আপু? আপনার কি সন্তানেরও আকাঙ্ক্ষা নেই?

শেষ কথা এই যে, সেই ভদ্রলোক আর কত বছর বাঁচবেন বলুন? এটা একদম নিশ্চিত যে আপনাকে তরুণী রেখেই মারা যাবেন তিনি, বিধবা হওয়া আপনার অবধারিত নিয়তি। কিংবা বিছানায় পড়ে থেকে নিজে কষ্ট পাবেন আর আপনাকেও কষ্ট দেবেন। কি গ্যারান্টি আছে যে তাঁর মৃত্যুর পর আপনি তাঁর সহায় সম্পদ পাবেন

টাকার লোভ বা ভ্রান্ত ধারণায় না ভুলে ঠাণ্ডা মাথায় বাস্তবতা চিন্তা করুন। আর আমার মনে হয় নিজের পছন্দ না থাকলে পরিবারের পছন্দে দেখেশুনে নিজের সাথে মানানসই কাউকে বিয়ে করাই ভালো হবে। এই বয়স্ক ভদ্রলোককে নয়।
Share:

বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৬ উপায়

শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প নেই। ফল, সবজি ও শস্যকণাসহ বিভিন্ন খাবার আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটায়। আবার কিছুকিছু খাবার বিশেষভাবে আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। জোরালো স্মৃতিশক্তির জন্যে মজার খাবারের পাশাপাশি ভালো কিছু অভ্যাসও চর্চা করতে হবে আমাদের।  মগজ কাজে লাগাও, নয়তো হারাও ঠিক পেশির মতোই কাজ করে মগজও। তাই এটির ব্যবহার যত বেশি করবেন, ততই শক্তিশালী হবে। নতুন কিছু শিখলে, দৈনন্দিন কার্য তালিকায় বৈচিত্র্য আনলে, তপ্ত বিতর্কে লিপ্ত হলে, কোথাও বেড়াতে গেলে কিংবা কোনো বাদ্যযন্ত্র বাজালে মগজ নতুন কিছুর সঙ্গে পরিচিত হয়। নতুন নতুন বিষয়ের সঙ্গে মগজের সম্প্রীতি তৈরি করুন। দেখবেন, এতে মাথা ভালোভাবে কাজ করে। অন্তত, মাথায় গোবর আছে, বা ওর মাথায় ঘিলু নেই, এ তকমা শুনতে হবে না।  খেতে হবে শ্বেতসার খাবার  কানাডীয় এক সমীক্ষায় দেখা যায়, যে সব বয়সী লোকদের খাদ্যতালিকার বড় অংশ শ্বেতসারজাতীয় খাবার আছে, তাদের স্মৃতিশক্তি খুব ভালো কাজ করে। কাজেই ফল, সবজি ও অন্যান্য যে খাদ্যশস্য খাচ্ছেন, তাতে আপনি শ্বেতসার খাবার পাচ্ছেন; সেটি নিশ্চিত হোন। কারণ এটা আপনার মগজে ক্রমাগত গ্লুকোজ ছড়িয়ে দেয়। শর্করাজাতীয় কেক বা আইসক্রিমও আপনার শ্বেতসারের চাহিদা মেটাতে পারে। ধপ করে মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হলে কিংবা হঠাৎ কোনোকিছু বেমালুম ভুলে গেছেন- এমনটা ঘটলে এসব খাবার আপনাকে বেশি উপকৃত করবে। সপ্তাহখানেক তেলসমৃদ্ধ খাবার খেয়ে দেখতে পারেন, আপনার মাথার ঘিলুর জন্যে বেশ সহায়ক হবে। তবে যথাসম্ভব মগজকে কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। যত ব্যস্ত রাখবেন, তত শক্তিশালী হবে। কৌশলের উন্নতি ক্রমাগত একঘেঁয়ে কাজ করলে সবকিছু ঝাপসা হয়ে যায়। দেখবেন অনেক কিছুতে বেখেয়াল হয়ে পড়বেন। গবেষণায় জানা যায়, লাগাতার কাজ আপনার স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ নষ্ট করে দিতে পারে। এজন্য কাজ শুরুর পর খানিক বিরতি দিন। কাউকে ডাকতে হলে, তার নাম ধরে জোরে ডাকুন, এটা স্মৃতিশক্তির জন্যে ভালো। একেবারে শান্ত ও নীরব পরিবেশে পড়াশোনা কিংবা কাজ চালিয়ে যান। কোলাহলে আপনার মনের মধ্যে কোনো একটি ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে পারে। স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে এই চর্চাগুলো আপনি করতে পারেন।  বিষাদ ও দুশ্চিন্তা দূর  সত্যিই, মাথার ভেতর থেকে এই দু’টি জিনিস একেবারে ঝেড়ে ফেলুন। বিষাদ ও দুশ্চিন্তা আপনার স্মৃতিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত করবে। মানসিক চাপ, বিষণ্নতা, মনমরা ও ক্রমাগত হতাশা থাকলে স্মৃতিশক্তির জন্যে খুব বেশি মাশুল গুনতে হতে পারে। এতে আপনার মনোযোগ নষ্ট হবে, সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা তৈরি করবে, সহজে কোনোকিছু মনে রাখতে পারবেন না। মানসিকভাবে হয়ে পড়বেন স্থিতধী। আপনার সচেতন ও সজাগ থাকার ক্ষমতাও নষ্ট হয়ে যাবে।  হাসুন শৈশবের পড়া দাদা ভাইর সেই ছড়ার মতো, ‘হাসতে নাকি জানে না, কে বলেছে ভাই? এই শোন না কত হাসির খবর বলে যাই’। হাসির এত খবরের মধ্যে আপনিও কি না হেসে পারবেন? আপনাকেও হাসতে হবে। যতক্ষণ না আপনার পিলে চমকে যায়। স্মৃতিশক্তি সতেজ রাখতে হাসির বিকল্প নেই। আবেগের সাড়া (emotional response) মগজের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় প্রভাব বিস্তার করে। কিন্তু হাসি পুরো মগজ সতেজ রাখতে ভূমিকা রাখে। এজন্য কৌতুক, দুষ্টমি বা অন্য কোন সুযোগে চাঁদের মতো হাসবেন, তাতে আপনার ফোকলা দাঁত থাকুক বা নাই থাকুক। মাথার ঘিলু বাড়াতে হাসির চেয়ে বড় ওষুধ নেই।  নাম মনে রাখুন কারও সাথে পরিচিত হলে ব্যক্তির নাম ভালোভাবে শুনুন, এরপর তার নামের বানানটা খেয়াল করুন। যেমন কারও নাম অংমু পাল, তাকে জিজ্ঞেস করুন, অংমু কি এখানে অ এ অনুস্বর এরপর মু। নাম শোনার পর সেটা নিয়ে একটা সুন্দর মন্তব্য করুন। যেমন, বাহ, বেশ সুন্দর নাম তো। ওহ এটা ত আমার ভাইয়ের ছেলেরও নাম। কথা বলার ফাঁকে বার কয়েক তার নামটা ব্যবহার করুন। দেখবেন নামটা ভুলতে আপনার বেশ কষ্টই হবে।
Share:

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের শুভ সূচনা

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের শুভ সূচনা
স্পোর্টস ডেস্ক: সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সকাল ৯টায় মাঠে নেমেছে স্বাগতিক বিসিবি একাদশ। র্দীঘ দিন পর মাঠে ফেরা বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাশরাফির নেতৃ্ত্বে খেলছে বিসিবি একাদশ। ওপেনিং জুটিতে নেমে বিসিবি একাদশের হয়ে শুভ সূচনা করেছেন ইমরুল কায়েস ও এনামুল হক। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্বাগতিক বাংলাদেশ তথা বিসিবি একাদশের সংগ্রহ ১০ ওভারে ৩৯ রান। ইমরুল কায়েসের ব্যাক্তিগত সংগ্রহ ৩১ রান ৪১ বলে। অন্যদিকে এনামুল হক ২৬ বল খেলে করেন ১৪ রান। বিসিবি একাদশ : ইমরুল কায়েস, এনামুল হক বিজয়, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, শাহরিয়ার নাফীস, সাব্বির রহমান, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মেহেদি মারুফ, জুবায়ের হোসেন, সাঞ্জামুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, শফিউল ইসলাম ও তৌহিদুল ইসলাম রাসেল। জিম্বাবুয়ে দল : এলটন চিগুম্বুরা (অধিনায়ক), সিকান্দার রাজা, রেগিস চাকাভা, চামু চিবাবা, টেন্ডাই চিসারো, গ্রায়েম ক্রেমার, ক্রেইগ আরভিন, লুক জঙ্গো, নেভিল মাদিভা, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচমন্ড মুতুম্বামি, টরাই মুযারাবানি, জন নিয়ুম্বু, টিনাশে পানিয়াঙ্গারা, ম্যালকম ওয়ালার, শন উইলিয়ামস। ৫ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর
Share:

এর আগে আমি আর কোনদিন শারীরিক সম্পর্ক...


এর আগে আমি আর কোনদিন শারীরিক সম্পর্ক...
আমার বয়স ২২ বছর। আমি অনার্স ২য় বর্ষে পড়ছি। আমি যখন ক্লাস নাইনে তখন একটা অপরিচিত নম্বর থেকে আমার মোবাইল এ কল আসতো। আমি প্রথমে অনেক ভয় পাই। কথা বলতে চাইনি। তারপর ছেলেটা অনেক বাহানা করে, বলে দেখ আমি শুধু বন্ধু হতে চাই। জীবনেও তোমাকে প্রেম করতে বলবো না। কসম রইলো। তারপর বন্ধুত্ব শুরু হলো। দিনে রাতে অনেক কথা হতো মোবাইলে। শুধু ঝগড়া করতাম আমরা। আর ও আমার অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। কথা না বলে থাকতে পারতাম না।

একদিন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে তাকে আসতে বলি। সে দেখা করতে চায়। ও দূর থেকে দেখে চলে গেল। তারপর তো তার পাগলামি শুরু। আমাকে বলে আমি যেখানে যাই তাকে আমার মুখটা দিয়ে দিবো। নানা ভাবে প্রপোজ করার ট্রাই করে। আমি বলি তোর কসম মনে নাই। সে মানতেই চায় না। আর আপু সে অনেক পাগল টাইপ। সে বলে আমাকেই চায়। আর কি জানি হয়তো আমি ও তার মায়ায় পড়েছিলাম। আমি হ্যাঁ বলি। ও তো অনেক খুশী। দিন রাত আমাদের কথা হয়। আমাদের বাড়ি কাছাকাছিই ছিলো। ১ ঘন্টার রাস্তা। তারপর আমাদের দেখা হয় ১বছর পর। তখন আমি নতুন কলেজে ভর্তি হয়েছি মাত্র।
ভালই চলছিল আমাদের। অনেক কেয়ারিং ছেলে ও। অনেক টেনশনে ছিল ও একদিন। আমি বললাম কি হয়েছে। বললো যে তার টাকার সমস্যা। আমি তাকে ১৫০০০ টাকা দিলাম। সে নিতে চায় নি। তারপর থেকে আজ অব্দি সে টাকা নেয়। আমি চাইলে সে অবশ্য দেয়। আমি চাইনা। আর আমি নিজ থেকেই দেই, সে জোর করে না। আমার অনেক মায়া লাগে তার জন্য তাই দেই। প্রথম দেখার পরে সে আরও দেখা করতে চায়। আমিও দেখা করি।

এই রিলেশনশিপ-এর কথা আমার ভাইয়া কীভাবে জেনে যায়। ভাইয়া আম্মুকে সব বলে দেয়। অনেক বকাঝকা শুনি। আম্মুর পায়ে ধরে বলি আব্বু কে না বলতে। আমি এই রিলেশনশিপ রাখবো না। তারপর আম্মু মোবাইল দিয়ে দেয়। বেহায়া আমি আবার কথা বলা শুরু করি কারণ তার অনেক কষ্ট হচ্ছে। তারপর সেই আগের মতো কথা হয়। আরেকদিন দেখা করি। সে এখন অনেকটা চাপ দেয় শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য। সে অনেক পাগল টাইপ আগেই বলছি, হাত কাটে, নিজেকে অনেক কষ্ট দেয়। আমি না চাইতেও রাজি হই। সে বাধ্য করে। কিন্তু আমার প্রথম শারীরিক সম্পর্কে রক্তপাত হয়নি আপু। কিন্তু এর আগে আমি আর কোনদিন এসব করিনি। এমন কেন হলো?

সে এই ব্যাপারে কিছু বলেনি। সে বলে আমি তোমাকে চাই। তুমি যেভাবে থাকো সেভাবেই। আজ অব্ধি শারীরিক সম্পর্ক আছে আমাদের। সে বুঝতেই চায় না এসব পাপ। বলে তুমি আমার বউ। কিন্তু আমার পরিবার তাকে মানবে না। আমরা সমবয়সী। নাইনে থাকার সময় বন্ধু হওয়ার পর সে পড়া বন্ধ করে। আর আমাদের চেয়ে তাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ। তার এক ভাই প্রবাসী। সেও যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমার ভাইয়া বলছে এই ছেলের সাথে কোনদিনও তোমার বিয়ে দিবো না। তুমি তাকে চাইলে পরিবার ভুলে যাও। কিন্তু সে পাগলের মতো চায় আমাকে। আমার বিয়ে হয়ে গেলেও, তার যখন সামর্থ হবে আমি তার কাছে চলে আসবো। সে বিয়ে করবেনা আমি ছাড়া।

এগুলো অভিনয় না সত্য কিছুই বুঝি না। আমি ফেইসবুকে বা ভার্সিটি তে কোন ছেলের সাথে কথা বললে রাগ করে সে। সে কোন মেয়ের সাথে কথাও বলে না। অন্য কোন মেয়েকে ভালোও লাগে না তার। আবার আমার সামনে বসে হাত কেটে আমার নাম লিখে বলে- দেখ, তোমার লাগি সব পারি। এ রকম ভালোবাসা কি সত্যি আছে আপু। আমি কী করবো একটু বলবেন?

জানি জীবন নিয়ে অনেক নোংরামি করে ফেলছি আপু। আমাদের রিলেশনশিপ এর ৬ বছর হয়ে গেছে। তার জন্য অনেক মায়া। আর আব্বু আম্মুকেও অনেক ভালবাসি। আমার মা জীবনেও তাকে মানবে না আপু। সে কি সত্যি তার জীবন নষ্ট করবে আমাকে না পেলে? আর পরিবার থেকে বিয়ে দিয়ে দিবে ভাল পাত্র পেলেই। এখন আমার কি করা উচিত হবে প্লিজ আপু বলুন।

প্রশ্নটি দেশের একটি গনমাধ্যমকে ফেসবুক পেজে করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন তরুণী।

পরামর্শ-
দেখো আপু, অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। যে জিনিস অতিরিক্ত তীব্র, সেটার ফলাফল কখনো সুফল বয়ে আনবে না। জীবনটা সিনেমা নয়, কেউ কাউকে বৌ ডাকলেই তাঁর বৌ হয়ে যায় না, হাত কাটতে পাড়া মানেই ভালোবাসার প্রমাণ নয়। আর মেয়ে শোন, সে টাকা চায় না কিন্তু তুমি দিলে নেয়। এটা কোন আত্ম সম্মান বোধ সম্পন্ন পুরুষের আচরণ নয়। সে যদি সত্যিই পুরুষের মত পুরুষ হতো, তাহলে তোমার দেয়া টাকা দিয়ে সে লেখাপড়া শিখত বা এমন কিছু করতো যেটা দিয়ে তাঁর একটা ভালো কর্মসংস্থান হয়। ছেলেটি তো সবই জানে তোমার পরিবার তাঁকে মানবে না। তাহলে সে কেন এমন কিছু করছে না, যাতে পরিবার মেনে নেয় বা তোমার যোগ্য হতে পারে সে?

আমার ইকুয়েশন খুবই স্বাভাবিক। ছেলেটি ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক করেছে এবং এখনো চালিয়ে যাচ্ছে, ব্যাপারটা তুমি পাপ বলার পরও। আবার তোমার কাছ থেকে সে টাকাও নিচ্ছে। অন্যদিকে তোমাকে স্ত্রী করে পাওয়ার জন্য তাঁর কোন উদ্যোগ নেই। এর অর্থ এটাই, সে তোমাকে ব্যবহার করছে! আজ তোমার বিয়ে অন্য কোথাও হয়ে যাক, দুদিন পর তাঁর জীবনে অন্য মেয়ে আসবে। বা তোমার বিয়ের পরও সে তোমাকে বাধ্য করবে এই যৌন সম্পর্ক চালিয়ে যেতে বা তোমার স্বামীর টাকা এনে তোমাকে দিতে। এখন তুমিই বল, সেটা কি কোন ভালো লোকের কাজ? ওইসব সিনেম্যাটিক ভালোবাসার বাক্য কেবলই তোমাকে ইমোশনালি ব্ল্যাক মেইল করার জন্য। কারো সাথে প্রেম করা বা তাঁকে ভালোবাসা, দুটি ব্যাপার কিন্তু একেবারেই আলাদা!

তুমি যা করবে আপু, বিয়ের পর স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের কাছে চলে যাবে এই জাতীয় চিন্তা ভাবনা একেবারেই ছেড়ে দাও। এই জাতীয় চিন্তা যতদিন মাথায় থাকবে, ততদিন ভুলেও বিয়ে করবে না। তাহলে নিজের সাথে সাথে হবু স্বামীর জীবনটাও নষ্ট হবে। তুমি অবিলম্বে ছেলেটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা ও তাঁকে টাকা দেয়া বন্ধ করবে। তাঁর সাথে দেখা করাও। কারণ দেখা করলে সে তোমাকে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করবে হাত পা কেটে। সে যতই এইসব বাজে কাজ করে দেখা করার কথা বলুক না কেন, নিজের ভালো চাইলে কোনক্রমেই যাবে না। বলবে যে তুমি বাসায় ধরা পড়ে গেছ। তাড়া তোমাকে বের হতে দিচ্ছে না। সে যদি আসলেই তোমাকে ভালোবেসে থাকে, তাহলে যেন নিজের পায়ে দাঁড়ায় ও তোমার যোগ্য হয়ে পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব এনে। তবে কাজটি জলদি করতে হবে, কারণ পরিবার তোমাকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। আর বিয়ের পর তুমি আর ওর সাথে সম্পর্ক রাখবে না কিছুতেই।

ছেলেটি যদি আসলেই তোমাকে ভালোবেসে থাকত, সে অনেক আগেই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতো। তখনও সে করেনি, একন সে করবে না। বরং সে তোমার বিয়ে হয়ে গেলে তোমার সাথে যোগাযোগ রাখবে, শারীরিক সম্পর্ক করবে আর তোমার স্বামীর টাকা তাঁকে এনে দিতে বলবে। তাই আপু, সে যদি তোমার পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব না পাঠায়, তোমার উচিত অবে তাঁকে ভুলে যাওয়া। তবে না, এখনো বিয়ে করো না। যতদিন অতীত ভুলে মনকে শক্ত করতে না পারবে, বিয়ে করে সুক্ষই হতে পারবে না। তাই লেখাপড়া শেষ করো মন দিয়ে। সময়ে সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে।
-
Share:

মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৫

তাবেলা নয়, টার্গেট ছিল শ্বেতাঙ্গ যে কেউ: পুলিশ

তাবেলা নয়, টার্গেট ছিল শ্বেতাঙ্গ যে কেউ: পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট:
 
ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলা হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এঁরা হলেন ভাগনে রাসেল, শুটার রুবেল, চাকতি রাসেল ও শরীফ। প্রথম তিনজন ভাড়াটে খুনি। আর শরীফ হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এসব তথ্য দেন।
আছাদুজ্জামান মিয়ার ভাষ্য, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা বলেছেন, সাদা চামড়ার (শ্বেতাঙ্গ) যেকোনো একজন বিদেশিকে হত্যার জন্য “কথিত” এক বড় ভাই তাঁদের টাকা দিয়েছেন।’
এই হত্যার পেছনে উদ্দেশ্য ছিল দেশ ও সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে ফেলা। বিদেশিদের এটা দেখানো যে বাংলাদেশে তাঁরা নিরাপদ নন।
সিজার তাবেলা হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন চার ব্যক্তি ও জব্দ করা মোটরসাইকেল। ছবিটি আজ সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টার থেকে তোলা। ছবি: সাজিদ হোসেনগত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান ২-এর ৯০ নম্বর সড়কের গভর্নর হাউসের সীমানাপ্রাচীরের বাইরের ফুটপাতে সিজার তাবেলাকে (৫১) গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা দুই তরুণকে গুলি ছুড়ে অপেক্ষমাণ এক ব্যক্তির মোটরসাইকেলে করে পালাতে দেখেছেন। সিজার নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা আইসিসিও কো-অপারেশন প্রুফসের (প্রফিটেবল অপরচুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন।
হত্যার এ ঘটনার ২৭ দিন পর গতকাল রোববার রাতে সন্দেহভাজন তিন খুনিসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিন খুনি পুলিশকে জানিয়েছেন, একজন ‘বড় ভাইয়ের’ দেওয়া টাকার বিনিময়ে তাঁরা তাবেলাকে খুন করেছেন। তবে তাবেলা তাঁদের কোনো লক্ষ্যবস্তু (টার্গেট) ছিলেন না। তাঁদের শ্বেতাঙ্গ যেকোনো একজন বিদেশিকে হত্যা করতে বলা হয়।
মোটরসাইকেলের মালিক শরীফ পুলিশকে বলেছেন, পূর্ব পরিচয়ের কারণে তিনি মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করতে দেন।
ডিএমপির কমিশনার বলেন, ‘তাবেলার হত্যার পর আইএসের দায় স্বীকার প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে করা হয়েছে। এটি একটি সাজানো নাটক। যে বড় ভাইয়ের কথা সন্দেহভাজন তিন খুনি বলেছেন, তাঁকে পুলিশ শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের রিমান্ডে নেওয়া হলে আরও অনেক কিছু জানা যাবে।
Share:

ধুম ফোর’–এ বাহুবলীর প্রভাস!

.ভারতে ব্যয়বহুল ছবি ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’ নতুন নানা রেকর্ড গড়েছে। মুক্তির প্রথম দিনে ৫০ কোটি রুপি আয়, অল্প সময়ে ১০০ থেকে ৩০০ কোটি আয়, বড় পোস্টার বানিয়ে গিনেস রেকর্ডও গড়েছে ছবিটি। এস এস রাজা মৌলি পরিচালিত তামিল ও তেলেগু দুই ভাষায় মুক্তি পাওয়া ওই ছবিতে অভিনয় করেন আনুশকা শেঠি, রানা দাগুবতী, তামান্না ও প্রভাস। এবার খবর হলো হিন্দি ‘ধুম ফোর’-এ অভিনয় করবেন প্রভাস। এনডিটিভি, জিনিউজ ও ইন্ডিয়া ডটকমে আজ সোমবার এ কথা বলা হয়েছে।
কয়েক দিন আগে খবর বেরিয়েছিল প্রভাস হিন্দি শিখছেন। এরপরই নতুন খবর শোনা গেল ‘ধুম ফোর’-এ অভিনয় করবেন প্রভাস। প্রকাশিত খবর সত্য হলে যশরাজ ফিল্মসের ‘ধুম ফোর’-এ দেখা যেতে পারে জনপ্রিয় সিনেমা বাহুবলী তারকা প্রভাসকে।
আদিত্য চোপড়ার ‘ধুম’-এর প্রথম সংস্করণের চেয়ে ‘ধুম-টু’ বেশি ব্যবসা করেছে। আবার ‘ধুম-থ্রি’ আগের দুটির চেয়ে বেশি ব্যবসা করে। তাই ‘ধুম-ফোর’ নিয়ে সাবধানে পা ফেলতে চান আদিত্য। দিন কয়েক আগে গুঞ্জন ছিল ‘ধুম ফোর’-এ ধুম মাচাতে আসছেন অমিতাভ বচ্চন। ছবিতে একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে বিগ-বিকে। তবে এ ছবিতে অভিনয় করবেন কি না, সে বিষয়ে এখনো কিছু বলেননি তিনি। ‘ধুম টু’-এ ভিলেন ছিলেন হৃতিক রোশন। তিনি ধুমের সর্বশেষ ছবিতে থাকবেন একজন প্রোটাগনিস্টের চরিত্রে।
বলিউডের বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ‘ধুম ফোর’-এ অমিতাভ ও হৃতিকের সঙ্গে বাহুবলী তারকা প্রভাস থাকলে আদিত্য এবার বেশ চমকেই দেবেন।
Share:

রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫

“আমি কি খারাপ হয়ে গেছি?”

“আমি অনার্স ১ম বর্ষের একজন ছাত্রী। আমার বয়স ২০। আমি জানি না যে আমি কেন আমার কথাগুলো লিখছি। আমি এও জানি না যে এটা আমার কেমন সমস্যা। যাই হোক,মুল কথায় আসি।
আমার সাথে একটা ছেলের প্রায় সাড়ে তিন বছরের সম্পর্ক। ছেলেটা খুব সৎ। অন্য কোনো মেয়ের প্রতি তার কোন আগ্রহ নেই। কোনো নেশাও করেনা। ওর মত ছেলে খুব কমই আছে। আমাদের সম্পর্কে কোন সমস্যা ছিল না। ভালই চলছিল সব। দেড় বছর আগে ওর বাসায় ঝামেলা শুরু হয়। ওর বাবা মায়ের মাঝে সম্পর্কের টানাপোড়ন চলেত থাকে। ও আপ্রান চেষ্টা করতে থাকে সব ঠিক করার। কিন্তু উলটো সব ঝামেলা ওর দিকে আসতে থাকে। ও অনেক ভাল ছাত্র। কিন্তু পারিবারিক এই ঘটনার জন্য ওর পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। ওর খুব ইচ্ছা ছিল পড়ালেখা করার,কিন্তু পারে নি। এরপর এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা পৈশাচিক। এমনকি ওর বাবা মা ওকে মেরেও ফেলতে চায়। পরে ও অনেক ভেঙে পড়ে।

ওকে প্রথম থেকেই আমি সাপোর্ট দিয়ে আসছি। এরপর আমার দায়িত্ব আরো বেড়ে যায়। এক কথায় আমিই ছিলাম ওর চালিকা শক্তি। ও অনেক রাগী। তাই ওকে সামলানো সহজ ছিল না। কোনোমতে ও বেঁচে থাকে আর কি। শেষে ওকে কোন কারণ ছাড়াই ত্যাজ্য করা হয়। জিগ্যেস করলে ওর বাবা বলে তার ইচ্ছা তাই সে করছে। ওর মা নীরব দর্শক হয়ে থাকে। আমার এগুলো লিখতেও কাণ্ণা পাচ্ছে। এমন কোনো কিছু বাদ নেই যেটা আমরা করি নাই। অনেক চেষ্টার পর এখন সব কিছু কোনোরকম আছে। ও ব্যবসা করে। আর বাসায় জেদ করে টিকে আছে। ও এখন মানিসক ভাবে অসুস্থ। আমি ওকে জোর করে মানসিক ডাক্তার দেখাই। ইনশাআল্লাহ ও ভাল হয়ে যাবে। কিন্তু এতদিন যে চাপ ওর উপর দিয়ে গেছে তার ভাগ আমিও পেয়েছি। আমার অনেক কিছুই করতে হয়েছিল ওকে ঠিক রাখার জন্য।
বলতে লজ্জা লাগছে যে আমার বাবাও আর একজনকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। এতে আমার বাসায়ও ঝামেলা শুরু হয়। এমন না যে আমার আর আমার প্রেমিকের পরিবার অগোছালো। আমাদের পরিবার অনেক গোছানো ছিল। আমি আমার বাবাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতাম। তাকে দিয়ে এরকম আশা করিনি। আমার মা এতে ভেঙে পড়ে। বড় সন্তান হওয়ায় মাকে আমারই সামলাতে হয়। আমি প্রতিবাদ করায় আমার বাবা আমাকে অনেক কথা শুনায়, তার মাঝে আমার প্রেমিক নিয়েও কিছু কথা ছিল। আরও বলে তার সাথে যেন আমি আর কথা না বলি। আজ চার মাস হল আমি কথা বলি না। টাকা পয়সা নেই না।
আমার বাবা অনেক ভাল। সে জীবনে অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছে। সে আমার আইডল। কিছু মানুষের প্ররচনায় সে এগুলো করেছে। কিন্তু সে যে ভুল করছে এটা মানতে নারাজ। আমি ভিতরে ভিতরে মরে যাচ্ছি। কিন্তু সবার সাথে ভালো থাকার অভিনয় করি। তারা হয়ত বুঝে কিন্তু বুঝেও লাভ না। আমি কারও কথায় সন্তুষ্ট হতে পারি না। আমার শুধু মনে হয় অনেক হয়েছে। আর পারিনা। আমার কিছু ভাল লাগে না। আমার প্রেমিকের সাথেও খারাপ ব্যবহার করি। পরে কষ্ট হয়। আমি ছাড়া তো ওর কেউ নাই। সে ওর বাবা মাকে দেখতে পারে না,আমি অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু ও বোঝে না,বলে যে আমার জন্যই ও বেঁচে আছে। কিন্তু এটা তো ঠিক না। আমি ক্লাসে যাই না। পড়ালেখা করতে পারছি না। একটুতেই রাগ উঠে যায়। আপনজনদের সাথে মাঝে মাঝে রাগারাগি করি। মনে হয় এত সমস্যা আমার সাথেই কেন। কারও সাথে কষ্টের কথা বলি না। আপনজনকে কীভাবে বলব,তারাই তো কষ্টে আছে। বাইরের কাউকে বললে খারাপ ভাবে নিবে। ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার অবস্থা আমার নেই। আমার শুধু মনে হয় মরলেই সব সমস্যা শেষ।
আমার প্রেমিকের এখন আমাকে অনেক দরকার। আর আমি কিনা ওকে সহ্য করতে পারছি না!! আমি কি খারাপ হয়ে গেছি, আপু? আমি কী করব?”
পরামর্শ:
আপু, খুব কষ্ট হলো আপনার চিঠি পড়ে। কিন্তু খুব নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে চাই যে আপনি খুব ভালো একটি মেয়ে। কুব ভালো এবং খুব সাহসী। এমন একটা মেয়ের কি ভেঙে পড়লে চলে?
হ্যাঁ, আপনার সাথে যা হয়েছে তারপর ভেঙে পড়বে যে কোন মানুষ। আপনি অনেক লড়েছেন, অনেক। এটার পড় ভেঙে পড়াটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এতকিছু লড়ার পড় যখন জয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে, তখন ভেঙে পড়লে তো চলবে না বোন। আপনি যুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে ভেঙে পড়েন নি আপু। আপনি ভেঙে পড়েছেন কারণ আপনার বাবার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেছে বলে। কিন্তু এই ব্যাপারটি মেনে নিতেই হবে। যে মুহূর্তে আপনি এটা মেনে নিতে পারবেন, আস্তে আস্তে আপনার সাহস ফিরে আসতে শুরু করবে।
আমার কথা শুনে রাগ করবেন না আপু। কিতু বাবাকে যতটা ভালো মানুষ আপনি মনে করছেন, ততটা ভালো তিনি নন। আপনি খুব ভালো মনের একটি মেয়ে, তাই সবাইকেই ভালো মনে করেন। তাই তো প্রেমিকের পিতা এত কিছু করার পরও তাঁদের সম্পর্কে ভালো কথাই বোঝান প্রেমিককে। কিতু আপনার পিতা যা করেছেন, এটা নিতান্তই স্বার্থপরতা। আপনার জন্য এই বয়সে তিনি বিয়ে করতে পারেন নি বলে আপনার সাথে কথা বলাই বন্ধ করেছেন। একটা মানুষ কতটুকু  স্বার্থপর হলে এটা হতে পারে। জীবনে কেউ কষ্ট করে বড় হলেই ভালো মানুষ হয়ে যায় না আপু। আপনি যা করেছেন একদম ঠিক কাজ করেছেন। আপনি নিজের মায়ের সংসার বাঁচিয়েছেন। তাতে তো পিতার সাথে আপনার সম্পর্ক স্যাক্রিফাইস করতে হয় তো হোক। অন্তত আপনার মায়ের ঘর তো বেঁচে গিয়েছে, তাই না? ব্যাপারটিকে এভাবেই দেখুন…
আর আপু, আপনি নিজের প্রেমিকের সাথে সব শেয়ার করবেন। আরেকজনের দুঃখের কথা শুনলে নিজের দুঃখও কমে, কারণ মানুষ সহমর্মিতা দেখাবার সুযোগ পায়। আপনারা দুজনেই যেহেতু দুঃখী নিজের পরিবার নিয়ে, পরস্পরের দুঃখ শেয়ার করুন। পরস্পরকে এমনভাবে আঁকড়ে ধরুন যেন কেউ আপ্নাদে আলাদা করতে না পারে। বড় যুদ্ধগুলো আপনারা করেই ফেলেছেন আপু। শেষপ্রান্তে এসে হাল ছাড়বেন না যেন। আপনি কেন রাগারাগি করে ফেলেন, সেটা প্রেমিককে বুঝিয়ে বলুন। দেখবেন তিনিই আপনার মনকে সাহস দিয়েছেন।
অনেক শুভকামনা আপনাদের জন্য। যখন আপনারা দুজন মিষ্টি একটা সংসার বুনবেন, আমাদের জানাবেন নিশ্চয়ই। আমরা সেই সুখবরের অপেক্ষায় রইলাম।
Share:

পৃথিবীর সবেচেয়ে ঘৃণিত ঘটনার অন্যতম!


পৃথিবীর সবেচেয়ে ঘৃণিত ঘটনার অন্যতম!
চরম ঘৃণ্য এ ঘটনার সাক্ষী হয়েছে পূর্ব ইতালির উপকূলীয় শহর পেসকারা। একের পর এক শিশু থেকে নাবালকের সঙ্গে দিনের পর দিন যৌন সম্পর্ক করে গেছে মহিলা। যথেচ্ছ যৌন অত্যাচার চালানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই সব শিশু, নাবালকদের চাইল্ড পর্নোগ্রাফিতে অভিনয় করতে বাধ্য করেছে সে। আর সবথেকে আশ্চর্যের যেটা, তা হল তার বিকৃত যৌন কামনা ও নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই মেলেনি নিজের পাঁচ বছরের ছেলেরও। ওই মহিলার কীর্তিকলাপ সামনে আসার পর তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খবর ভারতীয় গণমাধ্যম।
মহিলার ঘরে তল্লাশি চালানোর সময় ফোটো, ভিডিও সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গ্যাজেটস বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সেখান থেকে যে সব ছবি পাওয়া গেছে তাতেই মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ রয়েছে। নিজের ছেলের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ছবিও হাতে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর এক আত্মীয়কেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত মহিলার ছেলে ও অন্য নাবালকদের আপাতত স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

Share:

ঢাকা ডাইনামাইটসের অধিনায়ক হচ্ছেন বিদেশি ক্রিকেটার

ঢাকা ডাইনামাইটসের অধিনায়ক হচ্ছেন বিদেশি ক্রিকেটার

ঢাকা ডাইনামাইটসের অধিনায়ক হচ্ছেন বিদেশি ক্রিকেটার
স্পোর্টস ডেস্ক: প্লেয়ার্স ড্রাফটে লটারি ভাগ্যটা সহায় হয়নি ঢাকা ডায়নামাইটসের। পছন্দের সেরা ক্রিকেটার সংগ্রহ করতে না পারলেও যথেষ্ট ভালো দল গড়েছে তারা। আর প্রতিপক্ষকে টেক্কা দিতে শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তী সাঙ্গাকারার হাতে অধিনায়কত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন দলটি। শুক্রবার দলটির কারিগরি উপদেষ্টা খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, এতোদিন ও (সাঙ্গাকারা) চাপ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে। তাই আমরা চাই এবার বিপিএলেও সেই চাপটা থাকুক ওর ওপরই। এদিকে দলটি কোচ নিয়োগ দিয়েছে দ.আফ্রিকার সাবেক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার এবং অস্ট্রেলিয়া ও দ.আফ্রিকার সাবেক কোচ মিকি আর্থারকে। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হাই প্রোফাইল এই কোচকে পেয়ে দারুন উচ্ছ্বসিত ঢাকা ডায়নামাইটস। ঢাকা ডায়নামাইটস দল : কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা), মোহাম্মদ ইরফান, নাসির জামশেদ, সোহেল খান, শাহজিব হাসান (পাকিস্তান), ডেভিড মালান (ইংল্যান্ড) ও রায়ান টেন ডয়েসকাট (নেদারল্যান্ড), নাসির হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, মোশাররফ হোসেন রুবেল, মোসাদ্দেক হোসেন, শামসুর রহমান, সৈকত আলী, ফরহাদ রেজা, নাবিল সামাদ, আবুল হাসান, ইরফান শুক্কুর। ২৫ অক্টোবর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস
Share:

জেনে নিন কোন রাশির মানুষেরা সবসময় বিজয়ী হয়


জেনে নিন কোন রাশির মানুষেরা সবসময় বিজয়ী হয় রাশি নিয়ে অনেক মানুষের মাঝে বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা প্রায়ই বিরাজ করে। সবার মাঝে এ বিষয় নিয়ে উৎসুক থাকতে দেখা যায়। ১২ টি রাশির ভিন্ন ভিন্ন প্রতীক ও কাহিনী রয়েছে। তবে একটি রাশি এমন রয়েছে যা মানুষকে বিজয়ী হতে সাহায্য করে।
শাহরুখ খান, ঐশ্বরিয়াসহ আরও কিছু গুণী ব্যক্তি রয়েছে যারা বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকা। তারা জীবনে সবসময় জয়ী হবার চেতনায় সামনের দিকে এগিয়ে যায়। তাদের মাথায় জয়ের মুকুট থাকার কিছু কারণ নিয়ে আজ আলোচনা করা হল-
১. বৃশ্চিক রাশির মানুষেরা নিজেকে উৎসর্গ করতে ভালবাসেন। তারা অনুভব থেকে যে কোন কাজ করতে পছন্দ করেন। যে কাজের সাথে তাদের অনুভূতির কোন সংযোগ হয় না, সে কাজ তারা করেন না বা করতে পছন্দ করেন না।
২. হেরে যাওয়া শব্দটি মনে হয় বৃশ্চিক রাশির মানুষের ডিকশনারিতে নেই। তারা যে কোন কিছু করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। যার ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা সফল হন।
৩. এই রাশির জাতক-জাতিকারা অনেক বেশি স্বাধীনচেতা হয়ে থাকে। তারা তাদের কাজের জন্য অন্যের উপর ভরসা করে বসে থাকেন না। তারা তাদের নিজের মত করে সকল কাজ সম্পাদন করতে পছন্দ করেন।
৪. তারা কোন কাজ করতে ভয় পান না। তারা সামনে থেকে নেতৃত্বদানেও অনেক আগ্রহী। তারা তাদের সকল কাজ দায়িত্বের সাথে পালন করেন।
৫. তারা অনুগত্যের সমার্থক। তারা সকল সম্পর্কে সততার পরিচয় পরিবহন করেন। হোক তা পরিবারের সাথে সম্পর্ক, বন্ধুদের সাথে বা নিজের জীবন সাথীর সাথে।
৬. আপনি যদি কখনও এই জাতির রাশির সাথে চ্যালেঞ্জ করার সাহস করেন, তাহলে আপনার জয়ের জন্য অনেক বেশি চেষ্টা করতে হবে। কারণ, তারা তাদের শত্রুদের সবসময় পর্যবেক্ষণে রাখেন।
৭. যারা এই রাশির মানুষের যে কোন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেন, তাদের প্রতি তারা সবসময় হৃদয়বান থাকেন। অর্থাৎ, সাহায্যকারীর যে কোন খারাপ সময়ে বৃশ্চিক রাশির মানুষ অবশ্যই সাহায্য সহযোগিতা করেন।
৮. বন্ধুদের জন্য তারা অনেক কিছু করতে পারেন। আপনি রাতের যে কোন প্রহরে সাহায্যের জন্য তাকে মাত্র একবার খবর দিলে সে আপনার দ্বারপ্রান্তে এসে হাজীর হয়ে যাবে।
৯. সঙ্গীকে ভালবাসার ক্ষেত্রেও তারা অতুলনীয়। তারা কখনও তাদের ভালবাসা প্রকাশের কোন উপায় হাতছাড়া করেন না। তারা তাদের সত্যিকার ভালবাসা সবসময় প্রকাশ করতে ভালবাসেন।
১০. এই রাশির জাতক-জাতিকারা খুব দ্রুত যে কোন বিষয় বুঝতে পারেন। তাই খুব অল্প কথায় আপনি তাদের যে কোন বিষয় বুঝাতে পারবেন। আপনি কখনও তাদের সাথে সময় অতিবাহিত করলে বিরক্ত হবেন না। তারা মানুষের সাথে খুব ভালভাবে মিশতে পারেন।

Share:

কবর থেকে নারীর লাশ তুলে গণধর্ষণ!


কবর থেকে নারীর লাশ তুলে গণধর্ষণ! আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কবরেও সুরক্ষিত নয় মেয়েরা! যদিও ভারতে গণধর্ষণের ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু তাই বলে কবর থেকে তুলে মৃতদেহের সঙ্গে সেক্স! হ্যাঁ, সভ্যতার নিষ্ঠুরতম এই ঘটনাটিও ঘটেছে ভারতেই।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সংবাদপত্র আনন্দবাজার লিখেছে, এদেশে (ভারত) কবরেও সুরক্ষিত নয় মেয়েরা। সেখানেও তাদের তাড়া করে বেড়ায় পুরুষদের বিকৃত যৌন লালসা। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলার তহলকা গ্রামে কবর থেকে নারীর দেহ তুলে গণধর্ষণ করল তিন দুষ্কৃতী।
ঘটনার তিন দিন আগে সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যু হয় ২৬ বছরের ওই নারীর। ঘটনার দিন কবর থেকে ২০ ফুট দূরে তাঁর বিবস্ত্র মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পরে তারা স্থানীয় পুলিশকে খবর দেন।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ধারায় মামলা দায়ের করা হবে তা নিয়ে দ্বিধাদন্দে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে মৃহদেহের সঙ্গে যৌন মিলন বলে স্পষ্টভাবে কোন কিছুর উল্লেখ না থাকায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ২৯৭ ধারায় (কবরে অবৈধ খনন) মামলা করা হতে পারে।
এ ছাড়াও দায়ের হতে পারে ৩৭৭ ধারাও (অস্বাভাবিক সঙ্গম) এর মামলা।

Share:

শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫

ছেলেটির কাছে আমি নিজের বিয়ের কথা বলিনি, সে বয়সে ছোট…


আমি একজন বিবাহিতা রমণী । আমার স্বামী বিয়ের পর থেকে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে আসছে, আমার গায়ে অনেক সময় হাত তুলতো, আমাকে বাসা থেকে বের করে দিতে চাইতো, কিন্তু আমি বের হতাম না। সে আমাকে কোন খরচাপাতি দিতো না । আমার সকল কিছু আমার বাবার বাসা থেকে আনতে হতো কিংবা নিজের টাকা দিয়ে কিনে নিতে হতো এবং এখনো নিজেরটা দিয়েই নিজেকে চলতে হয়।
আমার বিয়ের চার বছর পর আমি কনসিভ করি কিন্তু আমার স্বামী বাচ্চা নিতে রাজি ছিলেন না, পরে সে আমাকে গর্ভপাত করানোর জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়, আমার গর্ভপাত করানো হয়। এরপর আমরা বছর দুই একসাথে থাকার পর দীর্ঘ চার বছর যাবত আলাদা থাকি।

বাবার বাসায় থেকে পড়াশোনা করে একটা ভালো চাকরি পাই। আমার চাকরি দেখে স্বামী আমাকে আবার তার বাসায় নেয় এবং এক বছর যাবত মোটামুটি ভাবে তার সাথে সংসার করছি। সে বা তার পরিবার আগের মতো অত্যাচার না করলেও অনেক সময় খারাপ ব্যবহার করে। আমার স্বামী এখনো আমাকে কথায় কথায় বলে চলে যেতে। এমতাবস্থায়, আমার যাতে বাচ্চা হয় সেটা আমার স্বামী ও তার পরিবার চায়।
আমি পূর্বে কনসিভ করি সেই বাচ্চাটার কথা এখনো ভুলতে পারিনি, মনে হলে অনেক কষ্ট লাগে। আর আমার স্বামীও এক মাস পর পর আমার সাথে মিলিত হয় । এমতাবস্থায় আমার বাচ্চা হচ্ছে না।
ইতিপূর্বে আমার সাথে একটি ছেলের পরিচয় হয়। তার কাছে আমার বিয়ের কথা বলিনি। সে বলে সে আমাকে ভালোবাসে। আমিও তাকে ভালোবাসি। সে আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট, মাস্টার্স করছে। তার সাথে আমার তেমন যোগাযোগ হয় না, একদিন দুই দিন দেখা করেছিলাম। ফেসবুকে ও ফোনে মাঝে মাঝে কথা হয়। সে ফেসবুকে জানতে চায় আমি রাতে কি পরে ঘুমাই , সে আরো বলে যে, আমি নাকি সেক্সি গার্ল ।
Share:

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন মাত্র ৩০ দিনে

সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস একটি বড় সমস্যা। ডায়াবেটিস হলে ওষুধের পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ার মাধ্যমে শরীরের শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো শরীরের শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
এই স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো প্রতিদিন খাওয়া প্রাকৃতিকভাবেই ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে। এগুলো ৩০ দিনের মধ্যে ডায়াবেটিস কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে খাবারগুলোর কথা।

কাঠবাদাম –

কাঠবাদাম ডায়াবেটিক রোগীর জন্য পরম বন্ধু। এই খাবারে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ আঁশ এবং প্রোটিন; যা ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে ৩০ দিনে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

গ্রিন টি –

গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে ফিটোনিউট্রিয়েন্টস যেমন : ক্যাটাচিন এবং ট্যানিন্স। এগুলো রক্তের শর্করার ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। তাই দিনে দুই বেলা গ্রিন টি পান করলে ৩০ দিনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

আপেল –

বলা হয়, প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়া রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস কমাতে কাজ করে। এ ছাড়া এটি কোলেস্টেরলও কমায়।

গাজর –

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গাজর অন্যতম একটি খাবার। এর মধ্যে রয়েছে বেটা কেরোটিন। এই কমলা রঙের সবজিটিতে কম পরিমাণ শর্করা রয়েছে, যা শরীরের ইনসুলিনের মাত্রাকে ঠিক রাখতে বেশ কার্যকর।

মাছ –

ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডসমৃদ্ধ মাছ খাওয়া ডায়াবেটিসের জন্য ভালো। এটা ইনসুলিনের মাত্রা কমায়। সপ্তাহে অন্তত দুদিন এই জাতীয় মাছ খেতে হবে।

জলপাইয়ের তেল –

বর্তমানে অনেকেই রান্নায় জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করেন। এর মধ্যে রয়েছে ভালো মানের চর্বি; যেটা ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত জলপাইয়ের তেল খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

সাইট্রাস ফুড –

সাইট্রাস খাবারের মধ্যে কমলা অন্যতম। এর মধ্যে থাকা ফিটোনিউট্রিয়েন্টস ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে। এ ছাড়া কমলার মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাবোনয়েডস, ক্যারোটিনয়েডস, টারপিন, প্যাকটিনস ইত্যাদি। এগুলো শরীরের জন্য বেশ উপকারী।

ওটস –

ওটসের মধ্যে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট; যা রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই নিয়ম করে ৩০ দিন ওটস খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসবে।
Share:

চীনে খাওয়া হচ্ছে মানব ভ্রূণ, তৈরি হচ্ছে মৃত বাচ্চার স্যুপ!

চরম ঘৃণিত এই কাজের খবর ইন্টারনেট ও ইমেইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা পুরো বিশ্বকে হতবিহবল করে দিয়েছে।
২০১৩ সালের ২৫ জুলাই দক্ষিণ কোরিয়ার ‘সিউল টাইমস’ এ একটি ইমেইল আসে যাতে ছিল বেশ কিছু ছবি।
এ ভয়াবহ, বীভৎস ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারী ছবিগুলোতে দেখা যায় মৃত শিশু ও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গর্ভপাত ঘটানো অপূর্ণাঙ্গ ভ্রুন বা ফিটাসের স্যুপ তৈরি করা হচ্ছে মানুষের খাবার জন্য!
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ ক্যানটন বা গুয়াংডন এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
জানা গেল সেখানকার পুরুষরা তাদের শারীরিকস্বাস্থ্য ও যৌন শক্তি বাড়ানোর জন্য ভেষজ শিশু স্যুপ (herbal baby soup) খেয়ে থাকে!
এরকম অবস্থায় জানা গেল আরেক ঘটনা। চীনের এক দম্পতির ইতোমধ্যেই একটি কন্যাসন্তান ছিল। মহিলাটি সন্তান-সম্ভবা ছিলেন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারলেন তার দ্বিতীয় সন্তানটিও মেয়ে হতে যাচ্ছে। ততদিনে তার গর্ভস্থ সন্তানের বয়স ৫ মাস। তিনি ও তার স্বামী গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেন। স্বাভাবিকভাবে কোন শিশু যদি ভূমিষ্ঠ হবার আগেই মারা যায় তবে তাতে ২০০০ ইউয়ান খরচ হয়, সেখানে গর্ভপাত করাতে খরচ হয় মাত্র কয়েকশো ইউয়ান। তবে যারা মৃত শিশু বিক্রি করতে চান না, তারা প্লাসেন্টা বা অমরা বিক্রি করতে পারেন ইচ্ছা করলে।
একজন স্থানীয় সাংবাদিকের মতে, এই সমস্যার উৎপত্তি মূলত হয়েছে চীনাদের মাত্রাতিরিক্ত স্বাস্থ্যসচেতনতার কারণে। এছাড়া অনেকের মতে, চীন সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ‘এক সন্তান নীতি” চালু করেছিল। আর এ হতভাগ্য শিশুগুলো এই নীতিরই নির্মম শিকার।
এছাড়া চীনের অধিকাংশ পরিবার মেয়ে সন্তান নয়, ছেলে সন্তান আশা করে। গরীব পরিবারগুলো তাদের মেয়ে শিশুদের বিক্রি করে দেয় অর্থের আশায়। চরম ঘৃণিত “বেবি স্যুপ” এর উদ্ভব এই মানসিকতা থেকেই।
তাইওয়ানে মৃত শিশুরা ৭০ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয় গ্রিল করা ‘রুচিকর’ (?) খাবার হিসেবে!
হং কং থেকে প্রকাশিত NEXT সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে শিশুদের মৃতদেহ কিংবা ভ্রূণ স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য রক্ষার নতুন উপকরণ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এছাড়া প্লাসেন্টা বা অমরাকে সুস্বাদু খাবার হিসেবে খাওয়া হয়।
এমনকি গুয়াংডনে হাসপাতালগুলোর মাধ্যমেই অনেক সময় এসব অঙ্গ কেনাবেচা হয় ও এগুলোর চাহিদা আকাশচুম্বী।
ম্যাগাজিনের অনুসন্ধানী প্রতিনিধিরা এগিয়ে যেতে থাকেন।
নরমাংস ভক্ষণের নতুন এই রীতি তাদেরকে নিয়ে যায় চীনের আরেক প্রদেশ লিয়াওনিং-এ।
ম্যাগাজিনটির মতে, লিয়াওনিং এর একজন তাইওয়ানীজ ব্যবসায়ী একটি ভোজসভা আয়োজন করেন। তার একজন গৃহপরিচারিকা ছিল যাকে সবাই মিস লিউ নামেই চিনতো। মিস লিউ ছিলেন লিয়াওনিং এর স্থানীয় অধিবাসী। ভোজের দিন অসাবধানতাবশত তার মানব শিশু ভক্ষণের বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যায়। ভোজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাইওয়ানীজ মহিলারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। মিস লিউ পরে এও বলেন, অনেক মানুষই মানবশিশু খেতে আগ্রহী, তবে চাহিদা অনেক বেশি। যাদের ক্ষমতা অনেক বেশি তারাই কেবল সবচেয়ে “ভালো জিনিস” পায়। সাধারণভাবে ছেলে শিশু ভ্রূণকে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বলে ধরা হয়।
প্রতিবেদকের অনুরোধে মিস লিউ কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে প্রতিবেদককে সেই জায়গায় নিয়ে যান যেখানে মানব ভ্রূণ রান্না করা হয়। তিনি দেখলেন, একজন মহিলা একটি ছুরি দিয়ে ছেলে শিশু ভ্রূণ কেটে কুচি কুচি করছেন ও সেটি দিয়ে স্যুপ তৈরি করছেন। আর আশেপাশে মানুষকে এই বলে আশ্বস্ত করছেন যে, ভয় পাবার কিছু নেই, এটি “প্রাণীর মাংস”। অনেক চীনাদের কাছে মানব ভ্রূণ ভক্ষণ করা নাকি এক ধরণের শিল্প!
২২ মার্চ, ২০০৩। গুয়াংজি প্রদেশের বিংইয়ন পুলিশ একটি ট্রাক থেকে ২৮ টি মেয়ে শিশুকে উদ্ধার করে, যাদেরকে পাচার করা হচ্ছিলো আনহুই প্রদেশে।শিশুগুলোর মাঝে সবচেয়ে বড় বাচ্চাটির বয়স ছিল মাত্র তিন মাস। তিন-চারটি শিশুকে একটি একটি করে ব্যাগে ঢোকানো হয়। উদ্ধারের সময় শিশুগুলো
প্রায় মরণাপন্ন অবস্থায় ছিল। ৯ অক্টোবর, ২০০৪ এর সকালবেলা। সুজহৌ এলাকার জিউকুয়ান শহরের একজন ব্যক্তি আবর্জনা পরিষ্কারের সময় বেশ কিছু ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন শিশুদের দেহ আবিষ্কার করেন। দুটি মাথা, ছয়টি পা, চারটি হাত, দুটি ধর পাওয়া গেল।
তদন্তে জানা গেল, শিশুগুলোর মাত্রই ভূমিষ্ঠ হয়েছিল, এদের বয়স হয়েছিল ১ সপ্তাহ ও রান্নার পরে খাওয়ার পর হাত-পা গুলো উচ্ছিষ্ট হিসেবে ফেলে দেয়া হয় ডাস্টবিনে।যদিও মানব ভ্রূণ খাওয়া নিষিদ্ধ করে চীনে কঠোর আইন চালু আছে, কিন্তু একইসাথে চীনের ‘এক সন্তান’ নীতি অনেক দম্পতিকে অকালে গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য করে, যেগুলোর সুযোগ নিচ্ছে একদল জঘন্য মানুষ।
এছাড়া মাও সেতুং এর ‘সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ কিছু ক্ষেত্রে চরমপন্থী রূপ ধারণ করে, যার ফলে চীনের অনেকের মাঝেই নৈতিকতা ও মানুষের জীবনের প্রতি সম্মান দেখানোর প্রবণতা কমে গিয়েছে।
গ্লোবাল রিপোর্টারস ভিয়েনার তাই জরুরী আহবান, “নরমাংস ভক্ষণকে ‘না’ বলুন ও সেইসব শিশুদের জীবন বাঁচাতে
এগিয়ে আসুন।
এটা কোন বিষয় নয় আপনি বিশ্বের কোন প্রান্তে আছেন।কিন্তু এই তথ্যটি প্রকাশ করে হয়তো সেই সব নিষ্পাপ শিশুদের বাঁচাতে পারবেন যারা হয়তো নির্মম ও জঘন্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে যাচ্ছে।“ যদিও অনেকেই এটিকে নিছক ‘গুজব’ বলে মনে করছেন। যাবতীয় তথ্যের লিঙ্ক দিয়ে দেয়া হলো। সত্য-মিথ্যা নির্ণয় পাঠকের বিবেচনা।
Share:

ডিম সেদ্ধ করার বৈজ্ঞানিক উপায়টি জানালেন শেফ


ডিম সেদ্ধ করার বৈজ্ঞানিক উপায়টি জানালেন শেফ
আমেরিকান শেফ এবং খাদ্য বিষয়ক লেখক জে কেনজি লোপেজ বৈজ্ঞানিক উপায়ে ডিম সেদ্ধ করার প্রক্রিয়া তুলে ধরেছেন। খুব সাধারণ মনে হলেও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ডিম সেদ্ধ করার প্রক্রিয়ার সঙ্গে পুষ্টির পুরোটুকু সুষ্ঠু উপায়ে সংগ্রহের বিষয়টি নির্ভর করে।
লোপেজের মতে, ডিমের সাদা অংশ সুষ্ঠুভাবে সেদ্ধ হওয়ার জন্যে ১৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৮২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন। আর কুসুম সুষ্ঠুভাবে সেদ্ধ হওয়ার জন্যে প্রয়োজন ১৭০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৭৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
চুলায় পানি নিয়ে আগে গরম করতে হবে। পানি ফুটতে শুরু করলে তা চুলা থেকে নামিয়ে তাতে ডিম ছাড়তে হবে। এতে সাদা অংশ খোসায় লেগে যাবে না। এ সময় পানির তাপমাত্রা কমাতে কয়েক টুকরা বরফ ছাড়তে হবে। এর পর ওই পানিতেই ডিমটি অনেক সময় ধরে রেখে দিতে হবে। এতে ধীরগতিতে ডিম সেদ্ধ হতে থাকবে। লোপেজ এ কাজের সময় ডিমটিকে প্রতি ৩০ সেকেন্ড অন্তর পানি থেকে তুলে ফেলেছেন এবং আবার রেখেছেন। সম্ভব হলে একই উপায়ে সবারই রান্না করা উচিত।
ধবধবে সাদা অংশ এবং পুরোপুরি সেদ্ধ কুসুম পেতে হলে এভাবেই ডিম সেদ্ধ করা উচিত। ফুটন্ত পানিতে ডিম ছেড়ে ৩০ সেকেন্ড রাখুন। এরপর কয়েক টুকরা বয়ফের টুকরা ছেড়ে দিন। পানি বেশি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে তা আবারো গরম করে তাতে ১১ মিনিট ধরে ডিমটি রেখে দিন। এভাবেই ডিম সেদ্ধ করার আদর্শ নিয়মের কথা জানালেন শেফ।
-
Share:

যোনিস্বাস্থ্য ভালো রাখার ৬ উপায়

অনেক নারীই ভ্যাজাইনা বা যোনিপথের সংক্রমণে ভুগে থাকেন। এই অংশের সংক্রমণ ভীষণ অস্বস্তি তৈরি করে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে যোনিকে ভালো রাখা যায়। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে যোনির স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার কিছু পদ্ধতির কথা।
১. বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান
সাবানের ক্ষার বা পরিষ্কার করার উপাদান কখনো কখনো শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে সংক্রমণ আরো বাড়িয়ে দেয়। তাই ভ্যাজাইনা ভালো রাখতে এ ধরনের সাবান ব্যবহার করবেন না।
২. শুষ্ক রাখুন
যোনি এলাকা কেবল পরিষ্কার রাখলেই চলবে না, একে শুষ্কও রাখতে হবে। স্যাঁতসেঁতে ভাব সংক্রমণ তৈরি করে। তাই পানি দিয়ে পরিষ্কারের পর জায়গাটিকে তোয়ালে বা টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করুন।
৩. সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করুন
যোনিস্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে আঁটসাঁট অন্তর্বাস ব্যবহার করবেন না। এতে বাতাস চলাচল ব্যাহত হয়ে সংক্রমণ হতে পারে। সুতির আন্ডারপ্যান্ট ব্যবহার করুন। এ ছাড়া ঘুমানোর সময় আঁটসাঁট পায়জামা ব্যবহার করবেন না।
৪. স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করুন
মাসিকের সময় অনেকেই হয়তো একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন দীর্ঘক্ষণ ধরে ব্যবহার করেন। এই কাজটি একেবারেই ঠিক নয়। এতে জায়গাটিতে দুর্গন্ধ হয় এবং সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই অন্তত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পরপর স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করুন।
৫. পানি পান
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে এবং যোনির স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
৬. খাদ্যাভ্যাস
সংক্রমণ থেকে ভ্যাজাইনাকে মুক্ত রাখতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি শুধু ভ্যাজাইনাকেই ভালো রাখবে না, দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গকেও ভালো রাখবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যোনির সংক্রমণ প্রতিরোধে নিয়মিত দই খাওয়া বেশ কাজে দেয়। তাই খাদ্যতালিকায় নিয়মিত দই রাখুন।
Share:

২৭০০ জন পুরুষের সঙ্গে যৌনকর্মে স্ত্রীকে বাধ্য করেছেন স্বামী!




--

প্রতিমাসে হাজার হাজার পাউন্ড কামাতে চান এক ফ্রেঞ্চ লোক। কে না চান? কিন্তু ৫৪ বছর বয়সী লোকটি এ কাজে ব্যবহার করলেন তার স্ত্রীকে। জোরপূর্বক অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌনতায় বাধ্য করেন স্ত্রীকে। অভিযোগ উঠেছে ফ্রান্সের আদালতে। সেখানে বলা হয়, লোকটি ২৭০০ পুরুষের সঙ্গে সেক্স করতে তার স্ত্রীকে বাধ্য করেছেন।

কারণবশত অভিযুক্তের নাম প্রকাশ করা হয়নি। ২০১১ সাল থেকে তিনি স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে বিছানায় উঠতে বাধ্য করতেন। এভাবে এ পর্যন্ত তিনি ১ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড কামিয়েছেন। মিয়াক্সের একটি আদালতে গত বৃহস্পতিবার এক শুনানিতে এসব কথা বলা হয়।

লি পারিসিয়ান পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৬ বছর বয়সী স্ত্রীকে একজন পতিতা হিসেবে চারটি ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হয়। টেক্সট মেসেজ এবং ইমেইলের মাধ্যমে যথেষ্ট খদ্দের জোগাড় করা হয়। নিজের বাড়িতেই খদ্দেরদের আসার ব্যবস্থা করেন অভিযুক্ত। খদ্দেররা সারাদিন আসা-যাওয়া করতেন। এরা এলে লোকটি তাদের ৫ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে বাড়ির গ্যারেজে গাড়িতে বসে থাকতেন।

এই মামলার ডেপুটি প্রসিকিউটর এমানুয়েল ডুপিক জানান, লোকটি তার স্ত্রীকে মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে এ কাজে রাজি করাতেন। এমনও খদ্দের আসতে যারা নিষ্ঠুর আচরণ করতেন।

আগামী শুনানির আগ পর্যন্ত স্বামীকে জেলে রাখতে বলা হয়েছে।
-
Share:

৩টি ঘরোয়া উপায়ে দ্রুত লম্বা করে ফেলুন চুল

মানুষের সৌন্দর্যের একটা বড় অংশ হচ্ছে চুল। মানুষ চুলের স্টাইল এর জন্য প্রচুর সময় ও টাকা ব্যয় করেন কারণ চুল এবং চুলের ধরণ ব্যাক্তি স্বাতন্ত্র্য ফুটিয়ে তুলে। খুব বেশি পরিমাণে চুল পড়া একটি যন্ত্রণাদায়ক শারীরিক সমস্যা। তরুণ অথবা বৃদ্ধ উভয় অবস্থাতেই মানুষ এই সমস্যাটিতে ভুগতে পারেন। সব মেয়েই চায় তার চুল যতদূর সম্ভব ঘন, লম্বা, চকচকে, শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান হোক। কিন্তু বেশির ভাগ মেয়েরাই চুল গজানোর চেয়ে চুল পড়ার সমস্যায় ভুগে থাকে বেশি । জিনগত কারণে অনেক পুরুষ মানুষের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মাথার চুল পড়ে যায় এমনকি টাক পড়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য তাঁরা তাদের সাধ্যের মধ্যে যা যা করা সম্ভব সবই করেন। মার্কেট গুলোতে অনেক দামী ক্রীম, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও মাস্ক পাওয়া যায়, কিন্তু এদের বেশিরভাগই অকার্যকর। পুষ্টির অভাব, হরমোনের অসামঞ্জস্য, মানসিক চাপ, জিনগত সমস্যা, চুলের স্টাইল, চুলে তাপ দেয়ার ভুল পদ্ধতি সহ আরো অনেক কারনেই চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে। কিন্তু চিন্তার কোন কারণ নেই। এমন অনেক প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া কিছু উপাদান আছে যা চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে অনেক  বেশি কার্যকরী।

আসুন জেনে নেই সেই উপাদান গুলো ও তাদের ব্যবহার প্রণালীঃ

১। পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজ শুধু আপনার রান্নাকেই সুস্বাদু করেনা আপনার চুল এর বৃদ্ধিতেও কার্যকরী ভুমিকা রাখে। পেঁয়াজের রস এ সালফার থাকে যা কোলাজেন টিস্যু এর উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। মাঝারি আকারের ২ থেকে ৪ টা পেঁয়াজ থেঁতলে রস বের করে নিতে হবে। এবার পেঁয়াজের রসটুকু মাথার তালুতে খুব ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে। এভাবে ১ ঘন্টা রাখতে হবে, যদি সম্ভব না হয় তাহলে ১৫ মিনিট রাখলেও হবে।তারপর শ্যাম্পু ও পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন । পেঁয়াজের রসের ঝাঁঝের জন্য চোখ জলে ও পানি চলে আসে। যারা এটা সহ্য করতে পারবেন না তাদের জন্য বিকল্প আরেকটি পদ্ধতি আছে,তা হল-
৪-৫টি পেঁয়াজ কেটে নিতে হবে। ১ লিটার পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। ফুটন্ত পানির মধ্যে পেঁয়াজের টুকরা গুলো দিয়ে আরও ৫-১০ মিনিট ফুটাতে হবে। তারপর মিশ্রণটি ঠাণ্ডা করতে হবে। চুল শ্যাম্পু করার পর পেঁয়াজের এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। যদি আপনি পেঁয়াজের গন্ধটা সহ্য করতে পারেন তাহলে ওই দিন আরচুল ধোয়ার দরকার নেই। পরদিন শ্যাম্পু করে পরিস্কার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।আর যদি আপনি গন্ধটা সহ্য করতে না পারেন তাহলে অন্তত ১ ঘণ্টা এভাবে রাখুন।তারপর পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পেঁয়াজের রস শুধুমাত্র আপনার চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক না বরং এটা আপনার চুলের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি করবে অবিশ্বাস্য রকম ভাবে।
২।  ডিম
চুল কেরাটিন প্রোটিন দিয়ে তৈরি, আর ডিম হচ্ছে প্রোটিনের চমৎকার উৎস।তাই ডিম চুলের বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা  রাখে। ২টা ডিমের কুসুমের সাথে ২ টেবিল চামচ জলপাই তেল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আপনার মাথার তালুতে ভালো করে ম্যাসাজ করুন এবং এভাবে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল পরিস্কার করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। বিকল্প আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে – ১টি ডিমের সাথে এক কাপের এক চতুর্থাংশ পরিমাণ টক দই ও মেয়নেজ নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।তারপর এই মাস্কটি চুলে লাগান এবং একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। এভাবে আধা ঘন্টা রাখার পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩। ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা এমন বিস্ময়কর একটি উদ্ভিদ যা মানুষের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে চুল ও ত্বকের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। আপনার পছন্দের তেলের সাথে অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে এর সাথে পানি মিশ্রিত করলে একটি ভালো কন্ডিশনার তৈরি হবে। এই কন্ডিশনারটি চুলের জন্য অনেক উপকারী ।
টিপসঃ
উপরের পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করার পাশাপাশি আপনি চুলের বৃদ্ধির জন্য আর একটি জিনিষ সব সময় করবেন, তা হল – প্রতি সপ্তাহে আপনার মাথায় পুষ্টিকর তেল ম্যাসাজ করবেন। এর জন্য নারিকেল তেল বা জলপাই তেল বা আমন্ড তেল একটু গরম করে আপনার মাথার তালুতে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করবেন এবং এভাবে সারারাত রেখে দিতে পারলে ভালো। আর যদি তা করা সম্ভব না হয় তাহলে একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে পানি নিংড়ে নিয়ে আপনার তেলে সিক্ত মাথায় কিছুক্ষণের জন্য জড়িয়ে  রাখুন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন ও কন্ডিশনার দিন।প্রতি সপ্তাহে এই কাজটি করতে পারলে আপনার চুল শক্তিশালি, ঘন ও স্বাস্থ্যবান হবে।
Share:

আজকের আধুনিক নারীর থাকা চাই যে ৯টি গুণ


sister3
আজকের আধুনিক নারীর থাকা চাই যে ৯টি গুণ
কেবল পোশাকে বা চালচলনে আধুনিক হলেই বুঝি আধুনিক হওয়া যায়, আর কিছু প্রয়োজন নেই? অবশ্যই আছে। আধুনিকতার সংজ্ঞা আজকাল পাল্টে গেছে। অনেকেই আধুনিকতা আর উগ্রতার মাঝে পার্থক্য করতে পারেন না। তবে এটা সত্যি যে নারীরা বদলে যাচ্ছেন দ্রুত, পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে নারীদের পরিবর্তন। জেনে নিন আজকালকার আধুনিক নারীর ৯টি বৈশিষ্ট্য।
১) লেখাপড়া অবশ্যই শেষ করতে হবে
একটা সময় ছিল, মেয়েরা লেখাপড়াটা খুব দায়সারা ভাবে করতেন। ভাবতেন যে ভালো একটা বিয়ে হলে লেখাপড়ার কী দরকার? এখনো আমাদের সমাজে আছে এই বিষয়টি। তবে বিবাহিত হোন বা অবিবাহিত, লেখাপড়াটা অবশ্যই মনযোগ দিয়ে শেষ করতে হবে। চাকরি করতে চান বা হবেন গৃহবধূ, শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
২) ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে পারাটা খুব ভালো
হয়তো আপনার চাকরি করার প্রয়োজন নেই, কিন্তু তবুও নিজের একটা ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা অবশ্যই করুন। প্রতিটি ছোট খরচের জন্য স্বামীর সামনে হাত পেতে টাকা নেয়ার চাইতে নিজের খরচ নিজে যোগানোটা কি যথেষ্ট সম্মানের বিষয় নয়?
৩) ঘরে-বাইরে সমানতালে
মেয়েরা যেন আজকাল দশভুজা, একলাই সামাল দিচ্ছে সবদিক। ঘর সামলাচ্ছেন, ক্যারিয়ার সামলাচ্ছেন, সন্তান, পরিবার, সামজিকতা সবকিছুই তারা সামাল দিচ্ছেন একলা। একজন আধুনিক নারীকে অবশ্যই জানতে হবে এই ভারসাম্য রক্ষার কৌশল।
৪) বুঝতে হবে উগ্রতা আর আধুনিকতার মাঝে পার্থক্য
আধুনিকতা মানে রাত বিরাতে পার্টি করা নয়, একাধিক প্রেমিক থাকা নয়, পরিবারের সাথে বেয়াদবি নয় কিংবা আমাদের সমাজের সাথে বেমানান পোশাক পরা নয়। আধুনিকতার অর্থ নিজের চিন্তা ও চেতনায় আধুনিক হওয়া, পরনির্ভরশীলতার শেকল ভেঙে বের হয়ে আসা। সেটাই আধুনিক নারীর পরিচয়।
৫) সবমিলিয়ে স্মার্ট
নিজের সাজ, পোশাক, আচার আচরণ ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে রুচিশীলতার ছাপ রাখতে পারাই আধুনিক নারীর বৈশিষ্ট্য। বাইরে ও ভেতরে সমানভাবে স্মার্ট হওয়া চাই।
৬) প্রেমের জন্য অস্থির নয়
হ্যাঁ, প্রেম জীবনের একটা অংশ বটে। কিন্তু পুরো জীবন নয়। প্রেমের জন্য নিজের জীবন নষ্ট করে ফেলা বা প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বাকি জীবন কাঁদতে কাঁদতে পার করে দেয়ার যুগ শেষ। আজকালকার নারী জানেন প্রেমকে সামলে জীবন চালাতে।
9-characteristics-of-modern-women
৭) বিয়ে করতে হবে বলেই করা নয়
মেয়ে মানুষ, বিয়ে তো করতেই হবে! এইভাবনা আজকালকার নারী মোটেও ভাবেন না। তারা বিয়ে করেন তাকেই, যার সাথে আক্ষরিক অর্থেই জীবন কাটাতে চান। জীবন একটাই, পাশে একজন যোগ্য স্বামীর গুরুত্ব বোঝেন আধুনিক নারী।
৮) তারা জানেন “না” বলতে
নারী মানেই সবকিছু মুখ বুজে সয়ে যাওয়া নয়। আজকালকার নারী শিখে নেন “না” বলতে।
৯) দায়িত্বশীল অবশ্যই
কেবল পুরুষেরই কি সকল দায়িত্ব? নারীর কি কোন দায় নেই? অবশ্যই আছে,। হয়ে উঠুন একজন দায়িত্বশীল কন্যা কিংবা স্ত্রী, পিতা বা স্বামীর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দায়িত্ব ভাগ করে নিন। জীবন হয়ে উঠবে সুন্দর, হয়ে উঠবেন সম্মানের পাত্রী।
Share:

২৪ জন প্রেমিককে একসাথে হাজির করলেন ইডেন কলেজের ছাত্রী!


২৪ জন প্রেমিককে একসাথে হাজির করলেন ইডেন কলেজের ছাত্রী।

২৪ জন প্রেমিককে একসাথে হাজির করলো এক প্রেমিকা!
এখন আমি আপনাদেরকে যে মজার নিউজটি দিবো সেটি শুনে আপনারা অবাক হতে পারেন। ঘটনাস্থল রমনা পার্ক। সময় দুপুর ১২.৪৫ বৃহস্পতিবার। একেক করে রেখার ২৪ জন প্রেমিকা হাজির হলেন। এবার বিস্তারিত কথায় আসা যাক। রেখা ইডেন কলেজের স্নাতক ৩য় বর্ষের ছাত্রী। থাকেন আজিমপুর চায়না বিল্ডিং লেনে। সুত্রমতে জানা যায় যে ক্লাস নাইন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত শতাধিক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। সম্প্রতি রেখার বিয়ে ঠিক হয় ইতালি প্রবাসী এক যুবকের সাথে।
রেখা তার বিয়ের খবর দিতে এখনো পর্যন্ত সম্পর্ক আছে এমন ৩২ জন প্রেমিককে ডাকেন রমনা পার্কে।কিন্তু হাজির হন ২৪ জন। একে একে সব প্রেমিক যখন জড়ো হতে থাকেন তখন রিতিমত লংকা কান্ড বেধে যায়। রেখা বলেন, আমি সবাইকে ভালবেসেছি একথা সত্য, তাই বলে সবাইকে তো সবাইকে একসাথে বিয়ে করা সম্ভব না। আসলে আমাকে কেউ প্রেমের প্রস্তাব দিলে আমি তাকে ফিরিয়ে দিতে পারিনি সে কষ্ট পাবে এই ভেবে। কিন্তু আজ আমি সত্যি লজ্জিত। তোমাদের মত কাউকে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব না। তোমরা সবাই আমার বিয়েতে এসে আমার জন্য দোয়া করো। এই বলে রেখা সবাইকে বিদায় জানান।
কথা হয় রেখার প্রেমিক সাইফুলের সাথে। সাইফুল জানান ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক গড়ে উঠে প্রায় দুই বছর আগে। আমি রাজশাহি থাকার কারনে নিয়মিত ঢাকায় এসে দেখা করতে পারিনি বিধায় তার কার্যকলাপ সম্পর্কে আমার ধারনা ছিলনা। তবে আমি কিছুটা আচ করতে পারি যখন আমার ফেসবুক প্রোফাইল ঘেটে আমার আর এক বন্ধুর সাথে রেখা সম্পর্ক করে।তবে সে বিষয়টি আমার কাছে অস্বিকার করে। এখন আমার ভাবতেই খারাপ লাগছে এমন একটি খারাপ মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল। আর এক প্রেমিক মনির মোল্লা বলেন, এক বছরের সম্পর্কে আমি ৩৭ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছি।কিন্তু পুরোটাই লস।
Share:

বিদ্ধাশ্রম থেকে এক মায়ের করুন চিঠি! দয়া করে পড়ে দেখুন…


বিদ্ধাশ্রম থেকে এক মায়ের করুন চিঠি! দয়া করে পড়ে দেখুন…
আমার আদর ও ভালোবাসা নিও। অনেক দিন তোমাকে দেখি না, আমার খুব কষ্ট হয়। কান্নায় আমার বুক ভেঙে যায়। আমার জন্য তোমার কী অনুভূতি আমি জানি না। তবে ছোটবেলায় তুমি আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝতে না। আমি যদি কখনও তোমার চোখের আড়াল হতাম মা মা বলে চিৎকার করতে। মাকে ছাড়া কারও কোলে তুমি যেতে না।
সাত বছর বয়সে তুমি আমগাছ থেকে পড়ে হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছিলে। তোমার বাবা হালের বলদ বিক্রি করে তোমার চিকিৎসা করিয়েছেন। তখন তিন দিন, তিন রাত তোমার পাশে না ঘুমিয়ে, না খেয়ে, গোসল না করে কাটিয়েছিলাম।
এগুলো তোমার মনে থাকার কথা নয়। তুমি একমুহূর্ত আমাকে না দেখে থাকতে পারতে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমার বিয়ের গয়না বিক্রি করে তোমার পড়ার খরচ জুগিয়েছি। হাঁটুর ব্যথাটা তোমার মাঝে মধ্যেই হতো। বাবা… এখনও কি তোমার সেই ব্যথাটা আছে? রাতের বেলায় তোমার মাথায় হাত না বুলিয়ে দিলে তুমি ঘুমাতে না। এখন তোমার কেমন ঘুম হয়? আমার কথা কি তোমার একবারও মনে হয় না?
তুমি দুধ না খেয়ে ঘুমাতে না। তোমার প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমার কপালে যা লেখা আছে হবে। আমার জন্য তুমি কোনো চিন্তা করো না। আমি খুব ভালো আছি। কেবল তোমার চাঁদ মুখখানি দেখতে আমার খুব মন চায়। তুমি ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করবে। তোমার বোন….তার খবরাখবর নিও। আমার কথা জিজ্ঞেস করলে বলো আমি ভালো আছি।
আমি দোয়া করি, তোমাকে যেন আমার মতো বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে না হয়। কোনো এক জ্যোস্না ভরা রাতে আকাশ পানে তাকিয়ে জীবনের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে একটু ভেবে নিও। বিবেকের কাছে উত্তর পেয়ে যাবে। তোমার কাছে আমার শেষ একটা ইচ্ছা আছে। আমি আশা করি তুমি আমার শেষ ইচ্ছাটা রাখবে। আমি মারা গেলে বৃদ্ধাশ্রম থেকে নিয়ে আমাকে তোমার বাবার কবরের পাশে কবর দিও। এজন্য তোমাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। তোমার বাবা বিয়ের সময় যে নাকফুলটা দিয়েছিল সেটা আমার কাপড়ের আঁচলে বেঁধে রেখেছি। নাকফুলটা বিক্রি করে আমার কাফনের কাপড় কিনে নিও। তোমার ছোটবেলার একটি ছবি আমার কাছে রেখে দিয়েছি। ছবিটা দেখে দেখে মনে মনে ভাবি এটাই কি আমার সেই খোকা!’
এভাবে বেদনা ভরা একটি খোলা চিঠি ছেলের উদ্দেশে লিখেছেন মদিনা খাতুন (ছদ্মনাম), মদিনা খাতুনের বয়স এখন আশি। ছয় বছর আগে তার আশ্রয় জুটেছে বৃদ্ধাশ্রমে।
Share:

কিভাবে ফিরে পাবেন আপনার চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি

কিভাবে ফিরে পাবেন আপনার চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি

আপনি কি আপনার অ্যান্ড্রয়েড চালিত স্মার্টফোনটি হারিয়ে ফেলেছেন? বা ফোনটি চুরি হয়ে গিয়েছে? আর হারিয়ে যাওয়া ফোনটির কথা ভেবে হতাশাগ্রস্থ আপনি? দিনে দিনে স্মার্টফোন হয়ে উঠেছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। আর প্রিয় এই ফোনটি হারিয়ে আপনি হয়তো আরেকটি ফোন কেনার চিন্তা করছেন। কিন্তু আপনার বেহাত হওয়া ফোনটিই আপনার জন্য চিন্তার কারন হয়ে দাড়াতে পারে।
অধিকাংশ মানুষের কাছেই ফোন হারানোটা কেবলই আর্থিক ক্ষতি। কিন্তু এর মাধ্যমে আপনার ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা আর নিরাপত্তাও যে ঝুকির মধ্যে পড়ে তা কি ভেবে দেখেছেন? আপনার ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন বিশেষত স্মার্টফোন আপনার হরেক তথ্য ধারন করে রাখে। আর শুধু আপনার তথ্য কেন, আপনার কাছের অনেকের তথ্যই এতে জমা থাকে। আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনটি যার হাতেই যাক, আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত তথ্যগুলো যেমন আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত কোন ছবি, প্রয়োজনীয় ফোন নাম্বার বা আপনার লেনদেন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য চলে যাবে আরেকজনের হাতে। যা আপনি কখনই চান না। আবার এমন কিছু সৃতিও হারাতে পারেন যা আর কখনই ফিরে পাওয়া যাবেনা।
বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সবাই নিজের ফোনটি ফিরে পেতে চায় অক্ষত ভাবে। অন্ততপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো ফেরত চায়। নাই যদি পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে সবার চাওয়া অন্তত ফোনটি যেন কেউ ব্যবহার না করতে পারে বা সংরক্ষিত তথ্যগুলো যেন মুছে ফেলা যায়। এতে আপনার আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত আর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো বেহাত হওয়া থেকে বাঁচে। তবে আনন্দের ব্যাপার হল, ফোন হারিয়ে দুশ্চিন্তার দিন শেষ। অন্তত নিজেকে নিরুপায় ভেবে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে না।
আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোন খুজতে কিছু ত্বরিত টিপসঃ
এই টিউটোরিয়ালটি আপনাকে ধাপে ধাপে আপনার ফোনটি খুজে পেতে করণীয়গুলো দেখাবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শগুলো হল
আপনার ফোনটি যদি প্রয়োজনীয় অ্যাপসমৃদ্ধ থাকে, অর্থাৎ ফোনটির অবস্থান সনাক্তকরার অ্যাপ ইন্সটল করা থাকে, সেই সাথে দূর থেকে নিয়ন্ত্রন করার মত অ্যাপ থাকে তাহলে আপনি সহজেই এর নিয়ন্ত্রন রাখতে পারবেন। সেই সাথে হারানো ফোনটি ফিরে পেলে সহজেই তথ্য পুনরুদ্ধার সম্ভব। এক্ষেত্রে Android Device Manager বা Lookout নামের অ্যাপ দুটির সাহায্য নিতে পারেন।
Airdroid নামের অ্যাপটি ব্যাবহার করে আপনি সহজেই আপনার হারনো তথ্যগুলো ফিরে পেতে পারেন। আর এর আধুনিক ফিচারগুলো যেমন দূর নিয়ন্ত্রিত ক্যামেরা বা এসএমএস মেসেজিং ব্যাবহার করতে পারেন। স্মার্ট ওয়াচ ব্যাবহার করতে পারেন। এটি আপনার মোবাইল ফোনটির দূরে সরে না যাওয়া নিশ্চিত করবে।
আর হ্যাঁ, আমরা এটাও জানানোর চেষ্টা করব যে আপনার ফোনটি হারালে আপনি কি করতে পারেন যখন আপনি কোনভাবেই প্রস্তুত নন।
উপরের কথাগুলো শুনে কি কিছুটা ভালো লাগছে?? তাহলে দেরি না করে, চলুন শুরু করা যাক আজকের টিউটোরিয়াল।
নিশ্চিত হোন যে আপনি প্রস্তুত

পড়ে যেতে না চাইলে, পা ফেলার আগে দেখে ফেলাটা উত্তম। দাঁতের ক্ষয় না চাইলে নিয়মিত দাঁত মাজা উচিত এগুলো আমাদের প্রতিদিনের জীবনে শোনা কিছু প্রবাদ। এ বাক্যগুলই কিন্তু আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যে যেকোনো বাজে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার চেয়ে এমন কিছু করা ভালো যা আমাদের বাজে পরিস্থিতিরই সম্মুখীন করবেনা। অর্থাৎ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করাটাই শ্রেষ্ঠতর।
আপনার স্মার্ট ফোনটি যেন না হারান, সেজন্যেও একই নীতিবাক্যই প্রযোজ্য।
আসলে আপনার স্মার্টফোনটির হারানো প্রতিরোধ করতে তেমন কিছু করার নেই। তবে আপনার কমনসেন্স ব্যবহার করুন, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার আগে নিশ্চিত হোন যে আপনার ফোনটি আপনার সাথেই আছে। এর বাইরে আপনি যা করতে পারেন টা হল অ্যাপ ব্যাবহার করা, যেটা আপনাকে কিছুটা সাহাজ্য করতে পারে।
স্ক্রিন লক করার প্যাটার্ন চালু করুন
CM-2
স্মার্টফোন ব্যাবহারে আপনার প্রথম কাজটি হবে মোবাইলের স্ক্রিন লক করার জন্য প্যাটার্ন বা পাসওয়ার্ড চালু করা। এটি কোনোভাবেইওয়াপ্নার ফোন হারানো রোধ করতে পারবেনা। কিন্তু হারিয়েই যদি ফেলেন, এই ভেবে অন্তত স্বস্তি পাবেন যে আপনার তথ্য গুলো অন্য কার হাতে পড়ছেনা।
কেউ কেউ হয়তবা প্রতিবার ফোন ব্যাবহারের সময় ফোন আনলক করতে গিয়ে বিরক্ত হতে পারেন। তাদের জন্য কিছু কিছু ডিভাইস এ নির্দিষ্ট সময় পর পর পাসওয়ার্ড স্বয়ংক্রিয় ভাবে চালু করার ব্যাবস্থা আছে। তাও যদি ভালো না লাগে, তাহলে আপনার জানতে হবে কিভাবে দূরবর্তী যেকোনো জায়গা থেকে আপনার মোবাইলে পাসওয়ার্ড চালু করা যায়।
আপনার মোবাইলে লক স্ক্রিন প্যাটার্ন চালু করতে Settings > Security অথবা Settings > Display > Lock Screen এ দুটি পথ অনুসরন করতে পারেন। নাহলে মোবাইলের ইউজার গাইড দেখুন।
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার চালু ও ব্যাবহার করা
আপনার হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সনাক্ত করতে প্রথমেই আপনার যেটা করতে হবে তা হল, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সঠিক ভাবে রেজিস্টার করা। এরপর অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারের মাধ্যমে ফোনটিতে প্রবেশ করতে পারাও নিশ্চিত করতে হবে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ছোট্ট একটি টুল যেটা গুগল ২০১৩ সালে মার্কেটে আনে। আর গুগল প্লে স্টোর ব্যাবহারের মাধ্যমে আধুনিক সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এটির ব্যাবহার নিশ্চিত করে।
Android-Device-Manager-screenshot-640x397 (1)কিছু কিছু ডিভাইসে এটি বিল্ট ইন থাকলেও আপনাকে অবশ্যই নিজে দেখে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার মোবাইলে এটি চালু অবস্থায় আছে। আর অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার চালু করতে বা চালু আছে কিনা যাচাই করতে আপনার ডিভাইসে Settings > Security and Screen Lock > Device Administrators অপশনটিতে যান। তবে ডিভাইসভেদে কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে। এখানে গিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার চালু আছে কিনা নিশ্চিত হোন। একই সাথে আপনার ফোনের লোকেশন সেটিং টি কি অবস্থায় আছে তাও দেখুন। আর অবশ্যই নিশ্চিত হোন যে আপনার ফোনের জিপিএস ব্যাবস্থা সম্পূর্ণ চালু এবং কার্যকর অবস্থায় আছে।
যদিও আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোন সনাক্ত করতে জিপিএস জরুরী নয়, তবে এটি আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনের সঠিক অবস্থান জানাতে আপনাকে সাহায্য করবে। আর হ্যাঁ, জিপিএস চালু করে রাখলে মোটেই আপনার মোবাইলের ব্যাটারির চার্জ নষ্ট হবেনা, কারন কার্যকরী না হয়ে শুধুমাত্র জিপিএস চালু রাখতে অতিরিক্ত চার্জ খরচ হয়না।
এরপর, আপনার অ্যাপের ভিতর “Google Settings” এ যান, এরপর “Android Device Manager” অপশনটি বাছাই করুন। সেখান থেকে “Remotely locate this device” এবং “Allow remote lock and factory reset” অপশন দুটি যাচাই করুন। অপশন দুটিতে গেলেই আপনি বুঝবেন সেখানে কি করতে বলা হয়েছে।
এই লিংকটিতে, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারের ওয়েবসাইটটি পাবেন (লিংকটি কোনভাবেই ভুলবেন না। প্রয়োজনে বুকমার্ক করে রাখুন)। এর ড্যাশবোর্ডটি খুব সহেজই ব্যাবহার করা যায়। এখানে গুগল ম্যাপের মাধ্যমে আপনার ডিভাইসটির সর্বশেষ অবস্থানটি আপনাকে দেখাবে। আপনার ফোনটি চালু এবং ইন্টারনেটের সংযোগ থাকা সাপেক্ষে একদম শেষ মুহূর্তের অবস্থানও এটি আপনাকে দেখাতে সক্ষম।
android-device-manager-app-640x400আর অ্যাপটি দিয়ে আপনি আপনার ফোনে জোরে আওয়াজ করার ব্যাবস্থা করতে পারেন, যদি আপনি ভাবেন যে আপনার ফোনটি কাছাকাছি কোথাও আছে। আর এই অ্যাপটি দিয়ে দূরে বসে আপনার ফোনটি লক করা বা যেকোনো তথ্য মুছে ফেলার কাজও করতে পারবেন। তবে তথ্য মোছার কাজটি করবেন একদম শেষ পর্যায়ে, যখন আপনার ফোনটি ফিরে পাবার আর কোন আশা থাকবেনা। কারন একবার তথ্য মুছে ফেললে আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট এর সাথে ফোনটির আর কোন সংযোগ থাকবেনা।
LOOKOUT ব্যাবহার করা
যেকোনো কারণে আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ব্যাবহারে সক্ষম না হন, তবে lookout অ্যাপটি ব্যাবহার wpid-Lookoutকরতে পারেন। এটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারের খুব চমৎকার বিকল্প। আর এটিতে বেশ সুন্দর কিছু সিকিউরিটি ফিচার আছে। আর এর ফোন লোকেশন টুল টি অন্য যেকোনোটার থেকে কম যায়না। অ্যালার্ম দেয়া বা শব্দ করে জানানর সব সাধারন সব ব্যাবস্থাই এতে আছে। এর আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হল কেউ যদি পরপর ৫ বার আপনার লক খুলতে গিয়ে ভুল করে, এটি তখন স্বয়ংক্রিয় ভাবে ওই স্থানের ছবি তুলে আপনাকে মেইল করবে। এ সুবিধাটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারে নেই।
তবে দুরনিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে আপনার ডিভাইসটি লক করতে বা তথ্য মুছে ফেলতে আপনাকে একজন প্রিমিয়াম সাবসক্রাইবার হতে হবে। আর এই অ্যাপ ব্যাবহারের বাকি সব নিয়ম আগের মতই।
অ্যাপটি এই লিঙ্কে পাওয়া যাবে। আর LOOKOUT এর ওয়েবসাইটেও যান। এটি ব্যাবহার করেই আপনাকে আপনার ফোনটি খুজতে হবে।
AirDroid ব্যাবহার করা:

Airdroid ফোন খুজে পাওয়ার অ্যাপগুলোর মধ্যে আরেকটি ভালো বিকল্প। এখানেও, দূরনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে লক করা, স্থান সনাক্ত করা, তথ্য মোছা, অ্যালার্ম সিস্টেম, ছবি তুলে মেইল করার মত সুবিধাগুলো আছে। তবে এর বাইরেও আরো কিছু সুবিধা যোগ করা আছে এতে।
আপনি যদি আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনের তথ্য গুলো মোছার আগে নিজের কাছে কপি করে রাখতে চান, সে সুবিধা পাবেন এখানে। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি সব তথ্য ট্রান্সফার করতে পারবেন।
airdroidbanner-635x310আপনি আপনার মোবাইলের সাম্নের বা পেছনের যেকোনো ক্যামেরা চালু করে যে এখন মোবাইলটি ব্যাবহার করছে তার ছবি তুলতে পারবেন। ব্যাবহারকারি তা টেরও পাবেনা।
আপনি ফোনের কল লগ গুলো বা মেসেজ গুলো দেখতে পারবেন।
আপনার মোবাইলটি যদি আপনার ল্যাপটপের বা কম্পিউটারের সাথে একই ল্যান সংযোগে থাকে তবে আপনি অ্যাপটি বিনামুল্যে ব্যাবহার করতে পারবেন। এর বাইরে হলে আপনাকে মাসে ১.৯৯ ডলার বা বছরে ২০ ডলার ব্যয় করতে হবে অ্যাপটি ব্যাবহার করতে। তবে বিনামুল্যের অ্যাকাউন্টটি আপনাকে মাসে ১০০ মেগাবাইটের বেশী ডাটা ট্রান্সফার করতে দিবে না। আসলে অ্যাপটি সম্পূর্ণ কার্যকরভাবে ব্যাবহার করতে আপনাকে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবারই হতে হবে।
কোনটি বেছে নিবেন??
এতগুলো অপশন দেখে কি গুলিয়ে ফেলছেন যে কোনটা ব্যাবহার করবেন? পারলে সবগুলোই ব্যাবহার করুন। নাহলে অন্তত দুটি ব্যাবহার করার চেষ্টা করুন। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ব্যাবহার করাটা একটু সহজ কারন এটা আগে থেকেই আপনার ডিভাইসে ইন্সটল করা থাকে। তাই বলে অন্যগুলো ব্যাবহার করা মোটেই কঠিন নয়।
আর LOOKOUT বা AirDroid এর প্রিমিয়াম ভার্সনের অতিরিক্ত ফিচারগুলো অবশ্যই আপনাকে কাছে টানবে যেগুলো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারে পাওয়া যায়না। আপনি কোনটি ব্যাবহার করবেন সেটা একান্তই আপনার ইচ্ছা আর প্রয়োজনের উপর নিরভর করবে। তবে যেকোনো একটি বেছে নিতে হলে আমি AirDroid ই বেছে নিতাম।
তবে হ্যাঁ, আপনার ফোনটি যে হাতিয়ে নিয়েছে সে যদি আপনার ফোনে ফ্যাক্টরি রিসেট করে ফেলে, তখন কিন্তু উপরের কোন পদ্ধতিই আর কাজে আসবেনা।
এতক্ষনতো গেলো আপনার ফোনটি হারিয়ে গেলে আপনি কি করবেন বা আগে থেকে কি করে রাখতে হবে তা জানা। কিন্তু ব্যাপারটি যদি আপনার সাথে না হয়ে অন্য কারও সাথে ঘটে। যার উপরের বিষয়গুলোতে কোন ধারনাই ছিলনা? সেক্ষেত্রে কি করণীয়?? ওই ফোনগুলো ফিরে পেতে বা তথ্য গোপন সর্বশেষ চেষ্টা হিসাবে নিচে উল্লেখ করা পদ্ধতিতে চেষ্টা করে দেখতে পারেন…
Android Lost:
হ্যাঁ নামের সাথে কাজের পুরোপুরিই মিল আছে এই অ্যাপটিতে। এটি আপনাকে আপনার হারানো অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ফিরে পেতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে আপনি হারিয়ে যাওয়া ফোনে অ্যাপ ইন্সটল করে নিতে পারবেন। তবে মোবাইলটি চালু থাকতে হবে। এটি দিয়ে আপনি আপনার ফোন সনাক্তের কাজটি করতে পারবেন। এটি ইন্টারনেট বা এসএমএস এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এটির মাধ্যমে আপনি যা যা করতে পারবেন তা হোলঃ
  • মোবাইলের মেসেজগুলো পড়তে পারবেন।
  • ফোনে থাকা তথ্য মিছে ফেলতে পারবেন
  • ফোনটি লক করতে পারবেন
  • জিপিএস এর মাধ্যমে সনাক্ত করতে পারবেন
  • অ্যালার্ম চালু করতে পারবেন
  • সামনের বা পেছনের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে নিতে পারবেন
  • মাইক্রোফোন থেকে সাউন্ড রেকর্ড করতে পারবেন
Share:

শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৫

যেসব কারণে নারীরা যৌনজীবনে অধিক অসুখী ও অতৃপ্ত

যেসব কারণে নারীরা যৌনজীবনে অধিক অসুখী ও অতৃপ্ত
পুরুষের তুলনায় যৌন জীবনে নারীদের অসুখী হবার হার অনেক বেশি । এমনকি নিজের ভালোবাসার পুরুষটির সাথেও যৌন জীবন নিয়ে খুশি নন প্রচুর নারী । মুখে প্রকাশ না করলেও মনের মাঝে একটা চাপা ক্ষোভ নিয়ে জীবন যাপন করেন টানা, মুখ ফুটে অনেকেই বলতে পারেন না যৌন জীবনে নিজের অতৃপ্তির কথা । কিন্তু এটা কেন? কেন প্রচুর নারী রয়ে যান যৌন জীবনে অসুখী ও অতৃপ্ত?

১) ভুল ধারণা ও অজ্ঞতা
নারীদের যৌন জীবনে অসুখী রয়ে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে পর্যাপ্ত যৌন শিক্ষার অভাব । যৌনতা যে কেবল সন্তান উৎপাদনের মাধ্যম নয়, নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই একটি আনন্দের ব্যাপার- এই ব্যাপারটি সম্পর্কে আজও অজ্ঞ প্রচুর নারী । কী করতে হবে বা কীভাবে করলে আরও আনন্দময় হয়ে উঠবে যৌন মিলন, সেটা জানা নেই বলে তাঁরা রয়ে যান অসুখী ও অতৃপ্ত ।
২) নিজেকে বুঝতে না পারা

আসলে কী চাইছেন, তার শরীর কোন জিনিসে কীভাবে সাড়া দিচ্ছে, কোন অঙ্গগুলো যৌনতার ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর বা নিজের শরীরের চাহিদাগুলো কী কী ইত্যাদি বিষয়ে অজ্ঞতা বা বুঝতে না পারাও যৌন জীবনে অসুখী হবার একটি বড় কারণ । যেমন ধরুন, প্রচুর নারীই জানেন না যে ক্লাইটোরিস কী বা যৌন জীবনে এর প্রভাব কী ।

৩) কী চান সেটা বলতে না পারা

নিজেকে বুঝতে পারেন, নিজের চাহিদাও জানেন, কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারছেন না নিজের ভালো লাগা না লাগার কথা । নারীদের যৌন জীবনে অতৃপ্ত থাকার অন্তরালে এটা একটি বিশাল কারণ । এমনকি তিনি যে যৌন জীবনে সুখী নন, এটাও পুরুষ সঙ্গীকে মুখ ফুটে বলতে পারেন না অনেক নারী ।

৪) লজ্জা ও সংকোচ

অনেক নারীই মনে করেন যে মেয়েদের যৌনতার কথা বলতে নেই, কিংবা মেয়েদের যৌনতার বিষয়টি নিয়ে কথা বল বা যৌন চাহিদা প্রদর্শন করার বিষয়টি খুবই লজ্জার। তাই মনের ইচ্ছা মনেই চেপে রাখেন তাঁরা ।

৫) পুরুষ সঙ্গীর স্বার্থপরতা
বেশিরভাগ পুরুষই নিজের সঙ্গীনির যৌন চাহিদা পূরণের ব্যাপারে মনযোগী নন। বরং নিজের চাহিদা মিটে গেলেই তাঁরা স্বার্থপরের মত আচরণ করতে শুরু করেন। এটাও নারীদের অতৃপ্ত থাকার একটি বড় কারণ।

৬) অরগাজম সম্পর্কে ভুল ধারণা

অরগাজম বা চূড়ান্ত সুখ যে কেবল পুরুষের জন্য নয়। নারীরাও যে অরগাজম লাভ করতে পারেন এবং সেটা পুরুষদের মতই প্রত্যেক মিলনে, এই ব্যাপারটি জানেন না প্রচুর নারী। কীভাবে অরগাজম লাভ সম্ভব, কোন পজিশনে মিলিত হলে অরগাজম সহজে আসে ইত্যাদি বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে নারীরা রয়ে যান অসুখী ।

৭) শারীরিক-মানসিক সমস্যা নিয়ে সংকোচ

যৌনতায় আগ্রহ নেই বা যৌনতা ঘিরে কোন শারীরিক সমস্যা বোধ করছেন? এমন অবস্থায় ডাক্তারের কাছে যান না অধিকাংশ নারী । ফলে সামান্য একটু চিকিৎসার অভাবেই তাঁদের যৌন জীবন রয়ে যায় বিভীষিকা ময় ।

৮) যৌনতা ঘিরে ভয়

অনেক নারীর মাঝেই যৌনতা বিষয়ে নানান রকমের ভীতি কাজ করে । ফলে এই বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা কখনো সহজ মনোভাব পোষণ করতে পারেন না, চিরকাল বিষয়টি নিয়ে আড়ষ্টতা রয়ে যায় ।

Share:

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

Recent Posts

Unordered List

Definition List