স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস শনিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবার
উপস্থিতিতে সরগরম ছিল বঙ্গভবনের সবুজ প্রাঙ্গণ। লাল-সবুজ পাতা দিয়ে তৈরি
একটি পতাকা অনুষ্ঠানে আনে ভিন্নমাত্রা।
খ্যাতনামা শিল্পীদের দেশাত্মবোধক ও লোকগান এবং শিশুশিল্পী ও সশস্ত্র বাহিনীর বাদক দলের সংগীতের মূর্চ্ছনাও উপভোগ করেন সমবেতরা।
স্বাধীনতার ৪৫তম বার্ষিকীতে অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ; তার সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিকাল
পৌনে ৫টায় স্ত্রী রাশিদা খানমকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গভবনের মাঠে আসেন
রাষ্ট্রপতি। তার খানিক আগে বঙ্গভবনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি
সস্ত্রীক মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীত। এরপর পরস্পর কুশল
বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। পরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও
বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়
করেন তারা।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেওয়ার পাশাপাশি তাদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন দুজনই।
এরপর স্বাধীনতা দিবসের কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
এরপর
তারা মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিদেশি অতিথি,
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, গণমাধ্যমের সম্পাদক, তিন বাহিনীর
প্রধানসহ সমারিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ
আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সংরক্ষিত এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে বসেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বঙ্গভবনের
এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা,
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত,
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু,
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বিমানমন্ত্রী
রাশেদ খান মেনন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক,
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু,
নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামও অনুষ্ঠানে ছিলেন। ছিলেন
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী ও গওহর রিজভী।
আইনজীবী কামাল হোসেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সিইসি কাজী রকীবউদ্দীন আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও
ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শহারিয়ার আলম, শ্রম ও কর্মসংস্থান
প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা
হালিম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।
কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, সিপিবি সভাপতি
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাসদের একাংশের কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দীন খান
বাদল, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানও ছিলেন।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, সাংসদ জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুও অনুষ্ঠানে ছিলেন।
বিএনপির কোনো নেতাকে দেখা না গেলেও সম্প্রতি এই দলটি ছেড়ে আসা শমসের মবিন চৌধুরীও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের
হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা
বার্নিকাট, মিশরের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক কোরের ডিন মাহমুদ ইজ্জত, ভুটানের
রাষ্ট্রদূত পেমা সরেনসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পী
ফকির আলমগীর, বাপ্পা মজুমদার, ইয়াসমিন আলী, জিনাত জাহান মুন্নী, মৌটুসি
ইসলাম, পুলক ও ভজন খ্যাপা তাদের গানের সুরে মোহিত করেন সবাইকে। source bdnews24
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন