মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৫

তাবেলা নয়, টার্গেট ছিল শ্বেতাঙ্গ যে কেউ: পুলিশ

তাবেলা নয়, টার্গেট ছিল শ্বেতাঙ্গ যে কেউ: পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট:
 
ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলা হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এঁরা হলেন ভাগনে রাসেল, শুটার রুবেল, চাকতি রাসেল ও শরীফ। প্রথম তিনজন ভাড়াটে খুনি। আর শরীফ হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এসব তথ্য দেন।
আছাদুজ্জামান মিয়ার ভাষ্য, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা বলেছেন, সাদা চামড়ার (শ্বেতাঙ্গ) যেকোনো একজন বিদেশিকে হত্যার জন্য “কথিত” এক বড় ভাই তাঁদের টাকা দিয়েছেন।’
এই হত্যার পেছনে উদ্দেশ্য ছিল দেশ ও সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে ফেলা। বিদেশিদের এটা দেখানো যে বাংলাদেশে তাঁরা নিরাপদ নন।
সিজার তাবেলা হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন চার ব্যক্তি ও জব্দ করা মোটরসাইকেল। ছবিটি আজ সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টার থেকে তোলা। ছবি: সাজিদ হোসেনগত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান ২-এর ৯০ নম্বর সড়কের গভর্নর হাউসের সীমানাপ্রাচীরের বাইরের ফুটপাতে সিজার তাবেলাকে (৫১) গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা দুই তরুণকে গুলি ছুড়ে অপেক্ষমাণ এক ব্যক্তির মোটরসাইকেলে করে পালাতে দেখেছেন। সিজার নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা আইসিসিও কো-অপারেশন প্রুফসের (প্রফিটেবল অপরচুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন।
হত্যার এ ঘটনার ২৭ দিন পর গতকাল রোববার রাতে সন্দেহভাজন তিন খুনিসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিন খুনি পুলিশকে জানিয়েছেন, একজন ‘বড় ভাইয়ের’ দেওয়া টাকার বিনিময়ে তাঁরা তাবেলাকে খুন করেছেন। তবে তাবেলা তাঁদের কোনো লক্ষ্যবস্তু (টার্গেট) ছিলেন না। তাঁদের শ্বেতাঙ্গ যেকোনো একজন বিদেশিকে হত্যা করতে বলা হয়।
মোটরসাইকেলের মালিক শরীফ পুলিশকে বলেছেন, পূর্ব পরিচয়ের কারণে তিনি মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করতে দেন।
ডিএমপির কমিশনার বলেন, ‘তাবেলার হত্যার পর আইএসের দায় স্বীকার প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে করা হয়েছে। এটি একটি সাজানো নাটক। যে বড় ভাইয়ের কথা সন্দেহভাজন তিন খুনি বলেছেন, তাঁকে পুলিশ শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের রিমান্ডে নেওয়া হলে আরও অনেক কিছু জানা যাবে।
Share:

ধুম ফোর’–এ বাহুবলীর প্রভাস!

.ভারতে ব্যয়বহুল ছবি ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’ নতুন নানা রেকর্ড গড়েছে। মুক্তির প্রথম দিনে ৫০ কোটি রুপি আয়, অল্প সময়ে ১০০ থেকে ৩০০ কোটি আয়, বড় পোস্টার বানিয়ে গিনেস রেকর্ডও গড়েছে ছবিটি। এস এস রাজা মৌলি পরিচালিত তামিল ও তেলেগু দুই ভাষায় মুক্তি পাওয়া ওই ছবিতে অভিনয় করেন আনুশকা শেঠি, রানা দাগুবতী, তামান্না ও প্রভাস। এবার খবর হলো হিন্দি ‘ধুম ফোর’-এ অভিনয় করবেন প্রভাস। এনডিটিভি, জিনিউজ ও ইন্ডিয়া ডটকমে আজ সোমবার এ কথা বলা হয়েছে।
কয়েক দিন আগে খবর বেরিয়েছিল প্রভাস হিন্দি শিখছেন। এরপরই নতুন খবর শোনা গেল ‘ধুম ফোর’-এ অভিনয় করবেন প্রভাস। প্রকাশিত খবর সত্য হলে যশরাজ ফিল্মসের ‘ধুম ফোর’-এ দেখা যেতে পারে জনপ্রিয় সিনেমা বাহুবলী তারকা প্রভাসকে।
আদিত্য চোপড়ার ‘ধুম’-এর প্রথম সংস্করণের চেয়ে ‘ধুম-টু’ বেশি ব্যবসা করেছে। আবার ‘ধুম-থ্রি’ আগের দুটির চেয়ে বেশি ব্যবসা করে। তাই ‘ধুম-ফোর’ নিয়ে সাবধানে পা ফেলতে চান আদিত্য। দিন কয়েক আগে গুঞ্জন ছিল ‘ধুম ফোর’-এ ধুম মাচাতে আসছেন অমিতাভ বচ্চন। ছবিতে একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে বিগ-বিকে। তবে এ ছবিতে অভিনয় করবেন কি না, সে বিষয়ে এখনো কিছু বলেননি তিনি। ‘ধুম টু’-এ ভিলেন ছিলেন হৃতিক রোশন। তিনি ধুমের সর্বশেষ ছবিতে থাকবেন একজন প্রোটাগনিস্টের চরিত্রে।
বলিউডের বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ‘ধুম ফোর’-এ অমিতাভ ও হৃতিকের সঙ্গে বাহুবলী তারকা প্রভাস থাকলে আদিত্য এবার বেশ চমকেই দেবেন।
Share:

রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫

“আমি কি খারাপ হয়ে গেছি?”

“আমি অনার্স ১ম বর্ষের একজন ছাত্রী। আমার বয়স ২০। আমি জানি না যে আমি কেন আমার কথাগুলো লিখছি। আমি এও জানি না যে এটা আমার কেমন সমস্যা। যাই হোক,মুল কথায় আসি।
আমার সাথে একটা ছেলের প্রায় সাড়ে তিন বছরের সম্পর্ক। ছেলেটা খুব সৎ। অন্য কোনো মেয়ের প্রতি তার কোন আগ্রহ নেই। কোনো নেশাও করেনা। ওর মত ছেলে খুব কমই আছে। আমাদের সম্পর্কে কোন সমস্যা ছিল না। ভালই চলছিল সব। দেড় বছর আগে ওর বাসায় ঝামেলা শুরু হয়। ওর বাবা মায়ের মাঝে সম্পর্কের টানাপোড়ন চলেত থাকে। ও আপ্রান চেষ্টা করতে থাকে সব ঠিক করার। কিন্তু উলটো সব ঝামেলা ওর দিকে আসতে থাকে। ও অনেক ভাল ছাত্র। কিন্তু পারিবারিক এই ঘটনার জন্য ওর পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। ওর খুব ইচ্ছা ছিল পড়ালেখা করার,কিন্তু পারে নি। এরপর এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা পৈশাচিক। এমনকি ওর বাবা মা ওকে মেরেও ফেলতে চায়। পরে ও অনেক ভেঙে পড়ে।

ওকে প্রথম থেকেই আমি সাপোর্ট দিয়ে আসছি। এরপর আমার দায়িত্ব আরো বেড়ে যায়। এক কথায় আমিই ছিলাম ওর চালিকা শক্তি। ও অনেক রাগী। তাই ওকে সামলানো সহজ ছিল না। কোনোমতে ও বেঁচে থাকে আর কি। শেষে ওকে কোন কারণ ছাড়াই ত্যাজ্য করা হয়। জিগ্যেস করলে ওর বাবা বলে তার ইচ্ছা তাই সে করছে। ওর মা নীরব দর্শক হয়ে থাকে। আমার এগুলো লিখতেও কাণ্ণা পাচ্ছে। এমন কোনো কিছু বাদ নেই যেটা আমরা করি নাই। অনেক চেষ্টার পর এখন সব কিছু কোনোরকম আছে। ও ব্যবসা করে। আর বাসায় জেদ করে টিকে আছে। ও এখন মানিসক ভাবে অসুস্থ। আমি ওকে জোর করে মানসিক ডাক্তার দেখাই। ইনশাআল্লাহ ও ভাল হয়ে যাবে। কিন্তু এতদিন যে চাপ ওর উপর দিয়ে গেছে তার ভাগ আমিও পেয়েছি। আমার অনেক কিছুই করতে হয়েছিল ওকে ঠিক রাখার জন্য।
বলতে লজ্জা লাগছে যে আমার বাবাও আর একজনকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। এতে আমার বাসায়ও ঝামেলা শুরু হয়। এমন না যে আমার আর আমার প্রেমিকের পরিবার অগোছালো। আমাদের পরিবার অনেক গোছানো ছিল। আমি আমার বাবাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতাম। তাকে দিয়ে এরকম আশা করিনি। আমার মা এতে ভেঙে পড়ে। বড় সন্তান হওয়ায় মাকে আমারই সামলাতে হয়। আমি প্রতিবাদ করায় আমার বাবা আমাকে অনেক কথা শুনায়, তার মাঝে আমার প্রেমিক নিয়েও কিছু কথা ছিল। আরও বলে তার সাথে যেন আমি আর কথা না বলি। আজ চার মাস হল আমি কথা বলি না। টাকা পয়সা নেই না।
আমার বাবা অনেক ভাল। সে জীবনে অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছে। সে আমার আইডল। কিছু মানুষের প্ররচনায় সে এগুলো করেছে। কিন্তু সে যে ভুল করছে এটা মানতে নারাজ। আমি ভিতরে ভিতরে মরে যাচ্ছি। কিন্তু সবার সাথে ভালো থাকার অভিনয় করি। তারা হয়ত বুঝে কিন্তু বুঝেও লাভ না। আমি কারও কথায় সন্তুষ্ট হতে পারি না। আমার শুধু মনে হয় অনেক হয়েছে। আর পারিনা। আমার কিছু ভাল লাগে না। আমার প্রেমিকের সাথেও খারাপ ব্যবহার করি। পরে কষ্ট হয়। আমি ছাড়া তো ওর কেউ নাই। সে ওর বাবা মাকে দেখতে পারে না,আমি অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু ও বোঝে না,বলে যে আমার জন্যই ও বেঁচে আছে। কিন্তু এটা তো ঠিক না। আমি ক্লাসে যাই না। পড়ালেখা করতে পারছি না। একটুতেই রাগ উঠে যায়। আপনজনদের সাথে মাঝে মাঝে রাগারাগি করি। মনে হয় এত সমস্যা আমার সাথেই কেন। কারও সাথে কষ্টের কথা বলি না। আপনজনকে কীভাবে বলব,তারাই তো কষ্টে আছে। বাইরের কাউকে বললে খারাপ ভাবে নিবে। ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার অবস্থা আমার নেই। আমার শুধু মনে হয় মরলেই সব সমস্যা শেষ।
আমার প্রেমিকের এখন আমাকে অনেক দরকার। আর আমি কিনা ওকে সহ্য করতে পারছি না!! আমি কি খারাপ হয়ে গেছি, আপু? আমি কী করব?”
পরামর্শ:
আপু, খুব কষ্ট হলো আপনার চিঠি পড়ে। কিন্তু খুব নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে চাই যে আপনি খুব ভালো একটি মেয়ে। কুব ভালো এবং খুব সাহসী। এমন একটা মেয়ের কি ভেঙে পড়লে চলে?
হ্যাঁ, আপনার সাথে যা হয়েছে তারপর ভেঙে পড়বে যে কোন মানুষ। আপনি অনেক লড়েছেন, অনেক। এটার পড় ভেঙে পড়াটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এতকিছু লড়ার পড় যখন জয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে, তখন ভেঙে পড়লে তো চলবে না বোন। আপনি যুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে ভেঙে পড়েন নি আপু। আপনি ভেঙে পড়েছেন কারণ আপনার বাবার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেছে বলে। কিন্তু এই ব্যাপারটি মেনে নিতেই হবে। যে মুহূর্তে আপনি এটা মেনে নিতে পারবেন, আস্তে আস্তে আপনার সাহস ফিরে আসতে শুরু করবে।
আমার কথা শুনে রাগ করবেন না আপু। কিতু বাবাকে যতটা ভালো মানুষ আপনি মনে করছেন, ততটা ভালো তিনি নন। আপনি খুব ভালো মনের একটি মেয়ে, তাই সবাইকেই ভালো মনে করেন। তাই তো প্রেমিকের পিতা এত কিছু করার পরও তাঁদের সম্পর্কে ভালো কথাই বোঝান প্রেমিককে। কিতু আপনার পিতা যা করেছেন, এটা নিতান্তই স্বার্থপরতা। আপনার জন্য এই বয়সে তিনি বিয়ে করতে পারেন নি বলে আপনার সাথে কথা বলাই বন্ধ করেছেন। একটা মানুষ কতটুকু  স্বার্থপর হলে এটা হতে পারে। জীবনে কেউ কষ্ট করে বড় হলেই ভালো মানুষ হয়ে যায় না আপু। আপনি যা করেছেন একদম ঠিক কাজ করেছেন। আপনি নিজের মায়ের সংসার বাঁচিয়েছেন। তাতে তো পিতার সাথে আপনার সম্পর্ক স্যাক্রিফাইস করতে হয় তো হোক। অন্তত আপনার মায়ের ঘর তো বেঁচে গিয়েছে, তাই না? ব্যাপারটিকে এভাবেই দেখুন…
আর আপু, আপনি নিজের প্রেমিকের সাথে সব শেয়ার করবেন। আরেকজনের দুঃখের কথা শুনলে নিজের দুঃখও কমে, কারণ মানুষ সহমর্মিতা দেখাবার সুযোগ পায়। আপনারা দুজনেই যেহেতু দুঃখী নিজের পরিবার নিয়ে, পরস্পরের দুঃখ শেয়ার করুন। পরস্পরকে এমনভাবে আঁকড়ে ধরুন যেন কেউ আপ্নাদে আলাদা করতে না পারে। বড় যুদ্ধগুলো আপনারা করেই ফেলেছেন আপু। শেষপ্রান্তে এসে হাল ছাড়বেন না যেন। আপনি কেন রাগারাগি করে ফেলেন, সেটা প্রেমিককে বুঝিয়ে বলুন। দেখবেন তিনিই আপনার মনকে সাহস দিয়েছেন।
অনেক শুভকামনা আপনাদের জন্য। যখন আপনারা দুজন মিষ্টি একটা সংসার বুনবেন, আমাদের জানাবেন নিশ্চয়ই। আমরা সেই সুখবরের অপেক্ষায় রইলাম।
Share:

পৃথিবীর সবেচেয়ে ঘৃণিত ঘটনার অন্যতম!


পৃথিবীর সবেচেয়ে ঘৃণিত ঘটনার অন্যতম!
চরম ঘৃণ্য এ ঘটনার সাক্ষী হয়েছে পূর্ব ইতালির উপকূলীয় শহর পেসকারা। একের পর এক শিশু থেকে নাবালকের সঙ্গে দিনের পর দিন যৌন সম্পর্ক করে গেছে মহিলা। যথেচ্ছ যৌন অত্যাচার চালানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই সব শিশু, নাবালকদের চাইল্ড পর্নোগ্রাফিতে অভিনয় করতে বাধ্য করেছে সে। আর সবথেকে আশ্চর্যের যেটা, তা হল তার বিকৃত যৌন কামনা ও নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই মেলেনি নিজের পাঁচ বছরের ছেলেরও। ওই মহিলার কীর্তিকলাপ সামনে আসার পর তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খবর ভারতীয় গণমাধ্যম।
মহিলার ঘরে তল্লাশি চালানোর সময় ফোটো, ভিডিও সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গ্যাজেটস বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সেখান থেকে যে সব ছবি পাওয়া গেছে তাতেই মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ রয়েছে। নিজের ছেলের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ছবিও হাতে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর এক আত্মীয়কেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত মহিলার ছেলে ও অন্য নাবালকদের আপাতত স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

Share:

ঢাকা ডাইনামাইটসের অধিনায়ক হচ্ছেন বিদেশি ক্রিকেটার

ঢাকা ডাইনামাইটসের অধিনায়ক হচ্ছেন বিদেশি ক্রিকেটার

ঢাকা ডাইনামাইটসের অধিনায়ক হচ্ছেন বিদেশি ক্রিকেটার
স্পোর্টস ডেস্ক: প্লেয়ার্স ড্রাফটে লটারি ভাগ্যটা সহায় হয়নি ঢাকা ডায়নামাইটসের। পছন্দের সেরা ক্রিকেটার সংগ্রহ করতে না পারলেও যথেষ্ট ভালো দল গড়েছে তারা। আর প্রতিপক্ষকে টেক্কা দিতে শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তী সাঙ্গাকারার হাতে অধিনায়কত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন দলটি। শুক্রবার দলটির কারিগরি উপদেষ্টা খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, এতোদিন ও (সাঙ্গাকারা) চাপ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে। তাই আমরা চাই এবার বিপিএলেও সেই চাপটা থাকুক ওর ওপরই। এদিকে দলটি কোচ নিয়োগ দিয়েছে দ.আফ্রিকার সাবেক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার এবং অস্ট্রেলিয়া ও দ.আফ্রিকার সাবেক কোচ মিকি আর্থারকে। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হাই প্রোফাইল এই কোচকে পেয়ে দারুন উচ্ছ্বসিত ঢাকা ডায়নামাইটস। ঢাকা ডায়নামাইটস দল : কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা), মোহাম্মদ ইরফান, নাসির জামশেদ, সোহেল খান, শাহজিব হাসান (পাকিস্তান), ডেভিড মালান (ইংল্যান্ড) ও রায়ান টেন ডয়েসকাট (নেদারল্যান্ড), নাসির হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, মোশাররফ হোসেন রুবেল, মোসাদ্দেক হোসেন, শামসুর রহমান, সৈকত আলী, ফরহাদ রেজা, নাবিল সামাদ, আবুল হাসান, ইরফান শুক্কুর। ২৫ অক্টোবর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস
Share:

জেনে নিন কোন রাশির মানুষেরা সবসময় বিজয়ী হয়


জেনে নিন কোন রাশির মানুষেরা সবসময় বিজয়ী হয় রাশি নিয়ে অনেক মানুষের মাঝে বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা প্রায়ই বিরাজ করে। সবার মাঝে এ বিষয় নিয়ে উৎসুক থাকতে দেখা যায়। ১২ টি রাশির ভিন্ন ভিন্ন প্রতীক ও কাহিনী রয়েছে। তবে একটি রাশি এমন রয়েছে যা মানুষকে বিজয়ী হতে সাহায্য করে।
শাহরুখ খান, ঐশ্বরিয়াসহ আরও কিছু গুণী ব্যক্তি রয়েছে যারা বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকা। তারা জীবনে সবসময় জয়ী হবার চেতনায় সামনের দিকে এগিয়ে যায়। তাদের মাথায় জয়ের মুকুট থাকার কিছু কারণ নিয়ে আজ আলোচনা করা হল-
১. বৃশ্চিক রাশির মানুষেরা নিজেকে উৎসর্গ করতে ভালবাসেন। তারা অনুভব থেকে যে কোন কাজ করতে পছন্দ করেন। যে কাজের সাথে তাদের অনুভূতির কোন সংযোগ হয় না, সে কাজ তারা করেন না বা করতে পছন্দ করেন না।
২. হেরে যাওয়া শব্দটি মনে হয় বৃশ্চিক রাশির মানুষের ডিকশনারিতে নেই। তারা যে কোন কিছু করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। যার ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা সফল হন।
৩. এই রাশির জাতক-জাতিকারা অনেক বেশি স্বাধীনচেতা হয়ে থাকে। তারা তাদের কাজের জন্য অন্যের উপর ভরসা করে বসে থাকেন না। তারা তাদের নিজের মত করে সকল কাজ সম্পাদন করতে পছন্দ করেন।
৪. তারা কোন কাজ করতে ভয় পান না। তারা সামনে থেকে নেতৃত্বদানেও অনেক আগ্রহী। তারা তাদের সকল কাজ দায়িত্বের সাথে পালন করেন।
৫. তারা অনুগত্যের সমার্থক। তারা সকল সম্পর্কে সততার পরিচয় পরিবহন করেন। হোক তা পরিবারের সাথে সম্পর্ক, বন্ধুদের সাথে বা নিজের জীবন সাথীর সাথে।
৬. আপনি যদি কখনও এই জাতির রাশির সাথে চ্যালেঞ্জ করার সাহস করেন, তাহলে আপনার জয়ের জন্য অনেক বেশি চেষ্টা করতে হবে। কারণ, তারা তাদের শত্রুদের সবসময় পর্যবেক্ষণে রাখেন।
৭. যারা এই রাশির মানুষের যে কোন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেন, তাদের প্রতি তারা সবসময় হৃদয়বান থাকেন। অর্থাৎ, সাহায্যকারীর যে কোন খারাপ সময়ে বৃশ্চিক রাশির মানুষ অবশ্যই সাহায্য সহযোগিতা করেন।
৮. বন্ধুদের জন্য তারা অনেক কিছু করতে পারেন। আপনি রাতের যে কোন প্রহরে সাহায্যের জন্য তাকে মাত্র একবার খবর দিলে সে আপনার দ্বারপ্রান্তে এসে হাজীর হয়ে যাবে।
৯. সঙ্গীকে ভালবাসার ক্ষেত্রেও তারা অতুলনীয়। তারা কখনও তাদের ভালবাসা প্রকাশের কোন উপায় হাতছাড়া করেন না। তারা তাদের সত্যিকার ভালবাসা সবসময় প্রকাশ করতে ভালবাসেন।
১০. এই রাশির জাতক-জাতিকারা খুব দ্রুত যে কোন বিষয় বুঝতে পারেন। তাই খুব অল্প কথায় আপনি তাদের যে কোন বিষয় বুঝাতে পারবেন। আপনি কখনও তাদের সাথে সময় অতিবাহিত করলে বিরক্ত হবেন না। তারা মানুষের সাথে খুব ভালভাবে মিশতে পারেন।

Share:

কবর থেকে নারীর লাশ তুলে গণধর্ষণ!


কবর থেকে নারীর লাশ তুলে গণধর্ষণ! আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কবরেও সুরক্ষিত নয় মেয়েরা! যদিও ভারতে গণধর্ষণের ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু তাই বলে কবর থেকে তুলে মৃতদেহের সঙ্গে সেক্স! হ্যাঁ, সভ্যতার নিষ্ঠুরতম এই ঘটনাটিও ঘটেছে ভারতেই।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সংবাদপত্র আনন্দবাজার লিখেছে, এদেশে (ভারত) কবরেও সুরক্ষিত নয় মেয়েরা। সেখানেও তাদের তাড়া করে বেড়ায় পুরুষদের বিকৃত যৌন লালসা। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলার তহলকা গ্রামে কবর থেকে নারীর দেহ তুলে গণধর্ষণ করল তিন দুষ্কৃতী।
ঘটনার তিন দিন আগে সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যু হয় ২৬ বছরের ওই নারীর। ঘটনার দিন কবর থেকে ২০ ফুট দূরে তাঁর বিবস্ত্র মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পরে তারা স্থানীয় পুলিশকে খবর দেন।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ধারায় মামলা দায়ের করা হবে তা নিয়ে দ্বিধাদন্দে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে মৃহদেহের সঙ্গে যৌন মিলন বলে স্পষ্টভাবে কোন কিছুর উল্লেখ না থাকায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ২৯৭ ধারায় (কবরে অবৈধ খনন) মামলা করা হতে পারে।
এ ছাড়াও দায়ের হতে পারে ৩৭৭ ধারাও (অস্বাভাবিক সঙ্গম) এর মামলা।

Share:

শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫

ছেলেটির কাছে আমি নিজের বিয়ের কথা বলিনি, সে বয়সে ছোট…


আমি একজন বিবাহিতা রমণী । আমার স্বামী বিয়ের পর থেকে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে আসছে, আমার গায়ে অনেক সময় হাত তুলতো, আমাকে বাসা থেকে বের করে দিতে চাইতো, কিন্তু আমি বের হতাম না। সে আমাকে কোন খরচাপাতি দিতো না । আমার সকল কিছু আমার বাবার বাসা থেকে আনতে হতো কিংবা নিজের টাকা দিয়ে কিনে নিতে হতো এবং এখনো নিজেরটা দিয়েই নিজেকে চলতে হয়।
আমার বিয়ের চার বছর পর আমি কনসিভ করি কিন্তু আমার স্বামী বাচ্চা নিতে রাজি ছিলেন না, পরে সে আমাকে গর্ভপাত করানোর জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়, আমার গর্ভপাত করানো হয়। এরপর আমরা বছর দুই একসাথে থাকার পর দীর্ঘ চার বছর যাবত আলাদা থাকি।

বাবার বাসায় থেকে পড়াশোনা করে একটা ভালো চাকরি পাই। আমার চাকরি দেখে স্বামী আমাকে আবার তার বাসায় নেয় এবং এক বছর যাবত মোটামুটি ভাবে তার সাথে সংসার করছি। সে বা তার পরিবার আগের মতো অত্যাচার না করলেও অনেক সময় খারাপ ব্যবহার করে। আমার স্বামী এখনো আমাকে কথায় কথায় বলে চলে যেতে। এমতাবস্থায়, আমার যাতে বাচ্চা হয় সেটা আমার স্বামী ও তার পরিবার চায়।
আমি পূর্বে কনসিভ করি সেই বাচ্চাটার কথা এখনো ভুলতে পারিনি, মনে হলে অনেক কষ্ট লাগে। আর আমার স্বামীও এক মাস পর পর আমার সাথে মিলিত হয় । এমতাবস্থায় আমার বাচ্চা হচ্ছে না।
ইতিপূর্বে আমার সাথে একটি ছেলের পরিচয় হয়। তার কাছে আমার বিয়ের কথা বলিনি। সে বলে সে আমাকে ভালোবাসে। আমিও তাকে ভালোবাসি। সে আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট, মাস্টার্স করছে। তার সাথে আমার তেমন যোগাযোগ হয় না, একদিন দুই দিন দেখা করেছিলাম। ফেসবুকে ও ফোনে মাঝে মাঝে কথা হয়। সে ফেসবুকে জানতে চায় আমি রাতে কি পরে ঘুমাই , সে আরো বলে যে, আমি নাকি সেক্সি গার্ল ।
Share:

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন মাত্র ৩০ দিনে

সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস একটি বড় সমস্যা। ডায়াবেটিস হলে ওষুধের পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ার মাধ্যমে শরীরের শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো শরীরের শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
এই স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো প্রতিদিন খাওয়া প্রাকৃতিকভাবেই ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে। এগুলো ৩০ দিনের মধ্যে ডায়াবেটিস কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে খাবারগুলোর কথা।

কাঠবাদাম –

কাঠবাদাম ডায়াবেটিক রোগীর জন্য পরম বন্ধু। এই খাবারে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ আঁশ এবং প্রোটিন; যা ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে ৩০ দিনে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

গ্রিন টি –

গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে ফিটোনিউট্রিয়েন্টস যেমন : ক্যাটাচিন এবং ট্যানিন্স। এগুলো রক্তের শর্করার ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। তাই দিনে দুই বেলা গ্রিন টি পান করলে ৩০ দিনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

আপেল –

বলা হয়, প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়া রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস কমাতে কাজ করে। এ ছাড়া এটি কোলেস্টেরলও কমায়।

গাজর –

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গাজর অন্যতম একটি খাবার। এর মধ্যে রয়েছে বেটা কেরোটিন। এই কমলা রঙের সবজিটিতে কম পরিমাণ শর্করা রয়েছে, যা শরীরের ইনসুলিনের মাত্রাকে ঠিক রাখতে বেশ কার্যকর।

মাছ –

ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডসমৃদ্ধ মাছ খাওয়া ডায়াবেটিসের জন্য ভালো। এটা ইনসুলিনের মাত্রা কমায়। সপ্তাহে অন্তত দুদিন এই জাতীয় মাছ খেতে হবে।

জলপাইয়ের তেল –

বর্তমানে অনেকেই রান্নায় জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করেন। এর মধ্যে রয়েছে ভালো মানের চর্বি; যেটা ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত জলপাইয়ের তেল খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

সাইট্রাস ফুড –

সাইট্রাস খাবারের মধ্যে কমলা অন্যতম। এর মধ্যে থাকা ফিটোনিউট্রিয়েন্টস ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে। এ ছাড়া কমলার মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাবোনয়েডস, ক্যারোটিনয়েডস, টারপিন, প্যাকটিনস ইত্যাদি। এগুলো শরীরের জন্য বেশ উপকারী।

ওটস –

ওটসের মধ্যে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট; যা রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই নিয়ম করে ৩০ দিন ওটস খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসবে।
Share:

চীনে খাওয়া হচ্ছে মানব ভ্রূণ, তৈরি হচ্ছে মৃত বাচ্চার স্যুপ!

চরম ঘৃণিত এই কাজের খবর ইন্টারনেট ও ইমেইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা পুরো বিশ্বকে হতবিহবল করে দিয়েছে।
২০১৩ সালের ২৫ জুলাই দক্ষিণ কোরিয়ার ‘সিউল টাইমস’ এ একটি ইমেইল আসে যাতে ছিল বেশ কিছু ছবি।
এ ভয়াবহ, বীভৎস ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারী ছবিগুলোতে দেখা যায় মৃত শিশু ও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গর্ভপাত ঘটানো অপূর্ণাঙ্গ ভ্রুন বা ফিটাসের স্যুপ তৈরি করা হচ্ছে মানুষের খাবার জন্য!
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ ক্যানটন বা গুয়াংডন এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
জানা গেল সেখানকার পুরুষরা তাদের শারীরিকস্বাস্থ্য ও যৌন শক্তি বাড়ানোর জন্য ভেষজ শিশু স্যুপ (herbal baby soup) খেয়ে থাকে!
এরকম অবস্থায় জানা গেল আরেক ঘটনা। চীনের এক দম্পতির ইতোমধ্যেই একটি কন্যাসন্তান ছিল। মহিলাটি সন্তান-সম্ভবা ছিলেন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারলেন তার দ্বিতীয় সন্তানটিও মেয়ে হতে যাচ্ছে। ততদিনে তার গর্ভস্থ সন্তানের বয়স ৫ মাস। তিনি ও তার স্বামী গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেন। স্বাভাবিকভাবে কোন শিশু যদি ভূমিষ্ঠ হবার আগেই মারা যায় তবে তাতে ২০০০ ইউয়ান খরচ হয়, সেখানে গর্ভপাত করাতে খরচ হয় মাত্র কয়েকশো ইউয়ান। তবে যারা মৃত শিশু বিক্রি করতে চান না, তারা প্লাসেন্টা বা অমরা বিক্রি করতে পারেন ইচ্ছা করলে।
একজন স্থানীয় সাংবাদিকের মতে, এই সমস্যার উৎপত্তি মূলত হয়েছে চীনাদের মাত্রাতিরিক্ত স্বাস্থ্যসচেতনতার কারণে। এছাড়া অনেকের মতে, চীন সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ‘এক সন্তান নীতি” চালু করেছিল। আর এ হতভাগ্য শিশুগুলো এই নীতিরই নির্মম শিকার।
এছাড়া চীনের অধিকাংশ পরিবার মেয়ে সন্তান নয়, ছেলে সন্তান আশা করে। গরীব পরিবারগুলো তাদের মেয়ে শিশুদের বিক্রি করে দেয় অর্থের আশায়। চরম ঘৃণিত “বেবি স্যুপ” এর উদ্ভব এই মানসিকতা থেকেই।
তাইওয়ানে মৃত শিশুরা ৭০ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয় গ্রিল করা ‘রুচিকর’ (?) খাবার হিসেবে!
হং কং থেকে প্রকাশিত NEXT সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে শিশুদের মৃতদেহ কিংবা ভ্রূণ স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য রক্ষার নতুন উপকরণ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এছাড়া প্লাসেন্টা বা অমরাকে সুস্বাদু খাবার হিসেবে খাওয়া হয়।
এমনকি গুয়াংডনে হাসপাতালগুলোর মাধ্যমেই অনেক সময় এসব অঙ্গ কেনাবেচা হয় ও এগুলোর চাহিদা আকাশচুম্বী।
ম্যাগাজিনের অনুসন্ধানী প্রতিনিধিরা এগিয়ে যেতে থাকেন।
নরমাংস ভক্ষণের নতুন এই রীতি তাদেরকে নিয়ে যায় চীনের আরেক প্রদেশ লিয়াওনিং-এ।
ম্যাগাজিনটির মতে, লিয়াওনিং এর একজন তাইওয়ানীজ ব্যবসায়ী একটি ভোজসভা আয়োজন করেন। তার একজন গৃহপরিচারিকা ছিল যাকে সবাই মিস লিউ নামেই চিনতো। মিস লিউ ছিলেন লিয়াওনিং এর স্থানীয় অধিবাসী। ভোজের দিন অসাবধানতাবশত তার মানব শিশু ভক্ষণের বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যায়। ভোজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাইওয়ানীজ মহিলারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। মিস লিউ পরে এও বলেন, অনেক মানুষই মানবশিশু খেতে আগ্রহী, তবে চাহিদা অনেক বেশি। যাদের ক্ষমতা অনেক বেশি তারাই কেবল সবচেয়ে “ভালো জিনিস” পায়। সাধারণভাবে ছেলে শিশু ভ্রূণকে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বলে ধরা হয়।
প্রতিবেদকের অনুরোধে মিস লিউ কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে প্রতিবেদককে সেই জায়গায় নিয়ে যান যেখানে মানব ভ্রূণ রান্না করা হয়। তিনি দেখলেন, একজন মহিলা একটি ছুরি দিয়ে ছেলে শিশু ভ্রূণ কেটে কুচি কুচি করছেন ও সেটি দিয়ে স্যুপ তৈরি করছেন। আর আশেপাশে মানুষকে এই বলে আশ্বস্ত করছেন যে, ভয় পাবার কিছু নেই, এটি “প্রাণীর মাংস”। অনেক চীনাদের কাছে মানব ভ্রূণ ভক্ষণ করা নাকি এক ধরণের শিল্প!
২২ মার্চ, ২০০৩। গুয়াংজি প্রদেশের বিংইয়ন পুলিশ একটি ট্রাক থেকে ২৮ টি মেয়ে শিশুকে উদ্ধার করে, যাদেরকে পাচার করা হচ্ছিলো আনহুই প্রদেশে।শিশুগুলোর মাঝে সবচেয়ে বড় বাচ্চাটির বয়স ছিল মাত্র তিন মাস। তিন-চারটি শিশুকে একটি একটি করে ব্যাগে ঢোকানো হয়। উদ্ধারের সময় শিশুগুলো
প্রায় মরণাপন্ন অবস্থায় ছিল। ৯ অক্টোবর, ২০০৪ এর সকালবেলা। সুজহৌ এলাকার জিউকুয়ান শহরের একজন ব্যক্তি আবর্জনা পরিষ্কারের সময় বেশ কিছু ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন শিশুদের দেহ আবিষ্কার করেন। দুটি মাথা, ছয়টি পা, চারটি হাত, দুটি ধর পাওয়া গেল।
তদন্তে জানা গেল, শিশুগুলোর মাত্রই ভূমিষ্ঠ হয়েছিল, এদের বয়স হয়েছিল ১ সপ্তাহ ও রান্নার পরে খাওয়ার পর হাত-পা গুলো উচ্ছিষ্ট হিসেবে ফেলে দেয়া হয় ডাস্টবিনে।যদিও মানব ভ্রূণ খাওয়া নিষিদ্ধ করে চীনে কঠোর আইন চালু আছে, কিন্তু একইসাথে চীনের ‘এক সন্তান’ নীতি অনেক দম্পতিকে অকালে গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য করে, যেগুলোর সুযোগ নিচ্ছে একদল জঘন্য মানুষ।
এছাড়া মাও সেতুং এর ‘সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ কিছু ক্ষেত্রে চরমপন্থী রূপ ধারণ করে, যার ফলে চীনের অনেকের মাঝেই নৈতিকতা ও মানুষের জীবনের প্রতি সম্মান দেখানোর প্রবণতা কমে গিয়েছে।
গ্লোবাল রিপোর্টারস ভিয়েনার তাই জরুরী আহবান, “নরমাংস ভক্ষণকে ‘না’ বলুন ও সেইসব শিশুদের জীবন বাঁচাতে
এগিয়ে আসুন।
এটা কোন বিষয় নয় আপনি বিশ্বের কোন প্রান্তে আছেন।কিন্তু এই তথ্যটি প্রকাশ করে হয়তো সেই সব নিষ্পাপ শিশুদের বাঁচাতে পারবেন যারা হয়তো নির্মম ও জঘন্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে যাচ্ছে।“ যদিও অনেকেই এটিকে নিছক ‘গুজব’ বলে মনে করছেন। যাবতীয় তথ্যের লিঙ্ক দিয়ে দেয়া হলো। সত্য-মিথ্যা নির্ণয় পাঠকের বিবেচনা।
Share:

ডিম সেদ্ধ করার বৈজ্ঞানিক উপায়টি জানালেন শেফ


ডিম সেদ্ধ করার বৈজ্ঞানিক উপায়টি জানালেন শেফ
আমেরিকান শেফ এবং খাদ্য বিষয়ক লেখক জে কেনজি লোপেজ বৈজ্ঞানিক উপায়ে ডিম সেদ্ধ করার প্রক্রিয়া তুলে ধরেছেন। খুব সাধারণ মনে হলেও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ডিম সেদ্ধ করার প্রক্রিয়ার সঙ্গে পুষ্টির পুরোটুকু সুষ্ঠু উপায়ে সংগ্রহের বিষয়টি নির্ভর করে।
লোপেজের মতে, ডিমের সাদা অংশ সুষ্ঠুভাবে সেদ্ধ হওয়ার জন্যে ১৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৮২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন। আর কুসুম সুষ্ঠুভাবে সেদ্ধ হওয়ার জন্যে প্রয়োজন ১৭০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৭৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
চুলায় পানি নিয়ে আগে গরম করতে হবে। পানি ফুটতে শুরু করলে তা চুলা থেকে নামিয়ে তাতে ডিম ছাড়তে হবে। এতে সাদা অংশ খোসায় লেগে যাবে না। এ সময় পানির তাপমাত্রা কমাতে কয়েক টুকরা বরফ ছাড়তে হবে। এর পর ওই পানিতেই ডিমটি অনেক সময় ধরে রেখে দিতে হবে। এতে ধীরগতিতে ডিম সেদ্ধ হতে থাকবে। লোপেজ এ কাজের সময় ডিমটিকে প্রতি ৩০ সেকেন্ড অন্তর পানি থেকে তুলে ফেলেছেন এবং আবার রেখেছেন। সম্ভব হলে একই উপায়ে সবারই রান্না করা উচিত।
ধবধবে সাদা অংশ এবং পুরোপুরি সেদ্ধ কুসুম পেতে হলে এভাবেই ডিম সেদ্ধ করা উচিত। ফুটন্ত পানিতে ডিম ছেড়ে ৩০ সেকেন্ড রাখুন। এরপর কয়েক টুকরা বয়ফের টুকরা ছেড়ে দিন। পানি বেশি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে তা আবারো গরম করে তাতে ১১ মিনিট ধরে ডিমটি রেখে দিন। এভাবেই ডিম সেদ্ধ করার আদর্শ নিয়মের কথা জানালেন শেফ।
-
Share:

যোনিস্বাস্থ্য ভালো রাখার ৬ উপায়

অনেক নারীই ভ্যাজাইনা বা যোনিপথের সংক্রমণে ভুগে থাকেন। এই অংশের সংক্রমণ ভীষণ অস্বস্তি তৈরি করে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে যোনিকে ভালো রাখা যায়। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে যোনির স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার কিছু পদ্ধতির কথা।
১. বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান
সাবানের ক্ষার বা পরিষ্কার করার উপাদান কখনো কখনো শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে সংক্রমণ আরো বাড়িয়ে দেয়। তাই ভ্যাজাইনা ভালো রাখতে এ ধরনের সাবান ব্যবহার করবেন না।
২. শুষ্ক রাখুন
যোনি এলাকা কেবল পরিষ্কার রাখলেই চলবে না, একে শুষ্কও রাখতে হবে। স্যাঁতসেঁতে ভাব সংক্রমণ তৈরি করে। তাই পানি দিয়ে পরিষ্কারের পর জায়গাটিকে তোয়ালে বা টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করুন।
৩. সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করুন
যোনিস্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে আঁটসাঁট অন্তর্বাস ব্যবহার করবেন না। এতে বাতাস চলাচল ব্যাহত হয়ে সংক্রমণ হতে পারে। সুতির আন্ডারপ্যান্ট ব্যবহার করুন। এ ছাড়া ঘুমানোর সময় আঁটসাঁট পায়জামা ব্যবহার করবেন না।
৪. স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করুন
মাসিকের সময় অনেকেই হয়তো একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন দীর্ঘক্ষণ ধরে ব্যবহার করেন। এই কাজটি একেবারেই ঠিক নয়। এতে জায়গাটিতে দুর্গন্ধ হয় এবং সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই অন্তত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পরপর স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করুন।
৫. পানি পান
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে এবং যোনির স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
৬. খাদ্যাভ্যাস
সংক্রমণ থেকে ভ্যাজাইনাকে মুক্ত রাখতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি শুধু ভ্যাজাইনাকেই ভালো রাখবে না, দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গকেও ভালো রাখবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যোনির সংক্রমণ প্রতিরোধে নিয়মিত দই খাওয়া বেশ কাজে দেয়। তাই খাদ্যতালিকায় নিয়মিত দই রাখুন।
Share:

২৭০০ জন পুরুষের সঙ্গে যৌনকর্মে স্ত্রীকে বাধ্য করেছেন স্বামী!




--

প্রতিমাসে হাজার হাজার পাউন্ড কামাতে চান এক ফ্রেঞ্চ লোক। কে না চান? কিন্তু ৫৪ বছর বয়সী লোকটি এ কাজে ব্যবহার করলেন তার স্ত্রীকে। জোরপূর্বক অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌনতায় বাধ্য করেন স্ত্রীকে। অভিযোগ উঠেছে ফ্রান্সের আদালতে। সেখানে বলা হয়, লোকটি ২৭০০ পুরুষের সঙ্গে সেক্স করতে তার স্ত্রীকে বাধ্য করেছেন।

কারণবশত অভিযুক্তের নাম প্রকাশ করা হয়নি। ২০১১ সাল থেকে তিনি স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে বিছানায় উঠতে বাধ্য করতেন। এভাবে এ পর্যন্ত তিনি ১ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড কামিয়েছেন। মিয়াক্সের একটি আদালতে গত বৃহস্পতিবার এক শুনানিতে এসব কথা বলা হয়।

লি পারিসিয়ান পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৬ বছর বয়সী স্ত্রীকে একজন পতিতা হিসেবে চারটি ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হয়। টেক্সট মেসেজ এবং ইমেইলের মাধ্যমে যথেষ্ট খদ্দের জোগাড় করা হয়। নিজের বাড়িতেই খদ্দেরদের আসার ব্যবস্থা করেন অভিযুক্ত। খদ্দেররা সারাদিন আসা-যাওয়া করতেন। এরা এলে লোকটি তাদের ৫ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে বাড়ির গ্যারেজে গাড়িতে বসে থাকতেন।

এই মামলার ডেপুটি প্রসিকিউটর এমানুয়েল ডুপিক জানান, লোকটি তার স্ত্রীকে মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে এ কাজে রাজি করাতেন। এমনও খদ্দের আসতে যারা নিষ্ঠুর আচরণ করতেন।

আগামী শুনানির আগ পর্যন্ত স্বামীকে জেলে রাখতে বলা হয়েছে।
-
Share:

৩টি ঘরোয়া উপায়ে দ্রুত লম্বা করে ফেলুন চুল

মানুষের সৌন্দর্যের একটা বড় অংশ হচ্ছে চুল। মানুষ চুলের স্টাইল এর জন্য প্রচুর সময় ও টাকা ব্যয় করেন কারণ চুল এবং চুলের ধরণ ব্যাক্তি স্বাতন্ত্র্য ফুটিয়ে তুলে। খুব বেশি পরিমাণে চুল পড়া একটি যন্ত্রণাদায়ক শারীরিক সমস্যা। তরুণ অথবা বৃদ্ধ উভয় অবস্থাতেই মানুষ এই সমস্যাটিতে ভুগতে পারেন। সব মেয়েই চায় তার চুল যতদূর সম্ভব ঘন, লম্বা, চকচকে, শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান হোক। কিন্তু বেশির ভাগ মেয়েরাই চুল গজানোর চেয়ে চুল পড়ার সমস্যায় ভুগে থাকে বেশি । জিনগত কারণে অনেক পুরুষ মানুষের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মাথার চুল পড়ে যায় এমনকি টাক পড়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য তাঁরা তাদের সাধ্যের মধ্যে যা যা করা সম্ভব সবই করেন। মার্কেট গুলোতে অনেক দামী ক্রীম, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও মাস্ক পাওয়া যায়, কিন্তু এদের বেশিরভাগই অকার্যকর। পুষ্টির অভাব, হরমোনের অসামঞ্জস্য, মানসিক চাপ, জিনগত সমস্যা, চুলের স্টাইল, চুলে তাপ দেয়ার ভুল পদ্ধতি সহ আরো অনেক কারনেই চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে। কিন্তু চিন্তার কোন কারণ নেই। এমন অনেক প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া কিছু উপাদান আছে যা চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে অনেক  বেশি কার্যকরী।

আসুন জেনে নেই সেই উপাদান গুলো ও তাদের ব্যবহার প্রণালীঃ

১। পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজ শুধু আপনার রান্নাকেই সুস্বাদু করেনা আপনার চুল এর বৃদ্ধিতেও কার্যকরী ভুমিকা রাখে। পেঁয়াজের রস এ সালফার থাকে যা কোলাজেন টিস্যু এর উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। মাঝারি আকারের ২ থেকে ৪ টা পেঁয়াজ থেঁতলে রস বের করে নিতে হবে। এবার পেঁয়াজের রসটুকু মাথার তালুতে খুব ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে। এভাবে ১ ঘন্টা রাখতে হবে, যদি সম্ভব না হয় তাহলে ১৫ মিনিট রাখলেও হবে।তারপর শ্যাম্পু ও পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন । পেঁয়াজের রসের ঝাঁঝের জন্য চোখ জলে ও পানি চলে আসে। যারা এটা সহ্য করতে পারবেন না তাদের জন্য বিকল্প আরেকটি পদ্ধতি আছে,তা হল-
৪-৫টি পেঁয়াজ কেটে নিতে হবে। ১ লিটার পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। ফুটন্ত পানির মধ্যে পেঁয়াজের টুকরা গুলো দিয়ে আরও ৫-১০ মিনিট ফুটাতে হবে। তারপর মিশ্রণটি ঠাণ্ডা করতে হবে। চুল শ্যাম্পু করার পর পেঁয়াজের এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। যদি আপনি পেঁয়াজের গন্ধটা সহ্য করতে পারেন তাহলে ওই দিন আরচুল ধোয়ার দরকার নেই। পরদিন শ্যাম্পু করে পরিস্কার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।আর যদি আপনি গন্ধটা সহ্য করতে না পারেন তাহলে অন্তত ১ ঘণ্টা এভাবে রাখুন।তারপর পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পেঁয়াজের রস শুধুমাত্র আপনার চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক না বরং এটা আপনার চুলের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি করবে অবিশ্বাস্য রকম ভাবে।
২।  ডিম
চুল কেরাটিন প্রোটিন দিয়ে তৈরি, আর ডিম হচ্ছে প্রোটিনের চমৎকার উৎস।তাই ডিম চুলের বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা  রাখে। ২টা ডিমের কুসুমের সাথে ২ টেবিল চামচ জলপাই তেল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আপনার মাথার তালুতে ভালো করে ম্যাসাজ করুন এবং এভাবে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল পরিস্কার করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। বিকল্প আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে – ১টি ডিমের সাথে এক কাপের এক চতুর্থাংশ পরিমাণ টক দই ও মেয়নেজ নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।তারপর এই মাস্কটি চুলে লাগান এবং একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। এভাবে আধা ঘন্টা রাখার পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩। ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা এমন বিস্ময়কর একটি উদ্ভিদ যা মানুষের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে চুল ও ত্বকের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। আপনার পছন্দের তেলের সাথে অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে এর সাথে পানি মিশ্রিত করলে একটি ভালো কন্ডিশনার তৈরি হবে। এই কন্ডিশনারটি চুলের জন্য অনেক উপকারী ।
টিপসঃ
উপরের পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করার পাশাপাশি আপনি চুলের বৃদ্ধির জন্য আর একটি জিনিষ সব সময় করবেন, তা হল – প্রতি সপ্তাহে আপনার মাথায় পুষ্টিকর তেল ম্যাসাজ করবেন। এর জন্য নারিকেল তেল বা জলপাই তেল বা আমন্ড তেল একটু গরম করে আপনার মাথার তালুতে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করবেন এবং এভাবে সারারাত রেখে দিতে পারলে ভালো। আর যদি তা করা সম্ভব না হয় তাহলে একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে পানি নিংড়ে নিয়ে আপনার তেলে সিক্ত মাথায় কিছুক্ষণের জন্য জড়িয়ে  রাখুন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন ও কন্ডিশনার দিন।প্রতি সপ্তাহে এই কাজটি করতে পারলে আপনার চুল শক্তিশালি, ঘন ও স্বাস্থ্যবান হবে।
Share:

আজকের আধুনিক নারীর থাকা চাই যে ৯টি গুণ


sister3
আজকের আধুনিক নারীর থাকা চাই যে ৯টি গুণ
কেবল পোশাকে বা চালচলনে আধুনিক হলেই বুঝি আধুনিক হওয়া যায়, আর কিছু প্রয়োজন নেই? অবশ্যই আছে। আধুনিকতার সংজ্ঞা আজকাল পাল্টে গেছে। অনেকেই আধুনিকতা আর উগ্রতার মাঝে পার্থক্য করতে পারেন না। তবে এটা সত্যি যে নারীরা বদলে যাচ্ছেন দ্রুত, পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে নারীদের পরিবর্তন। জেনে নিন আজকালকার আধুনিক নারীর ৯টি বৈশিষ্ট্য।
১) লেখাপড়া অবশ্যই শেষ করতে হবে
একটা সময় ছিল, মেয়েরা লেখাপড়াটা খুব দায়সারা ভাবে করতেন। ভাবতেন যে ভালো একটা বিয়ে হলে লেখাপড়ার কী দরকার? এখনো আমাদের সমাজে আছে এই বিষয়টি। তবে বিবাহিত হোন বা অবিবাহিত, লেখাপড়াটা অবশ্যই মনযোগ দিয়ে শেষ করতে হবে। চাকরি করতে চান বা হবেন গৃহবধূ, শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
২) ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে পারাটা খুব ভালো
হয়তো আপনার চাকরি করার প্রয়োজন নেই, কিন্তু তবুও নিজের একটা ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা অবশ্যই করুন। প্রতিটি ছোট খরচের জন্য স্বামীর সামনে হাত পেতে টাকা নেয়ার চাইতে নিজের খরচ নিজে যোগানোটা কি যথেষ্ট সম্মানের বিষয় নয়?
৩) ঘরে-বাইরে সমানতালে
মেয়েরা যেন আজকাল দশভুজা, একলাই সামাল দিচ্ছে সবদিক। ঘর সামলাচ্ছেন, ক্যারিয়ার সামলাচ্ছেন, সন্তান, পরিবার, সামজিকতা সবকিছুই তারা সামাল দিচ্ছেন একলা। একজন আধুনিক নারীকে অবশ্যই জানতে হবে এই ভারসাম্য রক্ষার কৌশল।
৪) বুঝতে হবে উগ্রতা আর আধুনিকতার মাঝে পার্থক্য
আধুনিকতা মানে রাত বিরাতে পার্টি করা নয়, একাধিক প্রেমিক থাকা নয়, পরিবারের সাথে বেয়াদবি নয় কিংবা আমাদের সমাজের সাথে বেমানান পোশাক পরা নয়। আধুনিকতার অর্থ নিজের চিন্তা ও চেতনায় আধুনিক হওয়া, পরনির্ভরশীলতার শেকল ভেঙে বের হয়ে আসা। সেটাই আধুনিক নারীর পরিচয়।
৫) সবমিলিয়ে স্মার্ট
নিজের সাজ, পোশাক, আচার আচরণ ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে রুচিশীলতার ছাপ রাখতে পারাই আধুনিক নারীর বৈশিষ্ট্য। বাইরে ও ভেতরে সমানভাবে স্মার্ট হওয়া চাই।
৬) প্রেমের জন্য অস্থির নয়
হ্যাঁ, প্রেম জীবনের একটা অংশ বটে। কিন্তু পুরো জীবন নয়। প্রেমের জন্য নিজের জীবন নষ্ট করে ফেলা বা প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বাকি জীবন কাঁদতে কাঁদতে পার করে দেয়ার যুগ শেষ। আজকালকার নারী জানেন প্রেমকে সামলে জীবন চালাতে।
9-characteristics-of-modern-women
৭) বিয়ে করতে হবে বলেই করা নয়
মেয়ে মানুষ, বিয়ে তো করতেই হবে! এইভাবনা আজকালকার নারী মোটেও ভাবেন না। তারা বিয়ে করেন তাকেই, যার সাথে আক্ষরিক অর্থেই জীবন কাটাতে চান। জীবন একটাই, পাশে একজন যোগ্য স্বামীর গুরুত্ব বোঝেন আধুনিক নারী।
৮) তারা জানেন “না” বলতে
নারী মানেই সবকিছু মুখ বুজে সয়ে যাওয়া নয়। আজকালকার নারী শিখে নেন “না” বলতে।
৯) দায়িত্বশীল অবশ্যই
কেবল পুরুষেরই কি সকল দায়িত্ব? নারীর কি কোন দায় নেই? অবশ্যই আছে,। হয়ে উঠুন একজন দায়িত্বশীল কন্যা কিংবা স্ত্রী, পিতা বা স্বামীর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দায়িত্ব ভাগ করে নিন। জীবন হয়ে উঠবে সুন্দর, হয়ে উঠবেন সম্মানের পাত্রী।
Share:

২৪ জন প্রেমিককে একসাথে হাজির করলেন ইডেন কলেজের ছাত্রী!


২৪ জন প্রেমিককে একসাথে হাজির করলেন ইডেন কলেজের ছাত্রী।

২৪ জন প্রেমিককে একসাথে হাজির করলো এক প্রেমিকা!
এখন আমি আপনাদেরকে যে মজার নিউজটি দিবো সেটি শুনে আপনারা অবাক হতে পারেন। ঘটনাস্থল রমনা পার্ক। সময় দুপুর ১২.৪৫ বৃহস্পতিবার। একেক করে রেখার ২৪ জন প্রেমিকা হাজির হলেন। এবার বিস্তারিত কথায় আসা যাক। রেখা ইডেন কলেজের স্নাতক ৩য় বর্ষের ছাত্রী। থাকেন আজিমপুর চায়না বিল্ডিং লেনে। সুত্রমতে জানা যায় যে ক্লাস নাইন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত শতাধিক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। সম্প্রতি রেখার বিয়ে ঠিক হয় ইতালি প্রবাসী এক যুবকের সাথে।
রেখা তার বিয়ের খবর দিতে এখনো পর্যন্ত সম্পর্ক আছে এমন ৩২ জন প্রেমিককে ডাকেন রমনা পার্কে।কিন্তু হাজির হন ২৪ জন। একে একে সব প্রেমিক যখন জড়ো হতে থাকেন তখন রিতিমত লংকা কান্ড বেধে যায়। রেখা বলেন, আমি সবাইকে ভালবেসেছি একথা সত্য, তাই বলে সবাইকে তো সবাইকে একসাথে বিয়ে করা সম্ভব না। আসলে আমাকে কেউ প্রেমের প্রস্তাব দিলে আমি তাকে ফিরিয়ে দিতে পারিনি সে কষ্ট পাবে এই ভেবে। কিন্তু আজ আমি সত্যি লজ্জিত। তোমাদের মত কাউকে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব না। তোমরা সবাই আমার বিয়েতে এসে আমার জন্য দোয়া করো। এই বলে রেখা সবাইকে বিদায় জানান।
কথা হয় রেখার প্রেমিক সাইফুলের সাথে। সাইফুল জানান ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক গড়ে উঠে প্রায় দুই বছর আগে। আমি রাজশাহি থাকার কারনে নিয়মিত ঢাকায় এসে দেখা করতে পারিনি বিধায় তার কার্যকলাপ সম্পর্কে আমার ধারনা ছিলনা। তবে আমি কিছুটা আচ করতে পারি যখন আমার ফেসবুক প্রোফাইল ঘেটে আমার আর এক বন্ধুর সাথে রেখা সম্পর্ক করে।তবে সে বিষয়টি আমার কাছে অস্বিকার করে। এখন আমার ভাবতেই খারাপ লাগছে এমন একটি খারাপ মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল। আর এক প্রেমিক মনির মোল্লা বলেন, এক বছরের সম্পর্কে আমি ৩৭ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছি।কিন্তু পুরোটাই লস।
Share:

বিদ্ধাশ্রম থেকে এক মায়ের করুন চিঠি! দয়া করে পড়ে দেখুন…


বিদ্ধাশ্রম থেকে এক মায়ের করুন চিঠি! দয়া করে পড়ে দেখুন…
আমার আদর ও ভালোবাসা নিও। অনেক দিন তোমাকে দেখি না, আমার খুব কষ্ট হয়। কান্নায় আমার বুক ভেঙে যায়। আমার জন্য তোমার কী অনুভূতি আমি জানি না। তবে ছোটবেলায় তুমি আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝতে না। আমি যদি কখনও তোমার চোখের আড়াল হতাম মা মা বলে চিৎকার করতে। মাকে ছাড়া কারও কোলে তুমি যেতে না।
সাত বছর বয়সে তুমি আমগাছ থেকে পড়ে হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছিলে। তোমার বাবা হালের বলদ বিক্রি করে তোমার চিকিৎসা করিয়েছেন। তখন তিন দিন, তিন রাত তোমার পাশে না ঘুমিয়ে, না খেয়ে, গোসল না করে কাটিয়েছিলাম।
এগুলো তোমার মনে থাকার কথা নয়। তুমি একমুহূর্ত আমাকে না দেখে থাকতে পারতে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমার বিয়ের গয়না বিক্রি করে তোমার পড়ার খরচ জুগিয়েছি। হাঁটুর ব্যথাটা তোমার মাঝে মধ্যেই হতো। বাবা… এখনও কি তোমার সেই ব্যথাটা আছে? রাতের বেলায় তোমার মাথায় হাত না বুলিয়ে দিলে তুমি ঘুমাতে না। এখন তোমার কেমন ঘুম হয়? আমার কথা কি তোমার একবারও মনে হয় না?
তুমি দুধ না খেয়ে ঘুমাতে না। তোমার প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমার কপালে যা লেখা আছে হবে। আমার জন্য তুমি কোনো চিন্তা করো না। আমি খুব ভালো আছি। কেবল তোমার চাঁদ মুখখানি দেখতে আমার খুব মন চায়। তুমি ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করবে। তোমার বোন….তার খবরাখবর নিও। আমার কথা জিজ্ঞেস করলে বলো আমি ভালো আছি।
আমি দোয়া করি, তোমাকে যেন আমার মতো বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে না হয়। কোনো এক জ্যোস্না ভরা রাতে আকাশ পানে তাকিয়ে জীবনের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে একটু ভেবে নিও। বিবেকের কাছে উত্তর পেয়ে যাবে। তোমার কাছে আমার শেষ একটা ইচ্ছা আছে। আমি আশা করি তুমি আমার শেষ ইচ্ছাটা রাখবে। আমি মারা গেলে বৃদ্ধাশ্রম থেকে নিয়ে আমাকে তোমার বাবার কবরের পাশে কবর দিও। এজন্য তোমাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। তোমার বাবা বিয়ের সময় যে নাকফুলটা দিয়েছিল সেটা আমার কাপড়ের আঁচলে বেঁধে রেখেছি। নাকফুলটা বিক্রি করে আমার কাফনের কাপড় কিনে নিও। তোমার ছোটবেলার একটি ছবি আমার কাছে রেখে দিয়েছি। ছবিটা দেখে দেখে মনে মনে ভাবি এটাই কি আমার সেই খোকা!’
এভাবে বেদনা ভরা একটি খোলা চিঠি ছেলের উদ্দেশে লিখেছেন মদিনা খাতুন (ছদ্মনাম), মদিনা খাতুনের বয়স এখন আশি। ছয় বছর আগে তার আশ্রয় জুটেছে বৃদ্ধাশ্রমে।
Share:

কিভাবে ফিরে পাবেন আপনার চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি

কিভাবে ফিরে পাবেন আপনার চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি

আপনি কি আপনার অ্যান্ড্রয়েড চালিত স্মার্টফোনটি হারিয়ে ফেলেছেন? বা ফোনটি চুরি হয়ে গিয়েছে? আর হারিয়ে যাওয়া ফোনটির কথা ভেবে হতাশাগ্রস্থ আপনি? দিনে দিনে স্মার্টফোন হয়ে উঠেছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। আর প্রিয় এই ফোনটি হারিয়ে আপনি হয়তো আরেকটি ফোন কেনার চিন্তা করছেন। কিন্তু আপনার বেহাত হওয়া ফোনটিই আপনার জন্য চিন্তার কারন হয়ে দাড়াতে পারে।
অধিকাংশ মানুষের কাছেই ফোন হারানোটা কেবলই আর্থিক ক্ষতি। কিন্তু এর মাধ্যমে আপনার ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা আর নিরাপত্তাও যে ঝুকির মধ্যে পড়ে তা কি ভেবে দেখেছেন? আপনার ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন বিশেষত স্মার্টফোন আপনার হরেক তথ্য ধারন করে রাখে। আর শুধু আপনার তথ্য কেন, আপনার কাছের অনেকের তথ্যই এতে জমা থাকে। আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনটি যার হাতেই যাক, আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত তথ্যগুলো যেমন আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত কোন ছবি, প্রয়োজনীয় ফোন নাম্বার বা আপনার লেনদেন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য চলে যাবে আরেকজনের হাতে। যা আপনি কখনই চান না। আবার এমন কিছু সৃতিও হারাতে পারেন যা আর কখনই ফিরে পাওয়া যাবেনা।
বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সবাই নিজের ফোনটি ফিরে পেতে চায় অক্ষত ভাবে। অন্ততপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো ফেরত চায়। নাই যদি পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে সবার চাওয়া অন্তত ফোনটি যেন কেউ ব্যবহার না করতে পারে বা সংরক্ষিত তথ্যগুলো যেন মুছে ফেলা যায়। এতে আপনার আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত আর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো বেহাত হওয়া থেকে বাঁচে। তবে আনন্দের ব্যাপার হল, ফোন হারিয়ে দুশ্চিন্তার দিন শেষ। অন্তত নিজেকে নিরুপায় ভেবে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে না।
আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোন খুজতে কিছু ত্বরিত টিপসঃ
এই টিউটোরিয়ালটি আপনাকে ধাপে ধাপে আপনার ফোনটি খুজে পেতে করণীয়গুলো দেখাবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শগুলো হল
আপনার ফোনটি যদি প্রয়োজনীয় অ্যাপসমৃদ্ধ থাকে, অর্থাৎ ফোনটির অবস্থান সনাক্তকরার অ্যাপ ইন্সটল করা থাকে, সেই সাথে দূর থেকে নিয়ন্ত্রন করার মত অ্যাপ থাকে তাহলে আপনি সহজেই এর নিয়ন্ত্রন রাখতে পারবেন। সেই সাথে হারানো ফোনটি ফিরে পেলে সহজেই তথ্য পুনরুদ্ধার সম্ভব। এক্ষেত্রে Android Device Manager বা Lookout নামের অ্যাপ দুটির সাহায্য নিতে পারেন।
Airdroid নামের অ্যাপটি ব্যাবহার করে আপনি সহজেই আপনার হারনো তথ্যগুলো ফিরে পেতে পারেন। আর এর আধুনিক ফিচারগুলো যেমন দূর নিয়ন্ত্রিত ক্যামেরা বা এসএমএস মেসেজিং ব্যাবহার করতে পারেন। স্মার্ট ওয়াচ ব্যাবহার করতে পারেন। এটি আপনার মোবাইল ফোনটির দূরে সরে না যাওয়া নিশ্চিত করবে।
আর হ্যাঁ, আমরা এটাও জানানোর চেষ্টা করব যে আপনার ফোনটি হারালে আপনি কি করতে পারেন যখন আপনি কোনভাবেই প্রস্তুত নন।
উপরের কথাগুলো শুনে কি কিছুটা ভালো লাগছে?? তাহলে দেরি না করে, চলুন শুরু করা যাক আজকের টিউটোরিয়াল।
নিশ্চিত হোন যে আপনি প্রস্তুত

পড়ে যেতে না চাইলে, পা ফেলার আগে দেখে ফেলাটা উত্তম। দাঁতের ক্ষয় না চাইলে নিয়মিত দাঁত মাজা উচিত এগুলো আমাদের প্রতিদিনের জীবনে শোনা কিছু প্রবাদ। এ বাক্যগুলই কিন্তু আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যে যেকোনো বাজে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার চেয়ে এমন কিছু করা ভালো যা আমাদের বাজে পরিস্থিতিরই সম্মুখীন করবেনা। অর্থাৎ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করাটাই শ্রেষ্ঠতর।
আপনার স্মার্ট ফোনটি যেন না হারান, সেজন্যেও একই নীতিবাক্যই প্রযোজ্য।
আসলে আপনার স্মার্টফোনটির হারানো প্রতিরোধ করতে তেমন কিছু করার নেই। তবে আপনার কমনসেন্স ব্যবহার করুন, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার আগে নিশ্চিত হোন যে আপনার ফোনটি আপনার সাথেই আছে। এর বাইরে আপনি যা করতে পারেন টা হল অ্যাপ ব্যাবহার করা, যেটা আপনাকে কিছুটা সাহাজ্য করতে পারে।
স্ক্রিন লক করার প্যাটার্ন চালু করুন
CM-2
স্মার্টফোন ব্যাবহারে আপনার প্রথম কাজটি হবে মোবাইলের স্ক্রিন লক করার জন্য প্যাটার্ন বা পাসওয়ার্ড চালু করা। এটি কোনোভাবেইওয়াপ্নার ফোন হারানো রোধ করতে পারবেনা। কিন্তু হারিয়েই যদি ফেলেন, এই ভেবে অন্তত স্বস্তি পাবেন যে আপনার তথ্য গুলো অন্য কার হাতে পড়ছেনা।
কেউ কেউ হয়তবা প্রতিবার ফোন ব্যাবহারের সময় ফোন আনলক করতে গিয়ে বিরক্ত হতে পারেন। তাদের জন্য কিছু কিছু ডিভাইস এ নির্দিষ্ট সময় পর পর পাসওয়ার্ড স্বয়ংক্রিয় ভাবে চালু করার ব্যাবস্থা আছে। তাও যদি ভালো না লাগে, তাহলে আপনার জানতে হবে কিভাবে দূরবর্তী যেকোনো জায়গা থেকে আপনার মোবাইলে পাসওয়ার্ড চালু করা যায়।
আপনার মোবাইলে লক স্ক্রিন প্যাটার্ন চালু করতে Settings > Security অথবা Settings > Display > Lock Screen এ দুটি পথ অনুসরন করতে পারেন। নাহলে মোবাইলের ইউজার গাইড দেখুন।
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার চালু ও ব্যাবহার করা
আপনার হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সনাক্ত করতে প্রথমেই আপনার যেটা করতে হবে তা হল, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সঠিক ভাবে রেজিস্টার করা। এরপর অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারের মাধ্যমে ফোনটিতে প্রবেশ করতে পারাও নিশ্চিত করতে হবে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ছোট্ট একটি টুল যেটা গুগল ২০১৩ সালে মার্কেটে আনে। আর গুগল প্লে স্টোর ব্যাবহারের মাধ্যমে আধুনিক সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এটির ব্যাবহার নিশ্চিত করে।
Android-Device-Manager-screenshot-640x397 (1)কিছু কিছু ডিভাইসে এটি বিল্ট ইন থাকলেও আপনাকে অবশ্যই নিজে দেখে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার মোবাইলে এটি চালু অবস্থায় আছে। আর অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার চালু করতে বা চালু আছে কিনা যাচাই করতে আপনার ডিভাইসে Settings > Security and Screen Lock > Device Administrators অপশনটিতে যান। তবে ডিভাইসভেদে কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে। এখানে গিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার চালু আছে কিনা নিশ্চিত হোন। একই সাথে আপনার ফোনের লোকেশন সেটিং টি কি অবস্থায় আছে তাও দেখুন। আর অবশ্যই নিশ্চিত হোন যে আপনার ফোনের জিপিএস ব্যাবস্থা সম্পূর্ণ চালু এবং কার্যকর অবস্থায় আছে।
যদিও আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোন সনাক্ত করতে জিপিএস জরুরী নয়, তবে এটি আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনের সঠিক অবস্থান জানাতে আপনাকে সাহায্য করবে। আর হ্যাঁ, জিপিএস চালু করে রাখলে মোটেই আপনার মোবাইলের ব্যাটারির চার্জ নষ্ট হবেনা, কারন কার্যকরী না হয়ে শুধুমাত্র জিপিএস চালু রাখতে অতিরিক্ত চার্জ খরচ হয়না।
এরপর, আপনার অ্যাপের ভিতর “Google Settings” এ যান, এরপর “Android Device Manager” অপশনটি বাছাই করুন। সেখান থেকে “Remotely locate this device” এবং “Allow remote lock and factory reset” অপশন দুটি যাচাই করুন। অপশন দুটিতে গেলেই আপনি বুঝবেন সেখানে কি করতে বলা হয়েছে।
এই লিংকটিতে, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারের ওয়েবসাইটটি পাবেন (লিংকটি কোনভাবেই ভুলবেন না। প্রয়োজনে বুকমার্ক করে রাখুন)। এর ড্যাশবোর্ডটি খুব সহেজই ব্যাবহার করা যায়। এখানে গুগল ম্যাপের মাধ্যমে আপনার ডিভাইসটির সর্বশেষ অবস্থানটি আপনাকে দেখাবে। আপনার ফোনটি চালু এবং ইন্টারনেটের সংযোগ থাকা সাপেক্ষে একদম শেষ মুহূর্তের অবস্থানও এটি আপনাকে দেখাতে সক্ষম।
android-device-manager-app-640x400আর অ্যাপটি দিয়ে আপনি আপনার ফোনে জোরে আওয়াজ করার ব্যাবস্থা করতে পারেন, যদি আপনি ভাবেন যে আপনার ফোনটি কাছাকাছি কোথাও আছে। আর এই অ্যাপটি দিয়ে দূরে বসে আপনার ফোনটি লক করা বা যেকোনো তথ্য মুছে ফেলার কাজও করতে পারবেন। তবে তথ্য মোছার কাজটি করবেন একদম শেষ পর্যায়ে, যখন আপনার ফোনটি ফিরে পাবার আর কোন আশা থাকবেনা। কারন একবার তথ্য মুছে ফেললে আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট এর সাথে ফোনটির আর কোন সংযোগ থাকবেনা।
LOOKOUT ব্যাবহার করা
যেকোনো কারণে আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ব্যাবহারে সক্ষম না হন, তবে lookout অ্যাপটি ব্যাবহার wpid-Lookoutকরতে পারেন। এটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারের খুব চমৎকার বিকল্প। আর এটিতে বেশ সুন্দর কিছু সিকিউরিটি ফিচার আছে। আর এর ফোন লোকেশন টুল টি অন্য যেকোনোটার থেকে কম যায়না। অ্যালার্ম দেয়া বা শব্দ করে জানানর সব সাধারন সব ব্যাবস্থাই এতে আছে। এর আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হল কেউ যদি পরপর ৫ বার আপনার লক খুলতে গিয়ে ভুল করে, এটি তখন স্বয়ংক্রিয় ভাবে ওই স্থানের ছবি তুলে আপনাকে মেইল করবে। এ সুবিধাটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারে নেই।
তবে দুরনিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে আপনার ডিভাইসটি লক করতে বা তথ্য মুছে ফেলতে আপনাকে একজন প্রিমিয়াম সাবসক্রাইবার হতে হবে। আর এই অ্যাপ ব্যাবহারের বাকি সব নিয়ম আগের মতই।
অ্যাপটি এই লিঙ্কে পাওয়া যাবে। আর LOOKOUT এর ওয়েবসাইটেও যান। এটি ব্যাবহার করেই আপনাকে আপনার ফোনটি খুজতে হবে।
AirDroid ব্যাবহার করা:

Airdroid ফোন খুজে পাওয়ার অ্যাপগুলোর মধ্যে আরেকটি ভালো বিকল্প। এখানেও, দূরনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে লক করা, স্থান সনাক্ত করা, তথ্য মোছা, অ্যালার্ম সিস্টেম, ছবি তুলে মেইল করার মত সুবিধাগুলো আছে। তবে এর বাইরেও আরো কিছু সুবিধা যোগ করা আছে এতে।
আপনি যদি আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনের তথ্য গুলো মোছার আগে নিজের কাছে কপি করে রাখতে চান, সে সুবিধা পাবেন এখানে। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি সব তথ্য ট্রান্সফার করতে পারবেন।
airdroidbanner-635x310আপনি আপনার মোবাইলের সাম্নের বা পেছনের যেকোনো ক্যামেরা চালু করে যে এখন মোবাইলটি ব্যাবহার করছে তার ছবি তুলতে পারবেন। ব্যাবহারকারি তা টেরও পাবেনা।
আপনি ফোনের কল লগ গুলো বা মেসেজ গুলো দেখতে পারবেন।
আপনার মোবাইলটি যদি আপনার ল্যাপটপের বা কম্পিউটারের সাথে একই ল্যান সংযোগে থাকে তবে আপনি অ্যাপটি বিনামুল্যে ব্যাবহার করতে পারবেন। এর বাইরে হলে আপনাকে মাসে ১.৯৯ ডলার বা বছরে ২০ ডলার ব্যয় করতে হবে অ্যাপটি ব্যাবহার করতে। তবে বিনামুল্যের অ্যাকাউন্টটি আপনাকে মাসে ১০০ মেগাবাইটের বেশী ডাটা ট্রান্সফার করতে দিবে না। আসলে অ্যাপটি সম্পূর্ণ কার্যকরভাবে ব্যাবহার করতে আপনাকে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবারই হতে হবে।
কোনটি বেছে নিবেন??
এতগুলো অপশন দেখে কি গুলিয়ে ফেলছেন যে কোনটা ব্যাবহার করবেন? পারলে সবগুলোই ব্যাবহার করুন। নাহলে অন্তত দুটি ব্যাবহার করার চেষ্টা করুন। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ব্যাবহার করাটা একটু সহজ কারন এটা আগে থেকেই আপনার ডিভাইসে ইন্সটল করা থাকে। তাই বলে অন্যগুলো ব্যাবহার করা মোটেই কঠিন নয়।
আর LOOKOUT বা AirDroid এর প্রিমিয়াম ভার্সনের অতিরিক্ত ফিচারগুলো অবশ্যই আপনাকে কাছে টানবে যেগুলো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারে পাওয়া যায়না। আপনি কোনটি ব্যাবহার করবেন সেটা একান্তই আপনার ইচ্ছা আর প্রয়োজনের উপর নিরভর করবে। তবে যেকোনো একটি বেছে নিতে হলে আমি AirDroid ই বেছে নিতাম।
তবে হ্যাঁ, আপনার ফোনটি যে হাতিয়ে নিয়েছে সে যদি আপনার ফোনে ফ্যাক্টরি রিসেট করে ফেলে, তখন কিন্তু উপরের কোন পদ্ধতিই আর কাজে আসবেনা।
এতক্ষনতো গেলো আপনার ফোনটি হারিয়ে গেলে আপনি কি করবেন বা আগে থেকে কি করে রাখতে হবে তা জানা। কিন্তু ব্যাপারটি যদি আপনার সাথে না হয়ে অন্য কারও সাথে ঘটে। যার উপরের বিষয়গুলোতে কোন ধারনাই ছিলনা? সেক্ষেত্রে কি করণীয়?? ওই ফোনগুলো ফিরে পেতে বা তথ্য গোপন সর্বশেষ চেষ্টা হিসাবে নিচে উল্লেখ করা পদ্ধতিতে চেষ্টা করে দেখতে পারেন…
Android Lost:
হ্যাঁ নামের সাথে কাজের পুরোপুরিই মিল আছে এই অ্যাপটিতে। এটি আপনাকে আপনার হারানো অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ফিরে পেতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে আপনি হারিয়ে যাওয়া ফোনে অ্যাপ ইন্সটল করে নিতে পারবেন। তবে মোবাইলটি চালু থাকতে হবে। এটি দিয়ে আপনি আপনার ফোন সনাক্তের কাজটি করতে পারবেন। এটি ইন্টারনেট বা এসএমএস এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এটির মাধ্যমে আপনি যা যা করতে পারবেন তা হোলঃ
  • মোবাইলের মেসেজগুলো পড়তে পারবেন।
  • ফোনে থাকা তথ্য মিছে ফেলতে পারবেন
  • ফোনটি লক করতে পারবেন
  • জিপিএস এর মাধ্যমে সনাক্ত করতে পারবেন
  • অ্যালার্ম চালু করতে পারবেন
  • সামনের বা পেছনের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে নিতে পারবেন
  • মাইক্রোফোন থেকে সাউন্ড রেকর্ড করতে পারবেন
Share:

শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৫

যেসব কারণে নারীরা যৌনজীবনে অধিক অসুখী ও অতৃপ্ত

যেসব কারণে নারীরা যৌনজীবনে অধিক অসুখী ও অতৃপ্ত
পুরুষের তুলনায় যৌন জীবনে নারীদের অসুখী হবার হার অনেক বেশি । এমনকি নিজের ভালোবাসার পুরুষটির সাথেও যৌন জীবন নিয়ে খুশি নন প্রচুর নারী । মুখে প্রকাশ না করলেও মনের মাঝে একটা চাপা ক্ষোভ নিয়ে জীবন যাপন করেন টানা, মুখ ফুটে অনেকেই বলতে পারেন না যৌন জীবনে নিজের অতৃপ্তির কথা । কিন্তু এটা কেন? কেন প্রচুর নারী রয়ে যান যৌন জীবনে অসুখী ও অতৃপ্ত?

১) ভুল ধারণা ও অজ্ঞতা
নারীদের যৌন জীবনে অসুখী রয়ে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে পর্যাপ্ত যৌন শিক্ষার অভাব । যৌনতা যে কেবল সন্তান উৎপাদনের মাধ্যম নয়, নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই একটি আনন্দের ব্যাপার- এই ব্যাপারটি সম্পর্কে আজও অজ্ঞ প্রচুর নারী । কী করতে হবে বা কীভাবে করলে আরও আনন্দময় হয়ে উঠবে যৌন মিলন, সেটা জানা নেই বলে তাঁরা রয়ে যান অসুখী ও অতৃপ্ত ।
২) নিজেকে বুঝতে না পারা

আসলে কী চাইছেন, তার শরীর কোন জিনিসে কীভাবে সাড়া দিচ্ছে, কোন অঙ্গগুলো যৌনতার ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর বা নিজের শরীরের চাহিদাগুলো কী কী ইত্যাদি বিষয়ে অজ্ঞতা বা বুঝতে না পারাও যৌন জীবনে অসুখী হবার একটি বড় কারণ । যেমন ধরুন, প্রচুর নারীই জানেন না যে ক্লাইটোরিস কী বা যৌন জীবনে এর প্রভাব কী ।

৩) কী চান সেটা বলতে না পারা

নিজেকে বুঝতে পারেন, নিজের চাহিদাও জানেন, কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারছেন না নিজের ভালো লাগা না লাগার কথা । নারীদের যৌন জীবনে অতৃপ্ত থাকার অন্তরালে এটা একটি বিশাল কারণ । এমনকি তিনি যে যৌন জীবনে সুখী নন, এটাও পুরুষ সঙ্গীকে মুখ ফুটে বলতে পারেন না অনেক নারী ।

৪) লজ্জা ও সংকোচ

অনেক নারীই মনে করেন যে মেয়েদের যৌনতার কথা বলতে নেই, কিংবা মেয়েদের যৌনতার বিষয়টি নিয়ে কথা বল বা যৌন চাহিদা প্রদর্শন করার বিষয়টি খুবই লজ্জার। তাই মনের ইচ্ছা মনেই চেপে রাখেন তাঁরা ।

৫) পুরুষ সঙ্গীর স্বার্থপরতা
বেশিরভাগ পুরুষই নিজের সঙ্গীনির যৌন চাহিদা পূরণের ব্যাপারে মনযোগী নন। বরং নিজের চাহিদা মিটে গেলেই তাঁরা স্বার্থপরের মত আচরণ করতে শুরু করেন। এটাও নারীদের অতৃপ্ত থাকার একটি বড় কারণ।

৬) অরগাজম সম্পর্কে ভুল ধারণা

অরগাজম বা চূড়ান্ত সুখ যে কেবল পুরুষের জন্য নয়। নারীরাও যে অরগাজম লাভ করতে পারেন এবং সেটা পুরুষদের মতই প্রত্যেক মিলনে, এই ব্যাপারটি জানেন না প্রচুর নারী। কীভাবে অরগাজম লাভ সম্ভব, কোন পজিশনে মিলিত হলে অরগাজম সহজে আসে ইত্যাদি বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে নারীরা রয়ে যান অসুখী ।

৭) শারীরিক-মানসিক সমস্যা নিয়ে সংকোচ

যৌনতায় আগ্রহ নেই বা যৌনতা ঘিরে কোন শারীরিক সমস্যা বোধ করছেন? এমন অবস্থায় ডাক্তারের কাছে যান না অধিকাংশ নারী । ফলে সামান্য একটু চিকিৎসার অভাবেই তাঁদের যৌন জীবন রয়ে যায় বিভীষিকা ময় ।

৮) যৌনতা ঘিরে ভয়

অনেক নারীর মাঝেই যৌনতা বিষয়ে নানান রকমের ভীতি কাজ করে । ফলে এই বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা কখনো সহজ মনোভাব পোষণ করতে পারেন না, চিরকাল বিষয়টি নিয়ে আড়ষ্টতা রয়ে যায় ।

Share:

সালমান খানের সঙ্গে যা করতে চান নায়িকা পপি

রূপালি পর্দার জনপ্রিয় নায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। গত দেড় দশকের বেশি সময় ধরে বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করে যাচ্ছেন। ১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের কুলি চলচ্চিত্রের মধ্যে দিয়ে তার অভিষেকহয়।এরপর থেকে এখন পর্যন্ত দেড়শ এর বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন।তিনবার পেয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার। গত কয়েক বছর ধরে অবশ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় কমিয়ে দিয়েছেন। তারকার পছন্দ, অপছন্দ কিংবা তার আগ্রহ- সবকিছুই ভক্তদের নখদর্পণে।কিন্তু প্রিয় তারকার চোখে কারা তারকা- সে খবর রাখেন ক’জন? বহু ভক্তের প্রিয়তারকা পপিরও আছে প্রিয়তারকা।হলিউড, বলিউড, দেশে এবংব্যক্তিগত জীবনে পপির প্রিয় তারকাদের কথা
হলিউড
  1. )
 
জেনিফার লোপেজ। শুধু একজন অভিনেত্রী নন। তিনি বহুমাত্রিক গুনের অধিকারি একজন তারকা শিল্পী। না বললেই নয়-লেখক, ফ্যাশন ডিজাইনার, নৃত্যশিল্পী, প্রযোজক, ও সঙ্গীতশিল্পী। একটি মানুষের মধ্যে এত রূপের শিল্পী সত্ত্বা যা আমাকে মাঝে মাঝে অবাক করে। এছাড়া অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ব্যাক্ত্বিত্ব, পারিবারিক দায়িত্ববোধ, সামাজিক দায়বদ্ধতা, সবকিছু মিলিয়ে একজন তারকার জীবনে যা যা দরকার সবকিছুই আছে। এছাড়া আরেকটি বিষয়, তার নামে স্ক্যান্ডালও কম।
বলিউড
আমার কাছে মনে হয়, সালমান খান। সবসময়ই তার একটার ক্রেজ থাকে। এছাড়া বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। ক্যারিয়ারে অনেক চড়াই-উৎরাই পাড়ি দিয়েছেন। তারপরও যদি তার কোন ছবি ফ্লপ করলেও কাজ করে যাচ্ছেন। অনেক আর্টিষ্টকে তিনি ব্রেকও দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে অনেক উদারতার পরিচয়ও দিচ্ছেন। অভিনয়টাকেই প্রাধান্য দিয়ে যাচ্ছেন। কোনদিন ‍সুযোগ পেলে সালমান খানকে একটা বিশেষ উপহার দিতে চাই। কাজ করার সুযোগ পেলে তা অবশ্যই লুফে নেবো। আমির খানের ব্যাক্ত্বিত্বও ভালো লাগে। তিনি বেছে বেছে কাজ করেন। একটা বিষয় থাকে অনেকে শুধু টাকার জন্য আজেবাজে ছবিতে অভিনয় করেন। এক্ষেত্রে তার কর্মপরিকল্পনাও বেশ অনুসরনীয়।
বাংলাদেশ
ববিতা আপুর ব্যাক্তিত্ব, দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ার, যা আমার কাছে মনে হয় তার কাছে থেকে অনেক কিছুই শেখার রয়েছে। ব্যাক্তিগতভাবে আমি তাকে যতটুকু চিনি, তার মধ্যে পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে সহশিল্পী হিসেবে খুব আপন করে নেন। এ গুনটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। ববিতা আপু কোন কিছুতেই অতিরঞ্জিত পছন্দ করতেন না। এ বিষয়টা কয়জন শিল্পী মেনে চলতে পারেন।
ব্যক্তিজীবন
ব্যক্তিজীবনের কথা বলতে গেলেও ববিতা আপুর কথা বলতে হবে। একটা বিষয় থাকে না, যে তার পছন্দটা একটু আলাদা হয়। সবরা সঙ্গে তাল মিলিয়ে একই পথে হাঁটেন না। কখন কিভাবে কাজ করা উচিত। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করা। এ বিষয়গুলো ছাড়া অন্যান্য অনেক বিষয় রয়েছে যার কারণে তিনিই আমার ব্যাক্তি জীবনের তারকা।
Share:

সালমানের কথাতে ‘আগুনে ঝাঁপ’!

ডেইজি শাহ‘হেট স্টোরি ৩’ ছবিতে অভিনয় করছেন বলিউডের অভিনেত্রী ডেইজি শাহ। সম্প্রতি ডেইজি জানিয়েছেন, কেবল সালমান খানের কথাতেই তিনি ‘হেট স্টোরি ৩’ ছবিতে কাজ করতে রাজি হয়েছেন। নইলে এ ধরনের ‘উত্তেজক’ ছবিতে তিনি অভিনয় করতে কখনোই সাহস পেতেন না।

ডেইজি জানিয়েছেন, ‘আমি পিছিয়েই গিয়েছিলাম, কিন্তু সালমানই আমাকে এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ঠেলে সামনে এগিয়ে দিয়েছিলেন। সালমান আমাকে বলেছিলেন, এ ছবিটি ‘জয় হো’ থেকে একেবারেই ভিন্নরকমের। ‘হেট স্টোরি’ ছবিতে আমার অভিনয় করা উচিত।’ তিনি এও বলেন, একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার ব্যাপারেই প্রস্তুত থাকা উচিত। এই বিষয়টিও এই ছবিতে অভিনয়ের ব্যাপারে আমাকে সামনে এগিয়ে দিয়েছিল।

এই ‘জয় হো’ অভিনেত্রী আরও জানিয়েছেন, তিনি জানতেন এ ধরনের ছবিতে অভিনয় করার বিষয়টি তাঁর জন্য ‘নিরাপদ’ নয়। তারপরও তিনি খানিকটা চ্যালেঞ্জ নিয়েই এ ছবিতে অভিনয় করতে এগিয়ে এসেছিলেন।

বিক্রম ভাট প্রযোজিত ‘হেট স্টোরি’ ছবিতে অভিনয় করে বলিউডে ঝড় তুলেছিলেন কলকাতার পাওলি দাম। এরপর ‘হেট স্টোরি’র সিক্যুয়েল ‘হেটস্টোরি ২’ ছবিতে ছোটপর্দা থেকে বলিউডের বড়পর্দায় এসেছিলেন সুরভিন চাওলা। আর এবারে ‘হেট স্টোরি ৩’ ছবিতে শারমান জোসি, করণ সিং গ্রোভার ও জারিন খানের সঙ্গে অভিনয় করছেন ৩১ বছর বয়সী অভিনেত্রী ডেইজি শাহ।
Share:

ছাত্রের সঙ্গে একাধিকবার সঙ্গমে গর্ভবতী শিক্ষিকা!


ছাত্রের সঙ্গে একাধিকবার সঙ্গমে গর্ভবতী শিক্ষিকা! এক শিক্ষিকা ঘটিয়ে বসলেন অবাক করা কান্ড। আর এ কান্ড হলো- ১২ বছরের ছাত্রের সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল এক শিক্ষিকাকে। অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম মিশেল সুলজিকি। ছাত্রের বয়ান অনুসারে, তার সঙ্গে গত তিন বছর ধরে অন্তত ২০ বার সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন ওই শিক্ষিকা। যদিও, ছাত্রের দাবি অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, একবারই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে স্ট্র্যাটফোর্ডের একটি স্কুলে।
জানা যায়, সম্প্রতি, ছাত্রটি তার পুরনো স্কুল ছেড়ে নতুন স্কুলে যাওয়ার পরই বিষয়টি জানাজানি হয়। অভিযোগও দায়ের করা হয় পুলিশের কাছে। ছাত্র ও তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই শিক্ষিকাকে। জানা গেছে, তিনি বর্তমানে গর্ভবতী। তবে তাঁর গর্ভের সন্তান আদৌ ওই ছাত্রটির কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

Share:

বিয়ার আগে প্রভা শুইছে, তাতে কি মহাভারত অশুদ্ধ হইছে?


প্রভা একটা নাম, বাংলাদেশে যার বাসায় ইন্টারনেট নাই, যিনি নাটক দেখেন না, যার টিভি নাই, যিনি সারাদিন আল্লাহ-বিল্লাহ করেন, যিনি সারাদিন রিক্সা চালান, যিনি আর্ট ফিল্ম ছাড়া বাজে ছবি দেখেন না, যিনি পত্রিকা পড়েন না, যিনি পর্ণ দেখেন না বলে দাবী করেন- তিনিও প্রভাকে এক নামে চিনেন।
পর্ণস্টার প্রভা। মাল প্রভা। মাগী প্রভা। নষ্টা প্রভা। রাজিব-প্রভা। অপূর্ব-প্রভা। সবাই এক নামেই উনারে চিনেন। যেই মেয়ে পর্ণ উচ্চারণ করতে পারেন না লজ্জায়, সেই মেয়েও প্রভাকে চিনেন। সেই মেয়েও বয়ফ্রেন্ডের বাসায় প্রভার সেই ভিডিও দেখছেন। সেই মেয়ে এবং তার বয়ফ্রেন্ডও পর্ণ দেখা শেষ করে একসাথে বিছানায় শুয়ে প্রভাকে বেশ্যা বইলা গালি দিচ্ছেন।
বাংলাদেশের সমাজে প্রেম করা খুব খারাপ জিনিস। এক ভিডিওতে দেখছিলাম বগুড়ায় পুলিশ আছে প্রেমিক-প্রেমিকা ধরার জন্য। এই অদ্ভূত সমাজে একটা ছেলে তার বান্ধবীর হাত ধইরা হাঁটতে পারবেন না। প্রকাশ্যে ধর্ষণ কোনো সমস্যা নাই, চুরি, ডাকাতি, টেন্ডারবাজি, রাস্তায় পেশাব করলে সমস্যা নাই, প্রকাশ্যে চুমু খাইলে আপনার জাত, আপনার চৌদ্দগুষ্টির মান-সম্মান সব যাবে। ক্যানো, প্রেমে সমস্যা কই? যারা বলেন, ‘বিয়ের আগে প্রেম? সেইটা তো পাশ্চাত্যের ধ্যাণ-ধারণা; আমাদের না’- তাদের জিগাই, আমাদের ধ্যাণ-ধারণা কিসে ভাইজান? সমস্ত প্রকৃতি-বিরূদ্ধ চিন্তা এবং কাজ আমাদের ট্র্যাডিশান? দুনিয়া আগায় যাক, আমাদের সমস্যা নাই, আমরা লজ্জাবণতঃ হইয়া, প্রেম না কইরা, মাস্টারবেশান না কইরা, অযৌন জীবন যাপন কইরা, পিরিয়ড নিয়া কথা না বইলা, বাচ্চা জন্ম-প্রক্রিয়া লুকাইয়া রাইখা, সেক্স এডুকেশান ছাড়াই একদিন বড় হইয়া- একদিন বিয়া কইরা বাচ্চা পয়দা কইরা একদিন সুখে শান্তিতে ঘর করতে থাকবো?
আপনি বাচ্চার বাপ মা, মানলাম। বাচ্চা রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব আপনার, তাও মানলাম। কিন্তু আপনি বাচ্চার বাপ মা হইয়া যতই বাচ্চারে গিট্টু দিয়া রাখতে চান, বাচ্চা কিন্তু একদিন বড় হবেনই। সেই বাচ্চা আরেক বাচ্চার সাথে একদিন শুইতেও চাইবেন। সেই দুই বাচ্চা মিলা আরেক বাচ্চাও উনারা একদিন পয়দা করবেন। আপনারা বাপ-মা’রা যেইটা বুঝতে চান না, তা হইলো, যৌন চাহিদা মানুষের স্বাভাবিক জৈবিক চাহিদা। আপনারা বুঝেন না বইলাই ঢাকার বেশিরভাগ ছেলেমেয়েরা, আপনাদের এবং ধর্ম এবং সমাজরে গোপন কইরা বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক করেন। তা উনারা যেইখানে এ্যাডাল্ট, সেইখানে উনাদের প্রেম করতে না দেওয়া বা বন্ধু বান্ধবীর লগে শুইতে না দেওয়া তো ক্ষুধার্তরে ভাত না খাইতে দেওয়ার মতই পানিশমেন্ট, নাকি? আপনি সমাজের নাম কইরা, ধর্মের নাম কইরা, ট্র্যাডিশানের নাম কইরা সুযোগ না দিতে চাইলে কি হবে, উনারা নিজেরাই নিজেদের সুযোগ কইরা নিবেন। এবং নিচ্ছেনও। এইটাই স্বাভাবিক। একদিন আপনারে পেটখারাপ অবস্থায় সারাদিন হাগা-মুতা না করতে দিয়া বসায়ে রাখলে আপনিও টের পাবেন জৈবিক চাহিদা কি জিনিস। কত প্রকার এবং কিকি। উদাহরণসহ।
তো বিয়ার আগে প্রভা রাজিবের সাথে শুইছেন। তাতে কোন মহাভারত অশুদ্ধ হইছে? বিয়ার আগে আমিও আমার এক্স বয়ফ্রেন্ডের সাথে শুইছি, আমার ফ্রেন্ডলিস্টে যত ছেলে মেয়ে আছেন, তার নাইনটি পারসেন্টই শুইছেন। যারা শোন নাই, তারা বয়ফ্রেন্ডরে চুমা দিছেন, মেইক আউট করছেন, ঢাকা-কুমিল্লা যাওয়ার পথে বাসে ওড়নার তলায় গার্লফ্রেন্ডের বুকে হাত দিছেন। সমাজ তাতে ধ্বংস হইয়া গেছে? ধর্মের জুজুর ভয় দেখাইতে আল্লাহর লানত নাইমা আসছে তাতে? এইসব ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা না কইরা নষ্ট হইয়া গেছেন? ড্রাগ এডিক্ট হইয়া গেছেন? জারজ সন্তানে মেডিক্যাল কলেজের আঙ্গিনা ভইরা উঠছে?
আমি এখন বিবাহিত। আমার স্বামীর সাথে আজকেই আমার পাঁচ বছরের ওয়েডিং এনিভার্সারি। বিয়ের আগে আমি আরেকজনের সাথে শুইছি বইলা আমার কি আমার স্বামীর সাথে সম্পর্ক ভাইঙ্গা গেছে? আমাদের ঘরের সব শান্তি কি নীল আসমানে উড়াল দিছে? আল্লাহ (যদি থাকেন) উনি আমারে মরলে পরে কী শাস্তি দিবেন, সেইটা আল্লাহ এবং আমার ব্যাপার। আপনার তো তাতে মাথা ব্যথা থাকার কথা না, তাই না? প্রভারেও যদি শাস্তি দিতে হয়, সেইটা প্রভার খোদা দিবেন। আপনাদের এত ক্ষমতা কে দিলো? আপনারা নিজেরা কোন ধোয়া তুলশী পাতা?
প্রভার সাহসরে আমি রেস্পেক্ট করি। প্রভার জায়গায় নিজেরে চিন্তা করি। যেই বয়ফ্রেন্ড আমাদের একান্ত ব্যক্তিগত সময়গুলা বাইরে বেইচা দেওয়ার সাহস এবং ধৃষ্টতা এবং কুরুচি রাখতে পারেন, তার মুখের সামনে কোমড় সোজা হইয়া দাঁড়ায়ে আবার নিজের কাজে ফেরৎ যাওয়া সাহসের বিষয় বটে। প্রভার জায়গায় আপনি হইলে হয়তো আত্মহত্যা করতেন। নিজের ন্যাংটো শরীর সারা বাংলাদেশ দেখছে জানলে বোরখা পিন্দা ঘরে গিট্টু দিয়া বইসা থাকতেন। নিজেরে দ্বীপান্তর করতেন আন্দামান কি হনলুলু। প্রভা তা করেন নাই। তিনি এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বেশ্যা সাইজা- সেক্সুয়ালি ফ্রাস্টেটেড পুরুষ সাংবাদিকরা উনার নামে আবার কী নতুন রসালো কেচ্ছা লিখবেন সেই ভয়ে ধুকধুক করতে করতে নতুন সংসার করেন। অন্য কোনো সমাজে অন্য কোনো দেশে যেইখানে রাজিবরে কোর্টে দাঁড়াইতে হইতো, জরিমানা গুনতে হইতো নিজের পকেট থিকা, যেইখানে প্রভার চোখের সামনে রাজিব চইড়া খান।
প্রভার কপাল খারাপ, উনার জন্ম হইছিলো বাংলাদেশ নামক এক উলটা রাজার দেশে। প্রভার কপাল খারাপ, উনি যেই সমাজে জন্মাইছেন, সেই সমাজ ভালোরে ভালো, খারাপরে খারাপ বলতে শিখেন নাই। উনি সেই সমাজে জন্মাইছেন, যেইখানে ধর্ষণের দায় ধর্ষিতার কাপড়রে দেওয়া হয়। উনি সেই সমাজে জন্মাইছেন, যেইখানে একজন সৎ সাংবাদিক নাই, সৎ নেতা নাই, সিনেমার সৎ পরিচালক নাই, সৎ রাজনীতিবিদ নাই, সৎ নাট্যকর্মী নাই, একজন সৎ মানুষ নাই, যিনি কোমড় সোজা কইরা প্রভার পাশে দাঁড়াইয়া বলবেন, প্রভা তো ভাই একলা চু* নাই। প্রভা যদি বয়ফ্রেন্ডের সাথে শুইয়া বেশ্যা হন, তাইলে রাজিব প্রভার সাথে শুইয়া কোন নবী হইছেন? প্রভা সেই সমাজে জন্মাইছেন, যেইখানে উনার মেয়ে বন্ধুরাও উনার পাশ থিকা সইরা গিয়া গোপনে দীর্ঘশ্বাস ফেইলা হাসিমুখে কইবেন, আল্লাহ বাঁচাইছে, আমার বয়ফ্রেন্ড রাজিব না, ভাই! আমার বয়ফ্রেন্ড কিন্তু এত্তগুলা ভালো, ইশ! (নাইলে কত কী যে কেলেংকারি হইতো, হায়!) প্রভা সেই যৌনহতাশাগ্রস্থ সমাজে জন্মাইছেন, যেই সমাজের লোক এই স্ট্যাটাস পইড়াও যৌনসুখ পাবেন, ফেইসবুকে ধর্ম এবং সমাজ নিয়া বড় বড় বাণী দিয়া, ফেইসবুক বন্ধ কইরা- ইন্টারনেটে প্রভার বুক দেইখা হাত মারবেন। প্রভা কপাল খারাপ নিয়া জন্মাইছেন। প্রেম করলেন সবাই, নাম হইলো উনার একলার, হাহা।
ভাইজানেরা, বড় হন, বড় হইতে শিখেন। যৌনতা খারাপ এবং গোপন জিনিস না। ‘তোর ছবি বাজারে ছাইড়া দিবো’ টাইপ ভয় আর মেয়েদের কত দেখাবেন? যেই মেয়ে আপনার সাথে আর প্রেম করতে চান না, উনারে জোর কইরা ক্যানো আপনার সাথেই প্রেম করতে হবে? উনার মন কী সারাজীবন আপনার কাছেই বেঁচা? আর, আপারা, আপনারা যারা অতীতে বহুত কর্মকান্ড কইরা ইদানিং খুব ভদ্র হইছেন, শ্বাশুড়িরে শব-ই-বরাতে চালের রুটি বেইলা দিতেছেন, তারা মনে রাইখেন, পাশার ছক উল্টাইতে বেশিদিন লাগে না। আপনার আজকের আপাত-নিরীহ স্বামী কালকে যে আপনার ছবিই বাজারে বেঁচবেন না, তার নিশ্চয়তা কিন্তু নাই, হাহা! সুতরাং, অন্যায় আইডেন্টিফাই করতে শিখেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন। ছেলেরা খারাপ বলতেছে, সমাজ খারাপ বলতেছে, ধর্ম খারাপ বলতেছে কী কী জিনিসরে একটু তলায়ে দেখেন যদি বুদ্ধি থাকে! সমাজের শিখায়ে দেওয়া বুলি তোতা পাখির মত আউড়ায়েন না।
নারী আন্দোলন, নারী স্বাধীনতা, নারী নির্যাতন নিয়া আপনারা যারা এনজিও খুলছেন, বক্তৃতা দিচ্ছেন ইয়োরোপ আমেরিকা, তারা সাদিয়া জাহান প্রভারে দেইখা শিখেন, নারী আন্দোলন কোন জিনিস। প্রতিদিন মানসিক নির্যাতন সহ্য কইরা প্রভা যেই আন্দোলন কইরা এখনো দাঁড়ায় আছেন সোজা হইয়া, সেইজন্য প্রভারে অভিনন্দন! সাদিয়া জাহান প্রভা, আপনার প্রতি ভালোবাসা
Share:

আপু ওর জন্য ধর্ম ত্যাগ করেছি আর ওর বন্ধুরা মিলে আমাকে……

 আপু আমার আর বাচার কোন ইচ্ছে নেই, আমার জীবনের সবই তো শেষ। আমি হিন্দু মেয়ে বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ। আমার ফ্যামিলি মোটামুটি সচ্ছল, আমি ক্লাস টেনে থাকাকালীন এক মুসলমান ছেলের সাথে রং নাম্বারের সুত্র ধরে পরিচয় তারপর প্রেম হয়।
ছেলেটির নাম শাওন ঢাকায় থাকে। আমাদের সম্পর্ক খুব ভালই চলছিল। দিনের বেশিরভাগ সময়ই আমরা ফোনে কথা বলতাম। অনার্সে ভর্তি হবার পরপরই আমার বিয়ে ঠিক হয়। আমি শাওনের সাথে কথা বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসি। ইসলাম ধর্ম গ্রহন করি। তারপর আমাদের বিয়ে হয়। ও আমাকে যাত্রাবাড়ী এক বাসায় রাখে। বলেছিল কিছুদিন পর আমাকে বাড়িতে নিবে। সেভাবেই চলছিলো। হঠাৎ জানতে পারলাম সে বিবাহিত। তবুও আমি মেনে নিয়েছিলাম। কারন আমার পিছু ফেরার কোন উপায় নাই। মাসখানেক পর একটা বাচ্চা সহ ওর বউ এসে হাজির হয় আমার বাসায়। আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। শাসিয়ে যায় শাওন কে তালাক দেবার জন্য। এই নিয়ে শাওনের সাথে আমার অনেক ঝগড়া হয়। শাওনকে বলতেই সে আমাকে মারধোর করে। শাওনের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর বড় ভাই পুলিশ অফিসার। সে ও আমায় ফোনে হুমকি দিতে থাকে। একদিন ওই মহিলা তার বন্ধুদের নিয়ে আবার আমার বাসায় এসে আমাকে মারধর করে। অবশেষে শাওন আমাকে এক লাখ টাকা দিয়ে তালাক দিয়ে দেয়।
আপু, যাকে আমি জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসলাম, যার জন্য ধর্ম ত্যাগ করলাম সেই আমার সাথে এমন করলো। এই শহরে আমি নতুন। আমি এখন কোথায় যাব। আমার কি এখন আত্মহত্যা ছাড়া কোন পথ নেই। আপু আমার কি ভুল ছিল আপনি বলতে পারেন?
পরামর্শ……. তোমার সাথে যা ঘটেছে সেটা নিতান্তই অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত, যেহেতু তুমি ধর্ম ত্যাগ করেছো সেহেতু তোমার বাড়িতে তোমাকে ফিরিয়ে নিতে চাইবেনা। এই মুহুর্তে আমি তোমাকে কি বলে সান্তনা দিব বুঝতে পারছিনা। আমি পাঠকদের কাছে তোমার প্রশ্নটি ছুড়ে দিলাম। দেখি তারা কি উপদেশ দেয়।
Share:

'হেট স্টোরি ৩' ট্রেলরে যৌনতাই মূখ্য (ভিডিও)

>

 ফিরে আসছে 'হেট স্টোরি'। সিরিজের দুটি ছবি দিয়ে রূপালী পর্দার পাশাপাশি দর্শকহৃদয় এবং বিতর্কে ঢেউ তুলে এবার 'হেট স্টোরি ৩'। সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে এই ছবির হট ট্রেলর।
টি-সিরিজ প্রকাশ করল এই ছবির শিহরণ জাগানো ট্রেলর। জেরিন খান, শারমান যোশী, ডেইজি শাহ এবং করণ সিং অভিনীত ছবিটি ট্রেলরেই আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেখেছেন প্রায় ৮১ লক্ষ দর্শক। ট্রেলরটি আরও বেশি সাহসী, যৌন উত্তেজক ও আকর্ষণীয়।
হিটের পাশাপাশি অবশ্য নিন্দার ঝড়ও উঠেছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। অনেকেই বলছেন, যৌনতাকে মূখ্য করেই ছবির ট্রেলর প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। ছবির কাহিনি নির্ভর প্রচারণার বদলে বিশেষ কিছু দৃশ্য এবং তার সঙ্গে মানানসই শব্দসংযোজন করে জনপ্রিয়তা লাভের কূট কৌশল এই ট্রেলর।
ছবির পরিচালক আগেই জানিয়েছেন, হেট স্টোরি সিরিজের এই তৃতীয় সিনেমায় থাকছে চারগুণ বেশি হিংসা, থ্রিলার, অ্যাকশন ও রোমান্স ও যৌনতা।
দেখুন সেই ট্রেলর-

Share:

শাকিব-তিশার এ কেমন অন্তরঙ্গতা! (ভিডিও)


শাকিব-তিশার এ কেমন অন্তরঙ্গতা! (ভিডিও) 

শাকিব খান নামের সাথে জড়িয়ে আছে দেশের চলচ্চিত্রের সন্মান। শাকিব মানেই দর্শক পাগল করা ছবি। শাকিব নিজের নামের সাথে অনেক ছবিও করেছেন। যা এ পযর্ন্ত বাংলা সিনেমায় কেউ করতে পারেনি। এবার শামীম আহমেদ রনীর পরিচালনায় মেন্টাল সিনেমাতে ‍জুটিবদ্ধ হয়েছেন শাকিব খান ও তিশা। আর এ সিনেমাতেই একটি রোমান্টিক দৃশ্যে তাদের দেখা যাবে।
সম্প্রতি ইউটিউবে প্রকাশ পেয়েছে মেন্টাল ছবির ট্রলোর। দৃশ্যে দেখাগেছে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিশার সাথে রোমান্টিক ভাবে শাকিব খান। দৃশ্যপটে এমন দেখা যাবে, শাকিব-তিশা একে অপরকে ভালবাসেন। আর প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের কিছু উপায় থাকে। এই দৃশ্যটি তেমনই। ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতেই তারা অন্তরঙ্গ হয়েছে। সিনেমাটিতে তিশা অভিনয় করছেন সিমি নামে একজন সাংবাদিকের চরিত্রে।

শাকিব-তিশা ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় নায়িকা আঁচল ও খুদে গানরাজের পড়শি,মিশা সওদাগরসহ আরো অনেকে।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন.

Share:

দুর্গাপূজার আনন্দে দেব


দুর্গাপূজার আনন্দে দেব 

দুর্গাপূজার আনন্দে মেতে উঠেছে কোলকাতা। পূজা ঘিরে ছুটির হাওয়া এরই মধ্যে লাগতে শুরু করে দিয়েছে কলকাতার অন্যতম বিনোদনজগৎ টলিপাড়ায়। এবার পূজায় সেলিব্রিটিরা কে কি করছেন? কোথায় থাকছেন? কী ধরনের সাজ পোশাক আর খাওয়াদাওয়া করছেন? সবার মতো মেতে উঠেছেন টলিউডের এই হার্টথ্রব নায়ক দেব।
দেব সম্প্রতি মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাতে বলেন, এই বছর মা দুর্গার আশীর্বাদ নিয়ে প্রথম ছবির প্রযোজনায় হাত দিচ্ছি’ বলে জানালেন টলিউডের এই হার্টথ্রব নায়ক। বললেন, প্রথম ছবির প্রযোজনায় হাত দিচ্ছি বলে তাই আপাতত খুব টেনশনে আছি। পূজার পরপরই আমার প্রযোজনার ছবির শুটিং শুরু হবে। তাই ছবির শুটিংয়ের জন্য পূজার ছুটিতে লোকেশন দেখতে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে যাব। তবে আমার ছোটবেলা কেটেছে মুম্বাইতে। ফলে এখনো আমি মুম্বাইয়ের শিবাজি পার্কের দুর্গাপূজাটা খুব মিস করি। সেই সঙ্গে ভীষণভাবে মিস করি মুম্বাইয়ের ডান্ডিয়া নাচ। এবার ইচ্ছে আছে, অন্তত একদিন পূজার সময় মুম্বাইয়ে গিয়ে পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে ডান্ডিয়া নাচে অংশ নেব। তবে জানি না শেষ পর্যন্ত কতদূর কী হবে। ডান্ডিয়া নাচতে গেলে সেখানকার ট্রাডিশনাল পোশাক পরতে হয়। ফলে এবার পূজায় সেই পোশাকই আমার ফ্যাশন করার ইচ্ছে রয়েছে
-
Share:

পুরুষ শাসিত সমাজে সাহসী সালমা


পুরুষ শাসিত সমাজে সাহসী সালমা

মেক্সিকান অভিনেত্রী সালমা হায়েক নিজেকে সাহসী নারী হিসেবে আখ্যায়িত করলেন। পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থায় মেয়েরা প্রতিনিয়ত নিগৃহীত হচ্ছেন। তাই এর বিরুদ্ধে বরাবরই তিনি প্রতিবাদ করে আসছেন। পাশাপাশি তিনি এ বিষয়ে নারীদের আরো সাহসী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ডেইলি মেইলের খবরে জানা গেছে, এ দশকের সবচেয়ে আবেদনময়ী ও সুন্দরী অভিনেত্রী সালমা হায়েক। বর্তমানে তিনি আট বছরের এক কন্যা সন্তানের জননী। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি সন্তানের প্রতি বাড়তি নজর রাখছেন। মেয়েরা কীভাবে বড় হবে, তারা কীভাবে নিজস্বতা খুঁজে পাবে সে ব্যাপারেও পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ সালমা তার মেয়েকে নিজের মতোই সাহসী হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছেন।
এ প্রসঙ্গে ৪৮ বছর বয়সী সালমা বলেন, 'মেয়েদের আরো সাহসী হওয়া অত্যাবশক। পুরুষদের থেকে নিজেদের আলাদা হওয়ার সাহসটা তাদের দেখাতেই হবে। প্রত্যেক নারীরই নিজস্ব কিছু গুণ ও বৈশিষ্ট্য আছে। স্বাধীনভাবে সেগুলো চর্চার মাধ্যমে বিকাশ ঘটাতে হবে।' সালমা আরো বলেন, তরুণীদের নিজের প্রতি আরো বেশি সচেতন হতে হবে। পুরুষ শাসিত সমাজে জোর করে নিজেদের খাপ-খাওয়ানোর চেষ্টা বন্ধ করে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ তিনি মনে করেন, মেয়েরা সাহসী হলে পৃথিবী বদলে যাবে।

Share:

হঠাৎ যেভাবে দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী উর্মিলা!


হঠাৎ যেভাবে দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী উর্মিলা! পুরো মাসে কাজ করে উপার্জন তার ৩,০০০ টাকার খুব বেশি হবে না উর্মিলার নামক এক মহিলার। তবে একদিন সকালে আচমকা অ্যাকাউন্টের টাকা দেখে চক্ষু অবাক বনে গেলেন সেই উর্মিলাই। দেখলেন ৯ লাখ কোটি টাকা ঢুকে পড়েছে তার অ্যাকাউন্টে। দুনিয়ার সব থেকে ধনী মহিলা হওয়ার অনুভূতিটা তার পক্ষে বোঝানো সম্ভব ছিল না। কী করবেন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আনন্দ শেষ। হ্যাঁ, ভুল করেই অ্যাকাউন্টে চলে এসেছিল এই টাকা। তবে এই বিশাল অংকের টাকা আবার মুহূর্তের মধ্যেই উধাও।
ভারতের কানপুরের এক ছোট গ্রামের বাসিন্দা উর্মিলা। শুক্রবার তিনি তার পাস বুক আপডেট করান। হিসেব অনুযায়ী ৩,০০০ টাকা থাকার কথা সেখানে। আচমকা দেখলেন ১৭ সংখ্যার একটা নম্বর। না, সেটা হিসেব করে উঠতে পারেননি তিনি। এক কর্মীর সাহায্যে জানতে পারলেন, ৯ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা যোগ হয়েছে তার অ্যাকাউন্টে।
২১ জুলাই আসে এই টাকা। এরপর ব্যাংক ওই অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করে দেয়া হয়। কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভুল খুঁজতে শুরু করেন সবাই মিলে। ব্যাংকের মূল সার্ভারটি মুম্বাইতে। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা-চরিত্র করার সেই টাকা সরানো সম্ভব হয়।
বিল গেটস, মুকেশ অম্বানি ও লক্ষী মিত্তলের সম্পত্তি এক হলে বোধহয় এই ৯ লাখ কোটি টাকা হওয়া সম্ভব। তাই স্বপ্নের দুনিয়ায় কয়েক মুহূর্তে বাঁচার সৌভাগ্য অন্তত হলো এই মহিলার।

Share:

পেনড্রাইভ না বোমা!

এ ধরনের পেনড্রাইভ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ফোনের মাদারবোর্ডের সার্কিট পুড়িয়ে তা অকেজো করে দিতে পারে। ছবি: ডার্ক পারপল থেকে নেওয়া।দেখতে নিরীহ পেনড্রাইভ মনে হলে কী হবে, এটি পেনড্রাইভ তো নয় যেন ছোটখাটো বোমা! ল্যাপটপ, ডেস্কটপ এমনকি মোবাইল ফোনে পেনড্রাইভটি ঢোকানো মাত্রই সর্বনাশ ঘটে যেতে পারে। পেনড্রাইভটি ইউএসবি পোর্টে লাগানো মাত্রই পুরো যন্ত্রটিই পুড়ে যেতে পারে। সম্প্রতি রাশিয়ার হ্যাকাররা এই সর্বনাশা ইউএসবি স্টিক বা পেনড্রাইভ তৈরি করেছে। টেলিগ্রাফ অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডার্ক পারপাল নামের রাশিয়ান নিরাপত্তা গবেষকেরা এই ইউএসবি স্টিকটি সম্পর্কে বলছেন, এটা শুধু ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ নয়, এটি টিভি স্মার্টফোনসহ যেখানে ইউএসবি ব্যবহার করা যায় সেখানে লাগালেই সর্বনাশ ঘটিয়ে দেবে।
সম্প্রতি হ্যাকাররা এই ইউএসবিটির ক্ষমতা দেখিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে যাতে আইবিএমের একটি ল্যাপটপ কয়েক সেকেন্ডেই অকেজো করে ফেলার বিষয়টি দেখানো হয়েছে। ইউএসবিটি সিগনাল লাইনের মধ্য দিয়ে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট ঘটিয়ে মাদারবোর্ডের সর্বনাশ করে ফেলে।
রাশিয়ান ভাষায় লেখা একটি ব্লগ পোস্টে ডার্ক পারপল দাবি করেছেন, যেকোনো ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে এ পেনড্রাইভ দিয়ে আক্রমণ চালানো যাবে। সেটা টিভি, ল্যাপটপ, ডেস্কটপের পাশাপাশি ফোন, রাউটার, মডেম হতে পারে।
এ পেনড্রাইভ তৈরির লক্ষ্য প্রসঙ্গে এর নির্মাতারা বলছেন, ‘কম্পিউটার ধ্বংস করা।’
অবশ্য, ইউএসবি লাগানোর পর কম্পিউটার পুরো অচল হয়ে গেলেও পরে তা সেরে নেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে পুরো মাদারবোর্ডটি বদলে ফেলতে হয়। এই পেনড্রাইভ হার্ডডিস্কে বিশেষ ক্ষতি করতে পারে না।
কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগে হ্যাকাররা বিভিন্ন কোড বা ম্যালওয়্যার দিয়ে ফোন বা ল্যাপটপ থেকে তথ্য মুছতে আক্রমণ চালাত। এখন সেই যুগ বদলাচ্ছে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, কোনো অপরিচিত উৎস থেকে পাওয়া পেনড্রাইভ কম্পিউটারে লাগাবেন না।
Share:

বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হচ্ছেন যিনি

1444977622
পুরুষ বিভাগের মত নারী ক্রিকেটারদেও ব্যস্ত রাখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। কয়েকদিন আগে পাকিস্তান সফরে যায় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট টিম। এবার দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে তারা।
  1. )
 
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড দেশের নারী ক্রিকেট টিমকে নিয়ে বেশ কয়েকটি নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে। মহিলা বিভাগকে পুরুষ বিভাগের মত করে সাজাতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
এতদিন ওয়ানডে ও টেস্টে সালমা খাতুন অধিনায়ক ছিলেন। এখন ওয়ানডে থেকে সরিয়ে দেয়া হবে সালমাকে। তাকে টেস্টের দায়িত্ব দেয়া হবে। অন্যদিকে নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক করার কথা রয়েছে জানানারা বেগমকে।
জানানারা বেগম একজন অল-রাউন্ডার। সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট টিম। টিমের সাফল্য যাত্রায় ফিরতে এই উদ্যোগ কাজে আসবে বলে ধারনা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের।
Share:

জেনে নিন গোপন অঙ্গের কাল দাগ দূর করার উপায় গুলো

image_143129_0
বগল, দুই থাইয়ের মধ্যবর্তী স্থান, প্রজনন অঙ্গ, হিপ, কোমরের ভাঁজ ইত্যাদি অঞ্চলে কালো দাগ খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। পোশাকের ঘর্ষণ থেকে শুরু করে লোম পরিষ্কার, নানা কারণে এসব অঙ্গে হয় কালো দাগ।
যাদের ওজন একটু বেশী, তাঁদেরকে অনেক বেশী মুখোমুখি হতে হয় এই সমস্যার। কী করবেন? যেহেতু এসব অঙ্গের যত্ন নিয়ে কেউ পার্লারে যেতে চান না এবং এখানে সব ধরণের পণ্য ব্যবহার করা যায় না, তাই জেনে নিন ৫টি দারুণ ঘরোয়া উপায়। অল্প সময়েই চলে যাবে স্পর্শকাতর অঙ্গের কালো দাগ!
 
শসার রস
শসার রস যে কোন স্পর্শকাতর অঙ্গের দাগ দূর করার জন্য দারুণ উপকারী। এতে ত্বকের ক্ষতির কোন সম্ভাবনাই থাকে না। শসার রস লাগিয়ে রাখুন ২০/২৫ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন ব্যবহারেই উপকার পাবেন।
পিছিয়ে থাকবে না আলুও
আলু রস লাগানো একটু ঝামেলার হলেই এটি উপকারী শসার রসের চাইতেও বেশী। আক্রান্ত স্থানে আলুর রস লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটাও ত্বকের কোন ক্ষতি করে না।
লেবুর রস
লেবুর রস হচ্ছে প্রাকৃতিক ব্লিচ। কিন্তু এটি সরাসরি স্পর্শকাতর অঙ্গে ব্যবহার না করাই উচিত, ত্বকে হতে পারে জ্বলুনি ও র‍্যাশ। লেবুর রসের সাথে শসার রস ও এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। তারপর একে লাগান আক্রান্ত স্থানে। লেবুর ও হলুদ দাগছোপ দূর করবে আর শসা রক্ষা করবে ত্বককে। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ধোয়ার সময় সাবান দেবেন না।
দুধ ও মুলতানি মাটি
কাঁচা দুধের সাথে মুলতানি মাটি ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক মুখেও ব্যবহার করতে পারেন।
দই ও হলুদ
দইয়ের সাথে এক চিমটি হলুদ, সামান্য লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি স্ক্রাবের মত ঘষে ঘষে লাগান, তবে খুব হালকা হাতে। তারপর রেখে দিন ২০ মিনিট। ধুয়ে ফেলুন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে।
টিপস
-যে কোন প্যাক লাগাবার পরই স্পর্শকাতর অঙ্গে ব্যবহার করবেন খুব ভালো কোন ময়েশ্চারাইজার।
-এসব অঙ্গে নানান রকম রঙ ফর্সা করার ক্রিম মাখতে যাবেন না কখনোই।
-খুব মাইলড পণ্য ব্যবহার করুন এসব অঙ্গে। বডি স্পত্রে বা ডিওডোরেন্ট কখনোই সরাসরি স্প্রে করবেন না।
-নিয়মিত গোসল করুন এবং সেই সময়ে পরিষ্কার করুন।
-এবিং ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান প্রতিদিন।
Share:

ঢামেকের ২ ডাক্তারের পরকীয়া, অতঃপর…

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটের কোয়ার্টার থেকে বৃহস্পতিবার দুই ডাক্তারকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ।
দুজনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক বলে জানা গেছে।
জান্নাতুল ফেরদৌস গাইনি বিভাগের ডাক্তার। তার স্বামী ডা. নূর আলম বর্তমানে থাইল্যান্ড রয়েছেন। তিনিও একই হাসপাতালের চিকিৎসক। পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জান্নাতুল ও মইনের মধ্যে পরকীয়া চলছিল। বৃহস্পতিবার ডাক্তার মইনকে স্বামীর কোয়ার্টারে নিয়ে যান ডা. জান্নাত। এ সময় আপত্তিকর অবস্থায় দুই পরিবারের লোকজন তাদের আটক করে শাহবাগ থানায় খবর দেন।
পরে পুলিশ এসে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, পরকীয়ার কারণে এটা হয়েছে। ডাক্তার জান্নাতের স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগে অপর ডাক্তারকে কোয়ার্টারে নিয়ে যান তিনি।
এ ঘটনার পর রাতে ডাক্তার জান্নাতুল ফেরদৌসকে তার বাবার জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হলেও আটক মইনের বিরুদ্ধে মামলা করায় তাকে আটক রাখা হয়েছে।
Share:

রহস্যময় কামরূপ কামাক্ষা ও একটি পৌরাণিক কাহিনী

আমাদের আশে পাশে এমন অনেক গুরু সম্রাট, জিনের বাদশা, গুলাম-ই বাদশা,পীরে ত্বরিকত, সাধু মহারাজ বা মুশকিলে আসান নামের একঝাক প্রতিভাবান ভন্ডদের দেখতে পাই। মানুষ ঠকানোই যাদের মূল পেশা। এরা চটকদার বিজ্ঞাপনে সাধারণ মানুষের অসহায়ত্বকে পূজি করে-দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে নিরীহ মানুষের কস্টার্জিত উপার্জনকে নিজের মনে করে বিভিন্ন কৌসলে টাকাকড়ি হাতিয়ে নেয়।প্রচারেই প্রসার এই নিতিতে তারা একধরণের দালালদেরও এইসকল কুকর্মে নিয়জিত করে।লিফলেট বিলি,পোস্টার, বিলবোর্ড এমনকি মিডিয়ায় মিজ্ঞাপন পর্যন্ত দিয়ে থাকে।অনেক নামিদামী মিডিয়াগুলোও কিন্তু নিতি বিবর্জিত এই সকল প্রচারে অংশ নেয়। নির্লজ্জ মিডিয়াগুলোর এই ব্যাবসায়িক আচরণ যথেষ্ট বিব্রতকর।
 
 ‘মনের কষ্ট আর নয় বনে বনে’ অথবা হতাশ জীবনে অমাবস্যা আঁধারের মাঝে স্নিগ্ধজ্যোৎস্নাময় পূর্ণিমায় যেন হয় আপনার দর্শন কিংবা ‘জীবনের শেষ দর্শন’ এ রকম বিচিত্র স্লোগান দিয়েই ফাঁদ পেতে যাচ্ছে প্রতারণার। তাদের হাতের মুঠোয় থাকে জিন-পরী,ডাকিনী-যোগিনী! সব সমস্যার সমাধানদিতে তারা সিদ্ধহস্ত। স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য, প্রেমে ব্যর্থতা,স্বামী – স্ত্রীর বিচ্ছেদ, পড়ালেখায়অমনোযোগী, অবাধ্য সন্তানকে বাধ্য করা, শত্রু দমন, বিদেশ যাত্রায় বাধা, ব্যবসায় উন্নতি, জাদুটোনা ও ভূত-জিনের আছর কাটানো,নিঃসন্তান দম্পতির সন্তান লাভ, মনের মানুষকে আয়ত্তে আনা-সবই তারা করতে পারে ঐশ্বরিক ক্ষমতায়। আর তাদের দাবী অনুযায়ী এইসকল ঐশ্বরিক শক্তি লাভ করে তারা চির রহস্যের দেশ কামরূপ কামাক্ষা থেকে ।
 
 কেউ কেউ ২০বছর ৪০ বছর ধরে সেখান থেকে দীক্ষা লাভ করে । কেউ সারা জীবন কামরূপ কামাক্ষায় কাটিয়ে শেষ বয়সে জনকল্যাণে নিজেকে নিয়োগ করেন।তাদের বয়স দেখেও সেটা বোঝার উপায় নাই।কারন জাদু-বিদ্যা তাদের বয়স নিয়ন্ত্রন করে। এমন একজনের সাথে একবার আমার দেখা হয়েছিলো যার বয়স দেখলে দেখা যায় ৪০ কি ৪৫ বছরের কিন্তু দাবী করেন ১৪০ বছর। কামরূপ কামাক্ষা সম্পর্কে তারা বিভিন্ন গল্পের প্রচার করে থাকে।
 যেমনঃ-
 ১। কামরূপ কামাখ্যা এক ভয়ংকর জায়গা ৷ ওখানে পৌঁছালে আর ফিরে আসা যায় না।
 ২। কামরূপ কামাখ্যাকে বলা হয় জাদুটোনা, জাদু তন্ত্র-মন্ত্রের দেশ৷ রহস্যঘেরা এক জায়গা এটি৷ কামরূপ কামাখ্যা শুধু নয়, ওখানের আশেপাশে অরণ্যে আর নির্জন পথে দেখা যায় ভূত-পেত্নী আর ডাকিনী-যোগিনীর।
 
 ৩। কামরূপ-কামাখ্যা নারী শাসিত পাহাড়ী ভূ-খন্ড। সেখানকার নারীরা ছলাকলা কামকলায় ভীষণ পারদর্শী। কামরূপ-কামাখ্যার ডাকিনী নারীরা পুরুষদের মন্ত্রবলে ভেড়া বানিয়ে রাখে ।
 আবার বাংলাদেশের সাপুরেদের মুখেও কামরূপ কামাক্ষা নিয়ে অনেক মুখরোচক গল্প প্রচলিত আছে।তারা সেখান থেকে বিভিন্ন মন্ত্র তন্ত্র শিখে আসে। ব্লা…ব্লা…ব্লা…। আদতে সবি গাজাখুরি গল্প।
 
 কামরূপ রাজ্যের অবস্থান।
 ইতিহাস ঘেটে যতটুকু জানতে পারি-
 কামরূপ রাজত্ব ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা এবং তৎসংলগ্ন এলাকার সমন্বয়ে গঠিত ছিল। প্রাচীনকালে এর নাম ছিল প্রাগজ্যোতিষ। বর্তমানে ভারতের আসাম রাজ্য এবং বাংলাদেশের সিলেট বিভাগ এর অংশ ছিল।
 
 যদিও এই ঐতিহাসিক রাজ্যের সময়কাল চতুর্থ থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে ছিল কিন্তু বহুপর পর্যন্ত এর উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রাচীন এবং মধ্যযুগে ঐতিহাসিকগণ কামরূপ নামেই এর উল্লেখ করেছেন। কামরূপ রাজ্যের সময়সীমা শেষ হবার পর মুসলিম গ্রন্থসমূহে কামরূ বা কামরূদ নামে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। কলিকা পুরাণ এবং সুয়ানচাং এর মতে এই রাজ্যের পশ্চিম সীমানায় করোতয়া নদী এবং পূর্বে সাদিয়ার নিকটবর্তী দিক্কারবাসিনী মন্দির ছিল । বর্মণ বংশ, ম্লেচ্ছা বংশ এবং পাল বংশ রাজ্যটি দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত শাসন করে যার পর কিনা খেন বংশ রাজধানী আরো পশ্চিমে সরিয়ে নিয়ে যায় এবং রাজ্যের নামকরণ করে কামাতা রাজ্য। সুতরাং কামরূপ রাজ্যের অস্তিত্ব পাল রাজাদের পতনের সাথেসাথে দ্বাদশ শতাব্দীতেই শেষ হয়ে যায়। এই রাজ্যের নাম আজো আসামের কামরূপ জেলার মধ্য দিয়ে বেঁচে আছে।
 
 টলেমির বিশ্বমানচিত্রে এশিয়া যেখানে কামরূপকে
 Cirrhadia হিসেবে দেখানো হয়েছে।
 
 (কামরূপ জেলা)
 মহাভারত এবং রামায়ণে এই অঞ্চলকে প্রাগজ্যোতিষ হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে। ইরিত্রিয় সাগরের পেরিপ্লাস (প্রথম শতাব্দী) এবং টলেমির জিওগ্রাফিয়াতে (দ্বিতীয় শতাব্দী) এই অঞ্চলকে কিরহাদিয়া নামে আখ্যায়িত করেছে যা কিরাতা জনগণের নামে নামাঙ্করণ করা হয়েছে। কামরূপের প্রথম মহাকাব্যিক উল্লেখ পাওয়া যায় ৪র্থ শতাব্দীর সমুদ্রগুপ্তের এলাহাবাদের অভিলিখন হতে, যা এক ঐতিহাসিক সময়কালের সুচনাপাতের নির্দেশক। চৈনিক পর্যটক সুয়ানচাং ৭ম শতাব্দীর দিকে ভাস্করবর্মণের শাসনকালে এই রাজ্য ভ্রমণ করেন। কামরূপের রাজাদের বিশেষ করে ভাস্করবর্মণের বিভিন্ন অভিলিখন হতে অনেক মূল্যবান তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়।
 
 (প্রাচীন শিলালিপিতে কামরূপের উল্লেখ)
 কলিক পুরাণ এবং চৈনিক পর্যচক সুয়ানচাং-এর মতে কামরূপের পশ্চিম সীমানায় ঐতিহাসিক করোতয়া নদী এবং পূর্ব সীমায় তামেশ্বরী দেবীর মন্দির (কলিক পুরাণে উল্লিখিত पूर्वाते कामरूपस्य देवी दिक्करवासिनी-পূর্বতে কামরূপস্য দেবী দিক্কারবাসিনী) যা ছিল আসাম রাজ্যের সর্বপূর্বে অবস্থিত বর্তমান সাদিয়ার নিকট। দক্ষিণ সীমানা ছিল বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা এবং ময়মনসিংহ জেলার মধ্যবর্তী এলাকায়। ফলে এটি সমগ্র ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা নিয়ে গঠিত ছিল এবং সময়ে সময়ে বর্তমান সময়ের ভুটান এবং বাংলাদেশের কিছু অংশও এর অধীন ছিল। এর প্রমাণ এই অঞ্চলে প্রাপ্ত বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিলাদি হতে পাওয়া যায়। রাজ্যটি ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যে সম্পুর্নরূপে ভেঙে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে পরিণত হয় এবং এগুলোর মধ্য হতেই এই রাজ্যের উত্তরসুরী হিসেবে পশ্চিমে কামাতা রাজ্য এবং পূর্বে অহোম রাজ্যের উথ্থান ঘটে। ১৫৮১ সালে কামাতা রাজ্যের তদানীন্তন শাসক কোচ রাজা নারায়ণ তাঁর রাজ্যকে দুই ভাগ করেন এবং শঙ্কোশ নদীর পশ্চিম অংশ নিজে রেখে পূর্ব অংশ তার ভাইয়ের ছেলে চিলারায়কে উপঢৌকন দেন। বর্তমান আসাম-পশ্চিম বঙ্গ সীমানার মধ্যে এই বিভাজনের গভীর ছাপ লক্ষ করা যায়। নারায়ণের শাসনামলের পর ১৬০২ হতে পরবর্তীতে পূর্বকোচ রাজ্য বারংবার মুঘলদের আক্রমণের স্বীকার হয় এবং ১৬১৫ সালে এটি মুঘল এবং অহমদের যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয় যা কিনা সপ্তাদশ শতাব্দী পর্যন্ত চলতে থাকে যখন অহোমগণ মুঘলদের শেষবারের মতো পিছু হটতে বাধ্য করে। রাজ্যের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অহোমদের হাতে ‌১৮২৬ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশদের আগমনের পূর্ব পর্যন্ত অক্ষুন্ন থাকে।
 
 কামরূপ রাষ্ট্রের গঠন কামরূপ রাজাগণের ফেলে যাওয়া বিভিন্ন তাম্র শিলালিপি সুয়ানচাং-এর মতো বিভিন্ন পর্যটকের বর্ণনা হতে পাওয়া যায়।
 
 (ভারতের আসাম রাজ্য)
 আসামের কামরুপ জেলার নীলকন্ঠ পাহাড়ের চূড়ায় এক প্রাচীন মন্দিরের সন্ধান মেলে। এই প্রাচীন মন্দিরটিই কামাক্ষা দেবীর মন্দির নামে পরিচিত।
 
 (ভারতের গৌহাটি থেকে কামাক্ষা মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা।)
 গুয়াহাটি স্টেশন থেকে পাহাড়ি রাস্তা কামাক্ষা মন্দিরের দিকে।পথের এক দিকে রেলিং, অন্য দিকটা পাথুরে আর কখনও ঝোপঝাড়ে ভরা। যে কেউ ইচ্ছে করলেই মন্দিরে পূজা দিতে পারেন। সব ব্যবস্থা করা আছে মন্দিরে।
 
 পুরোহিতদের কথামতো মন্দিরে পুজো পর্ব সম্পাদন করা । প্রধান মন্দিরের বাইরের কুণ্ড থেকে মাথায় জলের ছিটে দিয়ে শুরু করা হয় পুজো পর্ব। সেখানে অসমিয়া ভাষায় লেখা রয়েছে, ‘যখনই মুখ খুলিবেন, মা কামাক্ষার নাম বলিবেন।’ দেশেরঅন্যান্য বড় মন্দিরের মতোই নগদমূল্যে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে বিভিন্ন স্তরে। দর্শনার্থীদের লম্বা লাইন। অনেকেই বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে দাড়িয়ে পূজা সারেন। এই মন্দিরে দেবীর কাছে প্রার্থনা নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসেন। মনস্কামনা পূর্ণ হলে তারা ঘন্টা বেধে যান। কামাখ্যা মিন্দরের চুড়ো সপ্তরথ আকৃতির। তার গড়নে পাওয়া যায় মৌচাকের আদল। সাতটি ডিম্বাকৃতি গম্বুজের প্রতিটির ওপর তিনখানা স্বর্ণকলস বসানো আছে। মিন্দরের বহিরাংশে গণেশ ও অন্যান্য দেবদেবীর প্রতিকৃতি ও পুরাণ কাহিনীর নানা খণ্ডচিত্র খোদাই করা প্যানেলের সারি।
 
 মন্দিরের ভেতরে তিনটি প্রকোষ্ঠ। সবচেয়ে বড় পশ্চিম প্রকোষ্ঠটি আয়তাকার। এখানে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ।
 
 মাঝের কক্ষটি বর্গাকার। এখানে দেবী কামাখ্যার ছোট মূর্তি আছে। দেওয়াল জুড়ে খোদাই করা শিলালিপি, মহারাজ নরনারায়ণএবং অন্য হিন্দু দেবতার মূর্তি দেখা যায়। এই প্রকোষ্ঠর পরেই গুহা সংবলিত গর্ভগৃহ শুরু হয়েছে। গুহার দেওয়ালে কোনও ছবি বা খোদাইয়ের কাজ নেই। সরু সিঁড়ির ধাপের শেষে যোনি আকৃতির পাথরের ফাটল
 থেকে ঝরে পড়ছে প্রাকৃতিক ঝরণাধারা। জলের ধারা সৃিষ্ট করেছে একরত্তি জলাশয় যার ধারে অবিরাম পূজার্চনা চলে। ধারার উৎসমুখ ঢাকা এক টুকরো লাল কাপড়ে।
 
 (অম্বুবাচির সময়ে বিদেশের মাটিতে মাতৃ যোনি পূজা।)
 আষাঢ় মাসে অম্বুবাচী মেলার সময় কামাখ্যা মন্দির তিন দিন বন্ধ থাকে। এই সময় গর্ভগৃহের চারপাশের জল রক্তিম হয়ে যায়। দেবী রজঃস্বলা হন। তাইমন্দিরে প্রবেশ করা সকলের জন্য নিষিদ্ধ।শোনা যায় এক তরুণ পূজারি সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় দেবীর কোপে তিনি দৃষ্টিহীন হয়ে যান।
 জনশ্র“ত যে, কোচবিহারের যে রাজবংশ দেবীর
 প্রধান ভক্ত ছিল, দেবীর আদেশে তাদেরই মন্দিরে পুজো দেওয়া বারণ ছিল। এখনও রাজবংশের কেউ নীলাচল পর্বতের পাশ দিয়ে গেলে মন্দিরের দিকে তাকান না।
 
 এই কামাক্ষা মন্দিরটিকে নিয়ে রয়েছে এক পৌরানিক কাহিনী। এটাও খুব মজার । মূলত পৌরাণিক এই কাহিনীটি পড়লেই জানা যাবে জায়গাটির নাম কমরূপ হলো কেন? কেনইবা দেবীর নামহলো কামাক্ষা ? আর পাহাড়টার নামইবা নীলকণ্ঠ কেন ?
 
 ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর এই তিনজন হচ্ছেন সৃষ্টি, স্থিতি এবং ধ্বংসের দেবতা। সৃষ্টির একবারে আদি মুহূর্তে সৃষ্টি কর্তারা যখন জগত তৈরির কাজে ব্যস্ত হলেন। পাগল শিব তখন গভীর ধ্যানে মগ্ন হলেন। ধ্বংসের দেবতা যদি অভিমানে মুখ ঘুরিয়ে নেন তাহলে সৃষ্টি হবে কি করে। ব্রহ্মা, বিষ্ণু পরলেন মহা ফাঁপরে। বিষ্ণুর বুদ্ধিতে ব্রহ্মা নিজের মানসপুত্র দক্ষকে ডেকে পাঠালেন। দক্ষ এলেন ব্রহ্মার কাছে। ব্রহ্মা তাঁকে বললেন, তোমাকে একটা কাজ করতে হবে।
 দক্ষ পিতৃ আজ্ঞা পালনের জন্য উন্মুখ হয়ে উঠলেন। বলুন পিতা আমাকে কি করতে হবে। ব্রহ্মা তখন বললেন, দেখো দেবাদিদেব মহাদেব মহাযোগে তন্ময় হয়ে আছেন। এইরকম ভাবে চললে সৃষ্টির ব্যাঘাত ঘটবে। ধ্বংস না হলে সৃষ্টি করবো কি করে ? তুমি জগন্মাতার পূজা করো। প্রার্থনা করো তিনি যেন তোমার কন্যারূপে জন্মগ্রহণ করে শিবের পত্নী হন। পিতৃ আজ্ঞা পালনে দক্ষ তৎপর হয়ে উঠলেন। এবং নিজের কাজে মনোনিবেশ করলেন। দেবী মহামায়া দক্ষের আকুল প্রার্থনায় প্রীত হয়ে আবির্ভূতা হলেন। দক্ষকে এই বর দিলেন আমি তোমার কন্যা রূপে জন্মগ্রহণ করবো এবং শিবকে স্বামীরূপে গ্রহণ করবো। কিন্তু একটা কথা তোমায় মনে রাখতে হবে, যখনই আমার অনাদার হবে আমি দেহত্যাগ করবো। দক্ষ দেবী মহমায়ার কথা মেনে নিলেন। যথা সময়ে মহামায়া দক্ষরাজার পত্নী বীরিণীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করলেন এবং মহাদেবকে বিবাহ করলেন। মহামায়া সতী নাম নিয়ে স্বামীর সঙ্গে চলে এলেন শ্বশুর বাড়ি কৈলাসে।
 
 (মন্দিরের গুহামুখ)
 কিছুদিন পর স্বর্গরাজ্যে একটা অনুষ্ঠানে দক্ষরাজ নিমন্ত্রিত হয়ে এলেন। দেবসভা মাঝে পাগল শিব শ্বশুর দক্ষকে পাত্তাই দিলো না। জামাই-এর এরকম অভব্য ব্যবহারে দক্ষ বেশ অপমানিত বোধ করলেন। শিবকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য দক্ষরাজ এক শিব হীন যজ্ঞের আয়োজন করলেন।
 তাতে দেবর্যি নারদকে ত্রিভুবনের সকলকে আমন্ত্রণের কথা বললেও শিবকে আমন্ত্রণ জানাতে নিষেধ করলেন। যথা সময়ে দক্ষরাজের যজ্ঞ শুরু হলো। নারদের মুখে সতী পিত্রালয়ে যজ্ঞ হচ্ছে শুনে, সেখানে যাওয়ার জন্য উন্মুখ হলেন। স্বামীর অনুমতি নেওয়ার জন্য তাঁর কাছে এলে শিব পাত্তাই দিলেন না। শেষে সতী দশমহাবিদ্যা রূপ দর্শন করালেন। তখন শিব সতীকে পিত্রালয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি দিলেন।
 
 (Saga of south kamrup)
 এরপর সতীদেবী পারিষদদের নিয়ে যজ্ঞ স্থলে উপস্থিত হলেন। কিন্তু পিতা দক্ষ সতীকে দেখে গালমন্দ শুরু করলো। কেন সে নিমন্ত্রিত না হয়েও এখানে এসেছে। শিবের গুষ্টির তুষ্টি পূজো করলো। অতো লোকের মাঝে পতিনিন্দা শুনে সতীর মুখ চোখ লাল হয়েগেল। যজ্ঞস্থলেই সতী দেহত্যাগ করলেন। সদাশিব তার দুই চেলা নন্দী- ভিরিঙ্গির মুখে সতীর দেহত্যাগের কথা শুনে খেপে লাল হয়ে গেল।বীরভদ্রাদি অনুচরদের নিয়ে শিব দক্ষের যজ্ঞশালায় উপস্থিত হলেন।
 
 সতীর মৃত মুখ দেখে শিব আর স্থির থাকতে পারলেন না। সঙ্গে সঙ্গে অনুচরদের বললেন যজ্ঞ লণ্ড-ভণ্ড করে দাও আর দক্ষকে হত্যা করো।
 শিবের আজ্ঞা পেয়ে অনুচরেরা সব লণ্ড-ভণ্ড করে দিল। ধর থেকে দক্ষের মথা আলাদা করে দিল। দক্ষরাজের স্ত্রী শিবের শ্বাশুড়ী জামাই-এর কান্ডে হতবাক। স্বামীর মৃত্যুতে শোকাতুর হয়ে উঠলেন।
 তিনি শিবের কাছে স্বামীর প্রাণভিক্ষা করে স্তব স্তুতি করতে শুরু করে দিলেন। শেষে শিব ছাগলের মুন্ডু কেটে দক্ষের মাথায় বসিয়ে দিয়ে তাকে জীবনদান করলেন। এরপর শিব অনুচরদের কৈলাসে পাঠিয়ে সতীর দেহ নিয়ে ত্রিভুবন দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করলেন। শিবের এই উন্মত্ত আস্ফালনে ত্রিভুবনে প্রলয়কান্ড শুরু হয়েগেল। ব্রহ্মা ভয়ে তটস্থ হয়ে সৃষ্টি রক্ষার তাগিদে বিষ্ণুর কাছে উপস্থিত হলো। যেহেতু উনি এই ধরাধামের পালনকর্তা। সতীর শবদেহ চিন্ময়বস্তু। শিবগাত্র স্পর্শে তার মহিমা হাজার গুণ বেরেগেছে। জগৎপালক বিষ্ণু তখন জগতের মঙ্গলকামনার্থে তাঁর সুদর্শন চক্রের সাহায্যে ধীরে ধীরে একান্ন খন্ডে বিভক্ত করলেন। দেবীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধরাধামের যেখানে যেখানে পরলো সঙ্গে সঙ্গে তা পাথরে পরিণত হলো। সেই সব স্থান পবিত্র মহাপীঠ রূপে প্রসিদ্ধ লাভ করলো। এই একান্নটা মহাপীঠ ছাড়াও ছাব্বিশটা উপপীঠ রয়েছে।
 1
 কামরূপে মায়ের মাতৃ যোনি পতিত হয়েছিল।যে স্থানে দেবীর যোনি পতিত হয়েছিল সেই স্থান হচ্ছে তীর্থচূড়ামণি। আগেগার মানুষের মুখে প্রায়শই একটা প্রবাদ প্রচলিত ছিলো- সব তীর্থ বার বার গঙ্গাসাগর একবার। তখনকার সময় সাগরতীর্থে যাওয়াটা ভীষণ বিপদ সঙ্কুল ছিল। বঙ্কিমচন্দ্র এই বিষয়কে নিয়ে সাগরসঙ্গমে লিখেছিলেন । তীর্থচূড়ামনির অর্থ হলো। সব তীর্থের মধ্যে সেরা তীর্থ স্থান। যেখানে সতীর যোনি মন্ডল পতিত হয়েছিল সেই জায়গাটাকে বলে কুব্জিকাপীঠ। কথিত আছে যোনিরূপ যে প্রস্তরখণ্ডে মা কামাক্ষা অবস্থান করছেন, সেই শিলা স্পর্শ করলে মানুষ মুক্তিলাভ করে। এই প্রসঙ্গে কালিকাপুরাণের একটা গল্প ছিলো। কালিকাপুরাণের ছাব্বিশতম অধ্যায়ে কামাক্ষার বর্ণনা রয়েছে। পূর্বে এই পর্বতের উচ্চতা ছিল শতেক যোজন। কিন্তু মহামায়া সতীর যোনি অঙ্গ পতিত হওয়ার পর এই উচ্চ পর্বত মহামায়র যোনি মন্ডলের ভার সহ্যে করতে না পেরে কেঁপে উঠলো এবং ক্রমশঃ পাতালে প্রবেশ করতে লাগলো। তখন শিব, ব্রহ্মা, বিষ্ণু প্রত্যেকে একটা করে শৃঙ্গ ধারন করলেন।
 তাদের সঙ্গে মহামায়া স্বয়ং সমবেত হলেন। এবং পাতাল প্রবেশ থেকে রক্ষা করলেন এই শৃঙ্গকে। ফলে পর্বতের উচ্চতা একশতো যোজন থেকে এক ক্রোশ উঁচু হয়েগেল। আর মতৃ যোনি পতিত হওয়ার ফলে পর্বতের রং নীল বর্ণ আকার ধারণ করলো। তাই পর্বতের নাম হলো নীলকণ্ঠ পর্বত। অনেকে আবার নীলাচল পর্বতও বলে।
 
 এই মহামায়া নিখিল জগতের প্রকৃতি এবং এই জগতের প্রসব-কারিণী তাই ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর তাকে ধারণ করে রেখেছেন।এদিকে মহাযোগী মহাদেব, স্ত্রী সতী বিরহে পাগল প্রায় অবস্থা। তাঁর মনে মহাবৈরাগ্যের উদয় হলো। তিনি হিমালয়ের দুর্গম স্থানে গিয়ে তপস্যায় নিমগ্ন হলেন। সেই মহাযোগীর ধ্যান ভঙ্গ করে কার সাধ্য।
 
 দক্ষযজ্ঞে সতীদেবী প্রাণত্যাগ করার পর গিরিরাজ হিমালয়ের গৃহে মেনকার গর্ভে কন্যারূপে জন্মগ্রহণ করলেন। শিশু কন্যাকে সকলে গিরিজা, পার্বতী আরও নামে ডাকতে শুরু করলেন। এদিকে পিতামহ ব্রহ্মা তারকসুর নামে অসুররাজের কঠোর তপস্যায় সুপ্রসন্ন হয়ে তাকে বর দিলেন ত্রিভুবন শিবের ঔরাসজাত সন্তান ভিন্ন কেউই তাকে বধ
 করতে পারবে না। ব্রহ্মার বরে বলীয়ান তারকাসুর ত্রিলোক জয় করে দেবতাদের প্রজা বানিয়ে দিলেন। ইন্দ্র প্রভৃতি দেবগণ ব্রহ্মার শরাণাপন্ন
 হয়ে তাঁকে সব জানালেন। ব্রহ্মা সব শুনেটুনে বেশ চিন্তিত হয়ে পরলেন। ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর তিনজনে সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয়ের কর্তা একজন এইভাবে উদাসীন হয়ে পরলে সৃষ্টিরক্ষা করা মহা মুস্কিল। তার ওপর তারকাসুরের ঝামেলা। ব্রহ্মা তখন দেবতাদের ডেকে বললেন,সতী দেহত্যাগের পর গিরিরাজের ঔরসে মেনকার গর্ভে স্থান পেয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। একমাত্র শিব বীর্য হতে উৎপন্ন সন্তান তারকাসুরকে বধ করতে পারবে। সবশুনে-টুনে দেবতারা যেন একটা ক্ষীণ
 আলোর রেখা দেখতে পেল। প্রথমে শিবের ধ্যান ভঙ্গ করতে হবে, দ্বিতীয় শিবের বিয়ে দিতে হবে। চলো নারদের কাছে। নারদ দেবতাদের কথা শুনে আনন্দে নেচে উঠলেন। চলে গেলেন হিমালয় রাজের কাছে। গিরিরাজ এবং তার স্ত্রী মেনকা সব শুনে মহা খুশী। তার কন্যার সঙ্গে শিবের বিয়ে হবে। এর থেকে সুখবর আর কি আছে।
 
 অনেক খোঁজা খুঁজির পর মহাদেবের দুর্গম যোগসাধনের স্থান খুঁজে বার করা হলো। গিরিরাজ হিমালয় এবং তাঁর স্ত্রী মেনকা দেখে এলেন শিবের সেই সাধনের স্থান। তাঁর রাজপ্রসাদ থেকে সেটা খুব একটা দূরে নয়।
 দেবর্ষি নারদের কথা মতো তিনি পার্বতীকে পাঠালেন মহাদেবের পূজা আর সেবা করার জন্য। পার্বতীও মহা আনন্দে সখীদের নিয়ে প্রত্যহ শিবের পূজা শুরু করলেন। সতীর মুখের ছায়া পার্বতীর মুখ মন্ডলে।
 একবার শিবের ধ্যানভঙ্গ হলে তিনি যদি পার্বতীকে দেখেন তাহলে পার্বতীকে পাওয়ার জন্য তিনি উদগ্রীব হয়ে উঠবেন। মহাদেব নিজেই
 গিরিরাজের কাছে বিবাহের প্রস্তাব পাঠাবেন। কিন্তু মহাযোগী শিব একদিনও পার্বতীর উপর দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন না। ব্রহ্মা বিষ্ণু পরলেন মহা সংকটে। দেবতাদের সঙ্গে ব্রহ্মা বিষ্ণু পরামর্শ করে স্থির করলেন, একমাত্র শিবের মধ্যে কামের উদ্রেক জাগাতে পারলেই তার ধ্যানভঙ্গ হওয়া সম্ভব।
 
 ডাক পরলো কাম দেবের। বুঝিয়ে দেওয়া হলো তার কাজ। যথা সময়ে কামদেব স্ত্রী রতিকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হলেন হিমালয়ের শিখরে। ফুল শর নিক্ষেপ করে কামদেব মহাদেবের ধ্যানভঙ্গ করলেন। ধ্যানভঙ্গ হওয়ার পরই মহাদেবের রোষানলে পরলেন মদন কামদেব। শিবের তৃতীয় নয়নের অগ্নিবর্ষণে কামদেব ভষ্মে পরিণত হলো। রতি মূর্ছাগেল। দেবতারা পরলেন মহা বিপদে। এক বিপদ যায়, আর এক বিপদ এসে উপস্থিত হয়। দেবতারা কোনপ্রকারে রতিকে সুস্থ করে বললেন, তুমি ভয় পরিত্যাগ করে এই ভস্মগ্রহণ করো,শিব সুপ্রসন্নহলে আমরা তোমার প্রাণবল্লভকে পুণঃ জীবনদান করবো। কামদেব ভষ্মীভূত হওয়ার পর শিবের উগ্রচন্ডীভাব কিছুটা স্তিমিত হলো। পার্বতীর দিকে চোখ পরতেই তিনি চঞ্চল হয়ে উঠলেন। খুব চেনা চেনা মুখ। তারপরেই আবার গম্ভীর হয়ে নিজের যোগাসন থেকে উঠে সেই স্থান পরিত্যাগ করলেন।
 পার্বতীও ছাড়বার পাত্র নয়। শিবকে পাওয়ার জন্য তিনি তপস্যায় ব্রতী হলেন। শিব পার্বতীর তপস্যায় গলে জল হয়েগেলেন। সময় সুযোগ করে মহাধুমধাম সহকারে তিনি পার্বতীকে বিবাহ করলেন। দেব-দেবাদিদেব সকলেই মহাদেবের বিবাহে উপস্থিত রইলেন। রতিও সেই বিবাহে উপস্থিত হলেন। নিজের স্বামীকে ফিরে পাবার জন্য তিনি শিবের কাছে কাকুতি মিনতি করতে শুরু করলেন। দেব-দেবীগণ সকলেই শিবের কাছে প্রার্থনা করলেন রতির স্বামী কামদেবকে পুনঃ জীবিত করা হোক।
 
 শিব রতির হস্তে ধরা সেই ভস্মাধারে তাঁর দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন। সেই ভস্মাধার থেকে কামদেবের পুনঃ জন্ম হলো। রতি স্বামী পেলেন।
 কিন্তু এই কামদেবের রূপের বিপর্যয় ঘটেছে। কামদেবের সেই কাম রূপ স্বরূপ-কান্তি আর নেই। দুজনেই আবার শিবের কাছে প্রার্থনা করলেন,
 ফিরিয়ে দেওয়া হোক তার আগের রূপ। তখন মহাদেব বললেন। ভারতবর্ষের ঈশানকোনে নীলাচল পর্বত রয়েছে। সেখানে সতীদেহের একান্নটা খন্ডের এখনো একটা খন্ড অনাবিষ্কৃত রয়েছে। সেটি মহামায়ার মহামুদ্রা। সেখানে গিয়ে দেবীর মহিমা প্রচার এবং প্রতিষ্ঠা করলে তুমি তোমার আগের রূপ আবার ফিরে পাবে। কামদেব নীলাচলে এসে মহামায়ার সেই মহামুদ্রা প্রস্তরখন্ড রূপে খুঁজে পেলেন এবং ভক্তি সহকারে পূজা পাঠ করলেন। মহামায়া কামদেব এবং রতির প্রার্থনায় তুষ্ট হয়ে তাঁকে তার আগের রূপ প্রদান করলেন। এই যে কামদেব এখানে এসে তাঁর আগের রূপ ফিরে পেলেন তাই জায়গার নাম হলো কামরূপ। কামদেব তাঁর স্বীয় রূপ ফিরে পাবার পর। দেবীর পূজা যাতে সঠিক ভাবে হয় তাই তিনি বিশ্বকর্মাকে ডেকে পাঠালেন। মহামায়ার জন্য মন্দির তৈরি করতে হবে। বিশ্বকর্মা জায়গা দেখে ভীষণ আনন্দ পেলেন। সব শোনার পর তিনি মন্দির নির্মান করলেন।
 মন্দিরের গায়ে চৌষট্টি যোগিনী, আর আঠারোটা ভৈরব-মূর্তি খোদাই করলেন। কামদেব এই মন্দিরকে আনন্দাখ্যা মন্দির নাম জগতে প্রচার করলেন। আর মহামায়া মায়ের মহামুদ্রার নাম হয় মনোবভগুহা।
 
 (কামাক্ষা মাতৃযোনি মূর্তি)
 অতীতে কামরূপে বহু হিন্দু রাজা রাজত্ব করেছেন। কিন্তু তাদের ধারাবাহিক ইতিহাস বিলুপ্ত। অনেক ধর্মবিপ্লব এবং যুগবিপ্লবের সাক্ষী কামদেব প্রতিষ্ঠিত মন্দির কামরূপ কামাখ্যা। কালের অতলে একদিন প্রায় বিলুপ্ত হয়েগেল এই মন্দির। নীলাচল পর্বতের ওই স্থান ঘনো জঙ্গলে ভরে গেল। শক্তিময়ী মাতা কামাখ্যার কথা ভুলেই গেল সকলে। বৌদ্ধযুগের পর গুপ্তবংশের রাজারা কামরূপে বেশ কিছুদিন রাজত্ব করেন। বিশেষ করে বিক্রমাদিত্যের সময় থেকে হিন্দুধর্ম আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১১৫০ সালে পালবংশের ধর্মপাল বর্তমান
 গৌহাটির পশ্চিমখণ্ডে রাজত্ব করতেন। তিনি খুব ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিছিলেন।
 
 (শিব শক্তি লাভে এক ভক্তের তন্ত্র সাধন)
 তিনি আবার কামাক্ষা দেবীকে নীলাচল পর্বতে খুঁজে বার করে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। ধর্মপালই মায়ের যথাবিধি পূজার্চনার জন্য কান্যকুব্জ থেকে অনেক সদব্রাহ্মণকে কামরূপে নিয়ে আসেন।
 এরা বাসত্তরীয় ব্রাহ্মণ নামে খ্যাত। এঁরাই কামাক্ষা দেবীর মন্দিরের আদি পূজারী। পালবংশের শাসনের পর মন্দিরের আবার অবলুপ্তি ঘটে। মা কামাক্ষা হারিয়ে যান নীলাচলের গহীণ অরণ্যে। বারভুঞ্যাদের সময় মন্দিরের ইতিহাস অতোটা পরিষ্কার জানা যায় না।
 পরে কামরূপের শাসন ভার করায়ত্ত করেন মেছ বা কোচবংশীয় শাসনকর্তা। এরা হাজো বংশীয় নামে পরিচিত ছিলেন। ১৪৮৫ সালে এই বংশের বিশু নামে এক শক্তিমান পুরুষ রাজা হন। ১৪৯০
 সালে তিনি হিন্দুধর্ম গ্রহণ করে বিশ্বসিংহ নাম পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর ভাই শিশু শিবসিংহ নামে পরিচিতি লাভ করেন। পরে এই বিশ্বসিংহ মন্দিরের পুনর্নির্মাণ করেন এবং তৎকালীন কামতাপুর বর্তমান কোচবিহারে এসে বসবাস শুরু করেন।
 
 (কামাক্ষা মার এক ভক্ত অলৌকিক শক্তিলাভে যোনি পূজা করছে।)
 পৃথিবীতে খুব দ্রুত যে মহামারীটি ছড়ায় তা হল মিথ্যা ও গুজব।আর ধর্মের সুড়সুড়িতো আছেই। কামরূপ রাজ্য এবং,কামাক্ষা মন্দিরকে ঘিরে এমনি সব কুসংস্কার ,তন্ত্র মন্ত্রের গল্প ও পৌরাণিক কাহিনীর সৃস্টি হয়েছে। তাই কামরূপ কামাক্ষা এই শতাব্দীতেও অনেক মানুষের কাছেই রহস্যে ঘেরা এক ভয়ংকর যাদু মন্ত্রের দেশ।
Share:

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

Recent Posts

Unordered List

Definition List