ময়মনসিংহের পর এবার কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ হচ্ছে। বৃহত্তর কুমিল্লা ও বৃহত্তর নোয়াখালীর জেলাগুলোকে নিয়ে হবে কুমিল্লা বিভাগ এবং বৃহত্তর ফরিদপুরের জেলাগুলো নিয়ে হবে ফরিদপুর বিভাগ। এজন্য সরকারের প্রস্তুতিও চলছে জোরেসোরে। এর অংশ হিসেবে আগামী বৃহস্পতিবার বিভাগ গঠন সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কুমিল্লা ও ফরিদপুরে বিভাগ গঠনের দাবি দীর্ঘদিনের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিভাগ গঠনের বিষয়টিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের সূত্র ধরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ বিভাগ গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দেয় প্রশাসনিক সংস্কার সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি-নিকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন। এরপরই আসে কুমিল্লা ও ফরিদপুরের পালা। জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উন্নয়ন সমন্বয় শাখা গত ২১ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ গঠনের লক্ষ্যে বিষয়টি সামগ্রিকভাবে পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ পেশ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। নয় সদস্যের এ কমিটির সভাপতি হলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো.নজরুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব হলেন একই বিভাগের যুগ্মসচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন) সাইদুর রহমান। ৩০ সেপ্টেম্বর এই কমিটির প্রথম বৈঠক হয়। এতে আরও দশজনকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ হিসাবে বিভাগ গঠন সংক্রান্ত কমিটির সদস্য সংখ্যা দাড়াল ১৯। আগামী বৃহস্পতিবার কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন দিয়ে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তার কার্যপরিধি বলা হয়েছে সাতটি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে এই কমিটি কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ গঠনের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ প্রদান করবে,নতুন বিভাগীয় সদর দফতরে কোন কোন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থার অফিস স্থাপন করা প্রয়োজন সে বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করবে, এসব অফিস স্থাপনের জন্য আবশ্যকীয় ভৌত অবকাঠামোর চাহিদা নিরুপন করবে, প্রয়োজনীয় লোকবল নির্ধারণ করবে। একইসঙ্গে ভৌত অবকাঠামো ও লোকবলের জন্য আর্থিক সংশ্লেষ নিরুপন ও প্রস্তাবিত বিভাগের সীমানা সম্পর্কে সুপারিশ করবে। প্রজ্ঞাপনে এই কমিটিকে এক মাসের মধ্যে সুপারিশ পেশ করতে বলা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিটির এক সদস্য বলেছেন, কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ গঠনের বিষয়টি নিয়ে আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সুপারিশ পেশ করতে পারব বলে আশা করছি। প্রসঙ্গত নবগঠিত ময়মনসিংহ বিভাগে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর ও শেরপুর জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ নতুন বিভাগে আসেনি। এ দুটি জেলা ঢাকা বিভাগেই রয়ে গেছে। অন্যদিকে বৃহত্তর নোয়াখালীর জেলাগুলো নিয়ে ‘নোয়াখালী বিভাগ’ গঠনের দাবিও দীর্ঘদিনের
মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৫
Home »
» বিভাগ হচ্ছে ফরিদপুর ও কুমিল্লা
বিভাগ হচ্ছে ফরিদপুর ও কুমিল্লা
ময়মনসিংহের পর এবার কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ হচ্ছে। বৃহত্তর কুমিল্লা ও বৃহত্তর নোয়াখালীর জেলাগুলোকে নিয়ে হবে কুমিল্লা বিভাগ এবং বৃহত্তর ফরিদপুরের জেলাগুলো নিয়ে হবে ফরিদপুর বিভাগ। এজন্য সরকারের প্রস্তুতিও চলছে জোরেসোরে। এর অংশ হিসেবে আগামী বৃহস্পতিবার বিভাগ গঠন সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কুমিল্লা ও ফরিদপুরে বিভাগ গঠনের দাবি দীর্ঘদিনের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিভাগ গঠনের বিষয়টিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের সূত্র ধরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ বিভাগ গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দেয় প্রশাসনিক সংস্কার সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি-নিকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন। এরপরই আসে কুমিল্লা ও ফরিদপুরের পালা। জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উন্নয়ন সমন্বয় শাখা গত ২১ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ গঠনের লক্ষ্যে বিষয়টি সামগ্রিকভাবে পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ পেশ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। নয় সদস্যের এ কমিটির সভাপতি হলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো.নজরুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব হলেন একই বিভাগের যুগ্মসচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন) সাইদুর রহমান। ৩০ সেপ্টেম্বর এই কমিটির প্রথম বৈঠক হয়। এতে আরও দশজনকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ হিসাবে বিভাগ গঠন সংক্রান্ত কমিটির সদস্য সংখ্যা দাড়াল ১৯। আগামী বৃহস্পতিবার কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন দিয়ে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তার কার্যপরিধি বলা হয়েছে সাতটি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে এই কমিটি কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ গঠনের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ প্রদান করবে,নতুন বিভাগীয় সদর দফতরে কোন কোন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থার অফিস স্থাপন করা প্রয়োজন সে বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করবে, এসব অফিস স্থাপনের জন্য আবশ্যকীয় ভৌত অবকাঠামোর চাহিদা নিরুপন করবে, প্রয়োজনীয় লোকবল নির্ধারণ করবে। একইসঙ্গে ভৌত অবকাঠামো ও লোকবলের জন্য আর্থিক সংশ্লেষ নিরুপন ও প্রস্তাবিত বিভাগের সীমানা সম্পর্কে সুপারিশ করবে। প্রজ্ঞাপনে এই কমিটিকে এক মাসের মধ্যে সুপারিশ পেশ করতে বলা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিটির এক সদস্য বলেছেন, কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ গঠনের বিষয়টি নিয়ে আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সুপারিশ পেশ করতে পারব বলে আশা করছি। প্রসঙ্গত নবগঠিত ময়মনসিংহ বিভাগে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর ও শেরপুর জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ নতুন বিভাগে আসেনি। এ দুটি জেলা ঢাকা বিভাগেই রয়ে গেছে। অন্যদিকে বৃহত্তর নোয়াখালীর জেলাগুলো নিয়ে ‘নোয়াখালী বিভাগ’ গঠনের দাবিও দীর্ঘদিনের
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন