মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

প্রেমিকা অন্যের সাথে সম্পর্ক করেছে কারণ আমার চেহারা তাঁর...

একটি মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল প্রায় দেড় বছর। সে আমাকে ভালবাসত কিন্তু দেখা করতে চাইত না। একটা ছবিও দেয়নি। আমাকে শুধু মেসেজ করত। মাঝে মাঝে কথা বলত। তখন সে ফেসবুক ব্যবহার করত না। ২০০৮ সাল থেকে তার সাথে আমার পরিচয়। ব্যাপারটা এমন ছিল যে শুরু থেকে দেড় বছর বন্ধুত্ব, এর পর ২ বছর কোন যোগাযোগ ছিল না, এর পর আবার দেড় বছর (তিন মাস বন্ধুত্ব + ১৫ মাস প্রেম)। সর্বশেষ সে নিজ থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করে। আমার বন্ধু হিসেবে থাকতে চায়। আমি বলে দেই আমার কোন মেয়ে বন্ধু ছিলনা, নেই, আর নতুন করে মেয়ে বন্ধুর কোন দরকার নেই। আমি তোমাকে ভালবাসি। যদি আমাকে ভালবাস তাহলে যোগাযোগ করো। আর না ভালবাসলে এখন থেকেই শেষ করে দাও।
তারপরও সে আমার সাথে বার বার যোগাযোগ করে। প্রথমে কিছু বলত না। পরে একসময় নিজেই বলত আমাকে ভালবাসে। তার মেসেজগুলো এখনো আমার সংগ্রহে আছে। তার সাথে নীলক্ষেতে শেষ দেখা হয়। দেখা হওয়ার দিনই সে আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। এত কষ্ট জীবনে কখনো পাইনি। তখন বুঝতে পারিনি কেন সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তার প্রতি আমার অনেক রাগ ছিল। কিন্তু সব রাগ-কষ্ট ভেতরে চেপে রেখেছিলাম। স্বপ্ন দেখতাম তাকে ফিরে পাওয়ার। তার কারণে আমার জীবনে এমন কিছু ক্ষতি হয় যা অপূরনীয়। তার কারণে আমার জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়, বিপুল অর্থ এবং সুযোগ নষ্ট হয়। এসব সে ভাল করেই জানে। আমার জাগায় অন্য কেউ থাকলে আর কিছু করুক বা না করুক উপযুক্ত প্রতিশোধ নিত। (খুব সংক্ষেপে বলেছি)
তিন-চার মাস আগে তার ফেসবুক আইডি খুঁজে পাই। কিছুদিন পর পর ছবি আপলোড দেয়। অথচ আমাকে একটা ছবি দিতে রাজি ছিল না। ফেসবুকে তাকে আমি ম্যাসেজ দিয়ে জানতে চাই কেন সে আমার সাথে এমন ব্যবহার করেছিল এবং সে আমার কি ক্ষতি করেছিল তাও তাকে জানাই। এর একমাস পর সে একটা ফেক আইডি থেকে আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে ম্যাসেজ দেয়। তখন জানতে পারি যে আমাকে শেষবারের দেখায় নাকি তার পছন্দ হয়নি। তাই সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছিল। এখন আমি স্বাস্থ্যের আগের চেয়ে অনেক পরিবর্তন এনেছি। কিন্তু, এখন নাকি সে আরেকজনের সাথে প্রেম করে। নতুন প্রেমিক ছাড়া অন্য কাউকে কল্পনা করতে পারবে না। যা রীতিমত আমার মাথায় বাজ পড়ার মত! সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যাথে পড়ে। আর আমি একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পথে। সে আমার চেয়ে দুই বছরের জুনিয়র। আমি এখন ফ্রিলান্সিং করি এবং পরিপূর্ণ স্বাবলম্বী। সে আমার জীবনে যে অপূরনীয় ক্ষতি করেছে তা তো আর ফিরে পাবো না। একটা আশা ছিল একদিন তাকে ফিরে পাবো। কিন্তু সে এখন অন্য পুরুষকে মন দিয়ে ফেলেছে। আমাকে এখন আর ভাল লাগে না। এ দিকে আমার অন্য কোন মেয়েকে ভাল লাগে না। তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হবার পর কয়েকজন মেয়ের সাথে সম্পর্ক করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভাবতেই অসহ্য মনে হয়েছে। আমার কাছের বন্ধুরা চেয়েছিল তার ভন্ডামি ফাস করে দিতে এবং উপযুক্ত শাস্তি দিতে। কিন্তু আমি তাকে খুব ভালবাসি বলে কিছুই করিনি। তাদেরকেও করতে দেইনি। তাকে কতটা ভালবাসি তা বলে বুঝাতে পারব না। মৃত্যুর আগে তাকে ভুলতে পারবনা। কিন্তু তাকে ফিরে পাওয়ার কোন উপায় নেই। এসব বিষয় মনে আসলে খুব অস্থির হয়ে যাই। সারাজীবন কী দেবদাস হয়ে থাকব? নাকি নিজের ভালবাসা আদায় করে নিব। কিন্তু জোর করে তো ভালবাসা হয় না। কী করব বুঝতে পারিনা
1
0
-1
একটি মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল প্রায় দেড় বছর। সে আমাকে ভালবাসত কিন্তু দেখা করতে চাইত না। একটা ছবিও দেয়নি। আমাকে শুধু মেসেজ করত। মাঝে মাঝে কথা বলত। তখন সে ফেসবুক ব্যবহার করত না। ২০০৮ সাল থেকে তার সাথে আমার পরিচয়। ব্যাপারটা এমন ছিল যে শুরু থেকে দেড় বছর বন্ধুত্ব, এর পর ২ বছর কোন যোগাযোগ ছিল না, এর পর আবার দেড় বছর (তিন মাস বন্ধুত্ব + ১৫ মাস প্রেম)। সর্বশেষ সে নিজ থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করে। আমার বন্ধু হিসেবে থাকতে চায়। আমি বলে দেই আমার কোন মেয়ে বন্ধু ছিলনা, নেই, আর নতুন করে মেয়ে বন্ধুর কোন দরকার নেই। আমি তোমাকে ভালবাসি। যদি আমাকে ভালবাস তাহলে যোগাযোগ করো। আর না ভালবাসলে এখন থেকেই শেষ করে দাও।
তারপরও সে আমার সাথে বার বার যোগাযোগ করে। প্রথমে কিছু বলত না। পরে একসময় নিজেই বলত আমাকে ভালবাসে। তার মেসেজগুলো এখনো আমার সংগ্রহে আছে। তার সাথে নীলক্ষেতে শেষ দেখা হয়। দেখা হওয়ার দিনই সে আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। এত কষ্ট জীবনে কখনো পাইনি। তখন বুঝতে পারিনি কেন সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তার প্রতি আমার অনেক রাগ ছিল। কিন্তু সব রাগ-কষ্ট ভেতরে চেপে রেখেছিলাম। স্বপ্ন দেখতাম তাকে ফিরে পাওয়ার। তার কারণে আমার জীবনে এমন কিছু ক্ষতি হয় যা অপূরনীয়। তার কারণে আমার জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়, বিপুল অর্থ এবং সুযোগ নষ্ট হয়। এসব সে ভাল করেই জানে। আমার জাগায় অন্য কেউ থাকলে আর কিছু করুক বা না করুক উপযুক্ত প্রতিশোধ নিত। (খুব সংক্ষেপে বলেছি)
তিন-চার মাস আগে তার ফেসবুক আইডি খুঁজে পাই। কিছুদিন পর পর ছবি আপলোড দেয়। অথচ আমাকে একটা ছবি দিতে রাজি ছিল না। ফেসবুকে তাকে আমি ম্যাসেজ দিয়ে জানতে চাই কেন সে আমার সাথে এমন ব্যবহার করেছিল এবং সে আমার কি ক্ষতি করেছিল তাও তাকে জানাই। এর একমাস পর সে একটা ফেক আইডি থেকে আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে ম্যাসেজ দেয়। তখন জানতে পারি যে আমাকে শেষবারের দেখায় নাকি তার পছন্দ হয়নি। তাই সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছিল। এখন আমি স্বাস্থ্যের আগের চেয়ে অনেক পরিবর্তন এনেছি। কিন্তু, এখন নাকি সে আরেকজনের সাথে প্রেম করে। নতুন প্রেমিক ছাড়া অন্য কাউকে কল্পনা করতে পারবে না। যা রীতিমত আমার মাথায় বাজ পড়ার মত! সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যাথে পড়ে। আর আমি একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পথে। সে আমার চেয়ে দুই বছরের জুনিয়র। আমি এখন ফ্রিলান্সিং করি এবং পরিপূর্ণ স্বাবলম্বী। সে আমার জীবনে যে অপূরনীয় ক্ষতি করেছে তা তো আর ফিরে পাবো না। একটা আশা ছিল একদিন তাকে ফিরে পাবো। কিন্তু সে এখন অন্য পুরুষকে মন দিয়ে ফেলেছে। আমাকে এখন আর ভাল লাগে না। এ দিকে আমার অন্য কোন মেয়েকে ভাল লাগে না। তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হবার পর কয়েকজন মেয়ের সাথে সম্পর্ক করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভাবতেই অসহ্য মনে হয়েছে। আমার কাছের বন্ধুরা চেয়েছিল তার ভন্ডামি ফাস করে দিতে এবং উপযুক্ত শাস্তি দিতে। কিন্তু আমি তাকে খুব ভালবাসি বলে কিছুই করিনি। তাদেরকেও করতে দেইনি। তাকে কতটা ভালবাসি তা বলে বুঝাতে পারব না। মৃত্যুর আগে তাকে ভুলতে পারবনা। কিন্তু তাকে ফিরে পাওয়ার কোন উপায় নেই। এসব বিষয় মনে আসলে খুব অস্থির হয়ে যাই। সারাজীবন কী দেবদাস হয়ে থাকব? নাকি নিজের ভালবাসা আদায় করে নিব। কিন্তু জোর করে তো ভালবাসা হয় না। কী করব বুঝতে পারিনা
- See more at: http://answers.priyo.com/question/7652-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0#sthash.P6UPTMTP.dpuf
Share:

জ্যাকলিন মিথিলা মানেই কি অশ্লীলতা?

একটা সময় বাংলা চলচ্চিত্র অশ্লীলতার ছোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই সব অশ্লিলতার দৃশ্যে অভিনয় করেছেন নাছরিন, ময়ূরী, মুনমুন, শানুসহ আরও অনেকেই। তবে তারা কিন্তু এখন কেউ মিডিয়াতে নেই। তখনকার সময়ে যে দৃশ্য দেখতে পাওয়া যেত তা ঠিক আছে বলেই উপরোক্ত নায়িকারা মনে করতেন। মুনমুন তো একবার বলেই ফেলেছিলেন তার অভিনীত চলচ্চিত্র ‘নিষিদ্ধ নারী’ নিয়ে। নগ্নতাই অশ্লীলতা নয়।
আসলেও কথাটি ঠিক ছিল। তবে কথা মত কাজটি তিনি আর করতে পারেননি। তিনি যা করেছিলেন তা অশ্লীলতাই ছিল। বিনা কারণে মানুষের শরীরের বস্ত্র খুলে ফেলা মানেই হলো অশ্লীলতা। এটা নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বর্তমানে বাংলা চলচ্চিত্রে এখন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। এখন আর অশ্লীল দৃশ্য দেখতে না পাওয়া গেলেও নারীর শরীরকে শিল্পের চোখেই দেখা হয়।

এতে দোষ নেই। বলিউড অথবা হলিউডের দিকে একটু নজর দিলেই দেখতে পাওয়া যায়। একজন নারীর শরীরকে শিল্পের চোখেই দেখা হয়ে থাকে। তবে হলিউডের যা হয় তা তাদেরই সংস্কৃতি। কিন্তু আমাদের দেশে অথবা বলিউডে কি দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। বলিউড এখন পুরোপুরি হলিউডের পথে রয়েছে। বলিউডের সংস্কৃতি আর আমাদের সংস্কৃতি কিন্তু প্রায় সমানে সমান। তবে আমরা কেন পিছিয়ে। আমরাও যেতে পারি যুগের সাথে তালে তাল মিলিয়ে ছন্দে ছন্দে।
বাংলাদেশের আলোচিত মডেল খোলামেলা জ্যাকলিন মিথিলা। তার ফেসবুকে প্রবেশ করলে তাকে বেশ খোলামেলাই পাওয়া যায়। তবে তার এই খোলামেলা দেহের ছবিতে কোন শিল্পের ছোঁয়া আছে আদ্যে প্রশ্ন করার মত। অনেক জল্পনার কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সম্প্রতি তার প্রথম মিউজিক ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে তার ফেসবুকে দেয়া ছবির সঙ্গে কিছুটা মিল রয়েছে।
কিন্তু তার ফেসবুকে গুডনাইট আর গুড মর্নিংয়ের যে ছবি গুলো নিয়মিত আপলোড দেন। তা রীতিমত অশ্লীলতার মধ্যেই পড়ে যায়। খোলামেলা ছবি গুলো আপলোড দিয়ে তিনি নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়লেও। পরবর্তীতে সেই ছবি গুলো দেখে তরুণ ছেলেদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। কিন্তু আর বলার প্রয়োজন হয় না। এই ধরনের ছবি দিয়ে তিনি কি আবারও প্রমান করতে চান তিনি একজন অশ্লীল মডেল? নাকি তিনি আবারও বাংলা চলচ্চিত্রে ঘটে যাওয়া নায়িকাদের মত অশ্লীল নায়িকা হতে চান?
এ সব প্রশ্নের উত্তর হয়তো সময়ই বলে দিবে। সেই সব নায়িকাদের মত যারা বর্তমান সময়ে নেই।
Share:

খালেদা-আশরাফের বৈঠক গুঞ্জনের শেষ কোথায়?

লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মধ্যে বৈঠক হবার গুঞ্জন উঠেছিল কয়েকদিন আগে। তখন আওয়ামীলীগ ও বিএনপির কয়েকজন নেতার বক্তব্যে এ গুঞ্জন মিথ্যা ও গুঁজবে পরিণত হয়েছিলো। কিন্তু সোমবার গুঞ্জনের সত্যতা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চুপ থাকা এ গুঞ্জন সত্য হবার দিকে ঝুকছে।
সোমবার লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র ও স্পিকারের আমন্ত্রণে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আশরাফ বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’ এছাড়া আগামী বছরের শুরুতে মধ্যবর্তী নির্বাচন হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবেও তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো ইনফরমেশন নেই।’
আর সৈয়দ আশরাফের এমন ‘লুকোচুরি’ বক্তব্য নিয়ে গুঞ্জনের মাত্রা এখন আরও বেড়ে চলেছে। অনেকেই মনে করছে, খালেদা জিয়ার সাথে আশরাফের ‘বৈঠকের’ ঘটনাটি সত্য। আর সত্য যদি নাই হবে তাহলে সরাসরি ‘না’ বলতে সমস্যা কি?
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শামসুজামান দুদু বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার জানা নেই। আমি কিছু বলতে পারবোনা।’ অন্যদিকে এ বিষয়ে জানতে বিএনপির বর্তমান মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপনেকে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর খালেদা-আশরাফ বৈঠক হবে কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভকে বলেছেন, ‘এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, এ বৈঠকের কোন ভিত্তিই নেই। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম লন্ডন গেছেন কারণ সেখানে তার পরিবার আছে তাই সেখানে তিনি ঈদ কাটাবেন তবে বৈঠক হওয়ার বিষয়টি একদম ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন তিনি।’
একইদিন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মধ্যে বৈঠক হবে এমন বিষয়টি সম্পূর্ণ আজগবি। খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের কোন সম্ভাবনাই নেই, এটা ভিত্তিহীন।’
তেমনি বিএনপির নেতাদের কন্ঠেও প্রায় একই সুর ছিল সেদিন। জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভকে বলেছেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের তেমন কিছু জানা নেই, তবে বৈঠক না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বৈঠক হতে পারে না, তবে তাদের মাঝে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হতে পারে বলে জানান তিনি।’
ওইদিন বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ও সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভকে বলেছেন, ‘তাদের মাঝে কোন আলোচনার সম্ভাবনা নেই তবে সৈয়দ আশরাফ ভদ্র, উচ্চ শিক্ষিত মানুষ- সেক্ষেত্রে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে দেখা করতে পারেন। তবে এই মুহুর্তে লন্ডনে বৈঠকের কোন সম্ভাবনা নেই বলেই জানান তিনি।’
Share:

উইন্ডোজ১০–এর পর্দা কালো হলে

অনেক সময় উইন্ডোজ ১০-এর পর্দা হঠাৎ করে কালো হয়ে যায়। কম্পিউটার চালু হওয়ার পর লগ-ইন করলে অনেক সময় পর্দা আর দেখা যায় না। কালো হয়েই থাকে। এমন হলে কার্সর আর কোনো কাজ করে না। এমন সমস্যার সম্মুখীন হলে কিছু কাজ করতে হবে।
লগ-ইন করার পর হলে: উইন্ডোজে পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করার পরই কালো পর্দার এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এমন হলে কম্পিউটারের সঙ্গে লাগানো সব এক্সটার্নাল যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে পুনরায় চালু (রিস্টার্ট) করুন। যদি পর্দা সচল হয়, তবে জানতে পারবেন এর মাঝে কোন যন্ত্রের জন্য চালু হচ্ছিল না। এভাবে যন্ত্রাংশ খুলে এবং লাগিয়ে পরীক্ষা নিলে, কোন কারণে এমন হচ্ছে তা জানা যাবে। সেই যন্ত্রাংশের জন্য এমন হলে সেটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। যন্ত্রাংশ খোলায় যদি সমাধান না আসে, তবে কম্পিউটারকে সেফ মুডে চালাতে হবে। রিস্টার্ট চেপে কি-বোডের্র SHIFT চেপে রাখুন। অনেকগুলো অপশনসহ পর্দা আসবে। এখানে Safe mode with Networking নির্বাচন করে এন্টার করুন। উইন্ডোজের পর্দা অন্য কোনো যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত আছে কি না, সেটি দেখতে Control Panel থেকে Display নির্বাচন করুন। ডিসপ্লে উইন্ডোর বাঁ পাশের তালিকা থেকে Project to a Second Display নির্বাচন করুন। একটি সাইডবারে যুক্ত থাকা কম্পিউটার পর্দাগুলো দেখাবে। এখানে PC Screen Only নির্বাচন করে দিন।
 ডিভাইস ম্যানেজার থেকে: কম্পিউটার চালু হলে স্টার্ট মেনুতে গিয়ে devmgmt লিখে এন্টার করুন। ডিভাইস ম্যানেজার খুলে গেলে তালিকার Display Adapters-এর ওপর দুই ক্লিক করে খুলে নিন। Display Adaptor Driver-এ ইনস্টল থাকা যন্ত্রে রাইট ক্লিক করে Uninstall চাপুন। কম্পিউটার পুনরায় চালু করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবার ডিসপ্লে ড্রাইভার সফটওয়্যার ইনস্টল হয়ে যাবে। এটি কালো পর্দা দূর করার অন্যতম মাধ্যম।
Share:

যে শহরে নগ্ন মানুষের বাস!

যে শহরে নগ্ন মানুষের বাস! দক্ষিণ ফ্রান্সের অদ্ভুত এক শহরের গল্প শোনাই আজ। কেপ দাগদে নামের ওই সমুদ্র শহরটির গল্প শুনলে অবাক হবেন নিশ্চয়ই, কারণ শহরটিতে গ্রীষ্মকালে বাস করে কেবল নগ্ন মানুষরা! গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে শহরটিতে ছয় হাজার লোকের বাস। তবে গ্রীষ্মে জনসংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায় শহরটির। কারণ ওই সময়ে মেডিটেরিয়ান সাগরের নীলজলে অবগাহনে আসে আরো ৪০ হাজার মানুষ। যারা আসে তাদেরও আসতে হয় নগ্ন হয়ে- কারণ শহরে যে ওই একই রীতি। সুন্দর সমুদ্রসৈকত আর নীল জলরাশির শহরটির মেয়রের নাম ফিল হোদ। হোদ নিজেই ওই ‘নগ্নদের’ দলেরই লোক। নিজে এই শহরের সভ্যতার নাম দিয়েছেন ‘প্রাকৃতিক সভ্যতা’ নামে। গার্ডিয়ানের সাথে আলাপ করার সময় জানালেন, প্রকৃতি ও আধুনিকতার মিশেলে শহরটিকে পৃথিবীর একমাত্র নগ্নদের শহর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নগ্ন নাগরিকদের আরো দাবি, প্রকৃতি মানুষ সৃষ্টি করেছে কিন্তু শহর বা আধুনিকতার অন্যান্য উপাদান সৃষ্টি করেনি। মানুষই এসব সৃষ্টি করেছে আর এসব আধুনিকতার উপাদানের সবচাইতে বড় শিকার মানুষই। তাই ওই ‘তথাকথিত’ আধুনিকতা থেকে দূরে থাকতে নগ্ন শহরের এই আয়োজন। মেয়র ফিল জানালেন, নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে প্রায় জনশূণ্য এই সৈকতে নগ্নদের আগমণ শুরু। প্রথমে প্রকৃতির সান্নিধ্যের জন্য কিছু মানুষ সুন্দর এই সৈকতে এসে থাকতে শুরু করে। আস্তে আস্তে মেডিটেরিয়ান সাগরের বিখ্যাত নীল জলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে পর্যটক আসতে শুরু করে এখানে। এরপর আস্তে আস্তে গড়ে ওঠে শহর। তবে যতই শহরের স্থাপনা গড়ে উঠুক, একটুও নাকি পাল্টায়নি কেপ দাগদে। এখনো কান পাতলে প্রকৃতির অনন্ত নিঝুমতা আর সাগরের ঢেউয়ের শব্দ শুনতে পায় মানুষ। ফিল আরো বলেন, ‘এই শহরে ঢোকার নিয়ম হয়তো একটু অদ্ভুত। কিন্তু একবার এসে কেউ যখন ফিরে যাবে, সাথে নিয়ে যাবেন অনন্য এক স্মৃতি। যা অনুপ্রেরণা জোগাবে বেঁচে থাকার -
Share:

সৌদি আরবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা!

হ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের বেনামী একজন মালিক সৌদি আরব সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। একজন অভিযুক্ত কিশোরকে তার অপরাধের জন্য মৃত্যুদন্ড দেয়া হলে ঐ ব্যক্তি প্রতিশোধ হিসেবে এই যুদ্ধ ঘোষণা করেন। মোহাম্মদ আলী আল নামের সেই কিশোরকে ২০১২ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে আরব স্প্রিংয়ের বিক্ষোভে তার তথা-কথিত অংশগ্রহণের জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার এই ভুলের জন্য তাকে শিরশ্ছেদের দণ্ডে দন্ডিত করা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মাধ্যম প্রতিবাদ করেছে এবং সৌদি সরকারের উপর মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের দ্বারা আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ করা হয়েছে।এখন এই অ্যানোনিমাস হ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ‬ চালু করেছেন এবং একটি সময়ে কয়েক ঘন্টার জন্য সৌদি সরকারের ওয়েবসাইট অফলাইন করে রেখেছিল। হ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপের সদস্যরা বিনের ওয়েবসাইটে তাদের টার্গেট তালিকায় প্রকাশ করেছেন। তারা আর কোন কোন পেজ হ্যাক করবেন তা সেখানে প্রকাশ করা হয়েছে।অ্যানোনিমাস তাদের একটি বিবৃতিতে জানান, একজন নির্দোষ তরুণ ছেলের মৃত্যুদণ্ড তারা কোনভাবেই মেনে নিবে না। তারা চুপচাপ এসব দেখবেন না।
১৩ জন বিচারক ইতিমধ্যে আলী মোহাম্মদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করেছেন। অর্থাৎ এই যে, এখন শুধু সৌদি বাদশাহের অনুমোদন দেয়া বাকি। যুক্তরাজ্যের ফরেন অফিস সৌদি কর্তৃপক্ষের সাথে খুব দ্রুত এই মামলার বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানা যায়।<
Share:

কখন, কীভাবে পৃথিবীতে দাজ্জালের আগমন ঘটবে এবং দাজ্জাল বর্তমানে কোথায় আছে?

আখেরী যামানায় কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে মিথ্যুক দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। দাজ্জালের আগমণ কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার সবচেয়ে বড় আলামত। মানব জাতির জন্যে দাজ্জালের চেয়ে অধিক বড় বিপদ আর নেই। বিশেষ করে সে সময় যে সমস্ত মুমিন জীবিত থাকবে তাদের জন্য ঈমান নিয়ে টিকে থাকা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে।
আখেরী যামানায় কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে মিথ্যুক দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। দাজ্জালের আগমণ কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার সবচেয়ে বড় আলামত। মানব জাতির জন্যে দাজ্জালের চেয়ে অধিক বড় বিপদ আর নেই। বিশেষ করে সে সময় যে সমস্ত মুমিন জীবিত থাকবে তাদের জন্য ঈমান নিয়ে টিকে থাকা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে। সমস্ত নবীই আপন উম্মাতকে দাজ্জালের ভয় দেখিয়েছেন। আমাদের নবী [সা.]ও দাজ্জালের ফিতনা থেকে সতর্ক করেছেন এবং তার অনিষ্ট থেকে বাঁচার উপায়ও বলে দিয়েছেন। ইবনে উমার [রা.] নবী [সা.] হতে বর্ণনা করেন,
قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّاسِ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ ذَكَرَ الدَّجَّالَ فَقَالَ إِنِّي لَأُنْذِرُكُمُوهُ وَمَا مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا وَقَدْ أَنْذَرَهُ قَوْمَهُ وَلَكِنِّي سَأَقُولُ لَكُمْ فِيهِ قَوْلًا لَمْ يَقُلْهُ نَبِيٌّ لِقَوْمِهِ إِنَّهُ أَعْوَرُ وَإِنَّ اللَّهَ لَيْسَ بِأَعْوَرَ
একদা নবী [সা.] দাড়িয়ে আল্লাহর যথাযোগ্য প্রশংসা করলেন। অতঃপর দাজ্জালের আলোচনা করতে গিয়ে বললেন, আমি তোমাদেরকে তার ফিতনা থেকে সাবধান করছি। সকল নবীই তাদের উম্মাতকে দাজ্জালের ভয় দেখিয়েছেন। কিন্তু আমি তোমাদের কাছে দাজ্জালের একটি পরিচয়ের কথা বলব যা কোন নবীই তাঁর উম্মাতকে বলেন নাই। তা হলো দাজ্জাল অন্ধ হবে। আর আমাদের মহান আল্লাহ অন্ধ নন। নাওয়াস বিন সামআন [রা.] বলেন,
ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الدَّجَّالَ ذَاتَ غَدَاةٍ فَخَفَّضَ فِيهِ وَرَفَّعَ حَتَّى ظَنَنَّاهُ فِي طَائِفَةِ النَّخْلِ قَالَ فَانْصَرَفْنَا مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَيْهِ فَعَرَفَ ذَلِكَ فِينَا فَقَالَ مَا شَأْنُكُمْ قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَكَرْتَ الدَّجَّالَ الْغَدَاةَ فَخَفَّضْتَ فِيهِ وَرَفَّعْتَ حَتَّى ظَنَنَّاهُ فِي طَائِفَةِ النَّخْلِ قَالَ غَيْرُ الدَّجَّالِ أَخْوَفُ لِي عَلَيْكُمْ إِنْ يَخْرُجْ وَأَنَا فِيكُمْ فَأَنَا حَجِيجُهُ دُونَكُمْ وَإِنْ يَخْرُجْ وَلَسْتُ فِيكُمْ فَامْرُؤٌ حَجِيجُ نَفْسِهِ وَاللَّهُ خَلِيفَتِي عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ
একদা রাসূল [সা.] সকাল বেলা আমাদের কাছে দাজ্জালের বর্ণনা করলেন। তিনি তার ফিতনাকে খুব বড় করে তুলে ধরলেন। বর্ণনা শুনে আমরা মনে করলাম নিকটস্থ খেজুরের বাগানের পাশেই সে হয়ত অবস্থান করছে। আমরা রাসূল [সা.]এর নিকট থেকে চলে গেলাম। কিছুক্ষণ পর আমরা আবার তাঁর কাছে গেলাম। এবার তিনি আমাদের অবস্থা বুঝে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমাদের কি হলো? আমরা বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনি যেভাবে দাজ্জালের আলোচনা করেছেন তা শুনে আমরা ভাবলাম হতে পারে সে খেজুরের বাগানের ভিতরেই রয়েছে। নবী [সা.] বললেন, দাজ্জাল ছাড়া তোমাদের উপর আমার আরো ভয় রয়েছে। আমি তোমাদের মাঝে জীবিত থাকতেই যদি দাজ্জাল আগমণ করে তাহলে তোমাদেরকে ছাড়া আমি একাই তার বিরুদ্ধে ঝগড়া করবো। আর আমি চলে যাওয়ার পর যদি সে আগমণ করে তাহলে প্রত্যেক ব্যক্তিই নিজেকে হেফাযত করবে। আর আমি চলে গেলে আল্লাহই প্রতিটি মুসলিমকে হেফাযতকারী হিসেবে যথেষ্ট। [তিরমিজি, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান]
দাজ্জালের আগমণের সময় মুসলমানদের অবস্থা : দাজ্জালের আগমণের পূর্ব মুহূর্তে মুসলমানদের অবস্থা খুব ভাল থাকবে। তারা পৃথিবীতে শক্তিশালী এবং বিজয়ী থাকবে। সম্ভবতঃ এই শক্তির পতন ঘটানোর জন্যই দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে।
দাজ্জালের পরিচয় : দাজ্জাল মানব জাতিরই একজন হবে। মুসলমানদের কাছে তার পরিচয় তুলে ধরার জন্যে এবং তার ফিতনা থেকে তাদেরকে সতর্ক করার জন্যে নবী [সা.] তার পরিচয় বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন। মুমিন বান্দাগণ তাকে দেখে সহজেই চিনতে পারবে এবং তার ফিতনা থেকে নিরাপদে থাকবে। নবী [সা.] তার যে সমস্ত পরিচয় উল্লেখ করেছেন মুমিনগণ তা পূর্ণ অবগত থাকবে। দাজ্জাল অন্যান্য মানুষের তুলনায় স্বতন্ত্র বৈশিষ্টের অধিকারী হবে। জাহেল-মূর্খ ও হতভাগ্য ব্যতীত কেউ দাজ্জালের ধোকায় পড়বেনা। নবী [সা.] দাজ্জালকে স্বপ্নে দেখে তার শারীরিক গঠনের বর্ণনাও প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, দাজ্জাল হবে বৃহদাকার একজন যুবক পুরুষ, শরীরের রং হবে লাল, বেঁটে, মাথার চুল হবে কোঁকড়া, কপাল হবে উঁচু, বক্ষ হবে প্রশস্ত, চক্ষু হবে টেরা এবং আঙ্গুর ফলের মত উঁচু। [বুখারি, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান] দাজ্জাল নির্বংশ হবে। তার কোন সন্তান থাকবেনা। [বুখারি, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান]
দাজ্জালের কোন্‌ চোখ কানা থাকবে? বিভিন্ন হাদীছে দাজ্জালের চোখ অন্ধ হওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। কোন কোন হাদীছে বলা হয়েছে দাজ্জাল অন্ধ হবে। কোন হাদীছে আছে তার ডান চোখ অন্ধ হবে। আবার কোন হাদীছে আছে তার বাম চোখ হবে অন্ধ। মোটকথা তার একটি চোখ দোষিত হবে। তবে ডান চোখ অন্ধ হওয়ার হাদীছগুলো বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত হয়েছে। [বুখারি, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান] মোটকথা দাজ্জালের অন্যান্য লক্ষণগুলো কারো কাছে অস্পষ্ট থেকে গেলেও অন্ধ হওয়ার বিষয়টি কারো কাছে অস্পষ্ট হবেনা।
দাজ্জালের দুই চোখের মাঝখানে কাফের লেখা থাকবে : তাছাড়া দাজ্জালকে চেনার সবচেয়ে বড় আলামত হলো তার কপালে কাফের كافر)) লেখা থাকবে। [বুখারি, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান] অপর বর্ণনায় আছে তার Kcv‡j(ك ف ر) এই তিনটি বর্ণ লেখা থাকবে। প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তিই তা পড়তে পারবে। [মুসলিম, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান] অপর বর্ণনায় আছে শিক্ষিত-অশিক্ষত সকল মুসলিম ব্যক্তিই তা পড়তে পারবে। [সহিহ মুসলিম, শরহুন নববীর সাথে ১৮/৬১] মোটকথা আল্লাহ মুমিনের জন্যে অন্তদৃষ্টি খোলে দিবেন। ফলে সে দাজ্জালকে দেখে সহজেই চিনতে পারবে। যদিও ইতিপূর্বে সে ছিল অশিক্ষিত। কাফের ও মুনাফেক লোক তা দেখেও পড়তে পারবেনা। যদিও সে ছিল শিক্ষিত ও পড়ালেখা জানা লোক। কারণ কাফের ও মুনাফেক আল্লাহর অসংখ্য সুস্পষ্ট দলীল-প্রমাণ দেখেও ঈমান আনয়ন করেনি। [ফতহুল বারি ১৩/১০০]
দাজ্জালের ফিতনাসমূহ ও তার অসারতা : আদম সৃষ্টি থেকে কিয়ামত পর্যন্ত মানব জাতির জন্য দাজ্জালের চেয়ে বড় ফিতনা আর নেই। সে এমন অলৌকিক বিষয় দেখাবে যা দেখে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়বে। দাজ্জাল নিজেকে প্রভু ও আল্লাহ হিসেবে দাবী করবে। তার দাবীর পক্ষে এমন কিছু প্রমাণও উপস্থাপন করবে যে সম্পর্কে নবী [সা.] আগেই সতর্ক করেছেন। মুমিন বান্দাগণ এগুলো দেখে মিথ্যুক দাজ্জালকে সহজেই চিনতে পারবে এবং আল্লাহর প্রতি তাদের ঈমান আরো বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু দুর্বল ঈমানদার লোকেরা বিভ্রান্তিতে পড়ে ঈমান হারা হবে। দাজ্জাল নিজেকে রাব্ব বা প্রভু হিসেবেও দাবী করবে। ঈমানদারের কাছে এ দাবীটি সুস্পষ্ট দিবালোকের মত মিথ্যা বলে প্রকাশিত হবে। দাজ্জাল তার দাবীর পক্ষে যত বড় অলৌকিক ঘটনাই পেশ করুক না কেন মুমিন ব্যক্তির কাছে এটি সুস্পষ্ট হবে যে সে একজন অক্ষম মানুষ, পানাহার করে, নিদ্রা যায়, পেশাব-পায়খান করে। সর্বোপরি সে হবে অন্ধ। যার ভিতরে মানবীয় সব দোষ-গুণ বিদ্যমান সে কিভাবে রব্ব ও আল্লাহ হতে পারে!! একজন সত্যিকার মুমিনের মুমিনের বিশ্বাস হলোঃ মহান আল্লাহ সর্বপ্রকার মানবীয় দোষ-ত্রুটি হতে সম্পূর্ণ মুক্ত। কোন সৃষ্টজীবই তার মত নয়। আল্লাহকে দুনিয়ার জগতে কোন মানুষের পক্ষে দেখাও সম্ভব নয়।
দাজ্জাল বর্তমানে কোথায় আছে? ফাতেমা বিনতে কায়স [রা.] হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মসজিদে গমণ করে নবী [সা.]এর সাথে নামায আদায় করলাম। আমি ছিলাম মহিলাদের কাতারে। তিনি নামায শেষে হাসতে হাসতে মিম্বারে উঠে বসলেন। প্রথমেই তিনি বললেন, প্রত্যেকেই যেন আপন আপন জায়গায় বসে থাকে। অতঃপর তিনি বললেন, তোমরা কি জান আমি কেন তোমাদেরকে একত্রিত করেছি? তাঁরা বললেন, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। অতঃপর তিনি বললেন, আমি তোমাদেরকে এ সংবাদ দেয়ার জন্যে একত্রিত করেছি যে তামীম দারী ছিল একজন খৃষ্টান লোক। সে আমার কাছে আগমণ করে ইসলাম গ্রহণ করেছে। অতঃপর সে মিথ্যুক দাজ্জাল সম্পর্কে এমন ঘটনা বলেছে যা আমি তোমাদের কাছে বর্ণনা করতাম। লাখ্‌ম ও জুযাাম গোত্রের ত্রিশ জন লোকের সাথে সে সাগর পথে ভ্রমণে গিয়েছিল। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার শিকার হয়ে এক মাস পর্যন্ত তারা সাগরেই ছিল। অবশেষে তারা সাগরের মাঝখানে একটি দ্বীপে অবতরণ করলো। দ্বীপের ভিতরে প্রবেশ করে তারা মোটা মোটা এবং প্রচুর চুল বিশিষ্ট একটি অদ্ভুত প্রাণীর সন্ধান পেল। চুল দ্বারা সমস্ত শরীর আবৃত থাকার কারণে প্রাণীটির অগ্রপশ্চাৎ নির্ধারণ করতে সক্ষম হলোনা। তারা বললঃ অকল্যাণ হোক তোমার! কে তুমি? সে বললোঃ আমি সংবাদ সংগ্রহকারী গোয়েন্দা। তারা বললোঃ কিসের সংবাদ সংগ্রহকারী? অতঃপর প্রাণীটি দ্বীপের মধ্যে একটি ঘরের দিকে ইঙ্গিত করে বললোঃ হে লোক সকল! তোমরা এই ঘরের ভিতরে অবস্থানরত লোকটির কাছে যাও। সে তোমাদের কাছ থেকে সংবাদ সংগ্রহ করার জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তামীম দারী বলেন, প্রাণীটি যখন একজন লোকের কথা বললোঃ তখন আমাদের ভয় হলো যে হতে পারে সে একটি শয়তান। তথাপিও আমরা ভীত হয়ে দ্রুত অগ্রসর হয়ে ঘরটির ভিতরে প্রবেশ করলাম। সেখানে প্রবেশ করে আমরা বৃহদাকার একটি মানুষ দেখতে পেলাম। এত বড় আকৃতির মানুষ আমরা ইতিপূর্বে আর কখনও দেখিনি। তার হাত দু’টিকে ঘাড়ের সাথে একত্রিত করে হাঁটু এবং গোড়ালীর মধ্যবর্তী স্থানে লোহার শিকল দ্বারা বেঁধে রাখা হয়েছে। আমরা বললামঃ মরণ হোক তোমার! কে তুমি? সে বললোঃ তোমরা আমার কাছে আসতে সক্ষম হয়েছ। তাই আগে তোমাদের পরিচয় দাও। আমরা বললামঃ আমরা একদল আরব মানুষ নৌকায় আরোহন করলাম। সাগরের প্রচন্ড ঢেউ আমাদেরকে নিয়ে একমাস পর্যন্ত খেলা করলো। অবশেষে তোমার দ্বীপে উঠতে বাধ্য হলাম। দ্বীপে প্রবেশ করেই প্রচুর পশম বিশিষ্ট এমন একটি জন্তুর সাক্ষাৎ পেলাম, প্রচুর পশমের কারণে যার অগ্রপশ্চাৎ চেনা যাচ্ছিলনা। আমরা বললামঃ অকল্যাণ হোক তোমার! কে তুমি? সে বললোঃ আমি সংবাদ সংগ্রহকারী গোয়েন্দা। আমরা বললামঃ কিসের সংবাদ সংগ্রহকারী? অতঃপর প্রাণীটি দ্বীপের মধ্যে এই ঘরের দিকে ইঙ্গিত করে বললোঃ হে লোক সকল! তোমরা এই ঘরের ভিতরে অবস্থানরত লোকটির কাছে যাও। সে তোমাদের নিকট থেকে সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তাই আমরা তার ভয়ে তোমার কাছে দ্রুত আগমণ করলাম। হতে পার তুমি একজন শয়তান- এভয় থেকেও আমরা নিরাপদ নই। সে বললোঃ আমাকে তোমরা বাইসান সম্পর্কে সংবাদ দাও। আমরা তাকে বললামঃ বাইসানের কি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছো? সে বললোঃ আমি তথাকার খেজুরের বাগান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছি। সেখানের গাছগুলো এখনও ফল দেয়? আমরা বললামঃ হ্যাঁ। সে বললোঃ সে দিন বেশী দূরে নয় যে দিন গাছগুলোতে কোন ফল ধরবেনা। অতঃপর সে বললোঃ আমাকে বুহাইরাতুত্‌ তাবারীয়া সম্পর্কে সংবাদ দাও। আমরা তাকে বললামঃ বুহাইরাতুত্‌ তাবারীয়ার কি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছো? সে বললোঃ আমি জানতে চাই সেখানে কি এখনও পানি আছে? আমরা বললামঃ তথায় প্রচুর পানি আছে। সে বললোঃ অচিরেই তথাকার পানি শেষ হয়ে যাবে। সে পুনরায় বললোঃ আমাকে যুগার নামক ঝর্ণা সম্পর্কে সংবাদ দাও। আমরা তাকে বললামঃ সেখানকার কি সম্পর্কে তুমি জানতে চাও? সে বললোঃ আমি জানতে চাই সেখানে কি এখনও পানি আছে? লোকেরা কি এখনও সে পানি দিয়ে চাষাবাদ করছে? আমরা বললামঃ তথায় প্রচুর পানি রয়েছে। লোকেরা সে পানি দিয়ে চাষাবাদ করছে। সে আবার বললোঃ আমাকে উম্মীদের নবী সম্পর্কে জানাও। আমরা বললামঃ সে মক্কায় আগমণ করে বর্তমানে মদীনায় হিজরত করেছে। সে বললোঃ আরবরা কি তার সাথে যুদ্ধ করেছে? বললামঃ হ্যাঁ। সে বললোঃ ফলাফল কি হয়েছে? আমরা তাকে সংবাদ দিলাম যে, পার্শ্ববর্তী আরবদের উপর তিনি জয়লাভ করেছেন। ফলে তারা তাঁর আনুগত্য ¯^xKvi করে নিয়েছে। সে বললঃ তাই না কি? আমরা বললাম তাই। সে বললোঃ তার আনুগত্য করাই তাদের জন্য ভাল। এখন আমার কথা শুন। আমি হলাম দাজ্জাল। অচিরেই আমাকে বের হওয়ার অনুমতি দেয়া হবে। আমি বের হয়ে চল্লিশ দিনের ভিতরে পৃথিবীর সমস্ত দেশ ভ্রমণ করবো। তবে মক্কা-মদীনায় প্রবেশ করা আমার জন্য নিষিদ্ধ থাকবে। যখনই আমি মক্কা বা মদীনায় প্রবেশ করতে চাইবো তখনই ফেরেশতাগণ কোষমুক্ত তলোয়ার হাতে নিয়ে আমাকে তাড়া করবে। মক্কা-মদীনার প্রতিটি প্রবেশ পথে ফেরেশতাগণ পাহারা দিবে।
হাদীছের বর্ণনাকারী ফাতেমা বিনতে কায়েস বলেন, নবী [সা.] হাতের লাঠি দিয়ে wg¤^v‡i আঘাত করতে করতে বললেন, এটাই মদীনা, এটাই মদীনা, এটাই মদীনা। অর্থাৎ এখানে দাজ্জাল আসতে পারবেনা। অতঃপর নবী [সা.] মানুষকে লক্ষ্য করে বললেন, তামীম দারীর হাদীছটি আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। তার বর্ণনা আমার বর্ণনার অনুরূপ হয়েছে। বিশেষ করে মক্কা ও মদীনা সম্পর্কে। শুনে রাখো! সে আছে সাম দেশের সাগরে (ভূমধ্য সাগরে) অথবা আরব সাগরে। তা নয় সে আছে পূর্ব দিকে। সে আছে পূর্ব দিকে। সে আছে পূর্ব দিকে। এই বলে তিনি পূর্ব দিকে ইঙ্গিত করে দেখালেন। ফাতেমা বিনতে কায়েস বলেন, আমি এই হাদীছটি নবী [সা.]এর নিকট থেকে মুখস্থ করে রেখেছি। [মুসলিম, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান]
দাজ্জালের যে সমস্ত ক্ষমতা দেখে মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়বে
ক) একস্থান হতে অন্য স্থানে দ্রুত পরিভ্রমণ : নাওয়াস বিন সামআন থেকে বর্ণিত, নবী [সা.]কে দাজ্জালের চলার গতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “দ্রুতগামী বাতাস বৃষ্টিকে যেভাবে চালিয়ে নেয় দাজ্জালের চলার গতিও সে রকম হবে। [মুসলিম, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান] তিনি আরো সংবাদ দিয়েছেন যে মক্কা ও মদীনা ব্যতীত পৃথিবীর সমস্ত অঞ্চল সে পরিভ্রমণ করবে। মক্কা ও মদীনার সমস্ত প্রবেশ পথে ফেরেশতাগণ তলোওয়ার হাতে নিয়ে পাহারা দিবে।
খ) দাজ্জালের সাথে থাকবে জান্নাত-জাহান্নাম : দাজ্জালের সাথে জান্নাত এবং জাহান্নাম থাকবে। প্রকৃত অবস্থা হবে সম্পূর্ণ বিপরীত। দাজ্জালের জাহান্নামের আগুন প্রকৃতপক্ষে সুমিষ্ট পানি এবং জান্নাত হবে জাহান্নামের আগুন। নবী [সা.] বলেন,
لَأَنَا أَعْلَمُ بِمَا مَعَ الدَّجَّالِ مِنْهُ مَعَهُ نَهْرَانِ يَجْرِيَانِ أَحَدُهُمَا رَأْيَ الْعَيْنِ مَاءٌ أَبْيَضُ وَالْآخَرُ رَأْيَ الْعَيْنِ نَارٌ تَأَجَّجُ فَإِمَّا أَدْرَكَنَّ أَحَدٌ فَلْيَأْتِ النَّهْرَ الَّذِي يَرَاهُ نَارًا وَلْيُغَمِّضْ ثُمَّ لْيُطَأْطِئْ رَأْسَهُ فَيَشْرَبَ مِنْهُ فَإِنَّهُ مَاءٌ بَارِدٌ وَإِنَّ الدَّجَّالَ مَمْسُوحُ الْعَيْنِ عَلَيْهَا ظَفَرَةٌ غَلِيظَةٌ مَكْتُوبٌ بَيْنَ عَيْنَيْهِ كَافِرٌ يَقْرَؤُهُ كُلُّ مُؤْمِنٍ كَاتِبٍ وَغَيْرِ كَاتِبٍ
“দাজ্জালের সাথে যা থাকবে তা আমি অবগত আছি। তার সাথে দুটি নদী প্রবাহিত থাকবে। বাহ্যিক দৃষ্টিতে একটিতে সুন্দর পরিস্কার পানি দেখা যাবে। অন্যটিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যাবে। যার সাথে দাজ্জালের সাক্ষাৎ হবে সে যেন দাজ্জালের আগুনে ঝাপ দিয়ে পড়ে এবং সেখান থেকে পান করে। কারণ উহা সুমিষ্ট পানি। তার চোখের উপরে মোটা আবরণ থাকবে। কপালে কাফের লেখা থাকবে। মূর্খ ও শিক্ষিত সকল ঈমানদার লোকই তা পড়তে সক্ষম হবে। [মুসলিম, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান]
গ) দাজ্জাল মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করবে : দাজ্জাল তার কর্মকান্ডে শয়তানের সহযোগীতা নিবে। শয়তান কেবল মিথ্যা ও গোমরাহী এবং কুফরী কাজেই সাহায্য করে থাকে। নবী [সা.] বলেন, দাজ্জাল মানুষের কাছে গিয়ে বলবেঃ আমি যদি তোমার মৃত পিতা-মাতাকে জীবিত করে দেখাই তাহলে কি তুমি আমাকে প্রভু হিসেবে মানবে? সে বলবে অবশ্যই মানব। এ সুযোগে শয়তান তার পিতা-মাতার আকৃতি ধরে সন্তানকে বলবেঃ হে সন্তান! তুমি তার অনুসরণ কর। সে তোমার প্রতিপালক। [সহিহুস জামে আস সাগীর, হাদিস নং- ৭৭৫২] হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই।
ঘ) জড় পদার্থ ও পশুরাও দাজ্জালের ডাকে সাড়া দেবে : দাজ্জালের ফিতনার মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে পরীক্ষা করবেন। দাজ্জাল আকাশকে আদেশ দিবে বৃষ্টি বর্ষণ করার জন্যে। আকাশ তার আদেশে বৃষ্টি বর্ষণ করবে। যমিনকে ফসল উৎপন্ন করতে বলবে। যমিন ফসল উৎপন্ন করবে। চতুষ্পদ জন্তুকে ডাক দিলে তারা দাজ্জালের ডাকে সাড়া দিবে। ধ্বংস প্রাপ্ত ঘরবাড়িকে তার নিচে লুকায়িত গুপ্তধন বের করতে বলবে। নবী [সা.] বলেন, “দাজ্জাল এক জনসমাজে গিয়ে মানুষকে তার প্রতি ঈমান আনয়নের আহবান জানাবে। এতে তারা ঈমান আনবে। দাজ্জাল তাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করার জন্য আকাশকে আদেশ দিবে। আকাশ বৃষ্টি বর্ষণ করবে, যমিন ফসল উৎপন্ন করবে এবং তাদের পশুপাল ও চতুষ্পদ জন্তুগুলো অধিক মোটা-তাজা হবে এবং পূর্বের তুলনায় বেশী দুধ প্রদান করবে। অতঃপর অন্য একটি জনসমাজে গিয়ে মানুষকে তার প্রতি ঈমান আনয়নের আহবান জানাবে। লোকেরা তার কথা প্রত্যাখ্যান করবে। দাজ্জাল তাদের নিকট থেকে ব্যর্থ হয়ে ফেরত আসবে। এতে তারা চরম অভাবে পড়বে। তাদের ক্ষেত-খামারে চরম ফসলহানি দেখা দিবে। দাজ্জাল পরিত্যক্ত ভূমিকে তার নিচে লুকায়িত গুপ্তধন বের করতে বলবে। গুপ্তধনগুলো বের হয়ে মৌমাছির দলের ন্যায় তার পিছে পিছে চলতে থাকবে। [মুসলিম, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান]
ঙ) দাজ্জাল একজন মুমিন যুবককে হত্যা করে পুনরায় জীবিত করবে : নবী [সা.] বলেন, দাজ্জাাল বের হয়ে মদীনার দিকে অগ্রসর হবে। যেহেতু মদীনায় দাজ্জালের প্রবেশ নিষেধ তাই সে মদীনার নিকটবর্র্তী একটি স্থানে অবস্থান করবে। তার কাছে একজন মুমিন লোক গমণ করবেন। তিনি হবেন ঐ যামানার সর্বোত্তম মুমিন। দাজ্জালকে দেখে তিনি বলবেনঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি সেই দাজ্জাল যার সম্পর্কে রাসূল [সা.] আমাদেরকে সাবধান করেছেন। তখন দাজ্জাল উপস্থিত মানুষকে লক্ষ্য করে বলবেঃ আমি যদি একে হত্যা করে জীবিত করতে পারি তাহলে কি তোমরা আমার ব্যাপারে কোন সন্দেহ পোষণ করবে? লোকেরা বলবেঃ না। অতঃপর সে উক্ত মুমিনকে হত্যা করে পুনরায় জীবিত করবে। এ পর্যায়ে যুবকটি বলবেঃ আল্লাহর শপথ! তুমি যে মিথ্যুক দাজ্জাল- এ সম্পর্কে আমার বিশ্বাস আগের তুলনায় আরো মজবুত হলো। দাজ্জাল তাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করার চেষ্টা করবে। কিন্তু তাঁকে হত্যা করতে সক্ষম হবেনা। [বুখারি, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান]
মুসলিম শরীফের বর্ণনায় এসেছে উক্ত যুবক দাজ্জালকে দেখে বলবেঃ হে লোক সকল! এটি সেই দাজ্জাল যা থেকে নবী [সা.] আমাদেরকে সাবধান করেছেন। অতঃপর দাজ্জাল তার অনুসারীদেরকে বলবেঃ একে ধর এবং প্রহার কর। তাকে মেরে-পিটে যখম করা হবে। অতঃপর দাজ্জাল তাকে জিজ্ঞেস করবে এখনও কি আমার প্রতি ঈমান আনবেনা? নবী [সা.] বলেন, উক্ত যুবক বলবেনঃ তুমি মিথ্যাবাদী দাজ্জাল। তারপর দাজ্জালের আদেশে তার মাথায় করাত লাগিয়ে দ্বিখন্ডিত করে ফেলবে। দাজ্জাল দু’খন্ডের মাঝ দিয়ে হাঁটাহাঁটি করবে। অতঃপর বলবেঃ উঠে দাড়াও। তিনি উঠে দাড়াবেন। দাজ্জাল বলবে এখনও ঈমান আনবেনা? তিনি বলবেনঃ তুমি মিথ্যুক দাজ্জাল হওয়ার ব্যাপারে এখন আমার বিশ্বাস আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। অতঃপর তিনি বলবেনঃ হে লোক সকল! আমার পরে আর কারো সাথে এরূপ করতে পারবেনা। অতঃপর দাজ্জাল তাকে পাকড়াও করে আবার যবেহ করার চেষ্টা করবে। কিন্তু তার গলায় যবেহ করার স্থানটি তামায় পরিণত হয়ে যাবে। কাজেই সে যবেহ করতে ব্যর্থ হবে। অতঃপর তাঁর হাতে-পায়ে ধরে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে। লোকেরা মনে করবে তাকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছে। অথচ সে জান্নাতে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। নবী [সা.] বলেন, এই ব্যক্তি হবে পৃথিবীতে সেদিন সবচেয়ে মহা সত্যের সাক্ষ্য দানকারীমুমিন। [মুসলিম, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান]
দাজ্জাল কোথা থেকে বের হবে? দাজ্জাল বের হওয়ার স্থান সম্পর্কেও রাসূল [সা.] বর্ণনা দিয়েছেন। সে পূর্ব দিকের পারস্য দেশ থেকে বের হবে। সে স্থানটির নাম হবে খোরাসান। সেখান থেকে বের হয়ে সমগ্র দুনিয়া ভ্রমণ করবে। তবে মক্কা এবং মদীনায় প্রবেশ করতে পারবেনা। ফেরেশতাগণ সেদিন মক্কা-মদীনার প্রবেশ পথসমূহে তরবারি নিয়ে পাহারা দিবে। নবী [সা.] বলেন, পূর্বের কোন একটি দেশ থেকে দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে যার বর্তমান নাম খোরাসান। [তিরমিজি, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান]
দাজ্জাল মক্কা ও মদীনায় প্রবেশ করতে পারবে না : সহীহ হাদীছের বিবরণ অনুযায়ী দাজ্জালের জন্যে মক্কা ও মদীনাতে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। মক্কা ও মদীনা ব্যতীত পৃথিবীর সকল স্থানেই সে প্রবেশ করবে। ফাতেমা বিনতে কায়েস [রা.] কর্তৃক বর্ণিত দাজ্জালের হাদীছে এসেছে অতঃপর দাজ্জাল বললোঃ আমি হলাম দাজ্জাল। অচিরেই আমাকে বের হওয়ার অনুমতি দেয়া হবে। আমি বের হয়ে চল্লিশ দিনের ভিতরে পৃথিবীর সমস্ত দেশ ভ্রমণ করবো। তবে মক্কা-মদীনায় প্রবেশ করা আমার জন্য নিষিদ্ধ থাকবে। যখনই আমি মক্কা বা মদীনায় প্রবেশ করতে চাইবো তখনই কোষমুক্ত তলোয়ার হাতে নিয়ে ফেরেশতাগণ আমাকে তাড়া করবে। মক্কা-মদীনার প্রতিটি প্রবেশ পথে ফেরেশতাগণ পাহারা দিবে। [মুসলিম, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান] সে সময় মদীনা শরীফ তিনবার কেঁপে উঠবে এবং প্রত্যেক মুনাফেক এবং কাফেরকে বের করে দিবে। যারা দাজ্জালের নিকট যাবে এবং তার ফিতনায় পড়বে তাদের অধিকাংশই হবে মহিলা। দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচানোর জন্য পুরুষেরা তাদের স্ত্রী, মা, বোন, কন্যা, ফুফু এবং অন্যান্য স্বজন মহিলাদেরকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখবে।
দাজ্জাল পৃথিবীতে কত দিন থাকবে? সাহাবীগণ রাসূল [সা.]কে জিজ্ঞেস করেছেন দাজ্জাল পৃথিবীতে কত দিন অবস্থান করবে? উত্তরে তিনি বলেছেনঃ সে চল্লিশ দিন অবস্থান করবে। প্রথম দিনটি হবে এক বছরের মত লম্বা। দ্বিতীয় দিনটি হবে এক মাসের মত। তৃতীয় দিনটি হবে এক সপ্তাহের মত। আর বাকী দিনগুলো দুনিয়ার স্বাভাবিক দিনের মতই হবে। আমরা বললামঃ যে দিনটি এক বছরের মত দীর্ঘ হবে সে দিন কি এক দিনের নামাযই যথেষ্ট হবে? উত্তরে তিনি বললেন, না; বরং তোমরা অনুমান করে সময় নির্ধারণ করে নামায পড়বে। [মুসলিম, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান]
কারা দাজ্জালের অনুসরণ করবে? দাজ্জালের অধিকাংশ অনুসারী হবে ইহুদী, তুর্কী এবং অনারব লোক। তাদের অধিকাংশই হবে গ্রাম্য মূর্খ এবং মহিলা। ইহুদীরা মিথ্যুক কানা দাজ্জালের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী দাজ্জাল হবে তাদের বাদশা। তার নেতৃত্বে তারা বিশ্ব পরিচালনা করবে। নবী [সা.] বলেন, দাজ্জালের অধিকাংশ অনুসারী হবে ইহুদী এবং মহিলা। [মুসনাদে আহমদ] তিনি আরো বলেন, ইস্পাহানের সত্তর হাজার ইহুদী দাজ্জালের অনুসরণ করবে। তাদের সবার পরনে থাকবে সেলাই বিহীন চাদর। [মুসলিম, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান]
গ্রাম্য অশিক্ষিত লোকেরা মূর্খতার কারণে এবং দাজ্জালের পরিচয় সম্পর্কে তাদের জ্ঞান না থাকার কারণে দাজ্জালের অলৌকিক ক্ষমতা দেখে তারা ফিতনায় পড়বে। মহিলাদের ব্যাপারটিও অনুরূপ। তারা সহজেই যে কোন জিনিষ দেখে প্রভাবিত হয়ে থাকে।
দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার উপায় : নবী [সা.] দাজ্জালের ফিতনা হতে রেহাই পাওয়ার উপায়ও বলে দিয়েছেন। তিনি উম্মাতকে একটি সুস্পষ্ট দ্বীনের উপর রেখে গেছেন। সকল প্রকার কল্যাণের পথ প্রদর্শন করেছেন এবং সকল অকল্যাণের পথ হতে সতর্ক করেছেন। উম্মাতের উপরে যেহেতু দাজ্জালের ফিতনা সবচেয়ে বড় তাই তিনি দাজ্জালের ফিতনা থেকে কঠোরভাবে সাবধান করেছেন এবং দাজ্জালের লক্ষণগুলো সুস্পষ্ট করে বর্ণনা করেছেন। যাতে মুমিন বান্দাদের জন্য এই প্রতারক, ধোকাবাজ ও মিথ্যুক দাজ্জালকে চিনতে কোনরূপ অসুবিধা না হয়।
ইমাম সাফারায়েনী (রঃ) বলেন, প্রতিটি বিজ্ঞ মুসলিমের উচিৎ তার ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী-পরিবার এবং সকল নারী-পুরুষদের জন্য দাজ্জালের হাদীছগুলো বর্ণনা করা। বিশেষ করে ফিতনায় পরিপূর্ণ আমাদের বর্তমান যামানায়। দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার উপায়গুলো নিম্নরূপঃ-
১) ইসলামকে সঠিকভাবে আঁকড়িয়ে ধরা : ইসলামকে সঠিকভাবে আঁকড়িয়ে ধরা এবং ঈমানের উপর অটল থাকাই দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়। যে মুমিন আল্লাহর নাম ও তাঁর অতুলনীয় সুমহান গুণাবলী সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করবে সে অতি সহজেই দাজ্জালকে চিনতে পারবে। সে দেখতে পাবে দাজ্জাল খায় পান করে। মুমিনের আকীদা এই যে, আল্লাহ তা’আলা পানাহার ও অন্যান্য মানবীয় দোষ-গুণ থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র। যে পানাহারের প্রতি মুখাপেক্ষী সে কখনও আল্লাহ বা রব্ব হতে পারেনা। দাজ্জাল হবে অন্ধ। আল্লাহ এরূপ দোষ-ত্রুটির অনেক উর্ধে। আল্লাহর গুণাবলী সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণার অধিকারী মুমিনগণের মনে প্রশ্ন জাগবে যে নিজের দোষ থেকে মুক্ত হতে পারেনা সে কিভাবে প্রভু হতে পারে? মুমিনের আকীদা এই যে, আল্লাহকে দুনীয়ার জীবনে দেখা সম্ভব নয়। অথচ মিথ্যুক দাজ্জালকে মুমিন-কাফের সবাই দুনিয়াতে দেখতে পাবে।
২) দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা : আয়েশা [রা.] বলেন, আমি নবী [সা.]কে নামাযের ভিতরে দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাইতে শুনেছি। [বুখারি, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান] তিনি নামাযের শেষ তাশাহুদে বলতেন
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ عَذَابِ النَّارِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ
হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কবরের আযাব, জাহান্নামের আযাব, জীবন-মরণের ফিতনা এবং মিথ্যুক দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই। [বুখারি, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান]
৩) দাজ্জাল থেকে দূরে থাকা : নবী [সা.] দাজ্জালের নিকট যেতে নিষেধ করেছেন। কারণ সে এমন একজন লোকের কাছে আসবে, যে নিজেকে ঈমানদার মনে করবে। দাজ্জালের কাজ-কর্ম দেখে সে বিভ্রান্তিতে পড়ে ঈমান হারা হয়ে যাবে। মুমিনের জন্য উত্তম হলো সম্ভব হলে সে সময়ে মদীনা অথবা মক্কায় বসবাস করার চেষ্টা করা। কারণ দাজ্জাল তথায় প্রবেশ করতে পারবেনা। নবী [সা.] বলেন, যে ব্যক্তি দাজ্জাল বের হওয়ার কথা শুনবে সে যেন তার কাছে না যায়। আল্লাহর শপথ! এমন একজন লোক দাজ্জালের নিকটে যাবে যে নিজেকে ঈমানদার মনে করবে। অতঃপর সে দাজ্জালের সাথে প্রেরিত সন্দেহময় জিনিষগুলো ও তার কাজ-কর্ম দেখে বিভ্রান্তিতে পড়ে ঈমান হারা হয়ে তার অনুসারী হয়ে যাবে। হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই।
৪) সূরা কাহাফ পাঠ করা : নবী [সা.] দাজ্জালের ফিতনার সম্মুখিন হলে মুমিনদেরকে সূরা কাহাফ মুখস্থ করতে এবং তা পাঠ করতে আদেশ করেছেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা হতে হেফাযতে থাকবে। [মুসলিম, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান]
সূরা কাহাফ পাঠের নির্দেশ সম্ভবতঃ এজন্য হতে পারে যে, এই সূরায় আল্লাহ তা’আলা বিস্ময়কর বড় বড় কয়েকটি ঘটনা বর্ণনা করেছেন। মুমিন ব্যক্তি এগুলো গভীরভাবে পাঠ করলে দাজ্জালের বিস্ময়কর ঘটনা দেখে কিছুতেই বিচলিত হবেনা। এতে সে হতাশ হয়ে বিভ্রান্তিতেও পড়বেনা।
দাজ্জালের শেষ পরিণতি : সহীহ হাদীছের বিবরণ অনুযায়ী ঈসা ইবনে মারইয়াম [আ.]-এর হাতে দাজ্জাল নিহত হবে। বিস্তারিত বিবরণ এই যে, মক্কা-মদীনা ব্যতীত পৃথিবীর সকল দেশেই সে প্রবেশ করবে। তার অনুসারীর সংখ্যা হবে প্রচুর। সমগ্র দুনিয়ায় তার ফিতনা ছড়িয়ে পড়বে। সামান্য সংখ্যক মুমিনই তার ফিতনা থেকে রেহাই পাবে। ঠিক সে সময় দামেস্ক শহরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত এক মসজিদের সাদা মিনারের উপর ঈসা [আ.] আকাশ থেকে অবতরণ করবেন। মুসলমানগণ তার পার্শ্বে একত্রিত হবে। তাদেরকে সাথে নিয়ে তিনি দাজ্জালের দিকে রওনা দিবেন। দাজ্জাল সে সময় বায়তুল মাকদিসের দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। অতঃপর ঈসা [আ.] ফিলিস্তীনের লুদ্দ শহরের গেইটে দাজ্জালকে পাকড়াও করবেন। ঈসা [আ.]-কে দেখে সে পানিতে লবন গলার ন্যায় গলতে শুরু করবে। ঈসা [আ.] তাকে লক্ষ্য করে বলবেনঃ “তোমাকে আমি একটি আঘাত করবো যা থেকে তুমি কখনও রেহাই পাবেনা।মুমিন ঈসা [আ.] তাকে বর্শা দিয়ে আঘাত করবেন। অতঃপর মুসলমানেরা তাঁর নেতৃত্বে ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। মুসলমানদের হাতে দাজ্জালের বাহিনী ইহুদীর দল পরাজিত হবে। তারা কোথাও পালাবার স্থান পাবেনা। গাছের আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলে গাছ বলবেঃ হে মুসলিম! আসো, আমার পিছনে একজন ইহুদী লকিয়ে আছে। আসো এবং তাকে হত্যা কর। পাথর বা দেয়ালের পিছনে পলায়ন করলে পাথর বা দেয়াল বলবেঃ হে মুসলিম! আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে, আসো! তাকে হত্যা কর। তবে গারকাদ নামক গাছ ইহুদীদেরকে গোপন করার চেষ্টা করবে। কেননা সেটি ইহুদীদের বৃক্ষ বলে পরিচিত। [নেহায়া, আল-ফিতান ওয়াল মালাহিম ১/১২৮-১২৯]
সহীহ মুসলিম শরীফে আবু হুরায়রা [রা.] হতে বর্ণিত, নবী [সা.] বলেন,
لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يُقَاتِلَ الْمُسْلِمُونَ الْيَهُودَ فَيَقْتُلُهُمُ الْمُسْلِمُونَ حَتَّى يَخْتَبِئَ الْيَهُودِيُّ مِنْ وَرَاءِ الْحَجَرِ وَالشَّجَرِ فَيَقُولُ الْحَجَرُ أَوِ الشَّجَرُ يَا مُسْلِمُ يَا عَبْدَ اللَّهِ هَذَا يَهُودِيٌّ خَلْفِي فَتَعَالَ فَاقْتُلْهُ إِلَّا الْغَرْقَدَ فَإِنَّهُ مِنْ شَجَرِ الْيَهُودِ
ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবেনা যতক্ষণ না মুসলমানেরা ইহুদীদের সাথে যুদ্ধ করবে। অতঃপর মুসলমানগণ ইহুদীরকে হত্যা করবে। ইহুদীরা গাছ ও পাথরের আড়ালে পালাতে চেষ্টা করবে। কিন্তু কেউ তাদেরকে আশ্রয় দিবেনা। গাছ বা পাথর বলবেঃ হে মুসলমান! হে আল্লাহর বান্দা! আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে। আসো এবং তাকে হত্যা করো। তবে ‘গারকাদ’ নামক গাছের পিছনে লুকালে গারকাদ গাছ কোন কথা বলবেনা। এটি ইহুদীদের গাছ বলে পরিচিত। [মুসলিম, অধ্যায় : কিতাবুল ফিতান]
Share:

ব্যান্ডউইথের দাম কমিয়েছে বিটিসিএল

ডেটা ও ইন্টারনেট সেবার মূল্য পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। প্রতি এমবিপিএসের জন্য ব্যান্ডউইথ চার্জ মাসিক সর্বোচ্চ ৯৬০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৩৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিটিসিএলের এক বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় নতুন মূল্যহার গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিটিসিএলের ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি), ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেব্ল (আইটিসি), ন্যাশনাল ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ (নিক্স), ডেটা-নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত বিভিন্ন ডেটা ও ইন্টারনেট সেবার মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ চার্জ ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।
পুনর্নির্ধারিত এ দামে উচ্চহারে ব্যান্ডউইথ ব্যবহারকারীদের জন্য হ্রাসকৃত হারের বিশেষ সুযোগ রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বিটিসিএলের ওয়েবসাইট www. btcl. gov. bd এ লগইন করতে বলা হয়েছে।
Share:

বয়ফ্রেন্ডের সামনে নগ্ন হয়ে যা করলেন তরুণী

শপিংমলে জামাকাপড় খুলে নগ্ন হয়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে আকস্মিক আচারণ করলেন এক তরুণী। ঘটনাটি দেখে অবাক হয়ে পড়ে তার বয়ফ্রেন্ড সহ আশপাশের লোকজন। পরবর্তিতে তরুণীটিকে জামাকাপড় পরানোর চেষ্টা করতে দেখা যায় তার বয়ফ্রেন্ডকে। ঘটনাটি ঘটেছে চিনের একটি শপিংমলে। শপিং সেন্টারের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিওর বিবরণে দেখা গেছে, প্রাথমিক ভাবে মেয়েটির তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে কথপোকথন করছিলেন এমন এক পর্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটি জামা কাপড় খুলতে শুরু করেন। এবং এক পর্যায় নগ্ন হয়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে বাকবিতন্ড শুরু করেন। মেয়েটির এই অদ্ভুদ কান্ড দেখে আশপাশের লোকজন ভিড় জমাতে থাকে। কেন এমন কান্ড করে বসলেন মেয়েটি? ভিডিও রেকর্ড পর্যালোচনা করে বোঝা যাচ্ছে আইফোন কেনাকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটেছে।
Share:

নামেই শুধু ছাত্রী হোস্টেল, কাজে…

1লাকমিনা জেসমিন সোমাঃ শরতের স্বচ্ছ আকাশ। চারদিকে ঝলমলে রোদ। শহর কিংবা গ্রামের বাড়িগুলোতে তখন ঘরভর্তি আলো। এমন দিনে রাজধানীর খামারবাড়ির মনিপুরিপাড়া এলাকার একটি ছাত্রী হোস্টেলে গিয়ে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। ছাত্রীনিবাসটির চতুর্থ তলার একটি কক্ষে ঢুকতেই হঠাৎ যেন রাত নেমে এলো। জানালাবিহীন হার্ডবোর্ডে মোড়া ওই কক্ষের দুই শিক্ষার্থী জানালেন, বিদ্যুৎ না থাকলে তাদের কাছে রাত-দিন সবই সমান। কখন সকাল হচ্ছে আর কখন বিকাল, কিছুই বুঝতে পারেন না। এমনকি রুমের সামনের গলি পার হয়ে বারান্দায় না গেলে ঝড়-বৃষ্টিও অাঁচ করতে পারেন না তারা।
এটি মনিপুরিপাড়ার ২ নম্বর গেট সংলগ্ন ‘মাই হোম ছাত্রী হোস্টেল’ নামের এই ছাত্রীনিবাসের চিত্র। এই হোস্টেল ঘুরে এমন আরও অনেক অভিযোগ পাওয়া গেল। শুধু এই হোস্টেলই নয়, রাজধানীতে গড়ে ওঠা ছাত্রী হোস্টেলগুলোর এমনই অবস্থা। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় একচেটিয়া ব্যবসা করে যাচ্ছেন মেস মালিক বা হোস্টেল ব্যবসায়ীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তথ্যমতে, রাজধানীতে প্রায় দেড় লাখ ছাত্রী রয়েছেন, যারা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। এই ছাত্রীদের বেশির ভাগই ঢাকার বাইরে থেকে আসা। অন্যদিকে কর্মজীবী নারীদের জন্য রাজধানীতে সরকারি হোস্টেল আছে মাত্র তিনটি। এগুলোতে সবমিলিয়ে ৮৩০টি আসন। আর সে কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হাতেগোনা কয়েকটি হল ও সরকারি হোস্টেল ছাড়া বাকিরা আশ্রয় নেন ব্যক্তিমালিকানাধীন এই হোস্টেলগুলোতে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হোস্টেল মালিকরা সবচেয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন এইচএসসি পরীক্ষার পর। এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আশায় মফস্বল থেকে হাজার হাজার ছাত্রী ঢাকা আসেন কোচিং করতে। রাজধানীর ফার্মগেট, মনিপুরিপাড়া, রাজাবাজার, গ্রীনরোড, আজিমপুর, মগবাজার, বকশীবাজার, নীলক্ষেত, মোহাম্মদপুর, আসাদগেট, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালমাটিয়াসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ছাত্রী হোস্টেলগুলোতে ভিড় জমান ছাত্রীরা। এই সুযোগে তাদের জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন হোস্টেল ব্যবসায়ীরা।
হোস্টেলগুলোর কমন সমস্যার মধ্যে রয়েছে ইচ্ছামতো ভাড়া আদায়, নিম্নমানের খাবার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং নিরাপত্তাহীনতা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি ‘ভিআইপি’ ছাত্রী হোস্টেল ঘুরে দেখা গেছে শিক্ষার্থীরা হাজার হাজার টাকা সিটভাড়া দিয়েও বস্তিবাসীর মতো জীবন-যাপন করছেন। অফিস বা ফ্যামিলি বাসা ভাড়া নিয়ে হোস্টেল পরিচালনা করছেন ব্যবসায়ীরা। বাড়িগুলোকে বাণিজ্যিক হোস্টেল হিসেবে চালানোর জন্য একেকটি রুমকে পাতলা হার্ডবোর্ডের পার্টিশন দিয়ে কখনো দুই ভাগে আবার কখনো চার ভাগে ভাগ করা হচ্ছে। ফলে হোস্টেলগুলোতে সিঙ্গেল এবং ভিআইপি রুম হিসেবে কখনো কিচেনে আবার কখনো বারান্দায় ঠাঁই হচ্ছে ছাত্রীদের। এরপর কবুতরের খোঁপের মতো ওই হার্ডবোর্ডে মোড়া রুমগুলোকে সিঙ্গেল রুম হিসেবে চালিয়ে পাঁচ থেকে আট-দশ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। রুমগুলোতে সর্বোচ্চ দুই হাত চওড়া খাট ছাড়া চেয়ার-টেবিল রাখার জায়গা থাকে না। কোনোরকম একটি করে টেবিল দেওয়া হলেও সেগুলো এতই ছোট যে তা কোনো কাজেই আসে না। খাওয়া-দাওয়া, পড়াশোনা, আড্ডা কিংবা ঘুম, সবই করতে হয় ওই ছোট্ট বেডের ওপরেই। মাইহোম হোস্টেলের আইইউবিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী বলেন, হার্ডবোর্ডে ঘেরা এই রুমগুলোতে সিঙ্গেল থাকা না থাকা সমান কথা। পাশের রুমের কারও মোবাইলে সামান্য ভাইব্রেশন হলেও তা অন্যরুম থেকে শোনা যায়। একই এলাকার ‘উইমেন্স স্টাডি হোম’ হোস্টেলের এক ছাত্রী বলেন, তাদের হোস্টেলে প্রায় ১৫ জনের জন্য বাথরুম আছে মাত্র একটি। রাজধানীতে বহুল পরিচিত নিবেদিকা ছাত্রী হোস্টেলই রয়েছে কমপক্ষে ৭০টি। এর বাইরে মেস মালিকদের সংগঠন হোস্টেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হোয়াব) তথ্যমতে, রাজধানীতে তাদের অন্তর্ভুক্ত প্রায় ৫৭টি হোস্টেল রয়েছে। এগুলোর শাখা-প্রশাখা মিলিয়ে ছাত্রী হোস্টেলের সংখ্যা দুই শতাধিক।
ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত এই হোস্টেলগুলোর মধ্যে এমন ভবনও আছে যেখানে গ্যাস সংযোগ নেই। অন্যদিকে লিফট্ ভাড়া, জেনারেটর ভাড়া আদায় করলেও সেগুলো কখনোই চালু রাখা হয় না। বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা। নিবেদিকা হোস্টেলের লালমাটিয়া শাখার মেডিকেল ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের হোস্টেলে জনপ্রতি ল্যাপটপের জন্য অতিরিক্ত ১০০ টাকা, ফ্রিজের জন্য ৫০০ টাকা, রাইসকুকার এবং ওয়াটার হিটারের জন্য ৩০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।
নিবেদিকা হোস্টেলের একটি শাখার পরিচালক বলেন, ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা না নিয়েও উপায় থাকে না। তাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পাড়া-মহল্লার মাস্তান কিংবা নেতাদের বহু টাকা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে এভাবে হোস্টেল ব্যবসা করা যেত না।
হোস্টেলগুলোতে খাবার পরিবেশন হয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। কঠোর নিয়ম-নীতি ও নিরাপত্তার কথা বললেও প্রায়ই ঘটে চুরির ঘটনা। কখনো হোস্টেলের ভিতরের আবার কখনো বহিরাগত চোরের খপ্পরে টাকা-পয়সা, মোবাইল, ইলেকট্রনিক সামগ্রীসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হারান ছাত্রীরা।
নিবেদিকা ছাত্রী হোস্টেলের বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে মনিপুরি শাখার হোস্টেল সুপার সুমির সঙ্গে যোগাযোগ করলে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। বলেন, ‘তাই না কি? জানতাম না তো!’ অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বরং আরও ভালোভাবে হোস্টেল ঘুরে দেখার পরামর্শ দেন তিনি।
Share:

গোপন যে রোগের কথা কাউকে যায় না বলা: "ক্ল্যামাইডিয়া" -

জীবনের জন্য জেনে রাখা জরুরী এমন একটি বিষয় হলো যৌনরোগ। অনেকেইবিরক্ত হয়ে ভাববেন, আমি জেনে কী করবো? আমার তো কখনো এমন রোগ হবেইনা!বাস্তবতা কিন্তু অনেক কঠিন। আর তাই এসব রোগ সম্পর্কে জেনে রাখাটাও ভীষণজরুরী। এ ব্যাপারে প্রিয়.কম প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন ময়মসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার লুৎফুন্নাহার নিবিড়। ক্ল্যামাইডিয়ার ব্যাপারে খুব বেশি মানুষ জানেন না। না জানলেও এটি যৌনরোগ হিসেবে ছড়াতে পারে নারীপুরুষ উভয়ের মাঝেই। সময়মতো চিকিৎসা করা না হলে ইনফেকশন বাজে অবস্থায় পৌঁছাতে পারে। যা থেকে নারীর সন্তান ধারনে অক্ষমতার মতো জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। পুরুষের ক্ষেত্রে ইউরেথ্রা, এপিডাইডিমিস অথবা রেক্টামের ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। কী করে বুঝবেন ক্ল্যামাইডিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন আপনি? ক্ল্যামাইডিয়ায় আক্রান্ত হবার পর লক্ষণগুলো মোটামুটি ২-৩ সপ্তাহের মাঝে বোঝা যায়। মূলত নারীর যৌনাঙ্গ থেকে দুর্গন্ধযুক্ত সাদা তরল নিঃসরণ হতে দেখা যায়। মুত্রত্যাগের সময়ে, পিরিয়ডের সময়ে এবং শারীরিক সম্পর্কের সময়ে ব্যাথা, পিরিয়ড ছাড়াও রক্তক্ষরণ হতে পারে ক্ল্যামাইডিয়ার উপসর্গ। পুরুষের মাঝে যৌনাঙ্গ থেকে সাদাটে তরল নিঃসরণ এবং মুত্রত্যাগে ব্যাথা ছাড়াও একটি বা উভয় অন্ডকোষে ব্যাথা থাকতে পারে। এছাড়াও অ্যানাল সেক্সে অভ্যস্ত ব্যক্তিদের মলাশয় থেকে এমন তরল নিঃসরণ হতে পারে। ক্ল্যামাইডিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন এমন সন্দেহ হলে অবশ্যই যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ডাক্তার দেখিয়ে নিশ্চিত হতে হবে। যদি জানা যায় আপনার ক্ল্যামাইডিয়া হয়েছে তবে এর চিকিৎসা তো করাবেনই, পাশাপাশি আপনার সাথে যৌন সম্পর্ক ছিলো যার বা যাদের, তাদেরকে জানানো উচিৎ, যাতে তারা আপনার থেকে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া যায়। ক্ল্যামাইডিয়া কীভাবে ছড়ায়? যেহেতু এটি যৌনরোগ, সুতরাং যৌন সম্পর্ক স্থাপনের সময়েই এটি ছড়ায়। ছড়াতে পারে অ্যানাল সেক্স থেকেও। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার জেনে রাখা দরকার ক্ল্যামাইডিয়ার ব্যাপারে। তা হলো গর্ভবতী মায়ের যদি ক্ল্যামাইডিয়া থেকে থাকে, তবে স্বাভাবিক ডেলিভারির সময়ে তার সন্তানের শরীরেও তা ছড়াতে পারে। মূলত শিশুর চোখে এভাবে ছড়াতে পারে ক্ল্যামাইডিয়া। তবে মায়ের ক্ল্যামাইডিয়া আছে জানতে পারা গেলে সার্জারির মাধ্যমে ডেলিভারি করা যেতে পারে, এতে শিশুতে ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে না। ক্ল্যামাইডিয়া হলে কী করা যেতে পারে? ক্ল্যামাইডিয়া এড়িয়ে চলার জন্যই বা কী করা যেতে পারে? ডাক্তার নিবিড়ের মতে, আপনিযদি জেনে থাকেন আপনার ক্ল্যামাইডিয়া আছে, তবে অবশ্যই যৌনসম্পর্ক হতে বিরত থাকুন। সকল পরিস্থিতিতে কনডম ব্যবহার করুন। আপনার যদিধারণা হয়ে আপনার বা আপনার পরিচিত কারও এই রোগ হয়েছে, তাহলে লজ্জা না পেয়ে খোলাখুলিকথা বলুন। ডাক্তারের কাছেও কিছু লুকোবেন না। একাধিক মানুষের সাথে যৌনসম্পর্ক থাকলে ছড়াবে এই রোগ। এ কারণে বিশ্বস্ত থাকুন জীবনসঙ্গীর প্রতি এবংকনডম ব্যবহার করুন সঠিকভাবে। যাদের ইতোমধ্যে একবার ক্ল্যামাইডিয়া হয়েছে তারা আরও বেশি সাবধান থাকুন কারণে তাদের এই রোগ পুনরায় হবার সম্ভাবনা বেশি।
Share:

খালেদার দেশে ফেরা বিলম্ব হচ্ছে

খালেদা জিয়া। ফাইল ছবিলন্ডন সফররত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু চিকিৎসার জন্য তাঁর দেশে ফেরা বিলম্ব হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
যুক্তরাজ্য বিএনপি ও লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামীকাল বুধবার খালেদা জিয়া বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে টিকিট নির্ধারিত ছিল। কিন্তু তাঁর চিকিৎসা শেষ না হওয়ার কারণে ফেরার সময় পেছানো হয়েছে। তিনি কবে দেশে ফিরবেন তা সম্পূর্ণ চিকিৎসকের পরামর্শের ওপর নির্ভর করছে বলে জানান তাঁরা।
তবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কিংবা বাংলাদেশে ফেরার বিষয়ে উদ্ধৃত হতে চাননি এসব নেতা। তারা জানান, ছেলে তারেক রহমান নিজেই তাঁর মায়ের চিকিৎসার বিষয়টি দেখাশোনা করছেন। ফলে এসব বিষয়ে তাঁরা সুনির্দিষ্ট করে কিছুই জানেন না। জানা গেছে, খালেদা জিয়ার দুই চোখের ক্যাটারেক্ট অপারেশন করতে হবে।
বিএনপির একজন নেতা জানান, চিকিৎসক বলেছেন, দুই চোখের অপারেশন একসঙ্গে করা হবে না। এক চোখের অপারেশন করার সপ্তাহখানেক পর অন্য চোখের অপারেশন করা হবে। আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনো চোখের অপারেশন করা হয়নি বলে জানা গেছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর লন্ডনে আসেন খালেদা জিয়া। তিনি লন্ডনের কিংসটনে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় একান্ত পারিবারিকভাবে সময় পার করছেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি যুক্তরাজ্য বিএনপির আয়োজনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে একটি অনুষ্ঠানে হাজির হন। এ পর্যন্ত ওইটাই লন্ডন সফরে খালেদার একমাত্র প্রকাশ্য সভা।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সফরের তিন দিনের মাথায় যুক্তরাজ্য বিএনপির ওপর সারির কয়েকজন নেতা বাসায় গিয়ে খালেদার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান। এরপর ধাপে ধাপে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতারা খালেদার সাঙ্গে সাক্ষাতের কথা থাকলেও তা হয়নি বলে জানা গেছে।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক প্রথম আলোকে বলেন, ম্যাডামের চিকিৎসার বিষয়টিকে আগে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে নেতা-কর্মীরা সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়াকে নিয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপি একটি সভা করার প্রত্যাশা করছে বলে জানান তিনি।
Share:

সফলতার স্বাদ পেতে জীবন থেকে বাদ দিন এই ক্ষতিকর আবেগগুলো


 সফল ও সুখী জীবন সকলেরই কাম্য। কিন্তু সফলতা পেতে বেশ কাঠখড়ই পোড়াতে হয়। তারপরও অনেকের হাতে ধরা দেয় সলফতা, জীবনে আসে সুখ। আবার অনেকেই বঞ্চিত হন এই স্বাদ থেকে। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন, কেন সেই মানুষটি সফল, কেন আপনি নন? জীবনে সুখ পেতে এবং সফলতা আনতে হলে কিছু ব্যাপার বাদ দিতে হয়। আর এই বাদ দেয়ার তালিকায় প্রথমেই পড়ে আপনার নিজের ভেতরের কিছু ক্ষতিকর আবেগ। এই আবেগগুলো বাদ দিন আজ থেকেই। তবেই জীবনটাকে সাজাতে পারবেন সুখী ও সুন্দর করে, আনতে পারবেন সফলতা।

১) উদ্বেগ

দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ খুবই ক্ষতিকর ধরণের আবেগ। যখনই আপনার কোনো একটি ব্যাপার নিয়ে উদ্বেগ কাজ করবে, মনে রাখবেন তখনই আপনি নিজেকে একটি স্থানে আটকে ফেলছেন। কারণ এভাবে করলে কী হবে, সেভাবে হলে কী হবে, পরবর্তীতে কী হবে এই ধরণের এই চিন্তাগুলো যখন মাথায় কাজ করতে থাকে তখন কোনো কাজ করার আগেই তা থামিয়ে দেয়ার মনোভাব তৈরি হয়ে যায় ভবিষ্যতের কথা ভেবে। আর এই উদ্বেগ মানসিক শান্তিও নষ্ট করে অশান্তি ডেকে আনে। তাই উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা ধরণের আবেগটাকে দূর করে দিন প্রথমেই।

২) দুঃখ

দুঃখ পেয়ে কষ্ট পেয়ে আসলেই কি কোনো লাভ আছে বলে মনে করেন আপনি? নিজেই ভাবুন তো একটি বার। আপনি যখনই কোনো ব্যাপারে দুঃখ পাবেন তখন মানসিক কষ্টটির প্রভাব আপনার কাজের উপরেও পড়বে। মনের শান্তি নষ্টের পাশাপাশি কাজের ক্ষতিও আপনার এই আবেগটির কারণে। তাই দুঃখ পেলেও তা ধরে নিয়ে বসে বসে কষ্ট পেতে থাকবেন না কখনোই। দুঃখ পাওয়ার মতো আবেগটাকে দূরে সরিয়ে ফেলুন নিজের ভালোর জন্যই।

৩) রাগ

কথায় রয়েছে, ‘রেগে গেলেন, তো হেরে গেলেন’। বিষয়টি আসলেই সত্যি। যখনই আপনার মনে রাগ হওয়ার মতো আবেগ এসে ভর করে তখনই আপনার মস্তিষ্কের স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা ভাবনা করার মতো ক্ষমতা লোপ পেয়ে যায়। এবং রাগের মাথায় করা কাজটি পরবর্তীতে ভুল কাজ বলেই প্রমাণিত হয়ে যায়। তাই দয়া করে নিজের কথা চিন্তা করে হলেও রাগ নামক এই ক্ষতিকর আবেগটি বাদ দেয়ার চেষ্টা করুন।

৪) নিজেকে অযোগ্য ভাবা

নিজেকে অযোগ্য ভাবা, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস না থাকা জীবনে অশান্তির জন্য দায়ী অন্যতম আবেগ। অন্যের সাথে তুলনা করে নিজেকে অযোগ্য মনে করা এবং নিজের প্রতি একেবারেই ভরসা না করার বিষয়টি আপনার সফলতার পথের সবচাইতে বড় বাঁধা। আপনি নিজের প্রতি বিশ্বাস না রাখতে পারলে কাজে সফলতা আনতে পারবেন না কখনোই। তাই নিজেকে ছোট ভাবার এই আবেগটি ঝেড়ে ফেলুন আজই।
Share:

যে কারণে স্তন খোলা রেখে সংবাদ পাঠ করলেন তিনি

1443508799 (1)
টেলিভিশনের পর্দায় খবর পড়ছেন এক সুন্দরী মহিলা। পর্দায় তার যতটুকু শরীর দেখা যাচ্ছে, তাতেই স্পষ্ট তার পোশাকের নিচে কোনও অন্তর্বাস নেই। তাও লাইভ শো নয়, নেহাৎই স্ক্রিন টেস্ট চলছিল।  ব্যাস! চ্যানেলের কর্তারাও মহাখুশি সংবাদপাঠিকা এনকি ব্র্যাকাজের পারফর্ম্যান্সে।
 
২১ বছরের এনকি ব্র্যাকাজ তার স্ক্রিন টেস্টে যেভাবে বাজিমাৎ করেছেন, তা দেখে তাজ্জব দুনিয়া।  পর্দায় তার শরীরে কেবল একটি ব্লেজার।
আলবেনিয়ার রাজধানী টিরানার এক টিভি চ্যানেলে এনকিকে সংবাদপাঠের চাকরি অফার করা হয়েছে।  জানা গেছে, ওই চ্যানেলের কর্তারা এনকিকে দিয়ে খবর পাঠ করিয়ে টিআরপি রেটিংয়ের শীর্ষ ওঠার পরিকল্পনা সেরে ফেলেছেন।
চ্যানেলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জানি অনেকেই বলবেন এভাবে খবর পড়ার পদ্ধতিটি খানিকটা ব্যতিক্রমী। কিন্তু আমাদের স্ক্রিন টেস্টের কয়েকটি ফুটেজ ইতিমধ্যেই ইন্টারনেটে সুপারহিট হয়েছে। তাই আমরা ঠিক করেছি, এনকি-র জন্য আলাদা টাইম স্লট বরাদ্দ করা হয়েছে।
Share:

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সার্টিফিকেট সংশোধন ও হারিয়ে গেলে যা করতে হবে

সার্টিফিকেট সংশোধন করতে হলে ও হারিয়েগেলে শিক্ষার্থীদের বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। অনেক সময় দেখা যায়, নিজের নাম অথবা বাবা-মায়ের নাম ভুল লেখা হয় সনদে। আসুন যেনে নেই সার্টিফিকেটে নাম, জন্ম তারিখ ভুল হলে এবং হারিয়ে গেলে যা করতে হবে। প্রথম ধাপ: নাম বা জন্ম তারিখ ভুল সংশোধনের জন্য প্রথমে যে কোন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর সার্টিফিকেটের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, শাখা, পরীক্ষার সাল, পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম, রোল নম্বর, বোর্ডের নাম এবং জন্মতারিখ উল্লেখ করতে হবে। >দ্বিতীয় ধাপ: পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আপনাকে যেতে হবে যে শিক্ষা বোর্ডের অধীন পরীক্ষা দিয়েছেন সেই বোর্ডে। শিক্ষা বোর্ডের ‘তথ্য সংগ্রহ কেন্দ্র থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। তাছাড়া এ ফরম এখন আনলাইনেও পাওয়া যায়। এবার ফরমটি নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। তৃতীয় ধাপ: এবার প্রার্থীর নাম, বাবার বা মায়ের নাম কিংবা জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য (জরুরি ফিসহ) ৫৩০ টাকা জমা দিতে হয়। এ ফি সোনালী ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে বোর্ডের সচিব বরাবর জমা দিতে হবে। টাকা জমা হওয়ার পর আবেদন কার্যকর হবে। চতুর্থ ধাপ: এ ধাপে আবেদনপত্রের সঙ্গে ব্যাংক ড্রাফটের মূল কপি, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির কাটিং, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকর্তৃক সত্যায়িত এক কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছে নাম বা জন্মতারিখ সংশোধন সম্পর্কে এফিডেভিট করে তার মূল কপি জমা দিতে হবে। প্রার্থীর নিজের নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে তাঁর বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয়, তাহলে তিনি নিজেই এফিডেভিট করতে পারবেন। প্রার্থীর বয়স যদি ১৮ বছর পূর্ণ না হয় বা প্রার্থী যদি তার মা-বাবার নাম সংশোধন করতে চান, তাহলে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রার্থীর বাবা কর্তৃক প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছ থেকে এফিডেভিট করতে হবে এবং মূল কপি জমা দিতে হবে।
পঞ্চম ধাপ:
নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন গ্রহণের এক মাসের মধ্যে বোর্ড আবেদনকারী এবং তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষকসহ একটি মিটিংয়ে বসে। এ মিটিংয়েই প্রার্থীর আবেদন যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়ার মাধ্যমে সংশোধন করা হয়। তবে জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিশেষ বিবেচনায় এক দিনের মধ্যেও নাম ও জন্মতারিখ সংশোধন করতে পারেন।
সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে যা করবেন:-
সার্টিফিকেট, নম্বরপত্র বা প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে প্রথমে আপনার এলাকার নিকটবর্তী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। জিডির একটি কপি অবশ্যই নিজের কাছে রাখতে হবে। এরপর যেকোনো একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে নাম, শাখা, পরীক্ষার কেন্দ্র, রোল নম্বর, পাসের সাল, বোর্ডের নাম এবং কিভাবে আপনি সাটিফিকেট, নম্বরপত্র অথবা প্রবেশপত্র হারিয়েছেন তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে।
থানায় জিডি ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর যে বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছেন সেই শিক্ষা বোর্ডে আপনি চলে যান। শিক্ষাবোর্ডের ‘তথ্যসংগ্রহ কেন্দ্র থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে নির্ভুলভাবে পূরণ করুর। এরপর নির্ধারিত ৫০০ টাকা ফি সোনালী ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে বোর্ডের সচিব বরাবর জমা দেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে মূল ব্যাংক ড্রাফট, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির কাটিং ও থানার জিডির কপি জমা দিতে হবে।মনে রাখবেন টাকা জমা হওয়ার পর আপনার আবেদন কার্যকর হবে।
আবেদনপত্রে যা পূরণ করতে হবে
আবেদনপত্র পূরণের ক্ষেত্রে প্রথমেই উল্লেখ করতে হবে আপনি কোন পরীক্ষার (মাধ্যমিক না উচ্চমাধ্যমিক) কী হারিয়েছেন এবং কী কারণে আবেদন করছেন। আবেদনপত্রের বিভিন্ন অংশে ইংরেজি বড় অক্ষরে এবং বাংলায় স্পষ্ট অক্ষরে পূর্ণ নাম, মাতার নাম, পিতার নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, রোল নম্বর, পাশের বিভাগ/জিপিএ, শাখা, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, শিক্ষাবর্ষ এবং জন্ম তারিখসহ বিভিন্ন তথ্য লিখতে হবে।
পরবর্তী অংশে জাতীয়তা, বিজ্ঞপ্তি যে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে সেটির নাম ও তারিখ এবং সোনালী ব্যাংকের যে শাখায় ব্যাংক ড্রাফট করেছেন সে শাখার নাম, ড্রাফট নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করতে হবে। আবেদনপত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশের প্রয়োজন হবে। এতে তার দস্তখত ও নামসহ সিলমোহর থাকতে হবে। আর প্রাইভেট প্রার্থীদের আবেদনপত্র অবশ্যই গেজেটেড কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও নামসহ সিলমোহর থাকতে হবে।
সার্টিফিকেট নষ্ট হলে কি করবেন?
নষ্ট হয়ে যাওয়া সনদপত্র/নম্বরপত্র/একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের অংশবিশেষ থাকলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে না বা থানায় জিডি করতে হবে না। এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে ওই অংশ বিশেষ জমা দিতে হবে। তবে সনদে ও নম্বরপত্রের অংশ বিশেষে নাম, রোল নম্বর, কেন্দ্র, পাশের বিভাগ ও সন, জন্ম তারিখ ও পরীক্ষার নাম না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না

Share:

স্বামীর কাছে যা শুনতে চান স্ত্রী!

স্বামীর কাছে স্ত্রীই সব, তাকে ঘিরেই স্বামীর স্বপ্ন, তাকে ছাড়া অন্য কারও কথা ভাবতে পারেননা তিনি। এই কথা গুলি মনের মধ্যে ঝড় তুললেও মুখে আনতে পারেন না পুরুষ মানুষ। সব কথা সরাসরি মুখে না বলে অন্য ভাবে বোঝাতে চান অনেকবার। স্ত্রী হয়তো তার কাছ থেকে একটা মিষ্টি আলিঙ্গন বা আবেগঘণ কথা আশা করেন। সেখানে পুরুষরা স্ত্রীর প্রিয় খাবার কিনে আনে, সাজগোজের জিনিস উপহার দেয় বা ঘরের কাজে সাহায্য করে। তখন বুজতে হবে মনের সেই না বলা কথায় জানান দিতে এতো প্রচেষ্টা তার। স্বামী বিরুদ্ধে স্ত্রী অভিযোগের শেষ থাকে না। বিশেষ করে বাপের বাড়ির লোকদের সামনে বা নিজের বান্ধবীদের সামনে স্বামীকে নিয়ে ঠাট্টা পর্যন্ত হয়। সব শুনে মুখে কিছু না বললেও মনে মনে কুঁকড়ে যান পুরুষটি। এভাবে বেশিদিন চলতে থাকলে স্বামীর মনে হতাশার জন্ম দিবে। বিষয়টি এক সময় মারাত্মক আকার ধারণ করবে। উভয়ের কাছে উভয়ের গুরুত্ব কমতে শুরু করবে। তাই স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কোন অভিযোগ থাকলে সেটা সরাসরি বলা উচিৎ। অযথা অন্যের সামনে স্বামীর বদনাম করে তাকে ছোট করা ঠিক নয়। নিজের সন্তানদের প্রতি স্ত্রীর দায়িত্বশীলতা দেখে খুশি হলেও মনে মনে নিজেকে অনেক সময় একা ভাবতে পারেন একজন স্বামী। শিশুদের জীবনে মায়ের ভূমিকা জানা সত্ত্বেও স্ত্রীকে যেন কিছুতেই অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাননা তিনি। তিনি চান হাজার কাজের মাঝেও স্ত্রী তাকে সময় দিক।স্বামীকে প্রতিমুহুর্তের ভালোবাসায় সিক্ত রাখুক।স্বামী হয়তো চান শুধু স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যেতে।তাই স্ত্রীর উচিৎ হাজার কাজের মাঝে সময় বের করে তাকে সময় দেয়া। স্বামীর হঠাৎ করে যদি চাকরি চলে যায় বা কর্মক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে তবে দাম্পত্য জীবনে তার প্রভাব দেখা দেয়। স্বামী চান স্ত্রী তাকে মানসিক ভাবে সাহস জোগাবে। স্ত্রী বেশি চিন্তিত হলে স্বামী আরও বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। তাই একজন সচেতন স্ত্রীর উচিৎ স্বামীকে সাহস জোগানো। তার পাশে থেকে সঙ্গ দেয়া। চিন্তা থেকে বের করে এনে নতুন পরিকল্পনায় সাহায্য করা। সব ভাল কাজের জন্য প্রশংসা পেতে কেনা চায়। ভাল কাজের জন্য একজন স্বামীর সব চেয়ে বড় স্বীকৃতি স্ত্রীর প্রশংসা। এমনকি স্ত্রীর জন্য কিছু করলেও সেই কাজের প্রশংসা পেতে আশা করেন স্বামী। তাই স্বামীকে প্রশংসা করতে কার্পণ্য না করে উদারতা দেখানোই ভাল।এতে দুজনেরই সম্পর্ক ভাল থাকবে। একজন স্ত্রীর উচিৎ তিনি যেমন তাকে সেভাবেই ভালবাসেন সেটা বুঝিয়ে দেয়া। কারণ একটানা যদি স্বামীর ভুল নিয়েই অভিযোগ উঠতে থাকে তবে তিনি বুঝেই উঠতে পারেননা স্ত্রী আদৌ তাকে মূল্য দেন কিনা। তাই গল্পের সময় হালকা কথায় স্বামীকে বুঝিয়ে দেয়া ভাল তার সমস্যার কথা। এতে একদিন প্রায় সব সমস্যারই সমাধান হবে। সংসার হবে সুখের।
Share:

সৎ বাবার কাছে ধর্ষিতা হয়ে মা হল ১২ বছরের কিশোরী

ভারতের চেম্বুরের ১২ বছরের এক কিশোরী জেজে হাসপাতালে একটি পুত্র শিশু প্রসব করে। নিগৃহীতা কিশোরী মায়ের সদ্যজাত পুত্রসন্তানের ওজন ২ কেজি। এই মুহূর্তে শিশুটি জেজে হাসপাতালের নিও ন্যাটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি। মাস খানেক আগে চেম্বুর পুলিস স্টেশনে সৎ বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে এই কিশোরী। ততদিনে সে ৭ মাসের গর্ভবতী। কিশোরী অভিযোগ করে দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করেছে তারই সৎ বাবা। মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। বেশ কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে। কয়েক মাস আগে থেকেই পেটের যন্ত্রণা শুরু হয় ওই কিশোরীর। পরিবারের লোকজন তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে প্রাথমিকভাবে তাকে কিছু ব্যাথা নিরাময়ক ওষুধ দেওয়া হয়। ডাক্তার বুঝতেই পারেননি ১২ বছরের ওই কিশোরী গর্ভবতী। কিন্তু এরপরে মেয়েটির পেট আকারে আয়তনে বাড়তে থাকলে সোনোগ্রাফি করার নির্দেশ দেন ডাক্তার। তারপরেই ধরা পড়ে ওই কিশোরী ইতিমধ্যেই ৭ মাসের গর্ভবতী। এরপরেই নিগৃহীতা কিশোরীর মা তাঁর স্বামীর (মেয়েটির সৎবাবা) চেম্বুরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। সদ্যোজাতের ডিএনএ-এর সঙ্গে নিগৃহীতার সৎবাবার ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে
Share:

আমার ফাঁসি চাই: প্রভাষ আমিন

ফেসবুক স্ট্যাটাসে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের এনজিও কর্মকর্তা মোহন কুমার মন্ডলকে গত শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার বিকেলে তার মুক্তি দাবি করে ফেসবুকে আমি একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। মোহন কুমার মন্ডলের স্ট্যাটাসটি অনেকের অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। তবে স্বীকার করছি, আমার অনুভূতি যথেষ্টই শক্তপোক্ত, সেই অনুভূতিতে এই স্ট্যাটাস কোনো অাঘাত দিতে পারেনি। তবে সবার অনুভূতি আমার মত স্ট্রং নাও হতে পারে, তাদের অনুভূতিতে আঘাত লাগতেই পারে। আমার স্ট্যাটাসটি আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে ঠিক এই আশঙ্কাটাই আমরা করছিলাম। সব লেখাতেই কারো না কারো অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাই চাইলে সকল ফেসবুক ব্যবহারকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারে সরকার। আমি মোহন কুমার মন্ডলের স্ট্যাটাসটি ভালো করে পড়ে দেখেছি, কোনো নিষ্ঠাবান মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত লাগার মত কিছু এখানে নেই। কোনো ঘটনায় ৮শরও বেশি মানুষ মারা গেলে বিশ্বের সকল বিবেকবান মানুষের উচিত তার প্রতিবাদ করা। ভারতের কোনো তীর্থে পদদলিত হয়ে মানুষ মারা গেলে কি আমি তার প্রতিবাদ করবো না? নাম মোহন কুমার মন্ডল বলেই কি তার হজের অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই? মোহন কুমার মন্ডল তো মাত্র ৯ লাইন লিখেছেন। আমি তো ৯শ শব্দ লিখেছি। এবং সেটা মোহন কুমার মন্ডলের চেয়ে কড়া ভাষায়। আমার নামের সাথে আমিন আছে বলেই আমি যে ছাড়টা পাচ্ছি, নামের সাখে মন্ডল আছে বলেই তাকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার লিডার্স নামের এনজিওর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শ্যামনগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর কবিরের দায়ের করা মামলায়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে মোহন মন্ডলের মুক্তি চাই। ৫৭ ধারা বাতিল চাই। তবে একটা কথা ঠিক লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে শয়তানকে পাথর মারতে মিনায় যেতে হবে কেন, এই প্রশ্নটা তোলা তার ঠিক হয়নি। হজ ইসলামের পাঁচ ফরজের একটি। আর মিনায় শয়তানকে পাথর মারা হজের আবশ্যিক অংশ। প্রতীকি শয়তানকে পাথর মারার মাধ্যমে সকল শয়তান, অশুভ, অন্যায়কে ঘৃণা করার কথা বলা হয়েছে। তবে আমি মনে করি না, এইটুকু প্রশ্ন তোলার অপরাধে তাকে কারাগারে থাকতে হবে। এটা হয়তো ইসলাম সম্পর্কে তার জানার ঘাটতির কারণে হয়েছে। পৃথিবীর সকল অপমৃত্যুর দায় কাউকে না কাউকে নিতে হবে। দায়ীদের শাস্তি হতে হবে। অন্যায় পৃথিবীর যে প্রান্তেই হোক, প্রতিবাদ করতে হবে সবাইকে; মন্ডলকে, আমিনকে, গোমেজকে, বড়ুয়াকে, সিংকে। প্রশ্নটা ধর্মের নয়, মানুষের জীবন-মরনের।' মিনায় যা ঘটেছে, মানবাধিকার যেভাবে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে, পিষ্ট হয়েছে; তা বিশ্বের সকল বিবেকবান মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। সেই ক্ষোভ থেকেই হয়তো মন্ডল হজ ব্যাপস্থাপনার বিরুদ্ধে লিখেছেন। ক্ষোভ থেকেই হয়তো তার শব্দচয়ন ঠিকমত হয়নি। বিশেষ করে, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে শয়তানকে পাথর মারতে মিনা যাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা তার একদম ঠিক হয়নি। তার প্রশ্ন ঠিক হলে তো কোনো ধার্মিক মানুষেরই তীর্থে বা উপাসনালয়ে যাওয়ার দরকার নেই। কিন্তু প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানেরর হজে যাওয়া ফরজ। আর মিনায় প্রতীকি শয়তানকে পাথর মারা হজের আনুষ্ঠানিতার অংশ। সামর্থ্য থাকলে আপনাকে হজে যেতে হবে, মিনায়ও যেতে হবে। নইলে হজ পুর্ণাঙ্গ হবে না। আমার মনে হয়েছে, ইসলাম ধর্ম নিয়ে অজ্ঞতার কারণেই তিনি এমনটা বলেছেন। আরেকটা কথা, মিনা দুর্ঘটনার পর অারো অনেকের মত মোহন মন্ডলও বলেছেন, লতিফ সিদ্দিকী ঠিকই বলেছিলেন। এটা একটা সাংঘাতিক ভুল কথা। লতিফ সিদ্দিকী চেতনাগতভাবে হজের বিরোধিতা করেছিলেন, যা কোটি মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। কিন্তু মিনা দুর্ঘটনা হজ ব্যবস্থাপনার সমস্যা, নিরাপত্তা সমস্যা। মোহন কুমার মন্ডলকে আমি চিনি না। খোঁজ নিয়ে দেখলাম, আমার বন্ধু তালিকায়ও তিনি নেই। কিন্তু তারপরও আমি তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছি, করছি। মোহন কুমারের মুক্তি চেয়ে স্ট্যাটাস দেয়ায়, আমিও অনেকের রাগের কারণ হয়েছি। সবচেয়ে সহজ কাজ হলো কাউকে নাস্তিক, মুরতাদ, কাফের ঘোষণা করা। মন্ডলের প্রতি সহানুভুতি দেখাতে গিয়ে আমার কপালেও এই বিশেষণ জুটেছি। অত্যুৎসাহী কেউ কেউ আমারও গ্রেপ্তার চেয়েছেন, ফাঁসি চেয়েছেন, বিচার চেয়েছেন। ছাপার অযোগ্য শব্দে মোহন মন্ডলের সাথে আমার চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করেছেন। সত্যি বলতে কি, প্রতিক্রিয়াগুলো পড়তে পড়তে আমার মন ভালো হয়ে গিয়েছিল। ইসলামের জন্য অসংখ্য মানুষের গভীর ভালোবাসা আর মমতা দেখে আমি সত্যিই অভিভূত। প্রতিক্রিয়াগুলো পড়তে পড়তে আমি এতটাই প্রভাবিত হই, কখনো কখনো তাদের সাথে গলা মিলিয়ে আমারও আমার ফাঁসি চাইতে ইচ্ছা করছিল। আজ যখন সারাবিশ্বে ইসলাম নানা অপপ্রচারের শিকার, পশ্চিমা বিশ্ব যখন ইসলামকে সন্ত্রাসের সমার্থক বানিয়ে ফেলছে, বিশ্বের কোথাও সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটলেই যখন তার সাথে ইসলামের যোগসূত্র খোঁজা হয়, মুসলমান ছাত্র ঘড়ি বানিয়ে স্কুলে নিলে শিক্ষক পুলিশে খবর দেন, মুসলমান হলে তিনি ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি হোন আর জনপ্রিয় অভিনেতা- যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হতে হয়, আইএস আর তালেবানরা যখন ইসলামের নামে নৃশংসতা চালাচ্ছে, সৌদি সরকারের অদক্ষতায় যখন প্রায় প্রতিবছরই হজে দুর্ঘটনা ঘটে, বাংলাদেশে যখন ইসলামকে হেফাজতের নামে গাছপালা কেটে, কোরান পুড়িয়ে তান্ডব চালানো হয়; তখন ইসলামের সত্যিকারের চেতনা তুলে ধরতে সত্যিকারের মুসলমানদের সত্যিকার অর্থে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বলতে হবে, ইসলাম শান্তির ধর্ম। সন্ত্রাসের সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে প্রতিক্রিয়াগুলো পড়তে পড়তে আমার মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমি জানি তারা ইসলামের প্রতি গভীর মমতা থেকেই, আমাকে আর মন্ডলকে গালিগালাজ করেছেন, ফাঁসি চেয়েছেন। কিন্তু যারা ইসলামকে ভালোবাসেন, তারা এত অসহিষ্ণু হবেন কেন, কেন তাদের ভাষা এমন অশালীন হবে? ইসলামের পক্ষে বলার জন্য বিশ্বাসের শক্তিই যথেষ্ট, গালি দিতে হবে কেন। যখন আপনি গালি দেবেন, তখন বুঝতে হবে আপনার ঈমানে জোর কম। এক বুড়ি প্রতিদিন নবীজীর (সঃ) পথে কাটা বিছিয়ে রাখতো। নবীজী (সঃ) প্রতিদিন কাটা সরিয়ে পথ চলতেন। একদিন কাটা না দেখে নবীজী (সঃ) উদ্বিগ্ন হলেন, বুড়ি অসুস্থ কিনা তা খুঁজতে গেলেন বুড়ির বাড়িতে। এই হলো ইসলামের শিক্ষা। ইসলাম মানুষকে ক্ষমাশীল হতে শেখায়; ধৈর্য্যশীল, সহনশীল হতে শেখায়। অন্য ধর্মের, ভিন্নমতের মানুষদের সম্মান করতে শেখায়, ঘৃনা নয়, ভালোবাসতে শেখায়। অন্য ধর্মের একজন মানুষ না জেনে হজ নিয়ে একটা প্রশ্ন তুলেছে বলে তার ফাঁসি চাইতে হবে? এতে ইসলাম সম্পর্কে একটা ভুল বার্তা যাবে মানুষের কাছে। মনে হতে পারে, ইসলাম বুঝি এমন কট্টর, উগ্র ধর্ম। কিন্তু ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম সুফি-সাধকদের ধর্ম। ঘৃনা দিয়ে নয়, মানুষের হৃদয় জয় করতে হবে ভালোবাসা দিয়ে। আর ইসলামের এই সত্যিকারের চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে বিশ্বজুড়ে। ধর্ম মানুষের জীবনে শৃঙ্খলা আনার জন্য, মানুষকে শৃঙ্খলিত করার জন্য নয়।
Share:

কে হচ্ছেন জেমস বন্ড?

হিউ জ্যাকম্যানশেষপর্যন্ত তাহলে কে হচ্ছেন নতুন জেমস বন্ড? ইদানীং এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় জল কম ঘোলা হয়নি! অবশ্য জল ঘোলা হওয়ার পেছনে একটি জোরালো কারণ হচ্ছে খুব শিগগিরই চুক্তি শেষ হতে যাচ্ছে বর্তমান বন্ড ড্যানিয়েল ক্রেইগের।
নতুন বন্ড হিসেবে দিনকয়েক আগে নাম এসেছিল ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহ্যামের। আর আজ পত্রপত্রিকায়, আলোচনায় নাম উঠেছে ‘উলভারিন’ তারকা হিউ জ্যাকম্যানের। ‘এক্স-মেন’ সিরিজের ‘উলভারিন’ তারকা হিউ জ্যাকম্যানকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, পৃথিবীতে এমন কেউ নেই যিনি এ চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী হবেন না!
জ্যাকম্যান জানিয়েছেন, বন্ড হওয়ার প্রস্তাব পেলে তিনি অবশ্যই ভেবে দেখবেন। এর আগে যখন জ্যাকম্যানের কাছে বন্ড হওয়ার প্রস্তাব এসেছিল সে সময় তিনি ‘এক্স-মেন’ ছবির কাজ শুরু করছিলেন। কিন্তু জ্যাকম্যান নতুন করে আর ‘উলভারিন’ হচ্ছেন না বলেই জানিয়েছে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। কাজেই বন্ড হিসেবে অনেকেই এগিয়ে রাখছেন জ্যাকম্যানকেই।
‘এক্স-মেন’ সিরিজের ছবিতে ‘উলভারিন’ চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অস্ট্রেলীয় অভিনেতা হিউ জ্যাকম্যান। বিষয়টি বন্ড ছবির নির্মাতারা নতুন বন্ড নির্বাচনের সময় মাথায় রাখতেই পারেন। এদিকে ডেভিড বেকহ্যামকে নিয়েও তুমুল আলোচনা। বেকহ্যামের নিজেরও খানিক আগ্রহ আছে বলেই জানিয়েছিলেন তিনি।
অনেকেই ভেবেছিলেন, বোধ হয় সামনের কোনো জেমস বন্ড ছবিতে নিশ্চিত অভিনয় করতে যাচ্ছেন বেকহ্যাম। শুধু তাই নয় বিষয়টি নিয়ে বন্ড ছবি ‘স্পেকট্রা’র টাইটেল গানের গীতিকার সংগীতশিল্পী স্যাম স্মিথকে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেমন হবে যদি বেকহ্যাম ‘বন্ড’ হন? উত্তরে সে সময় স্যাম জানিয়েছিলেন, বিষয়টা আকর্ষণীয় হবে বলেই তাঁর মনে হয়!
২০০০ সালে ব্রায়ান সিঙ্গারের ‘এক্স-মেন’ ছবিতে ‘উলভারিন’ চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান হিউ জ্যাকম্যান। তবে সে সময় ‘উলভারিন’ হিসেবে জ্যাকম্যানকে বেছে নেওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ছবির পরিচালককে। কারণ, বইয়ে বর্ণিত উলভারিনের উচ্চতা পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চি অথচ ছয় ফুট দুই ইঞ্চি উচ্চতার হিউ জ্যাকম্যান উ​লভারিন চরিত্রটির চেয়ে প্রায় এক ফুট বেশি লম্বা। অবশ্য ছবি মুক্তির পর এসব সমালোচনা আর ধোপে টেকেনি। পর্দায় জ্যাকম্যানের তুমুল সব অ্যাকশন আর শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য উপভোগের সময় এসব বিষয় দর্শকের মাথাতেই ছিল না।
২০০০ সালে ‘এক্স-মেন’ মুক্তির পর ২০০৩ সালে ‘এক্স-মেন ২’, ২০০৬ সালে ‘এক্স-মেন: দ্য লাস্ট স্ট্যান্ড’ এবং ২০০৯ সালে ‘এক্স-মেন অরিজিন: উলভারিন’ ছবিটির জন্য জ্যাকম্যানকেই বেছে নিয়েছিলেন পরিচালক।
এখন দেখা যাক, বেকহ্যাম না জ্যাকম্যান? নাকি অন্য কেউ! শেষপর্যন্ত পরবর্তী জেমস বন্ড চরিত্রে কে অভিনয় করেন!
ইন্দো-এশিয়ান নিউজ। টাইমস অব ইন্ডিয়া। মিরর।
Share:

সরকারি চাকরির আবেদনে সত্যায়ন থাকছে না

সরকারি চাকরির আবেদনে কোনো সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে না। লাগবে না সত্যায়িত ছবিও। মৌখিক পরীক্ষার সময় মূল সনদ দেখাতে হবে। সচিব কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা জানান, সরকার ধীরে ধীরে ভর্তি, ঋণ গ্রহণ, ব্যাংক হিসাব খোলাসহ বিভিন্ন কাজে সত্যায়নের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে। তবে পাসপোর্টসহ কিছু স্পর্শকাতর বিষয়ের ক্ষেত্রে এটা বহাল থাকবে। পাসপোর্টের আবেদন এখন সপ্তম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তা সত্যায়ন করতে পারেন। এ ছাড়া সাংসদ, মেয়র বা স্থানীয় সরকারের চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান, অধ্যক্ষ, অধ্যাপক বা প্রধান শিক্ষক, সম্পাদকসহ কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিকে পাসপোর্টের আবেদন ও ছবি সত্যায়নের এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।
অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে সরকার ‘শ্রেণি’ তুলে দিয়ে গ্রেডের ভিত্তিতে কর্মীদের মর্যাদা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা বলে কিছু থাকছে না। সে জন্য সত্যায়নের কাজটি কোন গ্রেডের কর্মকর্তা করবেন, তা এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করেনি সরকার।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা প্রথম আলোকে বলেন, সব কাজে সত্যায়নের যে বাধ্যবাধকতা তা তুলে দেওয়া উচিত। সত্যায়িত করার প্রয়োজন হলে তা যেকোনো রেসপেকটেড পারসনও (সম্মানিত ব্যক্তি) করতে পারেন। জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, অনলাইনে শিক্ষা সনদ দেওয়া, পাসপোর্টসহ নাগরিক তথ্য ‘ডিজিটালাইজড’ হয়ে গেলে কয়েক বছর পর এসব সত্যায়নের আর প্রয়োজন হবে না।
দেশে শিশু থেকে বয়স্ক পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় সব নাগরিককে লেখাপড়া, চাকরি বা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা নেওয়ার জন্য ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ বিভিন্ন কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হয়। এ জন্য প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার স্বাক্ষর নেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে অপরিচিত হলে কেউ সত্যায়িত করতে চান না। ফলে বিড়ম্বনা এড়াতে মিথ্যা সত্যায়নের হিড়িক পড়ে যায়।
মূল সনদ যাচাই-বাছাই না করে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেয় না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। তবু ভর্তিসহ সব ক্ষেত্রে আবেদনের সময় মূল সনদের ফটোকপি করে তা সত্যায়িত করার জন্য ঘুরতে হয় প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পেছনে। তাঁদের অনেকেই আবার চেনাশোনা না থাকলে সই দিতে চান না। ফলে অনেক ক্ষেত্রে সত্যায়িত করা হয় ভুয়া সিল ও জাল সই ব্যবহার করে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলেছে, এখন থেকে নির্ধারিত একটি ফরমে আবেদন করতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের। চার কপি রঙিন ছবি ছাড়া আবেদনের সময় আর কোনো কাগজপত্র দিতে হবে না। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার সময় ছবি ও মূল কাগজপত্র দেখা হবে।
আবেদনের সঙ্গে সত্যায়িত কাগজপত্র দিতে হবে না। শুধু অঙ্গীকারনামায় প্রার্থীকে স্বাক্ষর করতে হবে, যেখানে বলা থাকবে, ‘ওপরে বর্ণিত তথ্যাবলি সম্পূর্ণ সত্য। মৌখিক পরীক্ষার সময় উল্লিখিত তথ্যগুলো প্রমাণের জন্য সব মূল সনদ ও রেকর্ডপত্র উপস্থাপন করব। কোনো তথ্য অসত্য প্রমাণিত হলে আইনানুগ শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য থাকব।’
সরকারি চাকরির বাইরে অন্য ক্ষেত্রেও তা অনুসরণ করা হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের সঙ্গে সত্যায়িত কাগজপত্র ও সনদ চাওয়া ইতিমধ্যে বন্ধ করেছে। পিএসসি সূত্র জানায়, ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে অনলাইনে আবেদন নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষায় (প্রিলিমিনারি) টিকলে লিখিত পরীক্ষার আগে কাগজপত্র জমা দিতে হয়। ওই সূত্রের মতে, মোট আবেদনকারীর মধ্যে ১০ জনে গড়ে নয়জন প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়েন। তখন প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীর বিভিন্ন সনদ ও তথ্যপ্রমাণ চাওয়া হয়।
এদিকে শ্রেণি তুলে দিয়ে গ্রেডের ভিত্তিতে সরকারি চাকরিজীবীদের মর্যাদা নিরূপণ করা হলে সত্যায়িত করার কাজ কে করবেন তা পরিষ্কার নয়। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মাঠপর্যায়ে কর্মরত একজন বিসিএস কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাঁর ধারণা বিসিএস পরীক্ষার আবেদনে ৯০ ভাগের বেশি সনদ প্রকৃত কর্মকর্তাকে দিয়ে সত্যায়িত করা হয় না।
বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো সনদ ও নম্বরপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি চাওয়া হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কয়েক বছর আগে প্রথম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মোবাইল ফোনে খুদেবার্তার মাধ্যমে ভর্তি শুরু করে। সেখানে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হওয়া শিক্ষার্থীর মূল সনদ দেখার সিদ্ধান্ত হয়। সম্প্রতি আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ বছর কলেজে ভর্তি হয়েছে অনলাইনে, যেখানে আগেভাগে সনদ দিতে হয়নি।
শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, অনলাইনে কলেজে ভর্তির এই অভিজ্ঞতা শিক্ষার অন্য স্তরে ভর্তির জন্য কাজে লাগানো যেতে পারে। তাঁর মতে, দেশের সর্বস্তরের ভর্তি অনলাইনে করা সম্ভব, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হয়রানি অনেকটাই কমাতে পারে।
Share:

এবার সতর্কতার পরামর্শ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার

 এবার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিলো।
ঢাকায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আজ বন্ধ রাখা হচ্ছে। 
এর আগে অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেন তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছিল। 
বিবিসি জানায়, কানাডা সরকারের ভ্রমণ সতর্কতা বিষয়ক ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদের হুমকি এবং ভঙ্গুর রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে কানাডার নাগরিকদের উচ্চমাত্রায় সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
এর আগে সোমবার ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে এবং এর তিনদিন আগে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া একই ধরণের সতর্কতা জারি করেছিল। অস্ট্রেলিয়ায় সরকারের ভ্রমণ বিষয়ক এক ওয়েবসাইটে আজ মঙ্গলবার সতর্কতার মাত্রা সর্বোচ্চ স্তরে দেখানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জরুরি কাজ না থাকলে বাংলাদেশে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।  
দুই দেশই উল্লেখ করে যে সেপ্টেম্বরের শেষভাগে বাংলাদেশে পশ্চিমা লক্ষ্যবস্তুর ওপর জঙ্গি হামলা হতে পারে।
এদিকে ঢাকায় কূটনৈতিক এলাকায় গুলিতে সোমবার সন্ধ্যায় সিজার তাভেল্লা (৫০) নামে একজন ইতালীয় নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কে গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার পর তাকে রাজধানীর ইউনাইডেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত পৌনে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 
নিহত তাভেল্লা প্রুফস নামে নেদারল্যান্ডভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার ছিলেন।
Share:

"মহিষাসুরমর্দিনী"

১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ শাসিত ভারতে All India Radio Medium Wave প্রচার তরঙ্গে এই অনুষ্ঠানের সূচনা। শুরু হয়েছিল নিছক একটি experiment হিসেবেই, হয়ে গেল কিংবদন্তী। কোন বেতার তরঙ্গে নিয়ম করে এতদিন ধরে বছরের একটি নির্দিষ্ট দিনে একটি নির্দিষ্ট অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হওয়া, সারা বিশ্বে এমন নজির কোথাও নেই। আপামর বাঙ্গালিদের হৃদয়ের মণিকোঠায় চিরকালের জন্য অমর হয়ে রইল বাণীকুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখা, পঙ্কজকুমার মল্লিকের সুরারোপিত এবং বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র দ্বারা উচ্চারিত শ্রীশ্রীচণ্ডীর শ্লোকসমূহ।

প্রকৃতপক্ষে ১৯৩৪ সালে দুর্গাপূজার ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় প্রচারিত হয় দেবী মাহাত্ম্য বিষয়ক এক সঙ্গীত আলেখ্য। এটি প্রচারিত হবার পর অবিভক্ত বাংলায় ব্যাপক সাড়া ফেলে। তারপরই জন্ম নেয় আজকের "মহিষাসুরমর্দিনী।" প্রথমদিকে রেকর্ডিঙের ব্যবস্থা না থাকায় মহালয়ার ভোরে সব শিল্পীদের নিয়ে আকাশবাণীর গারস্টিন প্লেসের পুরাতন স্টুডিও থেকে এটি সরাসরি সম্প্রচারিত হত। রাশভারী বীরেন্দ্রকৃষ্ণকে তখনকার দিনের তাবড় তাবড় শিল্পী ও কলাকুশলীরা সকলেই ভয় ও সমীহ করে চলতেন। তাঁর নির্দেশে দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, নির্মলা মিশ্র, মাধুরী চট্টোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, শিপ্রা বসু, মানবেন্দ্র ইত্যাদি সঙ্গিত মহলের বিশিষ্ট নক্ষত্ররা রাত ৩টের মধ্যেই স্টুডিওতে এসে হাজির হয়ে যেতেন। ঠিক ৪টে থেকে শুরু হত অনুষ্ঠানটি।

সত্তরের দশকে আকাশবাণী কর্তৃপক্ষ বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের এই "মহিষাসুরমর্দিনী" বাতিল করে মহানায়ক উত্তমকুমারকে দিয়ে ভাষ্যপাঠ করিয়ে নবরূপে এই অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান শেষে ভয়ংকর জনরোষ দেখা দেয়। কর্তৃপক্ষের কাছে অজস্র চিঠি আসতে থাকে। খ্যাতির মধ্যগগনে থাকা মহানায়ককেও বিপুল তিরস্কার হজম করতে হয়েছিল এই দুঃসাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। শোনা যায়, উত্তমকুমার নিজে গিয়ে এর জন্য বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কাছে ক্ষমা চেয়ে এসেছিলেন। আকাশবাণী দ্বিতীয়বার আর উত্তমকুমারের সেই অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করার সাহস করেনি। পরের বছর হতে পুনরায় "মহিষাসুরমর্দিনী" ফিরে আসে, আজও যা নতুন, আজও যা হ্রদয়গ্রাহী। পূজা এলেই যেন হৃদয়তন্ত্রীতে আপনেই বেজে ওঠে সেই চিরপরিচিত সুর-

"রূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিশো জহি...........

Share:

পানির অভাবেই বেশি হাজি মারা গেছেন, ফেরৎ হাজিদের বর্ণনা

ঢাকা: মিনায় পদদলিত হয়ে হাজির মৃত্যুর ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন প্রথম ফ্লাইটে ফিরে আসা হাজিরা। তাদের ধারণা বেশিরভাগ মানুষ মারা গেছেন এক ফোঁটা পানির জন্য হাহাকার করে। সেইসেঙ্গে তারা সৌদি নিরাপত্তা কর্মীদেরও কঠোর সমালোচনা করেছেন।
ফেরত আসা হাজিদের মধ্যে এক নারী হাজি জানান, আমাদের একটু পানির জন্য কী যে কষ্ট হয়েছে। আমাদের একটু পানি দেয়া হয়নি। মানুষ যারা মারা গেছেন বেশিরভাগই পানির জন্য।
অন্য আরেক হাজি বলেন, ‘সৌদি নিরাপত্তাকর্মীরা হাজিদের সঙ্গে যে আচরণ করছে তা গ্রহণেযোগ্য নয়। আমাদের সামনেই নিহত হাজিদের পা-দিয়ে দেখছে মরে গেছে নাকি বেঁচে আছে।’
৭ ঘণ্টা ১০ মিনিট বিলম্বে অবতরণ করলো প্রথম ফিরতি হজ ফ্লাইট। জেদ্দায় কিছু জটিলতার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে প্রথম ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করতে পারেনি। বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ছাড়াও সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটও ৪শ হাজি নিয়ে ঢাকায় পৌঁছেছে।
জানা গেছে, ৩ শতাধিক হাজি নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বিকেল সাড়ে ৪টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। সৌদি আরব থেকে হাজিদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইটটি আজ সোমবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে অবতরণ করার কথা ছিল।
 
এদিকে বিলম্বের কারণে আজ সবগুলো ফ্লাইটের শিডিউল পরিবর্তন করতে হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে হাজিদের স্বজনদের। অনেকে সকাল থেকে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছেন স্বজনদের নিয়ে যাওয়ার জন্য। হাজিদের নিয়ে যেতে বিমানবন্দরের বাইরে বেশ কয়েকটি গাড়ি অপেক্ষা করছে সকাল থেকে।
তবে মক্কা ও মিনায় দুর্ঘটনার পর হাজিরা যে জীবন নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছেন তাতেই খুশি তাদের স্বজনেরা। হাজিদের নিয়ে বিমানের ফ্লাইট আগামী ২৮ আক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
১ লাখ ৭ হাজার ২৯০ হজযাত্রীর মধ্যে জাতীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমান ঢাকা- জেদ্দার মধ্যে ১৪০টি ফিরতি ফ্লাইট পরিচালনা করে ৫৪ হাজার ৮৪৫ হজযাত্রী বহন করবে। এরমধ্যে নির্ধারিত ৩১টি ফ্লাইটসহ ১০৯টি বিশেষ ফ্লাইট রয়েছে। বাকি হজযাত্রীরা সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্স ১৬ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা- জেদ্দার মধ্যে সরাসরি ১৫২টি ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে ৫৪ হাজার ৮৪৫ হজযাত্রী বহন করে।
মক্কায় হজ পালন করছেন সারাবিশ্বের ২০ লাখের বেশি মুসলিম। বাংলাদেশসহ ১৫০টির বেশি দেশ থেকে এবার প্রায় ২০ লাখ মানুষ হজ পালন করছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এসেছেন ১ লাখ ৬ হাজারের বেশি। এবার হজ মৌসুমের শুরুর দিকেই মক্কার কাবা শরিফ ঘিরে থামা মসজিদ আল-হারামে একটি ক্রেইন উল্টে পড়ে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি আছেন। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে। মিনায় ‘শয়তানের স্তম্ভে’ পাথর ছুড়তে যাওয়ার পথে পদদলনে মৃত্যু হয় ৭৬৯ জনের। আহত হন আরো  ৯৩৪ জন।
রোববার পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে ৬৫০ জনের ছবি সৌদি সরকার প্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশি ১০ জনের খবর নিশ্চিত বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশি হাজিদের ফিরিয়ে আনতে আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিমান হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
Share:

ত্রিশালের নিখোঁজ হাজি দম্পতির লাশ শনাক্ত

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ): ত্রিশালের নিখোঁজ তিন হাজির মধ্যে এক দম্পতির মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- ত্রিশাল পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের চরপাড়া এলাকার আব্দুল লতিফ (৬০) ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫৫)।
সোমবার নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ত্রিশালের একই এলাকার জহির রায়হানের স্ত্রী সেলিনা বেগম।
এর আগে মিনায় দুর্ঘটনায় তারা নিখোঁজ ছিলেন। কয়েকদিন পরেও বিষয়টি সম্পর্কে কোনো কিছু জানা যায়নি। তাদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।
নিহত লতিফ-জাহানারা দম্পতির মেয়ে লাভলী আক্তার সোমবার রাত ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে বাংলামেইলকে জানান, সৌদী আরব থেকে চাচাতো ভাই শাহজাহান কবীর মরদেহ শনাক্ত করেছেন। মরদেহ শনাক্তের পর মক্কার কবরস্থান জান্নাতুল মাওয়ায় দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে, দম্পতির মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
Share:

সাপের সঙ্গে লড়ে প্রভুকে বাঁচাল কুকুর

নিজের প্রাণ দিয়ে প্রভুকে বাঁচাল কুকুর। প্রভুকে ছোবল মারার আগে বিষধর গোখরোর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল প্রভুভক্ত জ্যাক। সাপে-কুকুরে রুদ্ধশ্বাস লড়াই। মরল সাপ। প্রভুর পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়ল সারমেয়। প্রভুভক্তিতে কুকুরের জুড়ি মেলা ভার। আরও একবার তা প্রমাণ হয়ে গেল। মাল নদীর ধারে বাড়ি বিমল ঘোষের। বাড়িতে রয়েছে বেশ কয়েকটি স্পিত্‍জ। প্রভুর একডাকে ছুটে আসে তারা। কিন্তু প্রভুর জন্য সত্যিই তাঁর প্রিয় পোষ্য জ্যাককে যে প্রাণ দিতে হবে, কল্পনাও করতে পারেননি বিমল। বাড়ির উঠোনে কাজ করছিলেন একমনে। হঠাত্‍ই বিষধর গোখরোর হানা। জানতেই পারেননি বিমল। কিন্তু জ্যাকের কড়া নজর এড়াতে পারেনি বিষধর। প্রভুর দিকে পা বাড়ানোর আগেই গোখরোর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে জ্যাক। সাপে-কুকুরে টানাটানি। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর লুটিয়ে পড়ে বিষধর। বিষধরের মারণ কামড় শরীরে নিয়ে জ্যাকও প্রভুর পায়ে নেতিয়ে পড়ে। নিজের জীবন বেঁচেছে। কিন্তু তবুও মন ভাল নেই বিমলের। জ্যাকের চলে যাওয়াটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
Share:

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

Recent Posts

Unordered List

Definition List